॥ গিরিদর্পণ ডেস্ক ॥ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের মধ্যে সীমান্তবর্তী এলাকায় ভোটার আবেদন ‘পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে’ যাচাই-বাছাই ও অনুসন্ধানে নিবন্ধন কার্যক্রমের মেয়াদ আরও ১৫ দিন বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন। এতে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত আরও দুটি উপজেলা বাড়িয়ে ৩২ উপজেলাকে বিশেষ এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি-২০১৭ তে ২০ অগাস্ট থেকে দেশজুড়ে ভোটারযোগ্য নাগরিকদের ছবিসহ তথ্য নিবন্ধন কাজ চলছে। ৫ নভেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধনের পূর্বনির্ধারিত সময় রয়েছে।
রোববার জানতে চাইলে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শুধু বিশেষ এলাকা ৩২ উপজেলায় ভোটারের ফরমগুলো যাচাই-বাছাই, অনুসন্ধান, পরিদর্শনসহ নিবন্ধন কার্যক্রমের সময়সীমা ১৫ দিন বাড়িয়ে ২০ নভেম্বর করা হয়েছে। কোনোভাবেই যাতে একজন রোহিঙ্গাও ভোটার হতে না পারে সে বিষয়ে আবেদন ফরম ভালোভাবে যাচাইয়ের সুবিধার্থে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
রোহিঙ্গা অধ্যুষিত বিশেষ এলাকাগুলো হলো, কক্সবাজার জেলার ৮টি, বান্দরবানের ৭টি, রাঙ্গামাটির ৮টি এবং চট্টগ্রামের ৯টি উপজেলা রয়েছে।
বিশেষ এলাকাগুলো হচ্ছে, কক্সবাজারের সদর উপজেলা, চকোরিয়া, টেকনাফ, রামু, পেকুয়া, উখিয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া। বান্দরবানের সদর, রুমা, থানচি, বোয়াংছড়ি, আলীকদম, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি। রাঙ্গামাটির সদর, লংগদু, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, কাপ্তাই, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকল। চট্টগ্রামের বোয়ালখালী, পটিয়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগড়া, বাঁশখালী, রাঙ্গুনিয়া ও কর্ণফুলী।
ইসির সহকারী সচিব মোশাররফ হোসেন জানান, আগে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত বিশেষ এলাকা ছিল ৩০টি। এবার চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া ও কর্ণফুলী উপজেলাকে বিশেষ এলাকায় যুক্ত করা হয়েছে।
মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের মুখে পালিয়ে আসা পাঁচ লাখের বেশি মানুষ কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে।
এর মধ্যে গত ২৪ অগাস্ট রাখাইনে পুলিশ পোস্ট ও সেনা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির হামলার প্রতিক্রিয়া মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে সীমান্তে নতুন করে রোহিঙ্গাদের ঢল নেমেছে।
এ দফায় ইতোমধ্যে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের ধারণা।