মোহাম্মদ সাইদুল হক :: বসন্তের রঙে রাঙিয়ে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীরা নিজেদের বসন্তের সাজে প্রকাশ করেছে। তার সাথে মনের মাধুরী আর হাতের কারুকাজ মিশ্রিত বর্ণিল পিঠার ঘ্রাণ ও মিষ্টতায় পিঠার পসরা নিয়ে সাজানো হয়েছে কলেজ মাঠের স্টলগুলোতে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী নানা ধরণের পিঠা উৎসবের আয়োজন করেন সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ২০২০ সেশনের বিএড (প্রফেশনাল) প্রশিক্ষণার্থীরা। এদিকে, বাঙালি ঐতিহ্যের ভাপা, চিতই, পাটিসাপটা, নকশা, পাকন, ফুল, দুধপুলি ও চন্দ্রপুলিসহ প্রায় অর্ধশতাধিক পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেন কলেজের বিএড (অনার্স), বিএড (প্রফেশনাল) প্রশিক্ষণার্থীরা। এ উৎসবে দুপুর ১২ টায় পিঠা উৎসব উদ্বোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রফেসর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন মজুমদার । পরে কলেজের শিক্ষকদের নিয়ে বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন শিক্ষার্থীদের দেওয়া স্টলগুলোতে। এদিকে, শ্যামল বসন্তক হ্নদয় নিংড়ানো ভালোবাসা দিয়ে বরণ করেছে কলেজের শিক্ষক- প্রশিক্ষণার্থীরা। প্রশিক্ষণার্থীদের বাসন্তী সাজে কলেজ ক্যাম্পাস বর্ণিল হয়ে উঠে। তার সাথে আবহমান বাংলার চিরায়ত রুপকে তুলে ধরতে আয়োজন করা পিঠা উৎসবের বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। এতে শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ বলেন, বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা। যখনই পিঠা-পায়েস, পুলি কিংবা নাড়ুর কথা উঠে তখনি যেন শীত ঋতুটি আমাদের চোখে ও মনে ভেসে ওঠে। এ ধরণের পিঠা উৎসবের আয়োজন প্রতিনিয়ত করা উচিত। তবেই আমরা বাঙ্গালির ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারবো। বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসব বিষয়ে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রফেসর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন মজুমদার বলেন, বাঙালির চিরাচরিত ঐতিহ্য বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতেই প্রতিবছরই বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। তিনি এতো সুন্দর আয়োজনের জন্য নির্বাচিত প্রতিনিধি পরিষদ ও বিএড (প্রফেশনাল) প্রশিক্ষণার্থীদের ধন্যবাদ জানান।