॥ জুরাছড়ি প্রতিনিধি ॥ রাঙ্গামাটি জুরাছড়ি উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে সুবলং খাল পুনঃখনন কাজ পুরোদমে চলছে। সুবলং খাল পুনঃখননে জুরাছড়ি-বরকল উপজেলার হাজার মানুষের মনে জেগেছে আশার আলো।
জুরাছড়ি ও বরকল এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, জুরাছড়ি-বরকল উপজেলার একমাত্র নদী পথে শুষ্ক মৌসুমে হ্রদের পানি কমে গিয়ে চড় জেগে উঠলে এইসব নদী পথে যাত্রীবাহী যাতাযাত করা লঞ্চ উপজেলা থেকে প্রায় ১০/১২ কিলোমিটারের আগে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া হয়। আর এতে করে কেউ কেউ পাহাড়ী পথ দিয়ে পায়ে হেটে অথবা ইঞ্চিন চালিত ছোট বোটে করে চলাচল করতে হয়। এতে করে সেখানে বসবাসত হাজারো মানুষ আসা যাওয়া করতে অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
আর এই সময় ইঞ্চিন চালিত ছোট বোটে করে চলাচল করতে গিয়ে জেগে উঠা চরে অনেক সময় বোটটি আটকে গেলে এই প্রখর রোদে বোটে থাকা এইসব মানুষগুলোর কষ্টের সীমা থাকে না। আর উপজেলা থেকে জেলা শহরে যেতে ১০/১২ কিলোমিটার পাহাড়ী পথ হেটে যাওয়ার পর ছোট বোট একমাত্র মাধ্যম। ভাড়াও গুনতে হয় বেশী। তাই জুরাছড়ি-বরকল উপজেলার সুবলং খাল পুনঃখননে কারণে মানুষের ভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে বলে জানান এলাকাবাসীরা।
রাঙ্গামাটির পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জেলার অভ্যন্তরে নদী, খাল ও জলাশয় পুনঃখনন সংক্রান্ত কমিটির সিদ্ধান্ত আলোকে রাস্তা মাথা হতে স্বাগতম জুরাছড়ি উপজেলা (বরকল নৌ পথ মূখ) পর্যন্ত ৭ কিলো মিটার সুবলং খাল পুনঃখনন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যা চলতি অর্থ বছরের জুন মাসে শেষ হওয়ার আশা রয়েছে।
মের্সাস গরিবের নেওয়াজ এন্টারপ্রাইজের সহযোগী প্রতিনিধি চিরঞ্জীব চাকমা জানান, খাল পুনঃখনন কাজ করতে গিয়ে স্থানীয়দের বিভিন্ন বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। তারপরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের সহযোগিতায় কাজ এগিয়ে চলেছে।
তিনি আরো জানান, রাস্তা মাথা হতে স্বাগতম জুরাছড়ি উপজেলা (বরকল নৌ পথ মুখ) পর্যন্ত ৭ কিলো মিটার ধরা হলেও পাহাড়ী আকাবাঁকা ও স্থানীয় প্রশাসনের বিশেষ অনুরোধে প্রায় অতিরিক্ত ৩ কিলো মিটার কাজ করতে হচ্ছে। অতিরিক্ত কাজের বিশেষ বরাদ্দ পাওয়া না গেলে লোকসানে পড়তে হবে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমান জানান, সঠিকভাবে খনন সম্পন্ন হলে যাতায়তের অনেক কষ্টের লাগাব কমবে এবং এলাকায় পাহাড়ী ঢলে ক্ষতি (আকস্মিক বন্যা) রোধ, বিভিন্ন জাতের ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
রাঙ্গামাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বিশেষ প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে প্রতি উপজেলাই ১টি করে খাল পুনঃখনন কাজ করা হচ্ছে। আগামী বছর আরো প্রতি উপজেলায় ৫টি খাল পুনঃখননের প্রস্তাব করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এলাকাবাসীর সুবিধার্থে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত ২/৩ কিলোমিটার খনন কাজ করছে। যা খুবই প্রশংসনীয়। এ অতিরিক্ত কাজের বিশেষ বরাদ্দ প্রদানের জন্য কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।