॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥ করোনা ভাইরাসের কারণে ষষ্ঠ দফায় আবারও ১১ দিন ছুটি বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটিতে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না বলেও জানানো হয়েছে। সোমবার (৪ মে) দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ প্রজ্ঞাপন জারি করে।
করোনার কারণে সরকার প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে। পরে আরও পাঁচ দফায় ছুটি বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হলো। ছুটি বাড়ানোর প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৭ মে থেকে ১৪ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সাধারণ ছুটির সঙ্গে ৬ মের বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি এবং ১৫ ও ১৬ মের সাপ্তাহিক ছুটিও যুক্ত হবে।
এই নির্দেশনার কারণে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে যেখানে দায়িত্ব পালন করছেন সেই অঞ্চলের বাইরে যেতে পারবেন না। আদেশে বলা হয়, ছুটিকালীন জনসাধারণ ও সকল কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশমালা কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে।
সাধারণ ছুটি/চলাচলে নিষেধাজ্ঞাকালে এক জেলা হতে অন্য জেলা এবং এক উপজেলা হতে অন্য উপজেলায় জনসাধারনের চলাচল কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকবে। জেলা প্রশাসন/আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এই নিয়ন্ত্রণ সর্তক ভাবে বাস্তবায়ন করবে। এ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন রোধকল্পে জনগণকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে। রাত ৮ হতে সকাল ৬টা পর্যন্ত অতীব জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত (প্রয়োজনীয় ক্র-বিক্রয়, ঔষধ ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোন ভাবেই বাড়ির বাইরে আসা যাবে না।
জরুরি পরিষেবা যেমন- বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োাজিত যানবাহন ও কর্মীরা এ ছুটির বাইরে থাকবেন। সড়ক ও নৌপথে সকল প্রকার পন্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত যানবাহন (ট্রাক, লরি, কার্গো ভেসেল প্রভৃতি) চলাচল অব্যাহত থাকবে।
কৃষি পন্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্পপন্য, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের মালামাল, কাঁচা বাজার, খাবার, ঔষদের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরী সেবা এবং এসবের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ক্ষেত্রে এ ছুটি প্রয়োজ্য হবে না।
চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী এবং ঔষধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মী, গণমাধ্যম (ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া) এবং ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কে নিয়োজিত কর্মীগণ এ সাধারণ ছুটি/চলাচল নিষেধাজ্ঞার আওতা বর্হির্ভূত থাকবেন।
রমজান এবং ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে সীমিত পরিসরে ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রাখার স্বার্থে দোকান-পাট খোলা রাখা যাবে, তবে ক্রয় বিক্রয়কালে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে। শপিংমলে আগত যানবাহন সমূহকে অবশ্যই জীবানুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। দোকানপাট এবং শপিংমল সমূহ আবশ্যিক ভাবে বিকাল ৫টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।
ঔষধ শিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্পসহ সকল কলকারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে চালু রাখতে পারবে। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক প্রণীত বিভিন্ন শিল্প কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে নিদের্শনা প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে। আর পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতৈ শিল্প-কারখানা, কৃষি এবং উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো পর্যায়ক্রমে উম্মুক্ত করা হবে।