১১ আইসিইউ ও ১ শ শয্যা নিয়ে চালু হলো হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল

করোনা রোগীদের সরকারী ব্যবস্থাপনায় ও সিটি মেয়রের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আবারো নতুন আঙ্গিকে চালু করা হলো নগরীর হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল। আজ বৃহষ্পতিবার দুপুরে সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এই হাসপাতালের ১১টি আইসিও শয্যা সহ ১০০ শয্যা, সেন্ট্রাল অক্সিজেন, এসডিওসহ আনুসাঙ্গীক সব সুযোগ সুবিধা থাকবে। এটি জেনারেল হাসপাতালের কোভিড ইউনিট-২ হিসেবে এটি পরিচালিত হবে। রোষ্টার করে এখানে সরকারিভাবে চিকিৎসক, নার্স ও জনবল কাজ করবে। ইতোমধ্যে এখানে ২০ জন চিকিৎসককে পদায়ন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরো বেশ কিছু ওয়ার্ডবয়,নার্স,স্টাফ নিয়োগ দেয়া হবে। চিকিৎসকরা ইতোমধ্যে তাদের কর্মস্থলে যোগদান করেছে। হাসপাতালটি একজন সহকারি পরিচালক বা তত্ত্বাবধায়কের অধীনে পরিচালিত হবে।
এসময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রি.জেনারেল ডা. এস এম হুমায়ুন কবির, চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, প্রাইভেট ক্লিনিক ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. লিয়াকত আলী খান, চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা.ফজলে রাব্বি, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক অসিম কুমার নাথ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, বিএমএ সভাপতি প্রফেসর ডা. মুজিবুল হক খান, সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, প্রফেসর ডা. মাসুদ আহমেদ, উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, করোনা রোগীদের চিকিৎসা সংকট ও দূর্ভোগ লাঘবে প্রথমে প্রাইভেট ক্লিনিক এসোসিয়েশনের অর্থায়নে হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল চালুর কথা ভেবেছিলাম। নানান অনিশ্চয়তা কাটিয়ে এখন তা সরকারি ব্যবস্থাপনায় চালু করা হলো। ফলে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় এখন সংকট দূর হওয়ার পাশাপাশি নতুন আশা ও সাহসের সঞ্চার করবে বলে আশা করা যায়। তিনি বলেন, ঢাকার পরেই চট্টগ্রামে বেশি মানুষের বসবাস। বন্দরের অবস্থান সহ নানা সমীকরণে চট্টগ্রাম করোনার “ডেঞ্জার জোন” এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজন সমন্বিত প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে অপরাজনীতি ও স্ট্যান্ডবাজীর কারণে পরিস্থিতি আমাদের বাইরে চলে যায়। তাই ইতিবাচক রাজনীতির মাধ্যমে সম্মিলিত প্রয়াসে এই দূর্যোগকালীন সময়কে মোকাবেলা করতে হবে। করোনা ভাইরাস মহামারী আকারে দেখা দিলে শুরুতেই চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা শুরু হয়। এই হাসপাতালে ১০ টি আইসিইউ সহ ১০০ শয্যার ব্যবস্থা রয়েছে। অন্যদিকে ৫০ শয্যার বিআইটিআইডি ও ২৫ শয্যার ফিল্ড হাসপাতালে কোন আইসিইউ নেই। এই পরিস্থিতিতে ১১ বেডের আইসিইউ সম্বলিত ১০০ বেডের হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন, এসডিও সহ আনুসাঙ্গীক সব সুযোগ সুবিধার মাধ্যমে চালু করা হলো। এখন থেকে এটি বিশেষায়িত করোনা হাসপাতাল হিসেবে রূপান্তর হলো।

পার্বত্য অঞ্চলের প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম একেএম মকছুদ আহমেদের স্বরণে নাগরিক শোকসভা :  পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতার জীবন্ত কিংবদন্তি প্রবীন সাংবাদিককে মরনোত্তর রাষ্ট্রীয় পদকে ভুষিত করার দাবী

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031