॥ খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা ॥ খাগড়াছড়ি দিঘিনালার বানছড়া এলাকায় প্রতিপক্ষের ব্রাশ ফায়ারে ইউপিডিএফ (প্রসিত) দলের দুই সদস্য নিহত হয়েছে। আজ সকালে নিহত দুইজন বনপাড়া এলাকায় নিজ বাসায় বসের দুজন দাবা খেলার কেলার সময় প্রতিপক্ষের গুলিতে এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, সুদীপ ভোগান্তি চাকমা (৩৮) পিতা- বিরেন্দ্র মোহন চাকমা গ্রামঃ মধ্য বানছড়া,( ফ্রেশ বাজার) পোঃ থানাঃ দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি, এনজেল চাকমা (বাবু চাকমা) (৩৭)পিতা- সুশীল চাকমা নন্দেশ্বর কার্বারি পাড়া, দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগ নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সংগঠক ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি অংগ্য মারমা আজ মঙ্গলবার ২৮ এপ্রিল ২০২০ এক বিবৃতিতে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় একটি বিশেষ মহলের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের হামলায় একজন ইউপিডিএফ সদস্য ও অন্য একজন সাধারণ গ্রামবাসী নিহত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
নিহত সুদিব্য কান্তি চাকমার বড় ভাই শান্তিময় চাকমা জানান .সকালে আমরা এনজেল চাকমা বাবু ও সুবিদ্য চাকমা পাড়ার একটি বাড়ি সামনে দাবা খেলছিল। এসময় কে বা কারা গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুই জনের মৃতদেহ পরে থাকতে দেখে। এসময় তিনি আরো আরো জানান,‘আমার ভাই ( সুদিব্য ) পেশায় একজন মাহেন্দ্র গাড়ি চালায়। তিন আগে সে বাড়িতে ফিরেছে। তার দুটি সন্তান আছে। কোন রাজনীতি না করেও বিনা অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়।
ইউপিডিএফ এর জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা জানান,‘ সকালে পার্টি কর্মী বাবু চাকমাকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করেছে। এসময় এক নিরহ গ্রামবাসীও মারা যায়।
দীঘিনালা থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব জানান,‘ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। এই ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ’
এদিকে, খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের একজন সহকারি পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, আমরা এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। সেখানে পুলিশ রওয়ানা দিয়েছে। তারা সেখানে পৌঁছুলে বিস্তারিত জানা যাবে।
ইউপিডিএফ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আজ সকাল ৯টার দিকে বাবুছড়া আর্মি ক্যাম্পের পাশে থাকা সন্ত্রাসীরা (যারা স্থানীয়ভাবে জুম্ম রাজাকার নামে পরিচিত) মধ্য বানছড়া গ্রামে গিয়ে অতর্কিত ব্রাশ ফায়ার করলে ঘটনাস্থলে ইউপিডিএফ সদস্য বাবু চাকমা ওরফে রিঝাং (৩০) ও সুদীব্য কান্তি চাকমা (২৫) নামে ওই গ্রামের এক বাসিন্দা নিহত হন। ইন্দ্রমণি পাড়ার বাসিন্দা বাবু চাকমার পিতার নাম সুশীল ভূষণ চাকমা ও সুদীব্য কান্তি চাকমার পিতার নাম বীরেন্দ্র মোহন চাকমা। ঘটনার সময় তারা দু’জনে বাড়ির উঠোনে বসে দাবা খেলা খেলছিলেন।’
ইউপিডিএফ নেতা উক্ত হামলাকে কাপুরুষোচিত, ন্যাক্কারজনক ও একটি জঘন্যতম অপরাধ বলে মন্তব্য করে দায়ি সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান।