গাবতলীতে সংঘর্ষ-ভাংচুরে আইনি ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ক্ষেত্রে চালকদের সাজা কমানোর দাবিতে সারা দেশে ডাকা ধর্মঘট বুধবার বিকালে প্রত্যাহারের আগে সকালে রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে এক অনুষ্ঠানে শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, “ধর্মঘট যারা করছেন, তারা পুলিশের রেকার ভ্যানে আগুন দিয়েছেন, পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছেন। এছাড়া আজ একটা জিপে আক্রমণ করেছেন। এই ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনী অত্যন্ত ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। এসব ঘটনায় মামলা হবে।”

পাঁচ বছর আগে মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদসহ পাঁচজন নিহতের ঘটনায় এক বাসচালকের যাবজ্জীবন সাজার পর প্রথমে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় এবং সোমবার চৌদ্দ বছর আগে সাভারে গাড়িচাপা দিয়ে এক নারীকে হত্যার মামলায় এক ট্রাকচালকের ফাঁসির রায়ের পর মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে ধর্মঘটে যায় পরিবহন শ্রমিকরা।

এর মধ্যে রাজধানীর অন্যতম প্রবেশপথ গাবতলীতে পণ্যবাহী ট্রাক ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলে বাধা দিলে মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত শ্রমিকদের সঙ্গে কয়েক দফায় পুলিশের সংঘর্ষ হয়, যাতে পুলিশ রেকার ও সেখানকার একটি পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

বুধবার সকালেও আন্দোলনকারী শ্রমিকরা সামরিক বাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার গাড়ি চলাচলে বাধা দেয় বলে অনুষ্ঠানের বক্তব্যে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল।

তাদের এই আন্দোলনকে ‘অহেতুক’ আখ্যায়িত করে মন্ত্রী বলেন, “এটাকে অহেতুক বললাম এই কারণে, যেটার বিষয়ে আমাদের করার কিছু নাই। তাদের জন্য রাস্তা খোলা ছিল। ধৈর্য ধরা উচিত ছিল তাদের।”

শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হন। এই জায়গাতেও পুলিশ বাহিনী যথাসাধ্য ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

পুলিশ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে মন্তব্য করে আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, “আপনারা যদি চিন্তা করেন, পুলিশ নেই …, তাহলে কি দৃশ্যটা হবে।

“অনেক বড় বড় দেশ আমাদের বলতে আসে, আপনার দেশের এই ধরনের অবস্থান, সেই ধরনের অবস্থান। সেইসব দেশের দৃশ্যও আমরা দেখেছি। সেই দেশে ব্ল্যাক আউট হলে বা পুলিশ না থাকলে কি তাণ্ডব হয়। সেই জায়গার চেয়ে আমরা অনেক ভাল আছি।” কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মরণে প্রথমবারের মত পালিত ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’ উপলক্ষে মিরপুরের পুলিশ স্টাফ কলেজে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক জানান, কর্তব্য পালন করতে গিয়ে যেসব পুলিশ সদস্য প্রাণ দিয়েছেন তাদের আজীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে পহেলা মার্চ থেকে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’ পালন করা হবে।

পুলিশ প্রধান বলেন, “এই দিবসটি সারা দেশে পালন করা হবে। এই দিনে তাদের পরিবারের অভাব-অভিযোগ শোনা হবে। তাদের সহায়তার জন্য পুলিশের সদস্যরা সব সময় আছে ও ভবিষ্যতেও পাশে থাকবে।”

র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদসহ পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তা এবং নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান থেকে জানানো হয়, ২০১৬ সালে ১২৮ জন পুলিশ সদস্য কর্তব্যরত অবস্থায় মারা গেছেন। তাদের পরিবারের সদস্যদের ১৪ কোটি ১০ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাদের ২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান দিয়েছেন।

পার্বত্য অঞ্চলের প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম একেএম মকছুদ আহমেদের স্বরণে নাগরিক শোকসভা :  পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতার জীবন্ত কিংবদন্তি প্রবীন সাংবাদিককে মরনোত্তর রাষ্ট্রীয় পদকে ভুষিত করার দাবী

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031