
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পাহাড়ে এতোগুলো এনজিও পুষ্টি নিয়ে কাজ করলেও মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে তা খুবই দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। তিনি বলেন, পার্বত্য চুক্তির আওতায় স্থানীয় সরকার পার্বত্য মানুষের কল্যাণে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ সুবিধা দিয়েছে। তিনি প্রতিটি উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে জনগণের কল্যানে কাজ করার জন্য আহবান জানান।
বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পাটনারশীপ ফর র্রিসিলাইন লাইভলিহুট ইন সিএইসটি প্রজেক্টের জেলা পুষ্টি বিষয়ক সমন্বয় পরিষদের সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ এই কথা বলেন। সভায় রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (স্থানীয় সরকার) মোঃ মোবারক হোসেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার সিভিল সার্জন ও পুষ্টি সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব ডাঃ নুয়েন খীসা। প্রকল্পটি রাঙ্গামাটি সদর উপজেলায় বাস্তবায়নকারী বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আশিকা ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েটস্-এর নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব চাকমা ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রকল্প সমন্বয়কারী নিখিল চাকমাসহ সভায় বিভিন্ন সরকারী সেবা প্রদানকারী সংস্থার উপ-পরিচালক ও জেলা পর্যায়ের কর্মকতাগণ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন “পার্বত্য এলাকায় পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবারের প্রাচুর্য থাকা সত্ত্বেও কেন অন্যান্য জেলার তুলনায় পুষ্টি ঘাটতি রেট বেশি? যেহেতু সরকারী ও বেসরকারী সংস্থাগুলো পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে তাই এই পরিস্থিতি আরও অগ্রগতি হওয়া জরুরী। সাধারণ জনগণকে পুষ্টির গুরুত্ব ও এর উপকারীতা সম্পর্কে সম্যক ধারণা দিতে পারলে সাধারণ জনগণ এর সুফল গ্রহন করবে।” এজন্য একক কম্পোনেন্ট নিয়ে প্রকল্প গ্রহন করে কার্যক্রম গ্রহন করা উচিত বলে তার বক্তব্যে তুলে ধরেন। এছাড়া সভায় আলোচকবৃন্দ পুষ্টিসংক্রান্ত কার্যক্রমে কীভাবে পুষ্টিমান উন্নয়ন করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন। সভায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নকারী সংস্থা টংগ্যা ও প্রোগ্রেসিভ এবং হিল ফ্লাওয়ার সংস্থার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় বক্তাগণ নিয়মিত জেলাপুষ্টি সমন্বয় পরিষদ সভা আয়োজন, দূরবর্তী এলাকায় কীভাবে পুষ্টি কার্যক্রম নিয়মিত করা যায় সে বিষয়ে সরকারী ও বেসরকারীভাবে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার জন্য গুরুত্বারো করেন। এছাড়াও খাদ্যভ্যাসের মাধ্যমেও পুষ্টি ঘাতটি পুরণ করা যায় বলে বক্তাগণ মত প্রকাশ করেন।
সভায় রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা, জুরাছড়ি উপজেলা ও বিলাইছড়ি উপজেলায় পুষ্টি নিয়ে চলমান প্রকল্পের কার্যক্রমের অগ্রগতি সংক্রান্ত আলোচনা করা হয়। এছাড়া পুষ্টি সংক্রান্ত কার্যক্রমের অগ্রগতি উপস্থাপন করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর টেকনিক্যাল অফিসার রিমি চাকমা। প্রকল্পের অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, পিআরএলসি প্রকল্পের রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার প্রকল্প সমন্বয়কারী বিধান চাকমা ও জুরাছড়ি উপজেলার প্রকল্প সমন্বয়কারী ফুল্লরা চাকমা।