॥ মিল্টন বাহাদুর ॥ রাঙ্গামাটিতে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামীলীগ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) ভোরে প্রেস ক্লাব চত্তর থেকে আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকার তালুকদারের নেতৃত্বে বের করা হয় শোক র্যালী। শোক র্যালীটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এসময় রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, রাঙ্গামাটি আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য হাজ্বী কামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মুছা মাতব্বর, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ কাজলসহ জেলা পরিষদ সদস্যবৃন্দ, আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সকাল ১১টায় রাঙ্গামাটি শিল্পকলা একাডেমীতে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে রাঙ্গামাটিতে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালন করা হয়। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকার তালুকদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন সিদ্দীকি, জাতীয় পার্টির আহবায়ক মাওলানা শাহ জাহান, রাঙ্গামাটি ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ নিহার রঞ্জন, মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ানসহ সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তরা বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার বলেন, জাতি যখন স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে, সেটা বুঝতে পেরে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী এ দেশীয় পাক দালালদের সহযোগিতায় দেশের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদের ধরে নিয়ে হত্যা করেছিল। স্বাধীন হলেও বাঙালি জাতি যাতে মেধাহীন থাকে সে লক্ষেই বিজয়ের পূর্ব মুহূর্তে এই ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল পাক হানাদাররা।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশকে পিছিয়ে নিতে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি এখনও তৎপর রয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনারর সাহসী পদক্ষেপে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজসহ সাজা কার্যকর করা হচ্ছে। তাদের যথোপযুক্ত সাজা কার্যকরের মাধ্যমে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে ধ্বংস করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের দিক তুলে ধরে বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার যেমন পার্বত্য শান্তিচুক্তি করেছে তেমনী শান্তিচুক্তি পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করে যাবে। তিনি বলেন, আমাদের বন্ধুরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে জন্য রোডম্যাপ করা দরকার। আলাপ-আলোচনা করে নিয়ে যদি রোডম্যাপ করতে হয় তাহলে নিশ্চই করা হবে। কিন্তু বন্ধুরা যেভাবে বলেন, রোডম্যাপ করলেই শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন হবে। বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে রোডম্যাপ করলেই শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন হবে না। এই সমস্যার মোকাবেলায় হিংসা নিন্দা ভুলে যেসব সমস্যা আছে তা চিহ্নিত করে আলাপ আলোচনার মধ্যদিয়ে সমস্যা সমাধান করতে হবে।