সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে : পার্বত্য ভূমি কমিশন নীতিমালায় ক্ষোভ, পুলিশ ক্যাম্প বাড়ানোর সুপারিশ

॥ আলহাজ্ব এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ ॥ সম্প্রতি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে পার্বত্য ভূমি কমিশন নীতিমালা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং পাহাড়ে পুলিশ ক্যাম্প বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন।
গত ৩ জুলাই ২০১৮ কমিটির ৩২ তম বৈঠকে অবিলম্বে জাতীয় সংসদের চলমান অধিবেশনেই উপরোক্ত বিষয়টি উত্থাপন করে প্রয়োজনীয় কাযৃক্রম গ্রহণ করে ভূমি মন্ত্রনালয়ের প্রতি জোর সুপারিশ জানিয়েছেন সংসদীয় কমিটি।
উল্লেখ্য পার্বত্য ভূমি সমস্যঅর সমাধানে গঠিত পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের কার্যক্রম শুরু করার পথে বড় বাধা পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ’মি অধিগ্রহণ নীতিমালার চুড়ান্তকৃত খসড়া অতি দ্রুত আইন, বিষয়ক ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের ভোটিংয়ের মাধ্যমে আসন্ন সংসদ অধিবেশনে উপস্থাপনের জন্য ভূমি মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবরে পত্র প্রেরণের সুপারিশ করা এবং ভূমি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল রেগুলেশন ২০১৮ ও পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন বিধিমালা ২০১৬ প্রনয়নের কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার বিষয়ে ভূমি মন্ত্রনালয়ের পত্র প্রেরণ করার পরেও সংসদে উত্থাপন করে গেজেট আকারে প্রকাশ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।
২০১৬ সালের আগষ্টে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি স্পিত্তি কমিশন আইন ভেটিং সাপেক্ষে চুড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রি সভা। ফলে পার্বত্য এলাকায় দীর্ঘ দেড় দশক দরে ভূমি নিয়ে চলমান বিরোধ নিস্পত্তি হবে বলে সরকার মনে করে।
সত্যিকার অর্থে পার্বত্য চট্টগ্রামের মূল সমস্যার অর্ধেক ভূমি সমস্যা। ভূমি সমস্যা সমাধান হলেই অধেক সমস্যা সমাধন হয়ে যায়।
পাহাড়ের সম্প্রীতি ঘটে যাওয়া হত্যাকান্ড গুলো সহ সশস্ত্র কার্যক্রম নিয়েও উক্ত বৈঠকে আলোচনা হয়। পাহাড়ের সশস্ত্র তৎপরতার ফলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কোন্দলে হত্যাকান্ডের পুনরাবৃত্তি রোধে কাযৃকর উদ্যোগ গ্রহণের লক্ষ্যে বিগত ৩১তম বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুপারিশ করার পরেও অত্রাঞ্চলে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান শুরু না হওয়ায় বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি।
পাহাড়ের নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতি থেকে উত্তরনের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে যে সকল সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছে সে সকল খালি ক্যাম্পের স্থান গুলোতে পুলিশের ক্যাম্প স্থাপন করে নিয়োগ ব্যবস্থা জোরদারের দাবী জানান।
পাহাড়ে পুলিশের অবস্থান তুলে ধরে পুলিশের পক্ষে বলা হয়েছে ভৌগলিক কারণে পার্বত্য অঞ্চল একটি দুর্গম এলাকা হওয়ায় অত্রাঞ্চলে অস্ত্র উদ্ধারের মতো অভিযান পরিচালনা করা পুলিশের জন্য একটি জটিল। তারপরেও পুলিশের টহল বাড়ানোর পাশাপাশি পাহাড়ের সেনাবাহিনীর সাথে চলমান অপরাধ দমনে যৌথ কার্য্যক্রম চালানো হচ্ছে।
পার্বত্য চুক্তির আলোকে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে পার্যায়ক্রমে সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহারের কথা না থাকলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়নি। তারপরেও অনেক সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে খালি ক্যাম্প গুলোর অধিকাংশ সন্ত্রাসী গ্রুপ গুলো দখল করে নির্বিঘেœ সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে অশান্তি বেড়েই চলেছে।
জরুরী ভিত্তিতে উক্ত ক্যাম্প গুলো পুনরুদ্ধার করা না হলে সমস্যা আরও জটিল আকার ধারণ করে নিঃসন্দেহে বলা যায়। প্রত্যাহারকৃত সেনা ক্যাম্প গুলো খালি রেখে না গিয়ে জিবিবি, এপিবিএন এমনকি আনসার ব্যাটালিয়ন হলেও দখলে রাখা দরকার ছিলো। বর্তমানে সে সব খালী ক্যাম্প গুলো দখলে আনতে অনেক বেগ পেতে হবে। জরুরী ভিত্তিতে যৌথ অভিযান চালিয়ে ক্যাম্প গুলো পুনঃরুদ্ধার করা দরকার।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করাও জরুরী। অবৈধ অস্ত্রের উৎস কোথায় তাও দেখা দরকার। অবৈধ অস্ত্র কোথা থেকে আসছে কোথায় যাচ্ছে কিভাবে কাদের মারফতে সন্ত্রাসীদের হাতে নিরাপদে পৌছাচ্ছে এসব লিংক গুলো ও খুঁজে বের করা দরকার। এ গুলো করতে হলে স্থাণীয় জনগন নিরাপত্তা বাহিনীকে সহযোগিতা না করলে হবে না। অবশ্যই জনগনকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। ক্ষেত্র তৈরী করতে হবে।
এ ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিমান বিজিবি, পুলিশ, এপিবিএন, আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়ন করে টহল জোরদার করতে হবে। প্রয়োজনীয় যানবাহনের ও ব্যবস্থা না করলে হবে না। সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে : পার্বত্য ভূমি কমিশন নীতিমালায় ক্ষোভ, পুলিশ ক্যাম্প বাড়ানোর সুপারিশ
॥ আলহাজ্ব এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ ॥ সম্প্রতি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে পার্বত্য ভূমি কমিশন নীতিমালা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং পাহাড়ে পুলিশ ক্যাম্প বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন।
গত ৩ জুলাই ২০১৮ কমিটির ৩২ তম বৈঠকে অবিলম্বে জাতীয় সংসদের চলমান অধিবেশনেই উপরোক্ত বিষয়টি উত্থাপন করে প্রয়োজনীয় কাযৃক্রম গ্রহণ করে ভূমি মন্ত্রনালয়ের প্রতি জোর সুপারিশ জানিয়েছেন সংসদীয় কমিটি।
উল্লেখ্য পার্বত্য ভূমি সমস্যঅর সমাধানে গঠিত পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের কার্যক্রম শুরু করার পথে বড় বাধা পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ’মি অধিগ্রহণ নীতিমালার চুড়ান্তকৃত খসড়া অতি দ্রুত আইন, বিষয়ক ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের ভোটিংয়ের মাধ্যমে আসন্ন সংসদ অধিবেশনে উপস্থাপনের জন্য ভূমি মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবরে পত্র প্রেরণের সুপারিশ করা এবং ভূমি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল রেগুলেশন ২০১৮ ও পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন বিধিমালা ২০১৬ প্রনয়নের কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার বিষয়ে ভূমি মন্ত্রনালয়ের পত্র প্রেরণ করার পরেও সংসদে উত্থাপন করে গেজেট আকারে প্রকাশ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।
২০১৬ সালের আগষ্টে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি স্পিত্তি কমিশন আইন ভেটিং সাপেক্ষে চুড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রি সভা। ফলে পার্বত্য এলাকায় দীর্ঘ দেড় দশক দরে ভূমি নিয়ে চলমান বিরোধ নিস্পত্তি হবে বলে সরকার মনে করে।
সত্যিকার অর্থে পার্বত্য চট্টগ্রামের মূল সমস্যার অর্ধেক ভূমি সমস্যা। ভূমি সমস্যা সমাধান হলেই অধেক সমস্যা সমাধন হয়ে যায়।
পাহাড়ের সম্প্রীতি ঘটে যাওয়া হত্যাকান্ড গুলো সহ সশস্ত্র কার্যক্রম নিয়েও উক্ত বৈঠকে আলোচনা হয়। পাহাড়ের সশস্ত্র তৎপরতার ফলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কোন্দলে হত্যাকান্ডের পুনরাবৃত্তি রোধে কাযৃকর উদ্যোগ গ্রহণের লক্ষ্যে বিগত ৩১তম বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুপারিশ করার পরেও অত্রাঞ্চলে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান শুরু না হওয়ায় বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি।
পাহাড়ের নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতি থেকে উত্তরনের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে যে সকল সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছে সে সকল খালি ক্যাম্পের স্থান গুলোতে পুলিশের ক্যাম্প স্থাপন করে নিয়োগ ব্যবস্থা জোরদারের দাবী জানান।
পাহাড়ে পুলিশের অবস্থান তুলে ধরে পুলিশের পক্ষে বলা হয়েছে ভৌগলিক কারণে পার্বত্য অঞ্চল একটি দুর্গম এলাকা হওয়ায় অত্রাঞ্চলে অস্ত্র উদ্ধারের মতো অভিযান পরিচালনা করা পুলিশের জন্য একটি জটিল। তারপরেও পুলিশের টহল বাড়ানোর পাশাপাশি পাহাড়ের সেনাবাহিনীর সাথে চলমান অপরাধ দমনে যৌথ কার্য্যক্রম চালানো হচ্ছে।
পার্বত্য চুক্তির আলোকে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে পার্যায়ক্রমে সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহারের কথা না থাকলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়নি। তারপরেও অনেক সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে খালি ক্যাম্প গুলোর অধিকাংশ সন্ত্রাসী গ্রুপ গুলো দখল করে নির্বিঘেœ সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে অশান্তি বেড়েই চলেছে।
জরুরী ভিত্তিতে উক্ত ক্যাম্প গুলো পুনরুদ্ধার করা না হলে সমস্যা আরও জটিল আকার ধারণ করে নিঃসন্দেহে বলা যায়। প্রত্যাহারকৃত সেনা ক্যাম্প গুলো খালি রেখে না গিয়ে জিবিবি, এপিবিএন এমনকি আনসার ব্যাটালিয়ন হলেও দখলে রাখা দরকার ছিলো। বর্তমানে সে সব খালী ক্যাম্প গুলো দখলে আনতে অনেক বেগ পেতে হবে। জরুরী ভিত্তিতে যৌথ অভিযান চালিয়ে ক্যাম্প গুলো পুনঃরুদ্ধার করা দরকার।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করাও জরুরী। অবৈধ অস্ত্রের উৎস কোথায় তাও দেখা দরকার। অবৈধ অস্ত্র কোথা থেকে আসছে কোথায় যাচ্ছে কিভাবে কাদের মারফতে সন্ত্রাসীদের হাতে নিরাপদে পৌছাচ্ছে এসব লিংক গুলো ও খুঁজে বের করা দরকার। এ গুলো করতে হলে স্থাণীয় জনগন নিরাপত্তা বাহিনীকে সহযোগিতা না করলে হবে না। অবশ্যই জনগনকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। ক্ষেত্র তৈরী করতে হবে।
এ ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিমান বিজিবি, পুলিশ, এপিবিএন, আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়ন করে টহল জোরদার করতে হবে। প্রয়োজনীয় যানবাহনের ও ব্যবস্থা না করলে হবে না।

রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যানের সাথে মতবিনিময় সভা পার্বত্য অঞ্চলের জনগোষ্ঠীরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে দৃষ্টি দিতে হবে ——ইউজিসি চেয়ারম্যান

Archive Calendar
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
2425262728