মোঃজুয়েল: বাঘাইছড়ি(রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি: করোনাভাইরাসে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পরা লোকজনের মাঝে সরকারি ও বেসরকারিভাবে বিভিন্ন এলাকায় অসহায় ও কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের মাঝে জরুরি খাদ্য সহায়তা দিতে দেখা গেলেও এখন পর্যন্ত রাঙ্গামাটি বাঘাইছড়ি উপজেলার দেশের সর্ব বৃহৎ ইউনিয়ন সাজেক, আয়তনে ৬০৭বর্গ মাইল এলাকা জুড়ে ইউ ইউনিয়নে রয়েছে ১৭৪টি গ্রাম তার মধ্যে কয়েকটি গ্রামে ত্রান সহায়তা দিতে দেখা গেলেও সাজেকের উদলছড়ী, নতুন জপ্পই, শান্তি পাড়া, নিউ থাংনাং, তারুম পাড়া, কজৈছড়ি, ৯নং ত্রিপুরা পাড়া, ভুয়াছড়ি, মন্দিরাছড়া, রতনপুর, হালিম পাড়া, লংকর ডেবাছড়া, ভূইয়াছড়াসহ ১৩০টি গ্রামে ৭হাজারের অধিক পরিবার কেউ ত্রান সহায়তা পাননি।
সরজমিনে দেখাযায় সাজেক ইউনিয়নের রুইলুই পাড়া পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ রয়েছে আর এই সড়কের আসেপাশে রয়েছে পয়ত্রিশটি গ্রাম আর ঐসব গ্রামের লোকজনের যাথায়তও সড়ক পথে বাকী ১৩৯টি গ্রাম রয়েছে সাজেকে দূর্গম এলাকায় যেখানে অধিকাংশ গ্রামের লোকজনের যাতায়ত হচ্ছে পায়ে হাঠার রাস্তা এবং নৌপথের যোগাযোগও রয়েছে কয়েকটি গ্রামের। আর সাজেকের অধিকাংশ গ্রামসহ ১৩০টি গ্রামের লোকজনদের প্রধান পেশা হচ্ছে জুম চাষ ও কৃষি। গ্রামের লোকজন উৎপাদিত কৃষি পণ্য মাচালং বাজার, উজো বাজার, বাঘাইহাট বাজার ও ভূয়ছড়ি গ্রাম্য বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। উপরন্তু করোনাভাইরাসের কারণে হাটবাজা বন্ধ থাকায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য বিক্রি করতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন ১৩০টি গ্রামের লোকজন। ঘরে বসে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। তবে সড়ক ও নৌপথের আশপাশের এলাকা ব্যাতীত দুর্গমতার কারণে যুগ যুগ ধরে সাজেকের অধিকাংশ গ্রাম সরকারি-বেসরকারিভাবে উন্নয়নের ছোয়া থেকে বঞ্চিত।
বেটলিং এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য ডহেন্দ্র ত্রিপুরা জানায়, আমার ৮নং ওয়ার্ডে ১০টি গ্রামে ২৪৫টি পরিবার রয়েছে তারা কেউ সরকারি বেসরকারি কোন ত্রান বা সহায়তা পাননি। তবে কিছুদিন আগে বেটলিং এলাকায় হামে আক্রান্ত ২০জন শিশুদের পরিবারের মাঝে ত্রান দেওয়া হয়।
সাজেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নেলশন চাকমা বলেন, সাজেকে প্রায় আটহাজার পরিবার রয়েছে তার মধ্যে দেড়শ পরিবারের মত রয়েছে উচ্চবিত্ত মধ্যবিত্ত পরিবার বাকীরা সবাই নিম্ন আয়ের হতদরিদ্র পরিবার আর তাদের করোনাভাইরাসে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়েপড়া ৭-৮শত পরিবারের মাঝে সরকারি বেসরকারি ত্রান দেওয়া হয়েছে। এপর্যন্ত সরকারি ভাবে ৬মেট্রিকটন চাউল পেয়েছি এবং জেলা পরিষদ থেকে ১শত পরিবারকে ত্রান দেওয়া হয় এছাড়াও জেলাপরিষদ থেকে আরো ৫মেট্রিকটন চাউল বরাদ্ধ হয়েছে শীঘ্রই সেগুলো পৌছাবে। তবে এলাকার হতদরীদ্র পরিবার বেশি হওয়ায় চাহিদার তুলনায় স্বল্প ত্রাণ সহায়তা সবাইকে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই জরুরী বিত্তিতে সাজেকের ত্রান সহায়তা বৃদ্ধির জন্য প্রসাশনের মাধ্যমে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবিব জিতু বলেন, কর্মহীনদের সহায়তার জন্য প্রথম পর্যায়ের সমগ্র বাঘাইছড়ি উপজেলার জন্য ইতোমধ্যে ২৮ মেট্রিক টন চাউল বরাদ্ধ পাওয়া গেছে তার মধ্যে সাজেক ইউনিয়নে ৬মেট্রিকটন চাউল পরিষদের মাধ্যমে ৬শত পরিবারকে বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রকৃত কর্মহীন যারা ত্রান পাননি আমরা তাদের তালিকা করছি এবং জেলা প্রসাশনে তালিকা পাঠাচ্ছি, বরাদ্ধ আসলে শীঘ্রই পর্যায়ক্রমে সবাইকে সহায়তা দেওয়া হবে।