॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটি শহরের কাপ্তাই হ্রদ ঘেরা বালুখালীর চাংপাং রেষ্টুরেন্ট ঘাটে পর্যটন কমপ্লেক্সের একটি টুরিষ্ট বোটে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে মুখোশধারি দুর্বৃত্তরা। তবে ইঞ্জিন বোটের ব্যাপক ক্ষতি হলেও বোট চালক ও বোট আরোহী পর্যটকরা সকলে অক্ষত রয়েছেন। সন্ত্রাসীদের দাবীকৃত চাঁদা না দেয়ার কারণেই তারা পর্যটনে বোট নিশ্চিত হয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে দাবী করেন বোট চালকরা।
শুক্রবার দুপুরে বালুখালীর চাংপাং রেষ্টুরেন্ট ঘাটে একদল মুখোশধারী দুবৃর্ত্ত এই হামলা চালায়। পর্যটনের টুরিষ্ট বোটের ইজরিাদার রমজান আলী জানান, রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত ব্রীজ ঘাট থেকে সাতজন পর্যটক দুপুরে কাপ্তাই হ্রদ ভ্রমনের জন্যে একটি দেশীয় ইঞ্জিন ফাইবার বোট ভাড়ায় নেয়।
দুপুরে বোটটি চাংপাং রেষ্টুরেন্ট ঘাটে পৌছালে পর্যটকরা বোট থেকে নেমে চাংপাং রেষ্টুরেন্টে যাওয়ার পর অতর্কিতে মুখোশধারী একদল দুবৃত্তরা বোটে পেট্্েরাল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় বোট চালক বাবলু চাকমা হ্রদের পানিতে ঝাপিয়ে পড়ে নিজেকে বাচাঁতে সক্ষম হয়।
খবর পেয়ে রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম, কোতয়ালী থানার ওসি সত্যজিৎ বড়–য়াসহ টুরিষ্ট পুলিশের পরিদর্শক সাইফুল ইসলামসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পর্যটকদের নিরাপদে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়। এ সময় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ঘটনাস্থ চাংপাং রেষ্টুরেন্ট আপাতত বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত পর্যটকদের আলাদা একটি বোটে করে রাঙ্গামাটি শহরে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে দুইজন পুরুষ ও পাঁচজন নারী পর্যটক রয়েছে। এদের মধ্যে বাবুল আহমেদ নামে একজন জানান তারা চট্টগ্রামের হাটহাজারি থেকে রাঙ্গামাটি বেড়াতে এসে কাপ্তাই হ্রদ ভ্রমনে গিয়ে মুখোশধারী দুবৃত্তদের হামলার শিকার হয়।
এদিকে পর্যটন বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুবেল জানান, দুবৃত্তরা বোট চালককে পর্যটনের বোট কিনা জিজ্ঞাসা করেই আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিবছর আমরা ভিতরের পার্টিকে ৩৫ হাজার টাকা করে চাঁদা দিয়ে আসছি। এবছর তারা আমাদের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। আমরা অতো টাকা চাদা দিতে অপরাগত স্বীকার করলে তারা আজ এই ঘটনা ঘটায়।
উদ্ধারকৃত পর্যটকদের রাঙ্গামাটি নিয়ে এসে পুলিশ ঘটনার বিস্তারিত তথ্য নিয়েছে। রাতে এ ব্যাপারে থানায় আইন গত ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলে পুলিশের উপ সহকারী পরিদর্শক নুরুন্নবী জানিয়েছেন।