পাহাড়ে উপজাতি সন্ত্রাসীদের কর্তৃক খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজী বন্ধ ও ছাদেকুল হত্যার দাবীতে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ। বৃহষ্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সংগঠনটির উদ্যোগে রাঙামাটি পৌরসভা চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়।
পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদেও আহবায়ক বেগম নূও জাহান, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সহ- সভাপতি হাবিবুর রহমান, সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোঃ নূর শফিউল্লাহ্, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ নাজিম, কলেজ শাখার আহ্বায়ক ফয়জুল্লাহ মোরশেদ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তরা অভিযোগ করে বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে উপজাতি নামধারী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো একের পর এক নিরহ বাঙালীদের হত্যা করে যাচ্ছে। কিন্তু তার কোন বিচার আজও পায়নি সে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো। এছাড়া এসব সংগঠনের চাঁদাবাজীর অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পাহাড়ের সাধারণ ব্যবসায়ীরা। চাঁদা না দিলে গুম হয়ে যায়। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ কোন ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়নি।
বক্তরা আরও বলেন, সম্প্রতি খাগড়াছড়ির বাসীন্দা ছাদেকুলকেও হত্যা করে তার লাশ গুম করতে ছেয়ে ছিল সন্ত্রাসীরা। সে বিচারও আজ পায়নি তার পরিবার। অন্যদিকে প্রশাসন যখন ছাদেকুলের হত্যাকারীদের ধরতে নেমেছে, ঠিক তখনি একটি মহল সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নানা গুজব ছড়িয়ে পাহাড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। যাতে ছাদেকুল হত্যাকান্ডের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়।
পাহাড়ে উপজাতি সন্ত্রসাীরা সেনা ক্যাম্প চায় না । কারণ তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বেঘাত ঘটে।দূর্গম পাহাড়ে যেখানে উপজাতি সন্ত্রাসীদেও অবৈধ অস্ত্রের ঘাটি সেখানে সেনা ক্যাম্প স্থাপন করতে হবে। কারণ এসব সন্ত্রাসীদেও একমাত্র সেনাবাহিনী প্রতিহোত করতে পারে।
অবিলম্বে ছাদেকুল হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদেও দ্রুত গ্রেফতার ও উপজাতি সন্ত্রাসীদের খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজী বন্ধের বিরুদ্ধে বিশেষ ব্যবস্থাগ্রহণ করার জন্য সরকারের কাছে জোড় দাবি জানান ওই সংগঠনের নেতারা।