আ.জ.ম সামছুল করিম (লাভলু) :: লকডাউন শব্দটি সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রীয়া সৃষ্টি করে। নাগরিক ব্যবস্থাপনায় জীবন ও মূল্যবোধ সবার জন্য একিরকম নয়। এ সমাজে বাসকরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। একেক জনের জীবনকর্ম একেক রকম। তাই সবাইকে একই রকম ভাবে বিচার করলে হবে না। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার লক্ষে, সংক্রমন না ছড়াতে, মানুষ যাতে একে অন্যের সংস্পর্শে না আসতে পারে সেজন্য একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে মানুষকে ঘরে রাখাই এটির মূল উদ্দেশ্য। সে আপনি লকডাউন বলেন বা অন্যকিছু।
এই লকডাউন টানা ১৪ কিংবা ২১ দিন ধরে চলতে থাকলে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের পক্ষে এটি একই রকম ভাবে পালন করা সম্ভব নাও হতে পারে। এর আগে গত ২৬ মার্চ থেকে টানা ৬৪ দিন সাধারণ ছুটি ঘোষনা থাকলেও দেখা গেছে শুধু মাত্র সরকারি চাকুরিজীবিরা এটি যথা নিয়মে পালন করতে পেরেছেন। কারন তাদের বেতন না পাওয়া ও চাকুরি হারানো নিয়ে কোন ভয় ছিলো না। পক্ষান্তরে যারা প্রাইভেট চাকরি কিংবা ব্যবসা করছেন তাদেরকে নিত্য যেতে হয়েছে নিজ কর্মস্থলে তাদের মধ্যে সিএনএফ, শিপিং, ডিষ্টিভিউশন কোম্পানি, পাড়ামহল্লায় ছোটখাট ব্যবসা, দোকানপাট ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য আর গার্মেন্টস, শিল্প কারখানাতো ঘোষনা দিয়েই খোলা ছিল। এই সমস্ত আরো অনেক ধরনের প্রতিষ্ঠানে যারা কর্মরত আছেন তারা কিন্তু অনেকে এক দিনের জন্য ও ছুটি ভোগ করতে পারেননি। উপরন্ত নিয়মিত কর্মস্থলে পৌছাতে কি দুঃসহ ভোগান্তি তাদের ভোগ করতে হয়েছে তা কেবল তারাই উপলদ্ধি করেছেন। এর মধ্যে কেউ কেউ করোনা আক্রান্ত ও তাদের মাধ্যমে অনেকে সংক্রমিত হয়েছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।
বর্তমানে প্রশাসন যে ভাবে এলাকা ভিত্তিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাতে করে সেই এলাকার সব মানুষকে ঘরে রাখা পুরোপুরি অসম্ভব। অন্য এলাকার কথা জানি না। আমাদের চট্টগ্রামে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যেতে এতো অসংখ্য অলি-গলি আছে যে, পুলিশ কিংবা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকের জন্য এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না। যে সমস্ত মানুষ সরকারি চাকুরির সাথে জড়িত নয় তারা জীবিকার তাগিতে ঘরে বসে থাকা সম্ভব না। বিশেষ করে যারা এমন পরিস্থিতে আছেন। বাসস্থান রেড জোনে আর কর্মস্থল গ্রীন কিংবা ইউলো জোনে। যদিওবা প্রশাসন রেড জোন বাসীদের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষনা করেছেন। তা শুধু সরকারি চাকুরি জীবিদের ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন সম্ভব। অন্যরা থাকবেন কর্মস্থলে না গেলে বেতন না পাওয়া ও চাকুরি হারানোর ভয়ে। উদাহরণ স্বরুপ বলা যায় চট্টগ্রামের স্বনামধন্য এমন অনেক প্রতিষ্ঠান প্রথম লক ডাউনের ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ছুটি ঘোষনা অনুযায়ী যারা কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন না, তাদের সে ক’দিনের বেতন কর্তন করেছেন।
চট্টগ্রাম শহর আয়তনে এতো ছোট যে, এখানে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকার দূরত্ব খুবই নিকটে। এক এলাকার সাথে অন্য এলাকার প্রায় সকল কর্মকান্ড জড়িত। স্থানীয় যারা বাসিন্ধা তারা প্রায় সবাই পুরো চট্টগ্রামে একে অন্যের সাথে আত্মীয়তায় আবদ্ধ। কারো ঘর এক এলাকায় হলেও কবরস্থান, হাট-বাজার অন্য এলাকায়।
মানুষকে ঘরে রাখা একমাত্র উদ্দ্যেশ হলেও দেখা যাচ্ছে বড় বড় হাট বাজার, মার্কেট লকডাউনের আওতার বাহিরে রয়েছে। ফলে সেখানে লোক সমাগমের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
প্রথম অবস্থায় চট্টগ্রামে যে ১১টি এলাকা লক ডাউনে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ধরে নিলাম, সেটি পুরোপুরি কার্যকর হবে। কিন্তু বাকি এলাকাগুলোতেও এর অর্থনৈকিত প্রভাব পড়বে। ১১টি এলাকা লকডাউনের কারনে বাকি এলাকাগুলোর ব্যবসা বাণিজ্য কার্যত বন্ধ থাকবে। আর এটি যদি ২১দিন হয় তাহলে চট্টগ্রামের অর্থনীতি ২১দিনের জন্য স্তব্ধ্য থাকবে।
এরপরও শেষ নয়, ২১দিন পর যদি অন্য আরো ১১টি এলাকা লকডাউন করতে হয় তাহলে আরো ২১ দিন এভাবে ৪১টি ওয়ার্ডে ক্রমানয়ে চার দফায় ৮৪ দিন প্রায় তিন মাস চট্টগ্রামের স্বাভাবিক কর্মকান্ড বন্ধ হয়ে অকার্যকর শহরে পরিনত হবে।
তাই পালাক্রমে এলাকা ভিত্তিক লক ডাউন না দিয়ে পুরো শহর কিংবা জেলা ভিত্তিক (বিশেষজ্ঞের মত অনুযায়ী) ১৪ অথবা ২১ দিনের জন্য সারা দেশের স্বার্থে শুধু মাত্র চট্টগ্রাম বন্দরের মাল উঠানামা ব্যাতিত সম্পূর্ন কড়া কড়ি ভাবে লক ডাউন দিলে এটি ফলশ্র“ত হবে বলে আমার বিশ্বাস।
লেখক- যুগ্ম-আহ্বায়ক, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা।
মোবাইল : ০১৭১৩-১৬০৬৯২
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের সোমবার (১৫ জুন) এ তথ্য জানিয়েছেন। করোনার কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে টিভিতে ক্লাস সম্প্রচার করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে ৩১ মে সীমিত পরিসরে অফিস ও গণপরিবহন খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে গত ১ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিস শুধুমাত্র প্রশাসনিক রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনে (যথা: ছাত্রভর্তি, বিজ্ঞানাগার, পাঠাগার, যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় ইত্যাদি) সীমিত আকারে খোলা রাখা যাবে। তবে অসুস্থ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, সন্তান সম্ভবা নারী এবং ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। এছাড়া এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলেও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রমও শুরু করা যায়নি। সব মিলে শিক্ষা ব্যবস্থাতেও স্থবিরতা নেমে এসেছে।
গিরিদর্পণ ডেস্ক ::
——————-
মহামারীর বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে অর্থনীতির ক্ষত সারানোর পাশাপাশি মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষার চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে নতুন অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদের সামনে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নতুন অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত এই ব্যয় বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৩.২৪ শতাংশ বেশি। টাকার ওই অংক বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১৭.৯ শতাংশের সমান। বিদায়ী অর্থবছরে মুস্তফা কামালের দেওয়া বাজেটের আকার ছিল ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের ১৮ শতাংশ বেশি এবং জিডিপির ১৮.৩ শতাংশের সমান। বৃহস্পতিবার বিকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। তার আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালকে তার দ্বিতীয় বাজেটটি দিতে হল এমন এক সময়ে, যখন করোনাভাইরাসের মহামারীতে পুরো বিশ্বের অর্থনীতিই টালমাটাল, বাংলাদেশের সামনেও গভীর অনিশ্চয়তা। এবারের বাজেটের শিরোনাম ‘অর্থনেতিক উত্তরণ ও ভতিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’। সংক্রমণ এড়াতে সীমিত সংখ্যক আইনপ্রণেতাকে নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় চলছে এবারের বাজেট অধিবেশন; অধিবেশন কক্ষে সংসদ সদস্যদের বসতে হয়েছে দূরত্ব রেখে, মুখে মাস্ক আর হাতে গ্লাভস পরে।
অন্যবছর বাজেট দেওয়ার আগে অর্থমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার তা হয়নি।
গত কয়েক বছরে সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে উন্নয়ন খাতকে। এর মধ্যে কয়েকটি বড় প্রকল্পের কাজের গতি থমকে গেছে করোনাভাইরাসের কারণে।
ফল এবারের পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় খুব বেশি না বাড়িয়ে ধরা হচ্ছে ২ লাখ ১৫ হাজার ০৪৩ কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত উন্নয়ন বাজেটের প্রায় ৬.২৭ শতাংশ বেশি।
এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। এরই মধ্যে এডিপি অনুমোদন করা হয়েছে। এবার পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১৮০ কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত অনুন্নয়ন বাজেটের চেয়ে প্রায় ১৮ শতাংশ বেশি।
এর মধ্যে ৬৫ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধেই যাবে, যা মোট অনুন্নয়ন ব্যয়ের প্রায় ১৯ শতাংশ। মহামারীর মধ্যে গত তিন মাস ধরেই ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় স্থবির, শিল্প উৎপাদনও গতিহারা। আমদানি-রপ্তানি নেমে এসেছে তলানিতে। ফলে রাজস্ব আহরণে লক্ষ্যের চেয়ে অনেক পিছিয়ে পড়েছে এনবিআর।
সঙ্কট দীর্ঘ হলে ক্ষতির মাত্রাও বাড়বে। তারপরও কামাল আশা করছেন, নতুন অর্থবছরের সম্ভাব্য ব্যয়ের ৬৬ শতাংশ তিনি রাজস্ব খাত থেকে পাবেন।
তার প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এই অংক বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত রাজস্ব আয়ের ৮.৫ শতাংশ বেশি।
এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে কর হিসেবে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা আদায় করা যাবে বলে আশা করছেন কামাল। ফলে এনবিআরের কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে ৯.৮১ শতাংশ। টাকার ওই অংক মোট বাজেটের ৫৮ শতাংশের বেশি। গতবারের মত এবারও সবচেয়ে বেশি কর আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে, ১ লাখ ২৫ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। এই অংক বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৩.৯৪ শতাংশের মত। বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটে ভ্যাট থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা ছিল ১ লাখ ২৩ হাজার ৬৭ কোটি টাকা। লক্ষ্য পূরণ না হওয়ায় সংশোধিত বাজেটে তা ১ লাখ ৯ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। আয়কর ও মুনাফার উপর কর থেকে ১ লাখ ৩ হাজার ৯৪৫ কোটি টাকা রাজস্ব পাওয়ার আশা করা হয়েছে এবারের বাজেটে। বিদায়ী সংশোধিত বাজেটে এর পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা। এছাড়া নতুন বাজেটে আমদানি শুল্ক থেকে ৩৭ হাজার ৮০৭ কোটি টাকা, সম্পূরক শুল্ক থেকে ৫৭ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা, রপ্তানি শুল্ক থেকে ৫৫ কোটি টাকা, আবগারি শুল্ক থেকে ৩ হাজার ৬৮৬ কোটি টাকা এবং অন্যান্য কর ও শুল্ক থেকে ১ হাাজর ৫৩০ কোটি টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করেছেন অর্থমন্ত্রী। এছাড়া বৈদেশিক অনুদান থেকে ৪ হাজার ১৩ কোটি টাকা পাওয়া যাবে বলে বাজেট প্রস্তাবে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। বিদায়ী অর্থবছরের মূল বাজেটে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা, আদায় সন্তোষজনক না হওয়ায় তা সংশোধন করে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৬৯ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ছিল ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। সংশোধনে তা ৫ লাখ ১ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।
অর্থমন্ত্রী সংসদের সামনে যে বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরেছেন, তাতে আয় ও ব্যয়ের হিসাবে সামগ্রিক ঘাটতি থাকছে প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৬ শতাংশের মত।
সাধারণত ঘাটতির পরিমাণ ৫ শতাংশের মধ্যে রেখে বাজেট প্রণয়নের চেষ্টা হলেও এবার তা সম্ভব হয়নি।
এই ঘাটতি পূরণে অর্থমন্ত্রীর সহায় অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক ঋণ। তিনি আশা করছেন, বিদেশ থেকে ৮০ হাজার ১৭ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা ঋণ করে ওই ঘাটতি মেটানো যাবে।
অভ্যন্তরীণ খাতের মধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে ৮৪ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে আরও ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছে বাজেটে।
বিদায়ী অর্থবছরের ৮ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হলেও কোভিড-১৯ দুর্যোগের মধ্যে তা সংশোধন করে ৫ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
সামনে গভীর অনিশ্চয়তা রেখেই অর্থমন্ত্রী আশা করছেন, তার নতুন বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারলে মূল্যস্ফীতি ৫.৪ শতাংশের মধ্যে আটকে রেখেই ৮.২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি পাওয়া সম্ভব হবে।
চট্টগ্রাম ব্যুরো :: বায়তুশ শরফ আন্জুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বিশেষ সভা বায়তুশ শরফ আদশ কামিল মাদরাসা শিক্ষক মিলনায়তনে আনজুমনে ইত্তেহাদের সহসভাপতি ও ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর আহসান উল্লাহ (আহসান সাইয়্যেদ) এর সভাপতিত্বে এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ জাফর উল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন নদভী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজ সেবা অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপপরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন বায়তুশ শরফের পীর আল্লামা আবদুল হাই নদভী, বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদের তরবিয়ত সম্পাদক ও মজলিসুল ওলামা বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মামুনুর রশীদ নূরী, সম্পাদক সংগঠন আলহাজ্ব ইদ্রিস মিয়া (চেয়ারম্যান), মারসা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও শাহ আবদুল জব্বার (রহ:) এর কনিষ্ট জামাতা মর্তুজা ছিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, অধ্যাপক একরামুল হক আজাদ, আলহাজ্ব হাফেজ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, আলহাজ্ব সাইদুল ইসলাম বাবু, মুহাম্মদ নুর উদ্দিন, আলহাজ্ব আবুল কাশেম খান, মাওলানা কাজী শিহাব উদ্দিন, আলহাজ্ব মুহাম্মদ হারুন প্রমুখ।
সভার শুরুতে সদ্য প্রয়াত বায়তুশ শরফের পীর বাহরুল উলুম শাহ মাওলানা মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন (রহ), কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মাওলানা নুরুল ইসলাম ও আনজুমনে ইত্তেহাদের যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী আবু তাহেরের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গৃহিত হয়।
সভায় উপস্থিত কার্যনির্বাহী কমিটির এ বিশেষ সভায় আলহাজ্ব ইদ্রিস মিয়া সভাপতি হিসেবে বায়তুশ শরফের পীর আল্লামা আবদুল হাই নদভীর নাম প্রস্তাব করলে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবটি গৃহিত হয়।
সভায় বায়তুশ শরফের বিভিন্ন বিষয়ে আরো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সাধারণ সভার তারিখও নির্ধারিত হয়।
শেষে প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন নদভী এমপি বলেন, বায়তুশ শরফের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক সেই শৈশব থেকে। বিশেষ করে মরহুম দুই পীর ছাহেবগনের অনেক ¯েœহ ও দোয়া পেয়েছি। আল্লামা আবদুল হাই নদভী পীর ছাহের হওয়ার পর আমি মুলতাকা আ আল নদভীয়া ম্যাসেজ দিয়েছি। সেখানে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম ইসলামিক স্কলার আল্লামা সালমান নদভীসহ অনেকেই বায়তুশ শরফের পীর ছাহেবকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আল্লামা আবদুল হাই নদভী ছাহেব আল্লামা সালমান নদভী ও আল্লামা আবুল হাসান আলী নদভী (রহ) এর ¯েœহধন্য ছাত্র।
বায়তুশ শরফের পীর আল্লামা আবদুল হাই নদভী বায়তুশ শরফ দরবারের ভাবমুর্তি উজ্জল করার জন্য আনজুমনে ইত্তেহাদের সকল সদস্য, বায়তুশ শরফের লক্ষ লক্ষ ভক্ত অনুরক্তদের নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করেন বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুশ শরফের পীর আল্লামা আবদুল হাই নদভী।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৩৭ জন মারা গেছেন। এ পর্যন্ত মারা গেলেন ৭৪৬ জন। নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২৬৯৫ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৫ হাজার ১৪০ জন। দেশে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ৪৭০ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছে ১১ হাজার ৫৯০ জন। ৩ জুন, বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৫১০টি। এর মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬৯৫ জন। এ পর্যন্ত দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৫৫ হাজার ১৪০ জন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল ৫৪৯ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। এরপর ২৯ এপ্রিল ৬৪১ জন, ৩০ এপ্রিল ৫৬৪ জন, ১ মে ৫৭১ জন, ২ মে ৫৫২ জন, ৩ মে ৬৬৫ জন, ৪ মে ৬৮৮ জন, ৫ মে ৭৮৬ জন, ৬ মে ৭৯০ জন, ৭ মে ৭০৬ জন, ৮ মে ৭০৯ জন, ৯ মে ৬৩৬ জন, ১০ মে ৮৮৭ জন, শরীরে ধরা পড়ে কোভিড-১৯ নামের ভাইরাসটি।
১১ মে প্রথমবারের মতো দেশে একদিনে সহস্রাধিক করোনারোগী শনাক্ত হয়। সেদিন ১০৩৪ জনের শরীরে ভাইরাসটি ধরা পড়ে। এরপর ১২ মে ৯৬৯ জন, ১৩ মে ১১৬২ জন, ১৪ মে ১৪১ জন, ১৫ মে ১২০২ জন, ১৬ মে ৯৩০ জন, ১৭ মে ১২৭৪ জন, ১৮ মে ১৬০২ জন, ১৯ মে ১২৫১ জন, ২০ মে ১৬১৭ জন, ২১ মে ১৭৭২ জন, ২২ মে ১৬৯৪ জন, ২৩ মে ১৮৭৩ জন, ২৪ মে ১৫৩২ জন, ২৫ মে ১৯৭৫ জন, ২৬ মে ১১৬৩ জন, ২৭ মে ১৫৪১ জন, ২৮ মে ২০২৯ জন, ২৯ মে ২৫২৩ জন, ৩০ মে ১৭৬৪ জন,৩১ মে ২৫৪৫,১ জুন ২৩৮১, ২জুন ২৯১১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়।
এদিকে ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানির সংখ্যা ৩ জুন, বুধবার পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫৩১ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৩৭ জন মারা গেছেন। এ পর্যন্ত মারা গেলেন ৭০৯ জন। নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২৯১১ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৫২ হাজার ৪৪৫ জন। দেশে নতুন করে সুস্থ্য হয়েছেন ৫২৩ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছে ১১ হাজার ১২০ জন। ২ জুন, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৭০৪টি। এর মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯১১ জন। এ পর্যন্ত দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৫২ হাজার ৪৪৫ জন। উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল ৫৪৯ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। এরপর ২৯ এপ্রিল ৬৪১ জন, ৩০ এপ্রিল ৫৬৪ জন, ১ মে ৫৭১ জন, ২ মে ৫৫২ জন, ৩ মে ৬৬৫ জন, ৪ মে ৬৮৮ জন, ৫ মে ৭৮৬ জন, ৬ মে ৭৯০ জন, ৭ মে ৭০৬ জন, ৮ মে ৭০৯ জন, ৯ মে ৬৩৬ জন, ১০ মে ৮৮৭ জন, শরীরে ধরা পড়ে কোভিড-১৯ নামের ভাইরাসটি। ১১ মে প্রথমবারের মতো দেশে একদিনে সহস্রাধিক করোনারোগী শনাক্ত হয়। সেদিন ১০৩৪ জনের শরীরে ভাইরাসটি ধরা পড়ে। এরপর ১২ মে ৯৬৯ জন, ১৩ মে ১১৬২ জন, ১৪ মে ১৪১ জন, ১৫ মে ১২০২ জন, ১৬ মে ৯৩০ জন, ১৭ মে ১২৭৪ জন, ১৮ মে ১৬০২ জন, ১৯ মে ১২৫১ জন, ২০ মে ১৬১৭ জন, ২১ মে ১৭৭২ জন, ২২ মে ১৬৯৪ জন, ২৩ মে ১৮৭৩ জন, ২৪ মে ১৫৩২ জন, ২৫ মে ১৯৭৫ জন, ২৬ মে ১১৬৩ জন, ২৭ মে ১৫৪১ জন, ২৮ মে ২০২৯ জন, ২৯ মে ২৫২৩ জন, ৩০ মে ১৭৬৪ জন,৩১ মে ২৫৪৫,১ জুন ২৩৮১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এদিকে ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানির সংখ্যা ২ জুন, মঙ্গলবার পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৬০৫ জনে।
|| বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি || রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাচালং নদীতে অবাদে ‘মা মাছ’ নিধন। কাচালং নদীর করেঙ্গাতলী অংশ থেকে শুরু করে আমতলী পর্যন্ত নিয়মিত ভাবেই দল বেধে মাছ শিকার করতে দেখাযায় স্থানীয় জেলে ও গ্রামবাসীদের, প্রশাসনের নজরদারী নেই বললেই চলে, সচেতন মহল এই বিষয়টি নিয়ে মৎস অধিদপ্তরের গাফিলতিকেই দায় করছেন।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ আলী হোসেন বলেন নদীতে এখন পানি দেখা যায়না শুধু মানুষের মাথা দেখাযায়, মনে হয় মাছ ধরার মহা উৎসব চলছে।
অভিযোগ পেয়ে ১ জুন সোমবার দুপুরে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখাযায় উপজেলা সদরে কাচালং ব্রীজ ঘাট থেকে পুরাতন মারিশ্য ঘাট পর্যন্ত ৩০ থেকে ৪০ জন জেলে ও গ্রামবাসী পানিতে ভেসে থাকার জন্য কোমরে প্লাস্টিকের জারি কেন বেধে দল দলে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, জাকি জাল দিয়ে শত শত ডিমওয়ালা মা মাছ ধরছে। কেও আবার প্রকাশ্যেই বাজারে ও গ্রামে গ্রামে ঘুরে ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা কেজিতে ভিবিন্ন জাতের মাছ বিক্রি করছে। অথচ বছরের এই সময়টা সরকারী ভাবে মাছ ধরা সম্পূর্ন রুপে নিষিদ্ধ, এই সময়টাতে জেলেদের জন্য সরকারী ভাবে বিশেষ বরাদ্ধও রয়েছে। কিন্তু তার পরেও সরকারী নিষেধাজ্ঞার তুয়াঙ্কা না করে এভাবে দিনের আলোতে প্রকাশ্যে মাছ শিকার সচেতন মহলে নানা প্রশ্নজন্মদিচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা নবআলো চাকমার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমরা পুলিশের সহায়তায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি গত দুই দিনে ১৪ টি জাল আটক করেছি , এখন সমস্যা হলো আমাদের জেলেরা পাহারা দেয় আমরা গেলে পালিয়ে যায় চলে আসলে আবার মাছ ধরে এখন নিজেরা যদি সচেতন না হয় তাহলে এভাবে অভিযান করে মাছ ধরা বন্ধ করা সম্ভব নয়।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায় গত ২ দিনে শত শত কেজি ডিমওয়ালা মা মাছ ধরা পড়েছে জেলেদের জালে এসব মাছের মধ্যে ২০ থেকে ২৫ কেজি ওজনের কাতলা মাছ, ১৮ থেকে ২০ কেজি ওজনের রুই মাছ, ৫ থেকে ৭ কেজি ওজনের কালি বাউস মাছ ছাড়াও ১০ /১২ কেজি বোয়াল, লন্ডু, বাচা মাছ রয়েছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ গিয়াস উদ্দিন মামুন বলেন জেলেদের সরকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে চাওল দিচ্ছে তার পরও সরকারী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মা মাছ শিকার খুবই দুঃখ জনক, তাই অভিযান জোরদার করে এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা উচিত।
নিজস্ব প্রতিবেদক :: প্রথমবারের মত এক দিনে দুই হাজারের বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের মধ্য দিয়ে দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়ে গেল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এ রোগে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে; বাংলাদেশে নতুন করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৫৯ জন।
এই সময়ে রেকর্ড ২ হাজার ২৯ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৪০ হাজার ৩২১ জন হয়েছে।
সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫০০ জন। সব মিলয়ে এ পর্যন্ত মোট ৮ হাজার ৪২৫ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বৃহস্পতিবার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৮৯ শতাংশ, মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
বুলেটিনে জানানো হয়, গত এক দিনে দেশের ৪৯টি ল্যাবে ৯ হাজার ৩১০ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নতুন যুক্ত হয়েছে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের ল্যাব।
চট্টগ্রাম ব্যুরো :: চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগের চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহাবুবুল হক চৌধুরী এটলী আর নেই…. ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাহি রাজিউন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে নগরীর মেডিকেল সেন্টারে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। রাতে এটলির শরীর খারাপ লাগলে সাড়ে ১১ টার দিকে মেডিকেল সেন্টারে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যেই হার্ট ফেল করে তিনি রাত পৌণে একটার দিকে মারা যান। তিনি আংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন (বনপা’র) উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে মরহুমের বিদেহী আতœার মাগফেরাত কামনা ও গভীর শোক প্রকাশ এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের শান্তি কামনা করেছেন বনপা‘র সভাপতি হাদিদুর রহমার, সাধারণ সম্পাদক এম কে মোমিন, উপদেষ্ঠা সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মনিরুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক হারুর অর রশিদ, ফরহাদ আমীন ফয়সাল, অর্থ সম্পাদক মোঃ মেজবাহ উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক আবু জাফর (লাভলু), মোঃ শাহেদ, নির্বাহী সদস্য শিহাব উদ্দিন খান (ফারদিন) সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। খবর বিজ্ঞপ্তি।
সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে এ ভাইরাসে। তাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০১ জনে।
এই এক দিনে আরও ১ হাজার ৯৭৫ জনের মধ্যে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হল ৩৫ হাজার ৫৮৫ জন।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার পর একদিনে এত বেশি রোগী আর কোনোদিন শনাক্ত হয়নি।
সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪৩৩ জন। সব মিলয়ে এ পর্যন্ত মোট ৭ হাজার ৩৩৪ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা সোমবার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ, ৫ জন নারী। শনাক্ত রোগীর সংখ্যার বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৬১ শতাংশ, মৃত্যু হার ১ দশমিক ৪১ শতাংশ।
বুলেটিনে জানানো হয়, গত এক দিনে দেশের ৪৮টি ল্যাবে ৯ হাজার ৪৫১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ঢাকায় নতুন যুক্ত হয়েছে ল্যাব এইড হাসপাতালের ল্যাব।
এই সময়ে নতুন করে ২৮৪ জনকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সারা দেশে আইসোলেশনে রয়েছেন ৪ হাজার ৬৫৩ জন।