বৈসাবি উৎসবের মধ্য দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের সম্প্রীতির বন্ধন আরো সু-দৃঢ় হবে ………পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি

॥রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান॥ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, বৈসাবি উৎসবের মধ্য দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের সম্প্রীতির বন্ধন আরো সু-দৃঢ় হবে। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকারের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে এই পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি স্থাপনের জন্য শান্তি চুক্তি হয়েছিল। আজ তারই হাত ধরে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ও সম্প্রীতির সাথে তালে তাল মিলিয়ে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে পুরো পার্বত্য এলাকা।
এসময় পার্বত্য মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা আজকের এই পুরাতন বছর কে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করার সাথে সাথে পাহাড়ের প্রতিটা অঞ্চলের মানুষের জন্য সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধ, ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ রুপান্তরের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করবো।
বান্দরবানে শুরু হয়েছে মারমা সম্প্রদায়ের প্রানের উৎসব মাহা সাংগ্রাইং পোয়েঃ উৎসব। উৎসবকে ঘিরে বান্দরবান পার্বত্য জেলার ১১ টি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্টি সম্প্রদায় ও বাঙ্গালী সম্প্রদায়ের মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা। বিভিন্ন পাড়া ও গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে পুরাতন বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আহবান।
নতুন বছরকে বরণ করে নিতে প্রতিবছরই পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত মারমা সম্প্রদায়ের জনসাধারণ উদযাপন করে সাংগ্রাইং উৎসব। প্রতিবছরের ১৩ই এপ্রিল থেকে বিভিন্ন অনুষ্টানমালার আয়োজন করে কয়েকদিন ব্যাপী পার্বত্য এলাকায় চলে এই উৎসবে আমেজ।
প্রতিবছরের মত মারমাদের সাংগ্রাইং উৎসবকে ঘিরে শনিবার সকালে সাংগ্রাইং উৎসব উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে বান্দরবান রাজার মাঠ থেকে বের করা হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি বান্দরবানের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। এসময় ১১ টি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্টি সম্প্রদায় ও বাঙ্গালী সম্প্রদায়ের তরুণ তরুণীরা বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। র‌্যালীতে অংশ নেয় মারমা, চাকমা, ¤্রাে, ত্রিপুরা, চাক সহ ১১ টি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্টি সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষসহ বাঙ্গালী জনসাধারণ।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে র‌্যালীতে নেতৃত্ব দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
এসময় র‌্যালীতে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: শফিউল আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো: ইয়াছির আরাফাত, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ, সদস্য কাঞ্চনজয় তঞ্চঙ্গ্যা, সদস্য সিং ইয়ং ¤্রাে, সদস্য ¤্রাসা খেয়াং, প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চুসহ সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তা ও ১১ টি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্টি সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দরা।
এদিকে পার্বত্য এলাকায় নতুন বছরের আগের দিন মহাসমারোহে মারমা সম্প্রদায়ের এই সাংগ্রাইং উৎসবে যোগ দিতে পারায় মহা খুশি সকলে।
মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে স্থানীয় রাজার মাঠে উৎসব উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় বয়োজ্যেষ্ঠদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠান। এসময় বিভিন্ন পাড়া ও গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠরা উপস্থিত থেকে এই উৎসবের আয়োজনে সামিল হয়। এসময় অনুষ্টানে বয়োজ্যেষ্ঠদের বরণ করে নেয় তরুন তরুনীরা, আর এরপরই তাদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে প্রদান করা হয় নানা রকম দানীয় বস্তু।
প্রতিবারের মত এবারে বর্ণাঢ্য আয়োজনে এই মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের পূজাসহ নানা আয়োজন করতে পারায় খুশি আয়োজকেরা।
এদিকে পাহাড়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্টিত এই উৎসবে সকল সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে সার্বিক নিরাপত্তা
ব্যবস্থা জোরদার ও সুন্দরভাবে অনুষ্টান স্বার্থকভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রতিবারের মত ও আমরা এবারের উৎসবকে বর্ণাঢ্য ভাবে উদযাপনের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি।
নানা আয়োজনে চলবে মারমা সম্প্রদায়ের এই মাহা সাংগ্রাইং উৎসব উদযাপন আর ১৪ই এপ্রিল বিকেলে পবিত্র বুদ্ধ মূর্তি স্মান, রাতব্যাপী পিঠা তৈরি উৎসব, ১৫ই এপ্রিল বিকালে মৈত্রি পানি বর্ষন, ঐতিহ্যবাহী খেলাধূলা, তৈলাক্ত বাশঁ আরোহন, সাংস্কৃতিক অনুষ্টান ও সবশেষে ১৬ই এপ্রিল সন্ধ্যায় বিহারে বিহারে সমবেত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী এই মাহা সাংগ্রাইং পোয়েঃ উৎসবের।

থানচি সীমান্ত সড়কের ব্রীজ উদ্বোধন ও ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন পাহাড়ে উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ শান্তির পরিবেশ বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী নিরলস কাজ করে যাচ্ছে —–ব্রিঃ জেঃ মোঃ শামসুল আলম

চবি সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা রাঙ্গামাটির দৈনিক গিরিদর্পণ কার্যালয় পরিদর্শন দৈনিক গিরিদর্পণ পার্বত্য অঞ্চলের গণমাধ্যম ইতিহাসের অমূল্য দলিল —–অধ্যাপক শাহাব উদ্দীন নীপু ৪৩ বছর ধরে নানা প্রতিকূলতার মাঝেও দৈনিক গিরিদর্পণ আজো নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে —–সম্পাদক মঞ্জুরাণী গুর্খা

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930