॥ রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ বান্দরবান শহরের রাজার মাঠে গণসংবর্ধনায় মঞ্চে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুরআমাকে নির্বাচিত করার জন্য আমি আমার বান্দরবানবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ ও চির ঋনি। এই ঋন আমি বিগত দিনের মতো কাজের মাধ্যমেই শোধ কারার চেষ্টা করবো। আজ আমি আপনাদেরই সন্তান আর কাল থেকেই শুধু আমি আপনাদের সন্তান নই, কাল থেকে আমি হবো সমগ্র পার্বত্য এলাকার মানুষের প্রতিনিধি, সকল মানুষকে সকল এলাকার মানুষদের সকল ধমের্র, সকল বর্ণের এই পার্বত্য বাসীর কল্যাণের জন্য শান্তির জন্য সম্প্রীতির ও সমৃদ্ধি জন্য ও উন্নয়নের জন্য আমাকে কাজ করতে হবে। সুতরাং রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি তিন জেলারই প্রতিনিধি আমি, তাই সবাই কে সমান চোখে, সবাইকে সমতালে, সমভাবে উন্নয়ন করা, শান্তি প্রতিষ্ঠা করা আমার দায়িত্ব।শুক্রবার বান্দরবান শহরের রাজারমাঠে এক নাগরিক সংবর্ধনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি একথা বলেন।এসময় পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর আরো বলেন, বান্দরবানবাসীর প্রতি ভালোবাসার বহি:প্রকাশ বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে টানা ৬বার মনোনয়ন দিয়েছে বলে আমি কৃতজ্ঞ। বান্দরবানবাসীর নেত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা আছে বলেই আমাকে বারবার বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছেন এবং সর্বপোরী প্রধানমন্ত্রী আমাকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পূর্নমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ করে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে বলে আমি কৃতজ্ঞ।বান্দরবান ৩০০নং আসনের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসিং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ারপর শুক্রবার নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দিতে চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবানে আসেন। এসময় চট্টগ্রামের কেরানীহাট থেকে বান্দরবানে আসারপথে পথে স্থানীয়রা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে বরণ করে নেন পাহাড়ের এই জনপ্রিয় নেতাকে।
এসময় মন্ত্রীকে অনেকে পরিয়ে দেন ফুলের মালা। ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুরবান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে শুক্রবারজেলা শহরের রাজার মাঠে বিকাল পাঁচটার দিকে তিনি সংর্বধনার মঞ্চে উপস্থিত হন। এসময় রাজার মাঠে লাল গালিচার পাশাপাশি ফুল ছিটিয়ে তাকে বরণ করে নেন নেতাকর্মীরা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপিকে বরণ করে নিতে শহরের রাজার মাঠে আয়োজন করা হয়েছে বিশাল নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের।
শুক্রবার বিকাল ৩টায় বান্দরবান শহর থেকে ২৩ কিলোমিটার দুরের কেরাণীহাট থেকেই পার্বত্য মন্ত্রীকে গাড়িবহরে করে শোভাযাত্রার মাধ্যমে বান্দরবানে নিয়ে আসা হয়। এসময় তিনি বান্দরবানে প্রবেশের সাথে সাথে বিভিন্ন মহলের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন। এরপরই তিনি যোগ দেন রাজার মাঠের নাগরিক সংবর্ধনায়।
মন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত দলীয় নেতাকর্মীরা সহ পুরো বান্দরবান বাসী। মন্ত্রীর আগমনে পুরো বান্দরবান শহরে এখন সাজ সাজ রব। রাজার মাঠের মুক্ত মঞ্চকে প্রস্তুত করা হয়েছে আকর্ষণীয় সাজে। ফুলে ফুলে সাজানো হয়েছে মঞ্চসহ আশপাশ। তবে কেন্দ্রীয় নির্দেশে এবার ৭টির বেশি তোরণ নির্মাণ করেনি আয়োজকরা।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের জৈষ্ঠ নেতারাও বক্তব্যে রাখেন বান্দরবানবাসীর উদ্যেশে।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লার সভাপতিত্বে উক্ত সংবর্ধনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেনজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মোঃ শফিকুর রহমান, আবদুর রহিম চৌধুরী, একেএম জাহাঙ্গীর, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ক্যশৈঅং মার্মা, পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মংক্যচিং চৌধুরী, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্যসা প্রু, সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, সদস্য ¤্রাসা খেয়াং, সদস্য মোঃ মোস্তফা জামাল, সদস্য ফিলিপ ত্রিপুরা, সদস্য ক্যানে ওয়ান চাক, সদস্য থোয়াই হ্লামং মারমা,জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অজিত কান্তি দাশ, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ, সাধারণ সম্পাদক সামশুল ইসলাম, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মোঃ মুছা কোম্পানী, জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সাদেক হোসেন চৌধুরী,জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ কাউছার সোহাগ সহ জেলা আওয়ামীলীগ, জেলার ৭টি উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য যে, বান্দরবান ৩০০ নং আসন থেকে টানা ষষ্ঠবারের মতো নির্বাচিত সাংসদ বীর বাহাদুর উশৈসিংএমপি। তিনি ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এর আগে ১৯৯৮ সালে খাগড়াছড়ির কল্পরঞ্জন চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিযুক্ত হন। এরপরে বিভিন্ন মেয়াদে রাঙ্গামাটির দীপংকর তালুকদার ও বান্দরবানের বীর বাহাদুর এই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০নং আসন থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পান বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।