স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ “বর্জ্য পানির পুনব্যবহার মানে অপচয় প্রতিরোধ” এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে ঝিনাইদহে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক আবু ইউসুফ মো: রেজাউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুর রউফ মন্ডল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আছাদুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহ মোহাম্মদ আকরামুল হক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কনক কুমার বিশ্বাস। সেসময় বক্তারা, পানির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করে বর্জ্য পানি শোধন করে পুনরায় ব্যবহার করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটি শহরের ডিসি বাংলোর পার্ক থেকে জঙ্গি সন্দেহে আটক ৬জনকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতার দেখিয়ে পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে রাঙ্গামাটির বিচারিক আদালত আজ বুধবার মামলার পরবর্তী শুনানীর দিন ধায্য করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ।
রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার জানান, রাঙ্গামাটির আদালতে আটক ৬ সন্দেহ ভাজনকে হাজির করে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। রাঙ্গামাটি চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন খালেদ এর আদালতে সংক্ষিপ্ত শুনানী শেষে মামলার পরবর্তী দিন ধার্য্য করে ৬ জনকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, রাঙ্গামাটি ডিসি বাংলো পার্কে রবিবার রাতে গোপন বৈঠক করার সময় ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে জঙ্গি সন্দেহে রংপুরের ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতিসহ ৬জনকে আটক করে। আটককৃতদের কাছ থেকে জেহাদি বইসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলামত উদ্ধার করা হয়।
আটককৃরা হলেন, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ইউসুফ বিন মিরাজ ও ইরফানুল হক, রাঙ্গামাটির মোস্তাফা কামাল, সাখাওয়াৎ হোসেন ও মুক্কুর আলম। তাদের বিরুদ্ধে রাঙ্গামাটি কতোয়ালী থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
যে ৬জনকে আটক করা হয়েছে তার মধ্যে ১জনকে পেয়েছি যার নাম হারুনুর রশীদ সে কারমাইকেল কলেজ ছাত্র শিবিরের সভাপতি ছিল এক সময় এবং তার নিজের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সে রংপুর সদরের তার বিরুদ্ধে ৭টি মামলা রয়েছে এবং পীরগাছা থানায় ১টি মামলা রয়েছে। যে মামলাটি ২০১৩ সালে পুলিশ হত্যা মামলায় জড়িত হিসেবে তার বিরুদ্ধে চার্জশীট দেয়া আছে।
নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ নড়াইলের নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের পশ্চিম পাশের্^ রাস্তার ওপর থেকে,(২০ মাচ)র্ সোমবার ১২টার দিকে একজন অসুস্থ অজ্ঞাত (৪০) মহিলাকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, ওই দিন নড়াইলের নোয়াগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদুল ইসলাম (কালু) আড়পাড়া গ্রামের রাস্তার ওপর অজ্ঞাত এক অসুস্থ মহিলাটিকে দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশের সহায়তায় স্থানীয় গ্রাম পুলিশ নবাব শেখ মহিলাটিকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে। পরে ওই মহিলাকে লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পুলিশ হেফাজতে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার পরনে ছিল হলুদ শাড়ি ও রাণী গোলাপি ব্লাউজ। তার গায়ের রং শ্যামলা, চেয়ারা লম্বাটে, উচ্চতা আনুমানিক ৫ ফুট ২ ইঞ্চি হালকা পাতলা গঠন, মাথার চুল কাচা-পাকা কুকড়ানো। অসুস্থজনিত কারনে কথা বলতে পারছেনা। মহিলাটির আত্মীয়-স্বজনদের সঠিক প্রমানাদি সহ লোহাগড়া থানায় যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হল।
তাঁতশিল্পকে আরও আধুনিক ও বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার বলেছেন, এই শিল্পের প্রসারে সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপই তাঁর সরকার নেবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মসলিনের ওপর চার ইঞ্চি জরির কাজ করতে পুরোটা দিন লেগে যায়।… এই যে তারা মনযোগ দিয়ে একটি বস্ত্র তৈরী করছেন এটাও তো একটি অত্যন্ত উন্নতমানের শিল্প। কাজেই এটাকে আরো বেশি সহযোগিতা করার জন্য আমাদের সরকার সব সময় প্রস্তুুত এবং আমরা তা করে যাব।’তিনি বলেন, ‘এই শিল্প যেন আরো উন্নত হয়, সম্প্রসারিত হয়, সেদিকেই আমরা নজর দিচ্ছি।’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার রাজধানীর ফার্মর্গেটস্থ কৃষিবিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ তাঁতী লীগের জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।তাঁত বোর্ডকে ডিজিটাইজড করার ক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা একটা টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ও দেশে প্রতিষ্ঠা করেছি ।তাঁত শিল্পের উন্নয়নকে কিভাবে আরো সম্প্রসারিত করা যায় সেটাই তাঁর সরকারের লক্ষ্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের তাঁতীদের মেধা সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁতের শাড়ি আমরা ব্যবহার করি । তবে, আমার মনে হয় আমাদের ছেলে-মেয়েরাও এই তাঁতীদের তৈরী কাপড় ব্যবহার করতে পারে। এই শাড়ি দেখতেও সুন্দর। তাঁর সন্তান-সন্ততিদের তিনি খদ্দরের কাপড় কিনে দেন এবং সবাই সেটা পড়ে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের তাঁত শিল্পের কাপড় শুধু পরিধান নয়, গৃহে নানামুখী কাজে এর ব্যবহারেরও সুযোগ রয়েছে। আমি আশা করবো সকলে সেদিকে নজর দেবেন। কাজেই এই তাঁত শিল্পকে আমরা আরো উন্নত এবং সমৃদ্ধশালী করতে চাই। সেদিকে আমাদের দৃষ্টি রয়েছে এবং এজন্য যা যা করণীয় আমরা তা করবো।সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ তাঁতী লীগের আহবায়ক এনায়েতুর রহমান চৌধুরী। স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ তাঁতী লীগের যুগ্ম আহবায়ক সাধনা দাস গুপ্তা। প্রথম যুগ্ম আহবায়ক খগেন চন্দ্র দেবনাথ সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন। শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন সম্মেলন প্রস্তৃতি কমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. শওকত আলী।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের সকল শহীদ, কারাগারে নিহত জাতীয় চারনেতা, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ, গণতন্ত্র উদ্ধারে আত্মাহুতিদানকারী তাঁতী লীগের প্রয়াত নেতৃবৃন্দ স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।এর আগে, প্রধানমন্ত্রী বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। তিনি সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়।অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পরিষদ সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, ডেলিগেট, কাউন্সিলর ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্ব শেষে ৩টা পর্যন্ত সম্মেলন মূলতবি করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বাংলার ঐতিহ্যবাহী মসলিনকে আবার ফিরিয়ে আনায় তাঁর সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে আমরা একটা সমীক্ষা করছি যে মসলিন কোন কোন এলাকায় তৈরি হতো, এর সুতা আবার পাওয়া যায় কিনা এজন্য আমরা গবেষণা করছি।’প্রধানমন্ত্রী তাঁত শিল্পের প্রসারে তাঁর সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ৪২৬টি তাঁতের বিপরীতে ১৪২ জন তাঁতীকে ৪৯ লাখ ২৬ হাজার টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে।তিনি বলেন, তাঁতীদের প্রশিক্ষণের জন্য নরসিংদীর তাঁত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটকে আমরা আরো উন্নত করেছি। সেখানে ৪ বছর মেয়াদে ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল কোর্স চালু করা হয়েছে এবং এতে ভর্তির ক্ষেত্রেও তাঁতী পরিবারের সদস্যদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা নতুন নতুন ডিজাইন উদ্ভাবনের লক্ষ্যে ৪১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ফ্যাশন ডিজাইন ও ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট এবং একটি বেসিক সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। প্রকল্পের আওতায় নরসিংদীতে একটি ফ্যাশন ডিজাইন ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপনের কাজ প্রায় ৯৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি, টাঙ্গাইল এবং মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে একটি করে তিনটি প্রশিক্ষণ উপকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে।তিনি বলেন, পাশাপাশি স্বতন্ত্র জামদানী পল্লী, বেনারসি পল্লী ও তাঁত পল্লী স্থাপনেরও কাজ চলছে। নারায়ণগঞ্জের তারাবোতে ক্ষুদ্র তাঁতীদের জন্য প্লট বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর তাঁতীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তাদের ঋণ দেয়া হচ্ছে।
৯৬ সালে সরকার গঠনের পরই এদেরকে সরকার ঋণ দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁতীদের কল্যাণে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। বাজেটে সুতা ও রং আমদানি ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর রহিত করা হয়েছে। যাতে দাম কমে। মাদারিপুরের শিবচর এবং শরিয়তপুরের জাজিরায় ১শ’ ২০ একর জমিতে তাঁত পল্লী স্থাপন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।তিনি বলেন, সিলেটে মনিপুরি তাঁত শিল্পের উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে ৬শ মনিপুরি তাঁত শিল্পীকে প্রশিক্ষণ প্রদানসহ তাদের পণ্য বিক্রিতে সিলেটের জিন্দাবাজারের ‘ওয়েস্ট ওয়াল্ড শপিং সিটিতে’ একটি বিপনী কেন্দ্র খোলা হয়েছে। রংপুরের সতরঞ্জি এখন বিদেশে রপ্তানী হচ্ছে। সেখানে বেসিক সেন্টার এবং প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী এ সময় সংগঠনকে শক্তিশালীকরণসহ এর সঙ্গে সম্পৃক্ত জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নের বিষয়ে বলেন, ঢাকা ও ঢাকার বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন রয়েছে। এই সংগঠনের বিষয়ে আমি বলতে চাই- প্রত্যেকটি সংগঠন নীতি ও আদর্শ মেনে চলবে এবং এর ফলে সংগঠনের উন্নয়ন হবে। অন্যান্য সহযোগী সংগঠন যারা যেখানেই করছেন, সেখানেও সেই সম্প্রদায়ের মানুষের যাতে কল্যাণ ও উন্নতি হয় সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেবেন। এটা একান্তভাবে প্রয়োজন।তাঁত শিল্প চরম অবহেলার স্বীকার উল্লেখ করে তাদের ভাগ্যোন্নয়নে সংগঠন নেতৃবৃন্দকে পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংগঠন মানে কিন্তু কেবল নেতা হয়ে বসে থাকা নয়।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় ’৯৬ সালে তাঁর সরকার গঠনের পর সরকারের নানামুখী উদ্যোগে তাঁত শিল্প, সিল্ক শিল্প গড়ে ওঠে এবং এক সময় সেই শিল্প হারিয়েও যায় বলেও উল্লেখ করেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে তাঁতী লীগের সম্মেলন হচ্ছে, নতুন নেতৃত্ব আসবে। আপনারাই আপনাদের নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন এবং তাঁতীদের দিকে দৃষ্টি দেবেন এবং বংশ পরম্পরায় তাদের মেধাকে কাজে লাগাবেন।প্রধানমন্ত্রী এ সময় তাঁতী পরিবারের সন্তানদের লেখাপড়া শেখার পাশাপাশি তাদের এই শিল্পের ঐতিহ্যকে ধরে রাখার বিষয়েও উদ্যোগী হবার আহবান জানান।প্রধানমন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশ জামদানীর পেটেন্ট রাইটস অর্জন করায় এ শিল্পকে আরো এগিয়ে নিয়ে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরা এবং পাশাপাশি তাঁত ও সিল্ক শিল্প যেন বিশ্বব্যাপী প্রসার লাভ করতে পারে তার জন্য সবাইকে কাজ করার আহবান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মূখ্য দায়িত্ব হবে তাঁত শিল্পের বাজার সম্প্রসারণ করা।এক সময় বাংলাদেশের দুরাবস্থার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক বেলা খাবার, মোটা কাপড় জুটতো না, রোগে চিকিৎসা পেতনা, রোগে ধুঁকে ধুকে মারা যেত, লেখা পড়াতো ছিল অনেক পরের ব্যাপার। কঠোর পরিশ্রম করে আমরা এই সব সমস্যা ও অভাব দূর করে দেশের উন্নতি করেছি। দেশে এখন কেউ আর না খেয়ে থাকে না।প্রধানমন্ত্রী এ সময় জাতির পিতার বহুমুখী গ্রাম সমবায় গড়ে তুলে গ্রামীণ উন্নয়নের উদ্যোগের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, যার কারণে আমাদের দেশ অর্থনৈতিকভাবে দ্রুত উন্নতি হয়। কিন্তু তিনি এগুলো শেষ করে যেতে পারেননি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার আদর্শ মাথায় নিয়ে আওযামী লীগ অর্থনৈতিক নীতিমালা গ্রহণ করে এবং আওয়ামী লীগ সরকারে এসে তা বাস্তবায়স শুরু করে। একটি সুষ্ঠু নীতিমালার মাধ্যমে কর্মপরিকল্পনা নিয়ে যদি এগিয়ে যাওয়া যায় তাহলে সাফল্য যে অর্জিত হয়, তা আমরা প্রমাণ করেছি।৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণযুগ ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ বছরের বঞ্চনা, অত্যাচার-নির্যাতন, কোমলমতি মেধাবীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে তাদেরকে গুন্ডা-পান্ডায় পরিণত করে পেটেয়া বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করে জীবনকে নষ্ট করে দেয়। তারপর, খাদ্যের জন্য হাহাকার। যখনই যেখানে গিয়েছি মানুষ দুমুঠো খাবারের জন্য হাত পেতে বলেছে ‘মাগো ক্ষুধার জ্বালায় মরে যাচ্ছি।’ মানুষের এই দুঃখজনক অভাব আমরা দূর করেছি।প্রধানমন্ত্রী এ সময় তাঁর সরকারের উদ্যোগে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের খন্ডচিত্র তুলে ধরেন এবং আগামী ২০২০ সাল নাগাদ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আহবান জানান।একই সাথে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের সাফল্য জনগণের কাছে তুুলে ধরার এবং ২০২১ সাল নাগাদ মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবার ও আহবান জানান।
ব্যাটে-বলে দাপুটে ক্রিকেট খেলা বাংলাদেশ ৪ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। অনেক স্বপ্নের দিন শেষ হয়েছে হতাশায়। সম্ভাবনা মিলিয়ে গেছে নিদারুণ ব্যর্থতায়। এবার তেমন হতে দিল না বাংলাদেশ। শুরুটা করলেন তামিম ইকবাল, শেষ করলেন মিরাজ। বর্তমান মিলল ভবিষ্যতের সঙ্গে, এগিয়ে যাওয়ার সাহস যোগাল বাংলাদেশকে।
শততম টেস্টে নতুন শুরু হল বাংলাদেশের। কলম্বোর পি সারা ওভাল হয়ে উঠলো দেশটির উৎসবের মঞ্চ। উপলক্ষ্যের ম্যাচে দেশের বাইরে নিজেদের সেরা জয় তুলে নিল তারা।
রোববার ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিনের সকালে লক্ষ্য কঠিন করে ফেলে বাংলাদেশ। দেরি হয়ে যায় লঙ্কানদের শেষ দুটি উইকেট নিতে। মেলে ১৯১ রানের লক্ষ্য, এর চেয়ে কম রানের পুঁজি নিয়েও জেতার নজির আছে শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কার ইনিংস শেষ হতেই মাঠে চলে আসেন প্রধান কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে। পিচ রোল করা দেখেন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে। সন্তুষ্ট হওয়ার পরই কেবল মাঠ ছাড়েন তিনি।
শ্রীলঙ্কার শেষ দুই উইকেট নিতে সময় লেগে কিন্তু নিজেদের প্রথম দুই উইকেট হারাতে সময় লাগেনি। অবস্থা হতে পারতো আরও খারাপ। সৌম্য আউট হতে পারতেন ২ রানে। অফ স্পিনার দিলরুয়ান পেরেরার বলে স্লিপে ক্যাচ তালুতে জমাতে পারেননি আসেলা গুনারত্নে।
জীবন পাওয়া উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে সমর্থকরা একটু পরপর চিৎকার করে বলছিলেন, ‘সৌম্য, দেখে খেল’। তাতে অবশ্য কান দেননি। এগিয়ে এসে উড়াতে চেয়েছিলেন রঙ্গনা হেরাথকে। ঠিক মতো খেলতে পারেননি, লংঅফে সহজ ক্যাচ তালুবন্দি করেন উপুল থারাঙ্গা। থেমে যায় চিৎকার।
ইমরুলকে কিছু বলারই সুযোগ মেলেনি। টার্ন করবে ভেবে খেলে প্রথম বলেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বিদায় বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের। ৩৯তম জন্মদিনে সামনে থেকেই দলকে নেতৃত্ব দেন হেরাথ। বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক তামিম জন্মদিনের আগের দিন উপহার দেন দারুণ এক ইনিংস।
২ উইকেটে ৩৮ রানে লাঞ্চে যাওয়া বাংলাদেশের অন্য চেহারা দ্বিতীয় সেশনে। স্পিনে তামিম, সাব্বির রহমানের পায়ের ব্যবহার ছিল দুর্দান্ত। শুরুতেই জোড়া আঘাত পাওয়া হেরাথকে খেলেছেন সহজে। অন্য কোনো বোলার তাদের পারেননি খুব একটা ভোগাতে।
সাব্বির সুইপ-রিভার্স সুইপে সচল রেখেছেন রানের চাকা। তামিম টিকে ছিলেন আস্থার প্রতীক হয়ে। তিনটি চারে ৮৭ বলে অর্ধশতকে পৌঁছানোর পর চড়াও হন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। দুই জনের ব্যাটে দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ঘণ্টায় ৭৭ রান যোগ করে বাংলাদেশ।
চতুর্থ ইনিংসে তৃতীয় উইকেটে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো শতরানের জুটি পায় বাংলাদেশ। ছন্দপতন এর পরেই।
অর্ধশতকের পর সান্দাকানকে এগিয়ে বিশাল ছক্কা হাঁকান তামিম। শটের প্রশংসা মেলে হাথুরুসিংহের কাছ থেকে। চতুর্থ ইনিংসে প্রথম শতকের পথে থাকা তামিম খানিক পরে উড়াতে যান পেরেরাকে। এবার পারেননি, ফিরেন দিনেশ চান্দিমালের চমৎকার ক্যাচে পরিণত হয়ে। অমন আউটে ক্ষেপে উঠতে যায় কোচকে।
১২৫ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্কায় ৮২ তামিম।
১০৯ রানের জুটি ভাঙার পর বেশিক্ষণ টেকেননি সাব্বির। পেরেরাকে সুইপ করতে গিয়ে পারেননি, ফিরেন রিভিউয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে। প্রথমবারের মতো চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান দুই ইনিংসেই ফিরলেন চল্লিশের ঘরে। প্রথম ইনিংসে ৪২, এবার ৪১। উইকেটে সতর্ক সাকিব আল হাসান, বরাবরের মতো আঁটসাঁট মুশফিকুর রহিম। জয়ের জন্য শেষ সেশনে প্রয়োজন ৩৫ রান। ম্যাচ তখন অতিথিদের মুঠোয়। পেরেরাকে শরীরের খুব কাছ থেকে কাট করতে গিয়ে সাকিব বোল্ড হলে আবার চাপটা ফিরে আসে বাংলাদেশের ওপর।
তরুণ মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে বাকিটা সারেন মুশফিক। অধিনায়ক নিজে রিভিউ নিয়ে বাঁচেন ১১ রানে। ৭ রানে জীবন পান মোসাদ্দেক। তরুণ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান নিজের অভিষেক টেস্টে যে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন তা বাংলাদেশের ক্রিকেটের পরিণত হওয়ার প্রমাণ। আচমকা লাফিয়ে উঠা বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে দলকে নিয়ে যান জয় থেকে ২ রান দূরত্বে।
তিন বলের মধ্যে বাকিটুকু সারেন মিরাজ। তাদের দুই রান পূর্ণ হতে হতে মাঠে চলে আসে পুরো বাংলাদেশ দল। মাঠে তখন শুধুই উচ্ছ্বাস।
তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন হেরাথ ও পেরেরা। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এই জুটিকে সামলেই জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে টানা ছয় টেস্ট জেতা দলটিকে নামিয়েছে মাটিতে। এখন ওপরে উঠার সময় মুশফিকদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৩৩৮
বাংলাদেশ: ১ম ইনিংস: ৪৬৭
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: ৩১৯
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৫৭.৫ ওভারে ১৯১/৬ (তামিম ৮২, সৌম্য ১০, ইমরুল ০, সাব্বির ৪১, সাকিব ১৫, মুশফিক ২২*, মোসাদ্দেক ১৩, মিরাজ ২*; পেরেরা ৩/৫৯, হেরাথ ৩/৭৫, ডি সিলভা ০/৭, সান্দাকান ০/৩৪, লাকমল ০/৭, গুনারত্নে ০/৪)
ফল: বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ১-১ ব্যবধানে ড্র
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তামিম ইকবাল
ম্যাচ অব দ্য সিরিজ: সাকিব আল হাসান
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা : সুনামগঞ্জ-২৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ন বিজিবির টহল দল তাহিরপুরের বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির অদুরেই চোরাই পথে ভারত থেকে নিয়ে আসার পথে ভারতীয় মদ – গরুর চালান সহ প্রায় সোয়া ১০ লাখ টাকার চোরাই মালামাল আটক করেছে।
ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্ণেল নাসির উদ্দিন আহমেদ পিএসসি জানান, তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট গরুর হাটে নিয়ে যাবার পথে লাউড়েরগড় বিওপি’র বিজিবির টহল দল শুক্রবার শিমুলতলা নামক এলাকা থেকে ভারতীয় চোরাই ২০টি গরু আটক করে । আটককৃত গরুর মুল্য প্রায় ৮ লাখ টাকা।
অপরদিকে তাহিরপুরের বিন্নাকুলঅ ও মোদেরগাঁও এলাকার একদল মাদক চোরাচালানী জাদুকাটা নদী পথ ব্যবহার করে জামালগঞ্জ , তাহিরপুর ও বাদাঘাট বাজারে মাদকের চালান সরবরাহের পাশর্^বর্তী মাছিমপুর বিওপির বিজিবির অপর একটি টহল দল শরীফগঞ্জ এলাকা থেকে শুক্রবার রাতে ২ লাখ ২২ হাজার ৭৫০ টাকা মুল্যের ৫০ বোতল ভারতীয় অফিসার্স চয়েস মদ, ৯৬ বোতল ম্যাগ ডুয়েল মদ এবং ১৫ বোতল বিয়ারের আরেকটি চালান করে।
স্থানীয় একাাধিক সুত্র জানায় , উপজেলার লাউড়েরগড় ও চানঁপুর সীমান্ত এলাকার রোড ব্যবহার করে বেশ কয়েকটি গরু চোরাচারানী চক্র থানার অধেিন থাকা পুলিশ ফাঁড়ি থাকা সত্বেও প্রকাশ্যে প্রায়শই বাদাঘাট বাজারে ভারতীয় চোরাই গরুর চালান বিক্রয়ের জন্য নিয়ে আসছে। অভিযোগ উঠেছে, থানার ওসি নন্দন কান্তি ধরের সাথে সীমান্তের গরু ,কয়লা-চুনাপাথর কাঠ, বিড়ি, মাদক, গাাঁজা ও ইয়াবা চোরাকারবারীদের অতি সখ্যতা থাকার কারনে ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যদের চোরাচালান প্রতিরোধে নিরব দর্শকের ভুমিকাই পাালন করতে হচ্ছে। অভিযোগ অস্বীকার করে থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর শনিবার স্থানীয় সংবাকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, এসব গরু দেশী না ভারতীয় তা চেনার কোন উপায় নেই, মাদক প্রতিরোধেও পুলিশ তৎপর আছে, চোরাচালানীদের সাথে আমার কোন ধরণের সম্পৃক্ততা নেই।
বঙ্গবন্ধুর ৯৭তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে টুঙ্গীপাড়ায় এক শিশু সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “শুধু শিক্ষা নয়, ধর্মীয় শিক্ষাকেও আমরা বাধ্যতামূলক করেছি। কিন্তু ধর্মান্ধতা যেন না আসে। আমাদের ধর্ম ইসলাম অত্যন্ত পবিত্র ধর্ম, শান্তির ধর্ম। এই ধর্ম কাউকে খুন করার অধিকার দেয়নি।”
তিনি বলেন, “প্রত্যেক ধর্মেরই মর্মবাণী হল শান্তির বাণী প্রচার করা। কাজেই যে যে ধর্মই গ্রহণ করুক না কেন, সবাইকে মাথায় রাখতে হবে– যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। ধর্মে সব সময় শান্তি, ভ্রাতৃত্বের, সৌহার্দ্যের কথা বলা হয়েছে। সেটা সকলকে মেনে চলতে হবে।”
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শৈশব থেকেই পরোপকারী ছিলেন জানিয়ে সমাবেশে আসা শিশুদের তা অনুসরণ করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “আদর্শ নিয়ে বড় হতে হবে। দেশের মানুষকে ভালবাসতে হবে। একদিন তোমরা দেশের কর্ণধার হবে। আমার মত প্রধানমন্ত্রীও হতে পার। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে বড় হতে হবে।”
শিশুরা যেন বিপথে না যায় সে বিষয়ে অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষ নজর দিতে এবং তারা শ্রেণিকক্ষে অনুপস্থিত থাকছে কী না- সে বিষয়ে খোঁজ রাখতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্ম নেন শেখ মুজিবুর রহমান। কালক্রমে তার হাত ধরেই বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ।
জাতির জনকের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও।
সকালে টুঙ্গীপাড়ায় এসে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে প্রধানমন্ত্রী সমাধি প্রাঙ্গণে বইমেলার উদ্বোধন করেন এবং ‘খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।
সেখানেই বিকাল সাড়ে ৩টায় শিশু সমাবেশ ও আলোচনা সভার আয়োজন করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আজকের শিশুদের বাবার হাত ধরে স্কুলে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা কিন্তু বাবার হাত ধরে স্কুলে যেতে পারিনি। আমরা তার সঙ্গে জেলখানায় দেখা করতে যেতাম। তিনি বাংলার মানুষের অধিকারের কথা বলতেন।”
বঙ্গবন্ধুকে বারবার কারাগারে নিক্ষেপ করেও সংগ্রামের পথ থেকে তিনি ‘দমে যাননি’ বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। জাতির পিতা শিশুদের অত্যন্ত ভালবাসতেন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তিনি যে শিক্ষা দিয়েছেন, তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।… জাতির পিতা বলতেন, যদি সোনার বাংলা গড়তে চাই তাহলে সোনার ছেলেমেয়ে চাই।”
বঙ্গবন্ধুর সময়ই প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক করার কথা মনে করিয়ে দেন শেখ হাসিনা। তার সরকারের সময়ে প্রাথমিক স্কুল ও শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের কথাও বলেন।
সেইসঙ্গে শিক্ষা সম্প্রসারণে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু, বিনামূল্যে বই বিতরণ, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বৃত্তি-উপবৃত্তি দেওয়ার কথা তুলে ধরেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষা সহায়তার পাশাপাশি শিক্ষাঙ্গনে ক্রীড়া ও সংস্কৃতিচর্চা বাড়াতেও তার সরকার কাজ করছে।
সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একটা শিশুও যেন শিক্ষার বাইরে না থাকে। একটা শিশুও পথশিশু থাকবে না, টোকাই বলে কিছু থাকবে না। একটা শিশুও রাস্তায় ঘুরবে না।”
বঙ্গবন্ধু সব মানুষকে ‘সমানভাবে ভালবাসতেন’ মন্তব্য করে শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে আসা শিশুদের সামনে তার বাবার শৈশবের বিভিন্ন ঘটনার কথা তলে ধরেন।
“ছোটবেলা থেকেই তিনি পারোপকার করতেন। নিজের বই দিয়ে দিতেন। স্কুলের সহপাঠী, বন্ধুদের বাড়িতে নিয়ে আসতেন, খাবার খাওয়াতেন।”
প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের মান্য করতে এবং পিতামাতার কথা মেনে চলতে বলেন শিশুদের। সেই সঙ্গে প্রতিবন্ধীদের প্রতি সহাভূতিশীল হতে এবং সবার সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করতে বলেন।
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী উপমা বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিশুদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও অংশ নেন। অন্যদের মধ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আব্দুল্লাহ আল মামুন,পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ঃ “ভোক্তার আস্থাশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ভোক্তা অধিকার দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
১৫মার্চ বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ হলরুমে আন্তর্জাতিক ভোক্তা আইন সংরক্ষণ বাস্তবায়ন শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরফদার মাহমুদুর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন শাহী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু ফাত্তাহ মোঃ রওশন কবিরসহ আরো অনেকে। ।
ক্লাশ চলাকালীন সময়ে শ্রেণি কক্ষে ঢুকে খুন্তি দিয়ে পিটিয়ে পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ ভূর্ষি পূর্ব ডেঙ্গা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিগত ১৪ মার্চ সকাল ৯.৩০ ঘটিকায় শিক্ষিকা মিসফা সুলতানাকে স্থানীয় বখাটে আহসান উল্লাহ টুটুল ন্যাক্কার জনকভাবে এহেন হামলা ও নির্মম ঘটনা ঘটানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি কাইছারুল আলম, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শেখর দাশ, চট্টগ্রাম জেলার সহ-সাধারণ সম্পাদক ফয়েজুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান, কছির উদ্দিন, মোঃ শহীদুল্লাহ, আজাদ ইকবাল পারভেজ, সিরাজুল মোস্তফা, বোয়ালখালী উপজেলা শাখার সভাপতি জসিম উদ্দিন তালুকদার, শাহীন আক্তার প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষিকার উপর স্পষ্ট দিবালোকে মধ্যযুগীয় কায়দায় খুন্তি দিয়ে বর্বর হামলাকারী ও নর-ঘাতকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জোর দাবি জানান। নেতৃবৃন্দরা আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার একজন মুক্তিযুদ্ধের সন্তানের উপর এরূপ হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে এমন নির্মম হামলাজনিত ঘটনা উত্তরোত্তর বৃদ্ধিপাবে এবং শিক্ষকরাও চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকবে। এরূপ ঘটনায় শিক্ষকদের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। গ্রেপ্তারকৃত অপরাধীর অনতিবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা না হলে অন্যথায় সমিতির পক্ষ থেকে মানববন্ধন, সাংবাদিক সম্মেলনসহ আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য থাকবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এদেশ স্বাধীন হতোনা–ফিরোজা বেগম চিনু
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এদেশ স্বাধীন হতোনা। আমরা পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ থাকতাম। তার নেতৃতেই¡ দেশ স্বাধীন হয়েছে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঋণ এদেশের মানুষ কখনো শোধ করতে পারবেনা। তিনি বলেন, দেশ বিরোধীরা ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করে জাতির কাছে তুলে ধরেছে। তারা দেশকে জঙ্গীবাদ দেশে পরিণত করতে চেয়েছিল। জনগন তাদের এই নীল নকশা বুঝতে পেরে ভোটের মাধ্যমে আবারো আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাসকে যারা বিকৃতি করছে তারা স্বাধীনতা বিরোধী ও এদেশের শত্রু। তিনি আগামী প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য সকলের কাছে আহবান জানান।
বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা জেলা শাখার উদ্দ্যেগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস-২০১৭ উপলক্ষে রাঙ্গামাটি শিল্পকলা একাডেমিতে ৩দিনব্যাপী অনুষ্ঠান মালার মধ্যে বুধবার (১৫মার্চ) সকালে অনুষ্ঠানের ২য় দিনে আবৃত্তি ও নৃত্য প্রতিযোগিতার উদ্ধোধন কালে প্রধান অতিথির বক্ত্যবে তিনি এ কথা বলেন।
সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম আলো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জনকল্যান নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমানে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সব সেক্টরেই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। দ্রুত দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি দেশের এই অগ্রযাত্রা মেনে নিতে পারছে না। তাই দেশে বিভিন্ন জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হামলা করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করছে। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা যাতে মাথা চারা দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি মনসুর আহমদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল মওলা, রাঙ্গামাটি পৌরসভার প্যানেল মেয়র জামাল উদ্দিন, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সামশুল আলম, নৃত্য শিক্ষক হুমায়ন কবির, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহ্ এমরান রোকন উপস্থিত ছিলেন।
৩দিনের অনুষ্ঠান মালায় আগামী শুক্রবার (১৭মার্চ) সমাপনী অনুষ্ঠান মালায় বিকাল ৪টায় রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজ গেইট হতে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র্যালি শেষে বঙ্গবন্ধুর পাদদেশে আলোচনাসভা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ।