॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ শিক্ষার্থীদের কোটা-সংস্কার আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে বিএনপি-জামায়াত চক্র রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি। তিনি বলেন, যারা এই ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত এবং যারা আনাচে-কানাচে লুকিয়ে আছে তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।তারা দেশকে পঙ্গু বানাতে এসব অপকর্ম করেছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা যাতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সেদিকে সবাইকে আরো বেশী সচেতন থাকার আহ্বান জানান।
রবিবার (২৮ জুলাই) সকালে রাঙ্গামাটি জজ কোর্ট আদালতের সামনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের উদ্যোগে রাষ্ট্রবিরোধী দৃষ্কৃতিকারী কর্তৃক ছাত্র হত্যা, পুলিশ হত্যা, সাংবাদিক হত্যা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি বিনষ্টকারীদের বিচারের দাবীতে মানববন্ধনে এইসব কথা বলেন তিনি।
রাঙ্গামাটি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম অভি, রাঙ্গামাটি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট রাজীব চাকমা,এ্যাডভোকেট তোষন চাকমা, এ্যাডভোকেট দর্শন চাকমা প্রমুখ।
এসময় বক্তারা সাম্প্রতিকালে সংঘটিত হত্যাকান্ড এবং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডের সুষ্টু ও যথাযথ বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ আইন প্রনয়নসহ ভবিষ্যতে কোন দুষ্কৃতিকারী এই ধরনের রাষ্ট্রবিরোধ অপরাধ করতে সাহস না করে তার জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
এসময় মানববন্ধন থেকে রাঙ্গামাটি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের পক্ষ থেকে ৬দফা দাবী নামা উত্থাপন করেন। দাবী নামার মধ্যে রয়েছে- সাম্প্রতিককালে সংঘটিত হত্যাকনড এবং রাষ্ট্রবিরোধ কর্মকান্ডের সুষ্ঠু ও যথাযথ বিচার নিশ্চিতকরণকল্পে বিশেষ আইন প্রণয়ন করা, সংঘটিত অপরাধসমূহকে চিহ্নিত করে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অপরাধের সাথে জড়িত ছিল তাদের সবাইকে (যেমন-যারা সরাসরি জড়িত, যারা নির্দেশদাতা, যারা ষড়যন্ত্রকারী, যারা অর্থদানকারী, যারা সাচিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে উষ্কানিদাতা ইত্যাদি) আইনের আওতায় আনা এবং অপরাধ অনুসারে শাস্তির বিধান নিশ্চিত করা, সম্পূর্ণ বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি বিশেস তদন্তকারী সংস্থা সৃজন করা, যাতে ওই সংস্থা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সংঘটিত সকল অপরাধের তদন্ত সুনির্দিষ্ট সময়ে মধ্যে নিশ্চিত করতে পারে, বিশেস ট্রাইব্যুনাল গঠন করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিচার কার্য সম্পাদন করা, দোষী ব্যক্তিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষতিপুরণ আদায় নিশ্চিত করা এবং উক্ত বিশেষ আইনের মাধ্যমে সর্ম্পূণ বিষয়টিকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা। যাতে করে ভবিষ্যতে কোন দুষ্কৃতিকারী এই ধরনের রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ করতে সাহ না করে এবং করলেও দাবিকৃত বিশেষ আইন দ্বারা তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করা।