বিদ্যুৎতায়নে থানচিবাসীদের ৩য় সপ্ন পূরণ.
বুধবার ভিডিও কম্ফারেন্সের শুভ উদ্ভোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
॥ থানছি সংবাদদাতা ॥ স্বাধীনতা ৪৬ বছর পরে দুর্গম থানচি উপজেলা বিদ্যুৎতায়নের থানচিবাসীদের ৩য় সপ্ন পূরণ হলো ।প্রধান মন্ত্রী ১লা মার্চ ২০১৭ ইং বুধবার সকাল ১০ টা ভিডিও কম্ফারেন্স মাধ্যমে শুভ উদ্ভোধন করবেন। ২০৫৩.৯৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ের বিউবো রাঙ্গামাটি জেলা তত্ত্বাবধানে থানচি উপজেলা বিদ্যুৎতায়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ ও শুভ উদ্ভোধনের বান্দরবান জেলা প্রশাসক কম্ফারেন্স হলে সকল প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে । থানচি উপজেলা থেকে অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের ভিডিও কম্ফারেন্স উপস্থিত থাকা ও প্রধান মন্ত্রীর উদ্ভোধনের সরাসরি উপভোগের আমন্ত্রণ কার্ড বিতরণ চলছে ।
থানচিবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্বাধীনতা পর থেকে থানচিবাসীদের সপ্ন ছিল দেশের বিভিন্ন স্থানে মতো বিদ্যুৎতে আলো, যোগাযোগ, শিক্ষা,স্বাস্থ্য জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ নানা সরকারী সেবা নিশ্চি পাওয়ার কাজ করে যাচ্ছে । কিন্তু জেলা সদর থেকে যোগাযোগে সড়ক না থাকায় অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়েছে ৪৬টি বছর । ২০০০ সালে জেলা সদর থেকে উপজেলা সদর পর্যন্ত সড়কনির্মানের যোগাযোগে উন্নয়ন সুফল ভোগ করছে । ২০১২ সালে সাংগু সেতু স্থাপন ও নির্মানের ফলে থানচিবাসীদের কৃষি খাত ও অন্যান্যখাতে উদপাদিত ফসলের নিতিবাচক রুপ ধারণ করেছে এবং সুফল ভোগ করেছে । এক মাত্র বাকি ছিল বিদ্যুৎ সুবিধা কিন্তু ২০১৬ সালে বিদ্যুৎতায়ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে ফলে থানচি বাসীদের ৩য় সপ্ন পূরণ হচ্ছে বলে থানচিবাসী উপজেলা হাট বাজার চা দোকান, সেলুন দোকানসহ বিভিন্ন স্থানে মন্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে।
২০১৭ সালে শুরুতে থানচি উপজেলা দুইটি বাজার ও তার আশে পাশ্বে এলকায় বিদ্যুৎতে আলো সজ্জা শুরু করেছে । থানচি বাসীদের আশার আলো ও স্বপ্নের ঠিকানা গন্তব্যে স্থানে পৌছার আর বাকি রয়েছে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ও একটি গুনগতমান উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ( কলেজ) স্থাপনের জরুরী মনে করছেন অনেকে । বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিউবো ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, থানচি উপজেলা বিদ্যুৎতায়ন এদঅঞ্চলের জনসাধারনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মান উন্নীতকরণ , সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি,নর-নারী কর্মসংস্থান ও শিল্পোন্নয়ন বৃদ্ধি এবং পর্যটন শিল্প বিকাশ করার লক্ষ্যে সরকার বিদ্যুৎ.জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে ২০ কোটি ৫৩ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা ব্যয়ের এপ্রিল ২০১৫ থেকে জুন ২০১৬ সালে প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ সমাপ্তি হওয়ার কথা থাকলে ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী সংস্থা কাজের শ্রমিক স্বল্পতা কারনে জানুয়ারী ২০১৭ পর্যন্ত কাজ করতে হয়েছে । ইতিমধ্যে ৩৩/১১ কেভি,৪ লাইনে ১.৬৭, ২ লাইনে ২৩ এমভিএ , গ্রামীণ উপকেন্দ্র ০১ টি । এর মধ্যে ৩৫ কেভি লাইন ৩৫ কিঃমিঃ, ১১ কেভি লাইন ২৮ কিঃমিঃ,১১/৪ কেভি লাইন ২ কিঃমিঃ,০.৪ কেভি লাইন ৫ কিঃমিঃ,০.২৩ কেভি লাইন ১০ কিঃমিঃ ও বিতরণ ট্রাাস্ফরমার ১৭টি কাজ সম্পাদন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
থানচি উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মংবোওয়াংচিং মারমা মন্তব্যে করে বলেন, প্রধান মন্ত্রী সদিচ্ছা ও পার্বত্যবাসীদের উপর অফুরন্ত ভালবাসা সহানুভূতি যথেষ্টতা রয়েছে তা এখন প্রমান মিলছে, স্বাধীনতা ৪৬ বছরের মধ্যে ও বিদ্যুৎতায়ন প্রকল্পর বাস্তবায়ন মধ্য দিয়ে থানচি উপজেলাকে একটি আধুনিক, ডিজিটালাইজ আওতায় আনছেন। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীকে থানচি বাসী পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও প্রাণ ঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খামলাই ম্রো বলেন, যোগাযোগ, শিক্ষা, বিদ্যুৎতায়নের সফলতা ,অসাধারণ সাফল্য ও অর্জন হওয়া থানচিবাসীদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীকে আন্তরিকতা সাথে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মারমা মন্তব্য করে বলেন, বিদ্যুৎ, জা¦ালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ,প্রধান মন্ত্রী ও পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অক্লান্ত প্রচেষ্টায় থানচি উপজেলা বিদ্যুৎতায়ন প্রকল্প দ্রুততাসাথে বাস্তবায়ন ও সম্পাদনা করতে স্বক্ষম হয়েছে । আমরা এর সুফল ভোগ করছি এবং ১ লা মার্চ বুধবার থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শিল্প কারখানাসহ উদ্যোগ নিতে পারবো । বিদ্যুৎ না থাকায় স্বাধীনতা ৪৬ বছর পর্যন্ত আমাদের থানচির চিত্রকে বিশ্বের দরবারে আকর্ষণীয় গড়ে ওঠার সম্ভব হয় নি । এবারে পর্যটন সম্ভাবনাময় ও পর্যটন শিল্প বিকাশ অবশ্যই ঘটবেই। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি।