॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সরকারী খরচে বিনামূল্যে সেবা গ্রহনের বিষয়ে রাঙ্গামাটি আদালতে মতবিনিময় পূর্বক গনশুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৯ মে) সকাল ১১টায় রাঙ্গামাটি জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের উদ্যোগে সেবা গ্রগীতাদের সাথে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার জনাব মোঃ জুনাইদ উপস্থিত সেবা গ্রহীতাদের লিগ্যাল এইড সেবা পাওয়ার বিভিন্ন অভিজ্ঞতা সরাসরি শুনেন এবং তা সমাধানের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের প্রতিশ্রুতি দেন।
উক্ত গনশুনানীতে জেলার কাউখালী, লংগদু, রাজস্থলী, বরকল এবং সদর উপজেলার আনুমানিক ৪০ জন সেবা গ্রহীতা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মোঃ জুনাইদ বাংলাদেশ বলেন, সরকারী খরচে লিগ্যাল এইড সার্ভিসের সেবার মানবৃদ্ধি ও জবাবদিহি মূলক সেবা নিশ্চিত করতে এখন থেকে প্রতি মাসে এরকম জবাবদিহি মূলক গনশুনানী অনুষ্ঠিত হবে।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সভাকক্ষে (এনেক্স ভবন) রবিবার (২৯ মে) সকালে জেলা উন্নয়ন কমিটির সভা রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক উন্নয়ন সভা রাঙ্গামাটি জেলার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে জেলার সকল বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত একটি সর্বোচ্চ ফোরাম। জেলার উন্নয়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং অন্যান্য বিভাগের সাথে সমন্বয়ের বিষয়টি এ সভায় আলোচনা হয়। সুতরাং এ ফোরামের গুরুত্বের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সভায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, স্থানীয় সম্পদকে ব্যবহার উপযোগী করে দেশের কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে সকল বিভাগকে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে সঠিক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহা: আশরাফুল ইসলাম এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: মামুন, পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মফিজুল হক, রাঙ্গামাটি পৌরসভা কাউন্সিলর জুবাইতুন নাহার, সিভিল সার্জন প্রতিনিধি ডা: বিনোদ শেখর চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ অহিদুর রহমান, টুরিস্ট পুলিশের এ এস আই এমদাদুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি চেম্বার অফ কমার্স এর পরিচালক মোঃ হারুনুর রশিদ, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা দক্ষিণ বন বিভাগ ছালেহ মোঃ শোয়াইব খান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ, জনস্বাস্থ্য নির্বাহী প্রকৌশলী অনুপম দে, বিতরণ বিভাগ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জালাল উদ্দীন, জেলা সমবায় অফিসার ইউসুফ হাসান চৌধুরী, বিআরডিবি উপ পরিচালক প্রমিতা তালুকদার, সোনালী ব্যাংক লিঃ এ জি এম সত্য প্রসাদ দেওয়ান, টিটিসি অধ্যক্ষ শ্যামন বড়ুয়া, ব্রাক ডিস্ট্রিক্ট কোঅর্ডিনেটর মোঃ হাবিবুর রহমান, সহকারী পরিচালক জেলা পরিবার পরিকল্পনা ডাঃ বেবী ত্রিপুরা, জেলা সমবায় সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন চৌধুরী, প্রতিনিধি জেলা হেডম্যান এসোসিয়েশন থোয়াই অং মারমা, সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ আনিসুল হক, ঝুম নিয়ন্ত্রণ সহকারী জেলা কর্মকর্তা মোঃ আবদুল মোতালেব, বিসিক উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ ইদ্রিস হোছাইন, জেলা সমাজসেবা সহকারী পরিচালক রূপনা চাকমা, আরপিটি আই ট্রেইনার বুলবুলী বড়ুয়া, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী জুগাল কৃঞ্চ মন্ডল, ডিজিএম বিটিসিএল মোঃ তৌহিদ উল্লাহ, টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট সহকারী শিক্ষক মোঃ সাব্বির আলম, সড়ক ও জনপথ উপ-সহকারী প্রকৌশলী দীপন চাকমা, সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক উবাই মং মারমা, পিটি আই ইন্সট্রাক্টর শ্যামল বড়ুয়া, এসআরডিআই এর উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা উপলয় চাকমা, বিএফডিসি এর ডিএম জহিরুল ইসলাম, বিপিডিবি প্রকল্প এর অজিত কুমার বিশ^াস, কৃষি প্রকৌশলী দেবাশীষ চাকমা, জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুারো এর প্রতিনিধি শাকালিন চাকমা, রাঙ্গামাটি সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক রুপক খীসা, জেলা প্রাণিসম্পদের পক্ষ থেকে দীপল চাকমা, পোস্ট অফিস পরিদর্শক মোঃ মহিউদ্দিন, প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ গিয়াস উদ্দিন, উপ-সহকারী উদ্যান কর্মকর্তা তাপস চাকমা, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ লিপন মিয়া, যুব উন্নয়ন উপপরিচালক মোঃ শাহজাহান, ফায়ার সার্ভিস সহকারী পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পরিণয় চাকমা পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া, এসআইডি-ইউএনডিপির ঐশ^র্য চাকমা, বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড এর ম্যানেজার সুলগ্না চাকমা এবং গার্লস গাইড জেলা কমিশনার বীণা প্রভা চাকমা ।
সভায় উপস্থিত বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ স্ব স্ব বিভাগের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন।
রাঙ্গামাটির বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ
পার্বত্য রাঙ্গামাটির উন্নয়ন ও সামাজিক কাজে আমাদের
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এগিয়ে আসতে হবে
—-দীপংকর তালুকদার এমপি
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পার্বত্য রাঙ্গামাটির উন্নয়ন ও সামাজিক কাজে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য এলাকার মানুষের কথা চিন্তা করে বলেই দিন দিন পার্বত্য এলাকা দিন দিন উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এতে করে সুফল পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। আর আওয়ামীলীগ সরকার দেশের মানুষের পাশে আছে আর আগামীতেও থাকবে। তিনি রাঙ্গামাটিতে কাজ করা সামাজিক সংগঠনগুলোকে সমাজের কল্যানকর কাজে আরো বেশি মনোনিবেশ করার আহবান জানান।
রবিবার (২৯ মে) সকালে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপির বাস ভবনে সংগঠন ও সংস্থার প্রতিনিধিদের হাতে অনুদানের চেক বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, ফারুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিদ্যালাল তঞ্চঙ্গ্যা, রাঙ্গামাটি জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি পরেশ মজুমদারসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও চেক গ্রহণকারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে একটি পরিবারও দরিদ্র থাকবে না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে আমরা সম্মানের সাথে মাথা উঁচু করে জীবনযাপন করতে পারছি। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বর্তমান সরকার যাদের ঘর নেই তাদের ঘরের ব্যবস্থা করছেন এবং দরিদ্রদের স্বাবলম্বী করতে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
রাঙ্গামাটি জেলার ৫ টি সংগঠনের মাঝে ৮ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
॥ রাহুল বড়ুয়া ছোটন, বান্দরবান ॥ বান্দরবানের বিভিন্ন বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বৌদ্ধ শ্মশান, অনাথ আশ্রম ও বিভিন্ন বিহারাধ্যক্ষদের চিকিৎসার জন্য অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে।
রবিবার (২৯ মে) সকালে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপির বান্দরবান কার্যালয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এর পক্ষ থেকে এই অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এর ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের বান্দরবান জেলার ট্রাস্টি হ্লা থোয়াই হ্রী, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাজু মং মার্মা, কুহালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মংপু মার্মাসহ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ এবং সরকারী বেসরকারী উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কারণেই আজ সকল ধর্মের জনসাধারণ তাদের নিজ নিজ ধর্ম ও উৎসব সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারছে। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই সকল ধর্মের উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে আর তার ফলে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টানসহ সকল ধর্মের মানুষ সম্প্রীতিতে বসবাস করছে।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এর উন্নয়ন, বৌদ্ধ শ্মশান এর সংস্কার কাজ, অনাথ আশ্রম ও বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের ভিক্ষুদের চিকিৎসার জন্য সর্বমোট ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়।
॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥ ‘শান্তি প্রতিষ্ঠা’কে একটি মহৎ কাজ অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের জাতীয় পতাকার মান সমুন্নত রেখে বিশ্বে বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী শান্তি প্রতিষ্ঠাকারি দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি শক্তিশালী শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবেন এবং এর পতাকার মর্যাদা সমুন্নত রাখবেন।’ বিশে^র বিভিন্ন স্থানে কর্মরত শান্তিরক্ষীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পেশাদারিত্ব ও সততা বজায় রেখে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব স্ব-স্ব পালন করতে হবে। নিজেদের সুরক্ষিত রেখে আত্মবিশ^াস নিয়ে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করতে কাজ করবেন। কারণ, বিশ্ব শান্তি প্রচার করা একটি মহৎ কাজ।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার (২৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২২’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগদান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বছরের শান্তিরক্ষী দিবসের থিম ‘জনগণের শান্তি অগ্রগতি: অংশীদারিত্বের শক্তি’-এর মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করার অঙ্গীকার করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর তরুণ সদস্যগণ ২১ শতকের বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম।
তিনি বলেন, সবসময় মনে রাখবেন যে কোন দায়িত্ব পালনে আত্মবিশ^াসটা হচ্ছে সবথেকে বড় কথা। কাজেই সকলে আত্মবিশ^াস নিয়ে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করবেন। তাহলেই আপনারা সফল হবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রয়োজনে আরো শান্তিরক্ষী পাঠাতে প্রস্তুত। বিশ^ করোনা ভাইরাসের মত মহামারী অতিক্রম করতে করতেই আবার একটি যুদ্ধের দামামা (রাশিয়া-ইউক্রেন) বেজে উঠেছে। যা আজকে বিশ^ অর্থনীতির ওপর বিরাট প্রভাব ফেলেছে।
তিনি বলেন, আমরা কোন যুদ্ধ বা সংঘাত চাই না, শান্তি চাই। সারাবিশে^ শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক সেটাই আমাদের কাম্য। বিশ্ববাসীর পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আপনাদের এই ভূমিকা চিরকাল স¥রণ রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠান থেকে ভার্চ্যুয়ালি সংযুক্ত দক্ষিণ সুদান, লেবানন, সেন্ট্রাল আফ্রিকা রিপাবলিক এবং কঙ্গোতে অবস্থানকারি বাংলাদেশী কন্টিনজেন্টের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
তিনি ইউ এন পিস কিপিং জার্নালের একটি ভলিউমের মোড়কও উন্মোচন করেন।
আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের সামরিক উপদেষ্টা জেনারেল বিরামে ডিওপ এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি জিওন লুইস অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শান্তিরক্ষা মিশনে দুই শহিদের পরিবারকে এবং সাহসিকতার জন্য একজনকেসহ ১৪ জন আহত শান্তিরক্ষীকে পদক প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার মহৎ উদ্দেশ্যে জীবন উৎসর্গকারী শান্তিরক্ষীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ৩৪ বছরের যাত্রার ওপর একটি ছোট ভিডিও ডকুমেন্টারিও প্রদর্শিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কেবল বাঙালি জাতিরই নন তিনি ছিলেন সমগ্র বিশে^র নিপীড়িত নির্যাতিত শোষিত মানুষের মুক্তির ও শান্তির দূত। তাই, তিনি আলজিয়ার্সে এক ভাষণে বলেছিলেন, ‘বিশ^ আজ দু’ভাগে বিভক্ত শোষক আর শোষিত, আমি শোষিতের পক্ষে।’
তিনি মানুষকে শোষণ বঞ্চনা থেকে মুক্তি দানের জন্যই নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেন এবং স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের প্রতিষ্ঠা করেন।
এজন্য বিশ্ব শান্তি পরিষদ তাঁকে ‘জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার’-এ ভূষিত করে।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২৫-এ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে বিশ্বের সর্বত্র শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনের বিষয়ে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরীতা নয়” নীতি ঘোষণার মাধ্যমে জাতির পিতা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সুদৃঢ় অবস্থান তুলে ধরেন। এই নীতি আমরা এখনো মেনে চলছি এবং সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেই দেশের আর্থসমাজিক উন্নয়নে মনোনিবেশ করেছি।
শান্তির স্বপক্ষে তাঁর দৃঢ় অবস্থান পুণর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, যুদ্ধ নয় আমরা শান্তি চাই, সংঘাত নয়, উন্নতি চাই।
তখন থেকেই বাংলাদেশ বিশ্বের শান্তিপ্রিয় ও বন্ধুপ্রতীম সকল দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে এবং বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের অধীনে পরিচালিত সকল শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে, বলেন তিনি।
তিনি বলেন, জাতির পিতার শান্তি সেনানীরূপে ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রথম শান্তিরক্ষী প্রেরণ করে ‘ব্লু হেলমেট’ পরিবারের সদস্য হয়। আজ আমরা ‘সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ’ হিসেবে গৌরবের ৩৪ বছর উদ্যাপন করছি।
আজ সমগ্র বিশ্বে শান্তিরক্ষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান সর্বজনবিদিত এবং এই অবস্থান নিশ্চিতভাবে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতি বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ মিশনে কার্যকর অংশগ্রহণ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের অবস্থানকে সুসংহত করেছে। একইসঙ্গে সামরিকভাবে শক্তিশালী দেশসমূহের সঙ্গে আমাদের দেশের পারস্পরিক কুটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এ ছাড়াও, শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা দেশের জন্য বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছেন, যা আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সমসাময়িক বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিশ্ব শান্তি নিশ্চিত করা অতীতের চেয়ে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রযুক্তির দ্রুত প্রসার ও অগ্রযাত্রার সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রীয় এবং অরাষ্ট্রীয় অপশক্তিসমূহ নতুন হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। ফলে বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতে শান্তিরক্ষীদের বহুমাত্রিক ও জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অপারেশনে এই নতুন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় আমরা আমাদের শান্তিরক্ষীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামাদি দিয়ে প্রস্তুত করে তুলছি।
তিনি বলেন, ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘে আমাদের উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। তখন থেকে প্রতি বছর এটি জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত হয়ে আসছে। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশে ‘পিস কিপিং অপারেশন ট্রেনিং সেন্টার’ প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীকালে ২০০২ সালে এটি ‘বাংলাদেশ ইনষ্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং-বিপসট’হিসেবে পূর্ণাঙ্গ ইনস্টিটিউটের মর্যাদা পায়।
বিশে^ এটি বর্তমানে শান্তিরক্ষীদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। বাংলাদেশে এই ইনস্টিটিউট স্থাপন বিশে^ শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন ,বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, এ মুহূর্তে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ১২১টি দেশের ৭৫ হাজার ৫১৬ জন শান্তিরক্ষী নিয়োজিত রয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশের ৬ হাজার ৮২৫ জন শান্তিরক্ষী রয়েছেন। বর্তমানে বাংলাদেশের ৫১৯ জন নারী শান্তিরক্ষী বিশ্ব শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত আছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জেনে আনন্দিত যে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনী তাঁদের মহিলা শান্তিরক্ষীদের অংশগ্রহণ পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করে চলেছে। তাছাড়া জাতিসংঘ মহাসচিব শান্তিরক্ষা মিশলে আরো বেশি সংখ্যক নারী সদস্যকে সম্পৃক্ত করার আগ্রহ দেখিয়েছেন। আমরা বলেছি আমরা সবসময় প্রস্তুত।
তিনি বলেন, আমাদের শান্তিরক্ষীরা ৪৩টি দেশে ৫৫টি মিশন সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে ১৩টি মিশনে আমাদের শান্তিরক্ষীরা নিয়োজিত রয়েছেন। এ ছাড়াও বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর বেশ কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বিভিন্ন মিশনে ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার এবং সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দাযিত্ব পালন করছেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা বর্তমানে জাতিসংঘের পিস-বিল্ডিং কমিশনের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শান্তি প্রতিষ্ঠায় শহিদ বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
তিনি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান।
॥ ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙ্গামাটি ॥ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ-তৃণমুল সাংবাদিকতায় অবদান” রাখার জন্য রাঙ্গামাটির গুণী সাংবাদিক সম্মাননা দেওয়ায় আমি সত্যি ধন্য। একই সাথে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ প্রকাশ করছি। প্রায় শেষ বয়সে এটা আমার জীবনে অন্যতম প্রাপ্তি। দেশের অন্যতম বৃহৎ এ শিল্প প্রতিষ্ঠান যেমন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন, তেমনি গণমাধ্যমেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। দেশের প্রচার বহুল শীর্ষ পত্রিকা ‘দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন’ ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ অর্থাৎ বসুন্ধরা গ্রুপের। এছাড়া, দৈনিক কালের কন্ঠ, বাংলা নিউজ, দ্য ডেইলি সান, নিউজ২৪ চ্যানেল, রেডিও ক্যাপিটাল ও টি স্পোর্টস বসুন্ধরা গ্রুপের। যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে হাজারো গণমাধ্যম কর্মীর। যা সত্যি প্রশংসনীয়। শুধু তাই নয়, সাংবাদিকদের আত্মবিশ^াস বাড়ানোর লক্ষ্যে বসুন্ধরা গ্রুপ ৫টি ক্যাটাগরিতে ১১জন অনুসন্ধানী সাংবাদিক পুরষ্কারের দিচ্ছেন। যা গণমাধ্যমে অনন্যা দৃষ্টি স্থাপন করেছে। আশা করি আগামীতেও বসুন্ধরা গ্রুপের এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
এ কে এম মকছুদ আহমেদের জীবনীঃ- আলহাজ্ব এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ। পিতার মৃত মো. জামাল উল্লাহ, মাতা-জমিলা খাতুন। ১৯৪৫ সালের ১০জুলাই চট্টগ্রাম মীরসরাই উপজেলা উত্তর মগাদিয়া ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬২ সালে একই ইউনিয়নের আবু তোরাব উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৬৮সালে রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজ থেকে এইচ এ্স সি পাস করেন। এর পর ১৯৬৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রামস্থ দৈনিক আজাদীর রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি হিসাবে সাংবাদিকতা জীবনের শুরু হয়। ১৯৭৩ দৈনিক জনপদ জেলা সংবাদদাতা, ১৯৭৪ দৈনিক পূর্বদেশ, বার্তা সংস্থা এনাতে, ১৯৭৪-৭৭ এবং ১৯৭৯-৮৬ বাসসে কর্মরত ছিলাম, ১৯৭৬ সন থেকে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত দৈনিক ইত্তেফাকের রাঙ্গামাটি সংবাদদাতা হিসাবে কর্মরত ছিলেন। দৈনিক ইত্তেফাক (১৯৭৮ইং থেকে) বর্তমানে জেলা প্রতিনিধি দৈনিক ইত্তেফাক। ১৯৮৬-৮৯ পর্যন্ত দৈনিক ইত্তেফাক সংবাদদাতার পাশাপাশি নিউ নেশন এর জেলা সংবাদদাতা হিসাবে কাজ করেছিলেন। ১৯৯২-৯৩ দি টেলিগ্রাফ পত্রিকায়, সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ থেকে জানুয়ারী ২০০১ পর্যন্ত দি ডেইলী ইন্ডিপেনডেন্ট এর রাঙ্গামাটি জেলা সংবাদদাতা এবং ১৯৮৩-১৯৯৮ইং পর্যন্ত বিবিসির জন্য কাজ করেছিলেন। চট্টগ্রাম এবং পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিশ্বের নিকট পরিচিত করে তুলতে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন।
জেলা সংবাদদাতাঃ-জেলা সংবাদদাতা বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম ১৯৯৫ সাল হতে ও রাঙ্গামাটি কেন্দ্রে ২০০৭ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ বেতার রাঙ্গামাটি বার্তা বিভাগের জেলা সংবাদদাতা হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিঃ এর ২০১৪ সাল পর্যন্ত কর্মরত এবং জুন ২০০৫ থেকে নিউ নেশানের ২০০৮ পর্যন্ত জেলা সংবাদদাতা হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
প্রকাশকঃ- চাক্মা-মারমা কথোপকথন (জুভাপদ) (১৯৭৭), নোয়ারাম চাক্মা প্রণীত গোজেন লামা (১৯৭৭), পরিবার পরিকল্পনা প্রাথমিক গান (১৯৭৭) অধীর কান্তি বড়ুয়া প্রণীত প্রাথমিক বৌদ্ধ ধর্ম শিক্ষা, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম (শ্রেণীর পাঠ্য) হাবিবুর রহমান মজুমদারের রাঙ্গামাটির ভাবনা (কবিতার বই), নন্দলাল শর্মার পার্বত্য চট্টগ্রামের সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা। সৈয়দ ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদের শিক্ষা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ, করমালী। এডভোকেট প্রতিম রায় পাম্পুর পার্বত্য আইন তত্ত্বেও প্রয়োগে। ত্রিপুরা ভাষার বর্ণমালা- মহেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (২০০২), আকাশে হেলান দিয়ে- নন্দলাল শর্মা (২০০৩)। পরিবেশক জেলা প্রশাসক কর্তৃক সম্পাদিত রাঙ্গামাটি বৈচিত্রের ঐকতান (২০০৫)। স্বত্বাধিকারী রাঙ্গামাটি প্রকাশনী।
সম্মাননা ও পদক ঃ- মুক্তিযুদ্ধের বিজয় রজত জয়ন্তী, রাঙ্গামাটি রোটার্যাক্ট ক্লাব ও চট্টগ্রাম ডাউন টাউন (১৯৯৫), পরিবার পরিকল্পনা প্রচার সপ্তাহ এফপিএবি (১৯৯৫), সুধীজন ও গুনীজন সংবর্ধনা খেলাঘর আসর (১৯৯৬), ফুলকঁড়ির আসর ১৯৯৯, শিল্পী নিকুঞ্জ-সাংবাদিকতায় অবদান-২০০১, ১৯৯০সনে “আমেরিকান বায়োগ্রাফিক্যাল ইনষ্টিটিউট এর পৃথিবীর পাঁচ হাজার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব নামক” বইতে জীবন বৃত্তান্ত স্থান পেয়েছে।
সম্পাদক প্রকাশকঃ-বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সর্বপ্রথম ও তৎকালীন একমাত্র সংবাদপত্র সাপ্তাহিক বনভূমি (১৯৭৮ইং) দৈনিক গিরিদর্পণ (১৯৮৩ ইং) বর্তমানে তিন পার্বত্য জেলার সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক সংবাদপত্র যার বয়স বর্তমানে ৩৫ বছর পূর্ণ করে ৩৬ শে পা রেখেছে।
॥ মোঃ সোহরাওয়ার্দী সাব্বির ॥ তৃণমূল সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১ পাচ্ছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের চারণ সাংবাদিক খ্যাত রাঙ্গামাটি থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বনভূমি ও দৈনিক গিরিদর্পন সম্পাদক ও লেখক পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার পথিকৃৎ প্রবীণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদ। দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী গ্রুপ ও মিডিয়া গ্রুপ আয়োজনে ৫টি ক্যাটাগরিতে ১১জন অনুসন্ধানী সাংবাদিককে এবং তৃণমূল সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য প্রতি জেলা থেকে একজন করে মোট ৬৪জন গুণী সাংবাদিককে সম্মাননা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে। সে তালিকায় স্থান পেয়েছেন রাঙ্গামাটি জেলা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার পথিকৃৎ প্রবীণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদ। আগামী ৩০মে ২০২২ইং ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) তে সন্ধ্যা ৭টায় এই সম্মাননা প্রদান করা হবে। পাহাড়ের চারণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদকে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষে বসুন্ধরা মিডিয়া আওয়ার্ড ২০২১ প্রদান জন্য মনোনীত করায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, বান্দরবান প্রেস ক্লাব সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও হিল নিউজের সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান, স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জামাল উদ্দিন, এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. দুলাল মিয়া, ওয়ার্ল্ড পীর্স এন্ড হিউম্যান রাইটস সোসাইটি বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট লায়েন এ্যাড. এম এ মজিত অভিনন্দন জানিয়েছেন।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে আগামী ৩০শে মে ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) তে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে বসুন্ধরা অ্যাওয়ার্ড ২০২১।
বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১ আয়োজনে ৫টি ক্যাটাগরিতে ১১জন অনুসন্ধানী সাংবাদিককে পুরস্কার প্রদান করা হবে। একই সঙ্গে তৃণমূল সাংবাদিকতায় অবদান রাখায় দেশের প্রতিটি জেলা থেকে একজন করে মোট ৬৪জন গুণী সাংবাদিককে সম্মাননা প্রদান করবে দেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ।
এতে উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবাহান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম ও বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১ এর জুরিবোর্ড প্রধান অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান।
॥ জুরাছড়ি প্রতিনিধি ॥ রাঙ্গামাটির জুরাছড়ি উপজেলার মৈদং ইউনিয়নের দূর্গম পাহাড়ের পাড়ায় পাড়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। মৈদংয়ের আমতলা নাম গ্রামে ৮ বছরের এক শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মারা যাওয়া শিশুটি কান্তি চাকমার মেয়ে রাঙাবি চাকমা (৮)। এছাড়া এই গ্রামে ৬০/৭০ জন বৃদ্ধ, শিশু ও নারী আক্রান্ত হয়েছে বলে দাবী পাড়াবাসীর।
আক্রান্তদের সেবা দিতে দূর্গম মৈদং এলাকায় কাজ করছে জুরাছড়ি স্বাস্থ্য বিভাগের ৫ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম। রাঙ্গামাটি জুরাছড়ির একটি মেডিকেল টিম শুক্রবার সন্ধ্যায় গিয়ে তাৎক্ষণিক ৭০ জনকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে থেকে ১০ জনকে হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জুরাছড়ি উপজেলার হতে ২৭কিলোমিটার প্রায় দূরে মৈদং ইউনিয়নের আমতলা গ্রাম। উপজেলা হতে ছড়া ও পাহাড়ী উচু নিচু পথ বেয়ে সেখানে পৌঁছাতে ৬/৭ ঘন্টা সময় লেগে যায়। গ্রামে ৪৫ পরিবারের বসবাস।
আমতলা বাদলহাটছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মঙ্গল চাকমা বলেন, গেল কয়েক দিন দফায় দফায় বৃষ্টি পর এই ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে। তিনি আরো জানান, পাড়ায় কান্তি চাকমার মেয়ে ২য় শ্রেণীর ছাত্রী রাঙাবি চাকমা ডায়রিয়াই আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
এলাকার স্থানীয় কার্বারী ও ওয়ার্ড সদস্য রহিনী কুমার চাকমা বলেন, পাড়ায় প্রতিটি ঘরে এক বা একাধিক ডায়রিয়ায় আক্রান্তের রোগী রয়েছে। শুধু ডায়রিয়া নয়, এর পাশাপাশি জ্বরের প্রকোপও বাড়ছে। এতে করে এলাকাবাসীরা দুঃচিন্তায় রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নতর কারণে উপজেলায় রোগীদের আনা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি কান্তি চাকমার আট বছরের মেয়ে রাঙাবি চাকমার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
একই গ্রামবাসী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি দুই বছরের শিশু অমর শান্তি চাকমার মা সঞ্জারিকা চাকমা বলেন, তার ছেলে বুধবার সকাল থেকে ৮/৯ বার পাইখানা হওয়ার পর দুর্বল হয়ে পরে। এমন সময় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার ব্র্যাকের দুই কর্মী আর্থিক সহযোগিতা ও পরামর্শে রাত ১১টায় বাড়ী থেকে রওনা করি। ভোর ৪টায় পৌছাই। এখন একটু ভালো আছে ছেলেটা।
তবে তিনি উদ্বেগ কন্ঠে বলেন, ছেলেটা কিছুটা সুস্থ হয়েছে। কিন্তু চিন্তায় আছি বৃদ্ধ শশুর-শাশুরিকে নিয়ে, তারাও আক্রান্ত ডায়েরিয়াই। দূর্গমতার কারণে নেই কোন যোগাযোগে ব্যবস্থা।
আক্রান্ত পাড়ার ভুবন জয় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেডে দুর্বল হয়ে পরে আছে। তিনি বলেন বাড়ীতে গিয়ে সেও আক্রান্ত হয়েছে।
মৈদং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাধনা নন্দ চাকমা বলেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্তে বিষয়টা খবর পেয়েছি। স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম দ্রুত পর্যাপ্ত ঔষধসহ পাড়াবাসীদের পাশে দাঁড়ানো দরকার।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অনন্যা চাকমা জানান, মৈদং ইউনিয়নসহ কিছু কিছু পাড়ায় ডায়েরিয়া আক্রান্ত খবর পেয়েছি। শুক্রবার একটি দক্ষ ডাক্তারের নেতৃত্বে মেডিকেল টিম আক্রান্ত এলাকায় কাজ করছে। ইতিমধ্যে তারা চিকিৎসা সেবা শুরু করেছে। তারা সেখানে ডায়রিয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অবস্থা করবে। প্রয়োজনে আরো টিম পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।
নিজস্ব প্রতিদেক :: রাঙামাটি: পার্বত্য তিন জেলার পরিত্যক্ত সেনা ক্যাম্পগুলোতে শিগগিরই এপিবিএন মোতায়েন করার ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে সেনবাহিনী শান্তির জন্য কাজ করছে।
তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং যাদের সঙ্গে আমাদের শান্তিচুক্তি হয়েছিল, সেই চুক্তির একটি শর্ত ছিল সেনাবাহিনীর পরিত্যক্ত ক্যাম্পগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হবে। যাতে এ এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকে।
আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় থাকা পরিত্যক্ত সেনা ক্যাম্পগুলোতে ধীরে ধীরে, এক সঙ্গে নয়, পুলিশ মোতায়েন করতে যাচ্ছি আমরা। লক্ষ্য একটাই, পার্বত্য চট্টগ্রামে যেন শান্তিশৃঙ্খলার সুবাতাস বইতে শুরু করে, যোগ করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা জানেন, আমরা জলদস্যু মুক্ত করেছি, চরমপন্থি মুক্ত করেছি। সবার প্রচেষ্টায় এ অঞ্চলে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করব। আমরা ঘোষণা দিচ্ছি- তিন জেলায় (বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি) তিনটি এপিবিএন ব্যাটালিয়ন আসবে। এ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ধীরে ধীরে পরিত্যক্ত সব ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়বে। এর হেডকোয়ার্টার থাকবে রাঙামাটিতে। কথা হয়েছে, সিদ্ধান্ত হয়েছে, কোথায় কোন অসুবিধা। এ অসুবিধার আলোকে অনেক কথা আসছে। আমরা সবগুলো নোট করে নিয়েছি। সন্তু লারমা শান্তিচুক্তির কথা বলেছেন, শান্তিচুক্তির ভূমি কমিশনের কথা বলেছেন। সবগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সবগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন হবে।
বুধবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত রাঙামাটিতে তিন পার্বত্য জেলার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভা শেষে রাতে সাংবাদিকদের সামনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আমি এখানে এসে হেডম্যান, কার্বারি, জনপ্রতিনিধি, মন্ত্রী এবং তিন পার্বত্য জেলার রাজাদের নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদের একটা অনুরোধ, এ এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। তারা নানা ধরনের সাজেশন দিয়েছেন। তারা ভয়ংকর পরিস্থিতির কথা বলেছেন, চাঁদাবাজির কথা বলেছেন, সন্ত্রাসের কথা বলেছেন। দল-উপদলের মারামারির কথা বলেছেন।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদূর ঊশৈসিং, ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু নির্দিষ্টকরণ ও পুনর্বাসন টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এমপি দীপংকর তালুকদার, সংরক্ষিত নারী আসন-৯ এর এমপি বাসন্তী চাকমা, সিনিয়র সচিব নিরাপত্তা বিভাগ, পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ, চট্টগ্রাম ২৪ পদাধিক ডিভিশনের জিওসি, মহাপরিচালক এনএসআই, বিভাগীর কমিশনার চট্টগ্রামসহ প্রশাসনের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ এ বিশেষ সভায় যোগ দেন।