চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সামাজিক দুরত্ব বজায় নিশ্চিতসহ বাজার মনিটরিং ঃ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা

চট্টগ্রাম অফিস :: চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশে বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিনসহ সামাজিক দুরত্ব বজায় নিশ্চিতকরণ, বাজার মনিটরিং, অপ্রয়োজনীয় জনসমাগম প্রতিরোধকল্পে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেসী টিম। আজ ৪ এপ্রিল ২০২০ ইং শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মহানগরীর চকবাজার ও বায়েজিদ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শিরীণ আক্তার। অভিযানকালে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যবসা প্রতিষ্টান পরিচালনা, সামাজিক দুরত্ব মেনে না চলা ও অপ্রয়োজনে বাসার বাইরে মোটর সাইকেল ও প্রাইভেটকার নিয়ে ঘুরাঘুরি করার অপরাধে মোট ২৫ টি মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহায়তা করেন। পাশাপাশি চকবাজার ও বায়েজিদ এলাকার বিভিন্ন বাজার পরিদর্শনসহ মাইকিংয়ের মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকল্পে এলাকাবাসীকে সচেতন করা হয়।
নগরীর পাহাড়তলী, বায়েজিদ ও কোতোয়ালী থানা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট গালিব চৌধুরী। অভিযানকালে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাহাড়তলী থানাধীন আম বাগান, বায়েজিদ থানাধীন আপন নগর, শেরশাহ কলোনী ও মোহাম্মদপুর বাজার এলাকায় তিনটি সেলুন খোলা রাখায় ৯০০ টাকা, তিনটি লন্ড্রি দোকানকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, তিনটি টেইলার্সকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় শেরশাহ কলোনী বাজারের খাজা হোটেলসহ দুইটি হোটেলকে ১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া জিইসি মোড়ে মোটরবাইকে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মোট তিনজনকে ৯০০ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। নগরীর অক্সিজেন মোড়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গণপরিবহনে যাত্রী বহন করার বিষয়ে চালকদের সতর্ক করা হয়। পাশাপাশি বায়েজিদ বাজার, মোহাম্মদপুর বাজার, শেরশাহ কলোনী বাজার, অক্সিজেন কাঁচা বাজার, পাহাড়তলী বাজার পরিদর্শন ও মাইকিং এর মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকল্পে এলাকাবাসীকে সচেতন করা হয়। টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রয়ের সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারেও বিক্রেতাদের পরামর্শ প্রদান করা হয়।
নগরীর খুলশী, চান্দগাঁও, পাচলাইশ, ও বাকলিয়া এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সুজন চন্দ্র রায়। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যবসা প্রতিষ্টান পরিচালনার দায়ে জিইসি ও দামúাড়া এলাকার ৩টি দোকানকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ও ৫টি দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই সাথে খুলশী ও চান্দগাঁও থানার সামনে উপস্থিত ত্রান সাহায্যপ্রার্থীদের মোটিভেট করে সরিয়ে দেওয়া হয়।
নগরীর পাহাড়তলী, আকবরশাহ ও হালিশহর থানাধীন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুশফিকীন নুর । এ সময়ে আকবরশাহ এলাকায় সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে খোলা রাখার দায়ে একটি সেলুনকে ৫০০ টাকা ও হালিশহর এলাকার বাজার সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানকে জনসমাগমের অপরাধে ৩০০ টাকা জরিমানা করাসহ মুচলেখা নেয়া হয়। এছাড়া জরুরী সেবার আওতাবহির্ভূত বেশ কিছু দোকান খোলা রাখায় সেগুলো তাৎক্ষণিক ভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। একইসাথে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারেও স্বেছাসেবীদের পরামর্শ দেয়া হয়। পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহায়তা করেন।
এ দিকে নগরীর ডবলমুরিং, পতেঙ্গা ও বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় সামাজিক দুরত্ব ও হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনী ও পুলিশ নিয়ে অলি গলিতে টহল দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আশরাফুল আলম। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিং করা হয়। এসময় অপ্রয়োজনে ঘুরাঘুরি করার অপরাধে দুইটি মোটর সাইকেল আরোহীকে জরিমানা করা হয়।

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031