জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এদেশ স্বাধীন হতোনা–ফিরোজা বেগম চিনু
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এদেশ স্বাধীন হতোনা। আমরা পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ থাকতাম। তার নেতৃতেই¡ দেশ স্বাধীন হয়েছে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঋণ এদেশের মানুষ কখনো শোধ করতে পারবেনা। তিনি বলেন, দেশ বিরোধীরা ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করে জাতির কাছে তুলে ধরেছে। তারা দেশকে জঙ্গীবাদ দেশে পরিণত করতে চেয়েছিল। জনগন তাদের এই নীল নকশা বুঝতে পেরে ভোটের মাধ্যমে আবারো আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাসকে যারা বিকৃতি করছে তারা স্বাধীনতা বিরোধী ও এদেশের শত্রু। তিনি আগামী প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য সকলের কাছে আহবান জানান।
বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা জেলা শাখার উদ্দ্যেগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস-২০১৭ উপলক্ষে রাঙ্গামাটি শিল্পকলা একাডেমিতে ৩দিনব্যাপী অনুষ্ঠান মালার মধ্যে বুধবার (১৫মার্চ) সকালে অনুষ্ঠানের ২য় দিনে আবৃত্তি ও নৃত্য প্রতিযোগিতার উদ্ধোধন কালে প্রধান অতিথির বক্ত্যবে তিনি এ কথা বলেন।
সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম আলো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জনকল্যান নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমানে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সব সেক্টরেই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। দ্রুত দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি দেশের এই অগ্রযাত্রা মেনে নিতে পারছে না। তাই দেশে বিভিন্ন জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হামলা করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করছে। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা যাতে মাথা চারা দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি মনসুর আহমদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল মওলা, রাঙ্গামাটি পৌরসভার প্যানেল মেয়র জামাল উদ্দিন, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সামশুল আলম, নৃত্য শিক্ষক হুমায়ন কবির, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহ্ এমরান রোকন উপস্থিত ছিলেন।
৩দিনের অনুষ্ঠান মালায় আগামী শুক্রবার (১৭মার্চ) সমাপনী অনুষ্ঠান মালায় বিকাল ৪টায় রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজ গেইট হতে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র্যালি শেষে বঙ্গবন্ধুর পাদদেশে আলোচনাসভা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ।