চট্টগ্রাম : শিক্ষা বিভাগের সাথে চসিক প্রশাসকের মতবিনিময় : মেয়াদকালীন প্রতিটি মুর্হুতকে সচল-সক্রিয় ও কর্মমুখর করে রাখতে চাই-সুজন

নিজস্ব প্রতিবেদক :: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, সাবেক মেয়র আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতকে গুনগত মানে যে-উচ্চতায় উন্নীত করেছিলেন তা আজ অনেক খানি ম্লান। তাঁর আমলেই চট্টগ্রাম পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে সারা দেশে প্রশংসাসূচক অভিধায় স্বীকৃত পেলেও সাম্প্রতিককালে এই খাতটি স্বস্থিদায়ক নয়। আমি তাঁর পথ ধরেই সিটি কর্পোরেশনের এই তিনটি প্রধান সেবা খাতকে আমার দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে অধিকতর কার্যকর ও গতিশীল করতে সার্বিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো। তিনি আজ আন্দরকিল্লাস্থ চসিক পুরাতন নগরভবনের কে.বি.আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে চসিক শিক্ষা বিভাগের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আরবী বর্ষের আজকের শেষ দিনে মানুষ গড়ার কারিগরদের সাথে মতবিনিয় করতে পারছি বলে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। চসিক শিক্ষা বিভাগের অধীনে পরিচালিত সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্টদের চাওয়া-পাওয়াসহ ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি সম্পর্কে তথ্য উপাত্ত অবগত হওয়া মাত্র তা পূরণ ও সমাধানে কোন কালক্ষেপন করবো না। কারণ আমার মেয়াদকালীন ১৮০ দিনের প্রতিটি দিন-ঘন্টা-মুর্হুতকে সচল-সক্রিয় ও কর্মমুখর করে রাখতে চাই। মতবিনিময়ে প্রশাসক প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ শিক্ষা বিভাগের যাবতীয় প্রতিষ্ঠান সমূহের বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিকট থেকে জানতে চান। তিনি একে একে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। সব বিষয়ে অবগত হয়ে প্রশাসক প্রতিটি কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বয়স্ক ও নৈশ স্কুল, কিন্ডারগার্টেন, থিয়েটার ইনষ্টিটিউট, সংস্কৃতি টোল,মসজিদ,মাদ্রাসা সবগুলোর ভবন, পাঠদান পদ্ধতি, ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকের সংখ্যা, ফলাফল, বেতন-ভাতা, ছাত্র/ছাত্রীদের ফি আদায়, আয়-ব্যয় ইত্যাদি বিষয়ের উপর একটি সার্বিক চিত্র ও প্রস্তাবনা প্রশাসক বরাবরে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, নাগরিকদের ট্যাক্সের টাকায় ভূর্তুকি দিয়ে শিক্ষা বিভাগ পরিচালিত হয়। তিনি শিক্ষা বিভাগের ব্যয় হ্রাস করার পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দেন। প্রশাসক বলেন যেহেতু করোনা মহামারী রোধে এখন পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে সেহেতু ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে কিভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখা যায় এবং নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রীদের খোজ খবর ও মনিটরিং করা যায় তার জন্য সংশ্লিষ্টদের সচেষ্ট থাকতে হবে। এসময় চসিক প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়–য়া বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা না হয়। তাহলে সেপ্টেম্বরের ২য় সপ্তাহ হতে অনলাইনে ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে। মতবিনিময় সভায় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়–য়া, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম,অধ্যক্ষ মনোয়ার জাহান বেগম, শিক্ষকদের পক্ষে আবুল কাশেম বক্তব্য রাখেন। এছাড়া চসিক পরিচালিত স্কুল,কলেজ, কম্পিউটার ও থিয়েটার ইনস্টিডিউট এর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31