॥ মিল্টন বাহাদুর ॥ পাহাড়ে বিভেদ সৃষ্টি করতে স্থানীয় রাজনৈতিক দল উঠে পড়ে লেগেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। তিনি বলেন, তারা চায় না আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসুক। তাই তারা অস্ত্রের মাধ্যমে এবং বিভেদ সৃষ্টি করে পার্বত্য জেলায় আওয়ামীলীগকে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করতে চায়।
১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (১১ আগষ্ট) লংগদুর গুলশাখালী উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গুলশাখালী ইউনিয়নের সভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোক সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন, মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, লংগদু উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য জানে আলম, যুবলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শহিদুল আলম স্বপন, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ জাহান, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কার্যাকরী কমিটির সদস্য শাহনেওয়াজ সুমন, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক উদয় শংকর চাকমা প্রমুখ।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, শহিদুল ইসলাম তালুকদার ও উপস্থাপনায় ছিলেন, শহিদুল ইসলাম কামাল।
আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, সাজেকে খাদ্যভাব দেখা দিলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেনি বলে বিভিন্ন জায়গায় সন্তু লারমা বক্তব্য প্রদান করে আসছে। কিন্তু সাজেকে খাদ্যভাব দেখা দেওয়ার সাথে সাথে সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে প্রতিটি গ্রামে প্রচুর পরিমাণ খাদ্য শস্য বিতরণসহ তাদের নগদ আর্থিক প্রদান করেছে।
তিনি সন্তু লারমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ১৩জুন ভয়াবহ পাহাড় ধ্বসে কারণে ১২০জন লোক মারা গেছে। শতশত পরিবার বাড়ি ঘর হারিয়ে আশ্রয় কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছে। সেসময় একটি বারের জন্যও সন্তু লারমা ভূমি ধ্বস এলাকা ও আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা পরিবারের কোন খোঁজ খবর নিতে যায়নি। ক্ষতিগ্রস্থ কাউকে আর্থিক সাহায্যে ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণও করেনি। সরকারের পক্ষ থেকে আঞ্চলিক পরিষদকে আপনকালীন সময়ে যেসব খাদ্য শষ্য বরাদ্দ দেয়া হয় সেখান থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে কোন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করতে দেখা যায়নি। তা হলে এইসব খাদ্য শষ্য কোন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।