বিপ্লবতীর্থ চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি যাদুঘর ও স্মৃতি সৌধ বাস্তবায়নের দাবীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে গত ১৯ মে দুপুর ১টায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোঃ ইলিয়াস হোসেনের মাধ্যমে স্মারকলিপি পেশ করেন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি যাদুঘর ও স্মৃতি সৌধ বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ। স্মারকলিপি পেশকালে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি যাদুঘর ও স্মৃতি সৌধ বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের আহবায়ক চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাশন সোসাইটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এম,এনামুল হক চৌধুরী, যুগ্ম আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা এম.এ.সালাম, এস.এম আজিজ, মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এম. কে. মোমিন, মোঃ খায়রুল বশর চৌধুরী,কাজী মুরাদ মাইজভান্ডারী, স.ম. জিয়াউর রহমান, জান্নাতুল ফেরদৌস সোনিয়া, আসিফ ইকবাল, মোঃ জোবায়ের হোসেন, দিয়াজ, মাসুমা কামাল আঁখি মোঃ আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ। স্মারকলিপিতে লিখিত আবেদনে নেতৃবৃন্দরা বলেন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলনসহ বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে চট্টগ্রাম অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছে। আর বিপ্লবতীর্থ চট্টগ্রামে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলনের সুচনা চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘী মাঠ থেকেই শুরু হয়েছিল। স্বাধীনতা সংগ্রাম তথা মুক্তিযোদ্ধাসহ বাংলাদেশ সৃষ্টির অনেক ঐতিহাসিক স্মৃতি এই চট্টগ্রামেই জড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি যাদুঘর ও স্মৃতি সৌধ নামে কোন স্থাপনা নেই। আমরা আশা করছি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যকন্যা, মাননীয় জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনি বর্তমানে সফলতার সাথে যেভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করে যাচ্ছেন সেই ধারাবাহিকতায় আগামী প্রজন্মকে বিশেষ করে চট্টগ্রামের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আগামী প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার চট্টগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি জাদুঘর ও স্মৃতি সৌধ বাস্তবায়ন বর্তমান সময়ের অন্যতম দাবী।