চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রাকৃতিক খালসমূহ হতে অবৈধ দখলদারগণকে উচ্ছেদের জন্য উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা ও নিয়মিত মনিটরিং করার জন্য গঠিত টাস্কফোর্স ও এর কর্মপরিধি, ৩০ আগস্ট ২০১৭ খ্রি. মূলে ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে জারিকৃত পরিপত্রের নিদের্শনা যথাযথ অনুসরণ’, ‘সিটি কর্পোরেশনের সাথে সেবা প্রদানকারী সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারি দপ্তরসমূহের সমন্বয়’ এবং ‘সিটি কর্পোরেশনসমূহের অধিক্ষেত্রে ভূমি/ ইমারতের বার্ষিক মূল্য নির্ধারণ (অংংবংংসবহঃ)’ বিষয়ে প্রাপ্ত পত্রের আলোকে ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ খ্রি. সোমবার,বিকেলে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রাকৃতিক খালসমূহ হতে অবৈধ দখলদারগণকে উচ্ছেদের জন্য উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা ও নিয়মিত মনিটরিং করার জন্য গঠিত টাস্কফোর্সের বিষয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ- এর সিটি কর্পোরেশন-২ শাখার পত্র নং ৪৬.০০.০০০০.০৭১.১৮.০৫৪.১৭.৫৯০, তারিখ: ২৮ আগস্ট ২০১৭ খ্রি. মূলে অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। তা তুলে ধরেন। তিনি টাক্সফোর্স এর কমিটির রূপরেখা তুলে ধরে কমিটির বিষয়ে বলেন, কমিটিতে তিনি আহবায়ক এবং চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তর, চসিক এর সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কে সদস্য করা হয়েছে। এ এই টাস্কফোর্সের কার্যপরিধি প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, (১) চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রাকৃতিক খালসমূহ হতে অবৈধ দখলদারদেরকে উচ্ছেদ, খালসমূহের দুপার্শ্বে বেদখলকৃত সরকারি জায়গা উদ্ধার, খালসমূহ হতে মাটি উত্তোলন, খাল খনন ও ভরাটকৃত খালের মাটি/ আবর্জনা নিষ্কাশন করে খালসমূহের স্বাভাবিক প্রবাহ অব্যাহত রাখা;(২) খালসমূহ অবৈধ দখলকারী দায়ী ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং উদ্ধারকৃত জায়গায় পুনরায় যাতে অবৈধ স্থাপনা নির্মিত না হয় সেজন্য নিয়মিত মনিটরিং- এর ব্যবস্থা করা, (৩) খালসমূহের উভয় পার্শ্ব উন্নয়নে প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ;(৪)টাক্সফোর্স প্রতি মাসে কমপক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠান করবে এবং গৃহীত কার্যক্রম স্থানীয় সরকার বিভাগ ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবে। সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন আরো বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ সিটি কর্পোরেশন-২ শাখা হতে স্মারক নং- ৪৬.০০.০০০০. ০৭১.১৮.০৫৪.১৭.৬০৬, তারিখ- ৩০ আগস্ট ২০১৭ খ্রি. মূলে ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে জারিকৃত পরিপত্রের নিদের্শনা যথাযথ অনুসরণ’ বিষয়ে পত্র জারি করা হয়েছে। উক্ত পত্রে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯- এর ধারা ৪৯- এর উপধারা (১৫) এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে জারিকৃত গত ২৭ জুন ২০১৬ তারিখের পরিপত্র নং ০৩.০৮২.০৪৮.০১.০১.০১২.২০১৬ (অংশ-৪)-৩৫১ মূলে সিটি কর্পোরেশনসমূহের আমন্ত্রণে সেবা প্রদানকারী কোনো সংস্থার প্রধানগণ সভায় উপস্থিত না হলে বা কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে শৈথিল্য প্রদর্শন করা হলে, তা ঐ সংস্থার নিয়ন্ত্রণকারী প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/স্থানীয় সরকার বিভাগকে অবহিত করার জন্য নির্দেশনা রয়েছে । তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ (সিটি কর্পোরেশন-২ শাখা) হতে স্মারক নং- ৪৬.০০.০০০০.০৭১. ১৮.০৫৪.১৭.৬০৫, তারিখ- ৩০ আগস্ট ২০১৭ খ্রি. মূলে ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে জারিকৃত পরিপত্রের নির্দেশনা যথাযথ অনুসরণ” বিষয়ে পত্র জারি করা হয়েছে। উক্ত পত্রে বলা হয়েছেÑ স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯- এর ধারা ৪৯- এর উপধারা (১৫) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে জারিকৃত গত ২৭ জুন ২০১৬ তারিখের পরিপত্র নং ০৩.০৮২.০৪৮.০১.০১.০১২.২০১৬ (অংশ-৪)-৩৫১ মূলে সরকারের নি¤œরূপ সিদ্ধান্ত রয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের অধিক্ষেত্রের অন্তর্ভুক্ত সেবা প্রদানকারী সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ সিটি কর্পোরেশনের আমন্ত্রণে সভায় যোগদান করতঃ সভায় গৃহীত সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবেন এবং বাস্তবায়ন অগ্রগতি সিটি কর্পোরেশনকে অবহিত করবেন। কিন্তু, উক্ত পরিপত্রের নির্দেশনা সম্পূর্ণ প্রতিপালন হচ্ছেনা মর্মে সূত্রস্থ ‘খ’ স্মারকে জানানো হয়। ফলে সিটি কর্পোরেশনের অধিক্ষেত্রে নাগরিক সেবা প্রদানকারী সংস্থাসমূহের মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। উল্লিখিত আইন ও পরিপত্রের নির্দেশনা যথাযথ অনুসরণের লক্ষ্যে তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন অধিদপ্তর/দপ্তর/সংস্থাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে। মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, ইতিপূর্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পত্র নং- ০৩.০৮২.০৪৮.০১.০১.০১২.২০১৬ (অংশ-৪)-৩৫১, তারিখ- ২৭/০৬/২০১৬ খ্রি. মূলে ‘সিটি কর্পোরেশনের সাথে সেবা প্রদানকারী সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারি দপ্তরসমূহের সমন্বয়’ বিষয়ে জারিকৃত পরিপত্রে বলা হয়েছেÑ সিটি কর্পোরেশনে অধিক্ষেত্রে সরকারি বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী সংস্থার কাজে অধিকতর গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯- এর ৪৯(১৫) ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার নি¤œরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সিটি কর্পোরেশনের অধিক্ষেত্রের অন্তর্ভুক্ত সেবা প্রদানকারী সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ সিটি কর্পোরেশনের আমন্ত্রণে সভায় যোগদান করতঃ সভায় গৃহীত সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবেন এবং বাস্তবায়ন অগ্রগতি সিটি কর্পোরেশনকে অবহিত করবেন। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ (সিটি কর্পোরেশন-২ শাখা) স্মারক নং- ৪৬.০০.০০০০.০৭১.২২. ১১.১৭.৫৮৭, তারিখ- ২৮ আগস্ট ২০১৭ খ্রি. মূলে ”সিটি কর্পোরেশনসমূহের অধিক্ষেত্রে ভূমি/ ইমারতের বার্ষিক মূল্য নির্ধারণ (অংংবংংসবহঃ) ‘বিষয়ে জারিকৃত পত্রে বলা হয়েছেÑ ঞযব গঁহরপরঢ়ধষ ঈড়ৎঢ়ড়ৎধঃরড়হং (ঞধীধঃরড়হ) জঁষবং, ১৯৮৬- এর বিধি ১৯ ও বিধি ২০ মূলে সিটি কর্পোরেশনের অধিক্ষেত্রে ভূমি ও ইমারতসমূহের বার্ষিক মূল্য নির্ধারণ (অংংবংংসবহঃ)- এর বিধান রয়েছে। উক্ত বিধিমালার বিধি ২১ অনুযায়ী প্রতি ০৫ (পাঁচ) বছর অন্তর এ অংংবংংসবহঃ হালনাগাদ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আদর্শ কর তপশিল, ২০১৬ অনুযায়ী এ অংংবংংসবহঃ- এর ভিত্তিতেই হোল্ডিং ট্যাক্স ও অন্যান্য ফিসমূহ আরোপ করা হয়ে থাকে, যা সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব আয়ের প্রধান উৎস। ফলে নিয়মিত অংংবংংসবহঃ- এর সাথে সিটি কর্পোরেশনের আর্থিক সক্ষমতা ও স্বনির্ভরতা অর্জন প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। অংংবংংসবহঃ- প্রসঙ্গে মেয়র সাংবাদিকদের জানান যে, ২। কিন্তু, দেখা যাচ্ছে যে, সিটি কর্পোরেশনসমূহ ভূমি/ ইমারতের ওপর নিয়মিত অংংবংংসবহঃ সম্পন্ন করছে না। ফলে এদের আর্থিক সক্ষমতার সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সিটি কর্পোরেশনসমূহ কর্তৃক প্রত্যাশিত নাগরিকসেবা প্রদান সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থা হতে উত্তোরণ অতীব প্রয়োজন। ৩। এমতাবস্থায়, সিটি কর্পোরেশনসমূহের অধিক্ষেত্রে ভূমি/ ইমারতসমূহের বার্ষিক মূল্য নির্ধারণ (অংংবংংসবহঃ) সম্পর্কিত নি¤œবর্ণিত তথ্য আগামী ০৭ (সাত) কর্মদিবসের মধ্যে প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল-১)ভূমি/ ইমারতসমূহের অংংবংংসবহঃ কার্যক্রম সর্বশেষ কবে সম্পন্ন হয়েছে? দালিলিক তথ্য সংযুক্ত করতে হবে;২) সর্বশেষ অংংবংংসবহঃ- এর পর ০৫ (পাঁচ) বছর অতিক্রান্ত হয়েছে কিনা? অতিক্রান্ত হয়ে থাকলে ঞযব গঁহরপরঢ়ধষ ঈড়ৎঢ়ড়ৎধঃরড়হং (ঞধীধঃরড়হ) জঁষবং, ১৯৮৬-এর বিধি ২১ অনুযায়ী পুনরায় অংংবংংসবহঃ কার্যক্রম কবে নাগাদ শুরু ও সম্পন্ন করা হবে, তার সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা;৩) অংংবংংসবহঃ কার্যক্রম চলমান থাকলে, কবে শুরু করা হয়েছে, বর্তমানে কত ভাগ সম্পন্ন করা হয়েছে সে সম্পর্কিত তথ্য এবং চলমান অংংবংংসবহঃ সম্পন্ন করার সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা। মেয়র সাংবাদিকদের অবগতির জন্য বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রেরিত উপরোক্ত ০৫টি পত্রের মূলকথা আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো। প্রথম পত্রটিতে চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রাকৃতিক খালসমূহ হতে অবৈধ দখলদারগণকে উচ্ছেদের জন্য উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা ও নিয়মিত মনিটরিং করার জন্য গঠিত টাস্কফোর্সের কামিটি ও কার্যপরিধির বিষয়টি আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো। ২য়, ৩য় ও ৪র্থ পত্রগুলোতে সিটি কর্পোরেশনের সাথে সেবা প্রদানকারী সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারি দপ্তরসমূহের সমন্বয় বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে জারিকৃত পরিপত্রের নিদের্শনা যথাযথ অনুসরণ বিষয়ে যা বলা হয়েছে তা আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো। সর্বশেষ ‘সিটি কর্পোরেশনসমূহের অধিক্ষেত্রে ভূমি/ ইমারতের বার্ষিক মূল্য নির্ধারণ (অংংবংংসবহঃ)’ বিষয়ে প্রেরিত পত্রের কথা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হল। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অবকাঠামোয় (রাস্তা, ড্রেন, কালভার্ট, ব্রিজ) বিভিন্ন সরকারি সংস্থা কর্তৃক নিজস্ব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের পূর্বে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে অবগত না করে অসমন্বিতভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পাদন করছে। সংস্থাগুলোর সাথে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কোনোরূপ সমন্বয় না থাকায় চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমে জলাবদ্ধতা, জনদুর্ভোগ-সহ নানান সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হচ্ছে। সেবা সংস্থাগুলোর সেবার স্বার্থে তিনি বলেন,সংস্থাগুলো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে প্রকল্প বিষয়ে পূর্বে অবগত না করানোর ফলে অনেক সময় উন্নয়ন কার্যক্রমে ঙাবৎ ষধঢ়ঢ়রহম হচ্ছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিভিন্ন সরকারি সংস্থা কর্তৃক সরকারের যেকোনরূপ উন্নয়ন কার্যক্রম চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে অবগতকরণপূর্বক সম্পাদন করলে চট্টগ্রামকে জনদুর্ভোগহীন পরিকল্পিত নগরে পরিণত করা সম্ভব হবে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক আয়োজিত নিয়মিত সমন্বয় সভার আয়োজন করা হয়ে থাকে। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সকল উন্নয়ন কাজে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাথে সমন্বয়ের বার বার সিদ্ধান্ত গৃহীত হলেও বাস্তবিকপক্ষে কোনো সংস্থাই কার্যকর সমন্বয়পূর্বক উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে না। তাই চট্টগ্রামকে জনদুর্ভোগ ও জলাবদ্ধতামুক্ত করতে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন সরকারি সংস্থা কর্তৃক সিটি কর্পোরেশনের অবকাঠামোয় নিজস্ব উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের পূর্বে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে অবহিতকরণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন থেকে ছাড়পত্র গ্রহণ একান্ত আবশ্যক বলে মনে করছি। মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন নির্বাচন পূর্ব দেয়া প্রতিশ্রুতি প্রসঙ্গে বলেন, নান্দনিক বাসযোগ্য ও পরিচ্ছন্ন শহর গড়ে তুলতে হলে কর বিধিমতে কর নির্ধারণ ও আদায়ের বিকল্প নেই। বকেয়া কর, ট্রেড লাইসেন্স ফি, টোল ইত্যাদি যথাসময়ে পরিশোধ নাহলে বাসযোগ্য নান্দনিক শহর গড়তে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। সঠিকভাবে কর আদায় নাহলে কর্পোরেশনের আর্থিক সক্ষমতা থাকবে না, ফলে কর্পোরেশন নিজ আয়ের উপর শক্তিশালী না হয়ে একটি নির্ভরশীল দুর্বল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। কর বিধিমতে আইনানুযায়ী কর নির্ধারণের জন্য সরকারি চাপও রয়েছে। আমি দায়িত্ব গ্রহণ করেই কর নির্ধারণ ও আদায় বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনাপূর্বক নগরবাসীর স্বার্থে আইনমতে নিরপেক্ষভাবে কর নির্ধারণ (অংংবংংসবহঃ)- এর মতো কঠিন কাজটি নগরবাসীর আন্তরিক সহয়োগিতায় যথাযথভাবে সম্পন্ন করেছি। সেজন্য আমি নগরবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। চট্টগ্রাম নগরীকে একটি কাংখিত বাসযোগ্য নগরী গড়ার আমার যে দৃঢ় প্রত্যয় রয়েছে তা শতভাগ বাস্তবায়নে আমি সকল সম্মানিত সংবাদকর্মী ও সর্বস্তরের সম্মানিত নাগরিক- এর কাছ থেকে আন্তরিক সহযোগিতা ও পরামর্শ কামনা করে বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর বিলবোর্ড উচ্ছেদ, বর্তমানে হকারদের শৃংখলার মধ্যে আনায়ন এবং ভ্যানগাড়ীতে ব্যবসায় নিয়োজিতদের নির্দিষ্ট টাইমফ্রেমের মধ্যে আনার একটি দুরুহ কাজ সম্পাদন করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ নগরীর উন্নয়নের স্বার্থে এবং দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতার কারনে যে কোন ঝুকি নিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত। এ বিষয়ে তিনি মিডিয়ার সংযোগিতা কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলর, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।