
মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উ থিন কিয়াও পদত্যাগ করেছেন। প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের তরফে দেয়া একটি ফেসবুক পোস্টের অস্বাক্ষরিত নোটিশে একথা জানানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট উ থিন কিয়াও ২১ মার্চ পদত্যাগ করেছেন। কারণ তিনি ‘‘ বিশ্রাম নিতে চান।’’
ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমার নামের একটি পত্রিকায় বুধবার এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন ছাপানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেসবুকে দেয়া নোটিশে সরকার জানিয়েছে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ভাইস প্রেসিডেন্ট উ মিইন্ত সোয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার স্থলাভিষিক্ত হবেন। মিয়ানমারের পার্লামেন্ট ‘পিদাউংসু’ তার বিকল্প কাউকে মনোনীত করার আগ পর্যন্ত উ মিইন্ত সোয়ে কাজ চালিয়ে যাবেন।
দু’বছরেরও কম সময়ের মধ্যে প্রেসিডেন্ট উ থিন কিয়াও পদত্যাগ করে ক্ষমতা থেকে সরে গেলেন। উ থিন কিয়াও পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন, গত প্রায় এক বছর ধরে এমন একটি জল্পনা চলছিল। তবে সরকার ও অং সান সুচির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির নেতারা এই জল্পনাকে স্রেফ গুজব বলে দাবি করে আসছিলেন।
সম্প্রতি সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, উ থিন কিয়াও বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ। চিকিসার জন্য তাকে বেশ কয়েকবার বিদেশে যেতে হয়েছে। সর্বশেষ গত জানুয়ারিতেও তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিয়েছেন।
উ থিন কিয়াও হচ্ছেন অর্ধ শতাব্দীকালেরও বেশি সময়ে মিয়ানমারের প্রথম বেসামরিক এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। মিয়ানমারের বর্তমান স্টেট কাউন্সেলর বা রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সুচির দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত সহযোগী ও অনুগত বলে পরিচিত উ থিন কিয়াও সুচির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ২০১৫ সালের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
উ থিন কিয়াও হয়ে ওঠেন নির্বাচনে সুচির বিকল্প। দেশটির সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রণীত খসড়া সংবিধানে সুচির নির্বাচনে দাঁড়ানোর সুযোগ কেড়ে নেয়া হয়। অগত্যা উ থিন কিয়াওকেই সুচির বিকল্প হিসেবে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী করে এনএলডি।