॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বিএনপি জামায়াত দেশের জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশকে একটি অস্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত করতে উঠে পড়ে লেগেছে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য দীপংকর তালুকদার তাদের এই কর্মকান্ড যাতে সফল না হয় তার জন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি ও জামাত আজ দেশে ইতিহাস বিকৃতির এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে। তাদের এজেন্ডা যাতে বাস্তবায়ন না হয় তার জন্য আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন।
গত ১৭ মার্চ শুক্রবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা রাঙ্গামাটি জেলা শাখার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ভাস্কর্য্যরে পাশে র্যালী পরবর্তী আলোচনাসভা, পুরস্কার বিতরনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলার প্রধান উপদেষ্ঠা দীপংকর তালুকদার এসব কথা বলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেছেন, সময়ের প্রয়োজনে বিভিন্ন দেশে অনেক মহামানবের জন্ম হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সে রকমই এক মহামানব। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না এটাই বাস্তবতা। বঙ্গবন্ধুর অবদান বিএনপি-জামাতজোটের অনেকে স্বীকার করতে চাননা, তারা ইতিহাস বিকৃতি করে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াসে সবসময় লিপ্ত থাকে। তাদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে।
১৭ মার্চ রাঙ্গামাটি কলেজ প্রাঙ্গন থেকে বর্নাঢ্য র্যালীর নেতৃত্বে দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। র্যালীটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিও অফিস এলাকায় বঙ্গবন্ধুর মুর্যালে এসে শেষ হয়। পরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সভাপতি মনসুর আহম্মেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী কামাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ রুহুল আমিন, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন। পরে কেক কেটে জন্মদিনের উৎসব পালন করা হয়।
আলোচনা সভা শেষে ৪দিন ব্যাপী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সংগীত পরিবেশিত হয়।