
॥ থানচি প্রতিনিধি ॥ বান্দরবানে থানচিতে নাফাঁখুম পর্যটন স্পটে ভ্রমনে গিয়ে রেমাক্রী খালে পারপার সময় এক পর্যটক খালে ডুবে নিখোঁজ পর্যটকের ২৪ ঘন্টায় স্থানীয়দের সহযোগীতায় বিজিবি পুলিশ যৌথভাবে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টা ডুবে যাওয়ার স্থান থেকে ঔ পর্যটকের মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে তাঁর অভিভাবকদের হাতে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
নাফাঁকুম পর্যটন কেন্দ্রে ঢাকা হতে ভ্রমন সংগী মোহাম্মদুর রহমান ৩০ ও তাঁর স্ত্রী ছিত্রাতুল মমতাহার মমিন, জানান শনিবার (৩ অক্টোবর) সকালে নাফাঁখুম পর্যটন কেন্দ্রের আওয়ামী লীগের নেতা শিমন ত্রিপুরা এর কটেজ হতে রেমাক্রী বাজার উদ্যেশে আসার পথে রেমাক্রী খালে সইগংয়ান নামক স্থানে খাল পাড়াপারের সময় আমরা দুইজনের পাঁয়ের স্লিপ খেয়ে খালে পড়ে যায়। তৎক্ষনিকভাবে মৃত কাজী জাকারুল ইসলাম কানন, আমাদের উদ্ধার করতে গিয়ে তিনি নিজেই খালে পানির ¯্রােতে ডুবে গিয়ে মারা যাওয়া ঘটনা আমাদের চোখের সামনে ছিল।
থানচি থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইফুরদ্দিন আনোয়ার, আইন-শৃংঙ্খলা কমিটি সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুল হক মৃদুল যৌথ নেতৃত্বে থানচি থানা এস আই অনুপ দে, এ এস আই মিঠুন দাশ, কনষ্টেবল ফেরদৌস, রববানিকে ঘটনা স্থলে নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারে জন্য পাঠানো হয়। পরদিন রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা অক্ষত অবস্থা মৃতদেহ উদ্ধার করে অভিভাবকের হাতে হস্তান্তর করা হয়।
এস আই অনুপ দে জানান, নাফাঁখুম যাওয়ার রাস্তায় রেমাক্রী খালে সইগংয়ান নামক স্থানে খাল পারাপার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সুতারাং ঔ একটি স্থানে একটি ঝুলন্ত ব্রীজ নির্মানের অত্যন্ত জরুরী। গত বছরে একজন চিকিৎসক ও একইস্থানে পানিতে ডুবে মারা গিয়েছিলো।
পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার পর্যটক কাজী জাকারুল ইসলাম কানন, বাবা কাজী জহিরুল ইসলাম ও মা সালমা বেগম দুইজনের চক্ষু বিশেষজ্ঞ। রাজধানী উত্তরায় একটি নিজস্ব ফ্লাট বাড়ীতে থাকতেন।