
পার্বত্য অঞ্চলের নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী কোটার বিধিমালা মেনে
রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী
ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে
* তিন জেলার ৯২ জন ও অন্যান্য জেলার ৯৩ জন শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক কর্মচারীর ক্ষেত্রে উপজাতি ৩২ জন ও অ-উপজাতি ১৯ জন
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (রাবিপ্রবি) এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১৪ সালে। বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে এবং ৯ নভেম্বর ২০১৫ ইং তারিখ হতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।
রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় একটি নতুন বিশ^বিদ্যালয় বিধায় স্বাভাবিকভাবে অন্যান্য নবপ্রতিষ্ঠিত বিশ^বিদ্যালয়ের ন্যায় ভাড়াকৃত বাসায় অস্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ^বিদ্যালয় সূচনালগ্নে দেশের প্রায় প্রত্যেকটি বিশ^বিদ্যালয়ে অস্থায়ী ক্যাম্পাস অথবা ভাড়া করা স্থাপনায় শিক্ষা কার্যক্রমসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণের লক্ষ্যে রাবিপ্রবি কর্তৃক রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের নিকট প্রয়োজনীয় অর্থ হস্তান্তর করা হয়েছে। কিছু আইনগত ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বিলম্বিত হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক আগামী মার্চ, ২০১৭ -এর মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রাবিপ্রবির নিকট হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন।
রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের তথ্য কর্মকর্তার দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে বিশ^বিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও ব্যবস্থাপনা- এই দুইটি বিভাগের ০২ (দুইটি) ব্যাচে ১৮৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। যারমধ্যে তিন পার্বত্য জেলার শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯২ জন ও অন্যান্য জেলার শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯৩ জন। তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে অ-উপজাতি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৭ জন অর্থাৎ ৬১.৯৬% এবং উপজাতি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৫ জন অর্থাৎ ৩৮.০৪%।
রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় একটি সংবিধিবদ্ধ স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা হলেও প্রশাসনিক কার্যক্রম সম্পাদনের ব্যাপারে সরকারি বিধিমালা অনুসরণ করে থাকে। সরকারি বিধানমতে, কিছু সংখ্যক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা বাধ্যতামূলক নয়। শিক্ষাগত যোগ্যতা, মেধা ও অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে যথাযথ বিধি মেনে বিশ^বিদ্যালয়ের সকল পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বিশ^বিদ্যালয়ে দুটি ব্যাচে শিক্ষার্থী ভর্তি করার পর থেকে ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে এবং এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে শিক্ষার্থীদের সেশনজটে পড়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে পার্বত্য অঞ্চলের নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী কোটার যে বিধিমালা রয়েছে তা অনুসরণ করে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিশ^বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। বর্তমানে রাঙ্গামাটি জেলা থেকে ২৩ জন, খাগড়াছড়ি জেলা থেকে ১৭ জন এবং অন্যান্য জেলা থেকে ১১ জনসহ সর্বমোট ৫১ জন (উপজাতি ৩২ জন ও অ-উপজাতি ১৯ জন) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী বিশ^বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।
বিশ^বিদ্যালয়ে ¯œাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রথম ব্যাচের তুলনায় দ্বিতীয় ব্যাচে আরো অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী আবেদন করেছে এবং ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাক্রম অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। যেমন, ভর্তি পরীক্ষায় কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও ব্যবস্থাপনা দুটি বিভাগে ৫০টি করে সর্বমোট ১০০টি আসনের বিপরীতে প্রথম ব্যাচে ৩০১ জন শিক্ষার্থী ও দ্বিতীয় ব্যাচে ১০১২ জন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছিলেন এবং তৃতীয় ব্যাচে (২০১৬-১৭) ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া ২৮/০২/২০১৭ পর্যন্ত চলমান থাকবে। প্রথম ব্যাচের (২০১৪-১৫) ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দৈনিক সমকাল ও ঞযব ওহফবঢ়বহফবহঃ, দ্বিতীয় ব্যাচের (২০১৫-১৬) ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক পূর্বকোণ, দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রাম, ঞযব ইধহমষধফবংয ঞড়ফধু এবং তৃতীয় ব্যাচের (২০১৬-১৭) ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দৈনিক জনকন্ঠ ও ঞযব ইধহমষধফবংয ঞড়ফধু পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দুটি জাতীয় দৈনিকে (দৈনিক জনকন্ঠ ও ঞযব ইধহমষধফবংয ঞড়ফধু) প্রকাশিত হওয়ার পাশাপাশি ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার প্রেস বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও আঞ্চলিক পত্রিকায় পাঠানো হয়েছে এবং সংবাদ আকারে দুইটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় (দৈনিক প্রথম আলো ও ঞযব উধরষু ঝঃধৎ) প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও এ যাবতকালের সকল ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বিশ^বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।