চট্টগ্রাম ব্যুরো :: বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবাদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম বিশ্ব হার্ট দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে সম্প্রতি পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি বিভাগে একটি স্পেশাল পেশেন্ট ফোরাম আয়োজন করে। পেশেন্ট ফোরামে সবার উদ্দ্যেশ্যে স্বাগত বক্তব্য দেন এভারকেয়ার হসপিটালস, বাংলাদেশ- এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. রত্নদ্বীপ চাস্কার; হসপিটালের ডিপার্টমেন্ট ওভারভিউ দেন উক্ত হাসপাতালের শিশু হৃদরোগ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান ডা. তাহেরা নাজরীন। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম এর চিফ অপারেটিং অফিসার সামির সিং। স্বাগত বক্তব্যে এভারকেয়ার হসপিটালস, বাংলাদেশ- এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. রত্নদ্বীপ চাস্কার বলেন “সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য শিশু হৃদরোগ বিভাগের বিনামূল্যের এই বিশেষ প্যাকেজটি একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত ” উক্ত অনুষ্ঠানে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা ও এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম এর শিশু হৃদরোগ বিভাগের প্রধান ডা. তাহেরা নাজরীন বলেন, “এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামে প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্ব হার্ট দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে আমরা পেশেন্ট ফোরাম আয়োজন করেছি। শিশুদের হৃদরোগ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে আমাদের সংঘবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে। শিশু হৃদরোগ চিকিৎসাযোগ্য ও প্রতিরোধযোগ্য। এভারকেয়ার শিশু হৃদরোগ বিভাগে আমরা শিশুদের হৃদরোগ-এর সকল প্রকারের সেবা প্রদান করছি। আমাদের শিশু হৃদরোগ বিভাগ, হাসপাতাল চালু হওয়ার শুরু থেকেই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডিভাইস এবং বেলুন-এর মাধ্যমে হার্টের জন্মগত ছিদ্র বন্ধ করা এবং ত্রুটিযুক্ত ভাল্ভের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছে ।
॥ লংগদু প্রতিনিধি ॥ পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস’র সশস্ত্র শাখা শান্তিবাহিনীর হাতে অসংখ্য বর্বরোচিত, নাড়কীয় ও পৈশাচিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে পার্বত্য অঞ্চলের বাঙালিরা। ১৯৯৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর এই দিনে ৩৫ জন নিরীহ বাঙালি কাঠুরিয়াকে নিমর্মভাবে হত্যা করেছিল শান্তিবাহিনী। এই হত্যাকান্ডের বিচার হয়নি এখনো। তাই পাকুয়াখালীসহ সকল বাঙ্গালী গণহত্যার বিচার দ্রুত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মুজিবুর রহমান।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে পাকুয়াখালীতে গণহত্যা দিবসের স্মরণে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ লংগদু উপজেলা শাখার উদ্যোগে নিহতদের স্মরণে আয়োজিত দোয়া মুনাজাত, শোক র ্যালী ও শোকসভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রামে অসংখ্য গণহত্যার ঘটনার মধ্যে ৯ সেপ্টেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে একটি নৃশংসতম বর্বর গণহত্যা দিন, পাকুয়াখালী ট্রাজেডি দিবস।
১৯৯৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পিসিজেএসএস এর সশস্ত্র শাখা শান্তিবাহিনী কর্তৃক রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলার পাকুয়াখালীতে নিরীহ বাঙালি কাঠুরিয়াদের ওপর নিমর্ম নিযার্তনের পর হত্যাকান্ড চালিয়ে তাদের বীভৎস মানসিকতার এক জঘন্যতম জিংঘাসার স্বরূপ উন্মোচন করে। পাবর্ত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে এই দিনটি একটি নৃশংসতম বর্বর গণহত্যার দিন। এই দিনে ৩৫ জন নিরীহ বাঙালি কাঠুরিয়াকে নিমর্মভাবে হত্যা করেছিল শান্তিবাহিনী। তাদের ক্ষত-বিক্ষত, বিকৃত লাশের নিমর্ম দৃশ্য দেখে সেদিন শোকে ভারী হয়ে ওঠেছিল পরিবেশ। হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, দা-দিয়ে কুপিয়ে এবং বন্দুকের বেয়নেট ও অন্যান্য দেশী অস্ত্র দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নানাভাবে কষ্ট দিয়ে হত্যা করেছিল সেদিন অসহায় ওই মানুষগুলোকে। প্রতিটি লাশকেই বিকৃত করে সেদিন চরম অমানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে শান্তিবাহিনী।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ লংগদু উপজেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খলিলুর রহমান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের মহাসচিব আলমগীর কবির, রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি শাব্বির আহম্মেদ, খাগড়াছড়ি জেলা সদস্য সচিব এসএম মাসুম রানা, লংগদু উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন, পিসিএনপি লংগদু উপজেলা সাধারণ সম্পাদক এবিএস মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আলমগীর হোসেন, ৩৫ কাঠুরিয়া পরিবারের শহীদ আলালউদ্দিনের সন্তান রাকিব হোসেন, প্রত্যক্ষদোষী মো: হাকীম, পিসিসিপি রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি মো: হাবীব আজম, কলেজ আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, পৌর সভাপতি পারভেজ মোশারফসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
এতে বক্তারা বলেন, মানবাধিকার এবং ন্যায়ের ভিত্তিতে পাবর্ত্যাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই পাকুয়াখালী গণহত্যাসহ পাহাড়ে সকল বাঙালি গণহত্যাকান্ডের তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা প্রয়োজন। অন্যথায় পাবর্ত্যাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার আশা কোনোদিনই সফল হবে না। পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ও সম্প্রীতি রক্ষায় সশস্ত্র অবৈধ অস্ত্রধারী ও দেশদ্রোহী সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস ও ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধ করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে গণহত্যার দায়ে সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসা সহ তাদের সংগঠনের সকল সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
শোকসভার আগে সকালে লংগদু উপজেলা পরিষদের প্রাঙ্গন থেকে শোক র্যালি বের করা হয়। শোক র্যালিটি প্রধান সড়ক ঘুরে উপজেলা পরিষদের কাঠুরিয়াদের গণ কবরের সামনে এসে কবর জিয়ারত ও দোয়া মোনাজাতে শরিক হয়। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন গাঁথাছড়া বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের সুপার হাফেজ মাওলানা ফোরকান আহমেদ, পরে উপজেলা মাঠের একপাশে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।শোকসভা শেষে ৩৫ জন শহীদ পরিবার ও একজন জীবিত ফিরে আসা মোঃ ইউনুসকে সহ মোট ৩৬ জনকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়।
॥ কাউখালী প্রতিনিধি ॥ আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের জয়ের জন্য তৃণমূল পর্যায়ে দলকে আরো শক্তিশালী করার আহবান জানি য়ে ছেন,জাতীয় সংসদের খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলা অডিটরিয়ামে কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের আরো জোড়ালো ভাবে কাজ করতে হবে। আর কাজ করার জন্য সবাই কে সাংগঠনিক ভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।আর সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ থাকেন আবারো আমরা এই আসন প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিবো।
কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এরশাদ সরকারের সঞ্চালনায়, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও কলমপতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যাজাই মারমার সভাপতিত্বে সভায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন,রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও রাঙ্গামাটি পার্বত ্যজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রুচৌধুরী।
বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কাউখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সামুসুদৌহা চৌধুরী,কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য অংসুসাইন চৌধুরী, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এস এম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমূখ।
বর্ধিত সভায় উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ও যুবলীগ,ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ এবং জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
॥রাহুল বড়ুয়া ছোটন, বান্দরবান॥ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এঁর ৯৩ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে বান্দরবানে অনগ্রসর নারীদের সেলাই মেশিন, প্রশিক্ষণ ভাতা, সনদপত্র ও স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতির মাঝে অনুদান বিতরণ করা হয়েছে।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নারীদের সেলাই মেশিন, প্রশিক্ষণ ভাতা, সনদ পত্র ও অনুদানের চেক বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে দূর্বার গতিতে। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্বের কারণে নারীদের উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে আর নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সরকারীভাবে বিনামুল্যে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, ভাতা এবং সেলাই মেশিন প্রদান অব্যাহত রয়েছে। এসময় পার্বত্য মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার নারীদের উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করছে এবং নারীরা আগের চেয়ে এখন আরো বেশি কর্মঠ ও দক্ষতার সাথে নিজ নিজ পেশায় সফলতার স্বাক্ষর রাখছে।
এসময় জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.শাহ আলম, পৌরসভার মেয়র মো.সামশুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা মীরা, সদর উপজেলা ভূমি কর্র্মকর্তা নারগিস সুলতানা, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বান্দরবানের উপ-পরিচালক আতিয়া চৌধুরীসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতির নারী সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন প্রোগাম এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা ১৮০জন নারীকে সনদপত্র ও ১২হাজার টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা, ৪৫জন নারীকে ১টি করে সেলাই মেশিন এবং ২৮টি স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতির মাঝে সর্বমোট আট লক্ষ পচিঁশ হাজার টাকার অনুদানের চেক বিতরণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
॥ গিরিদর্পণ ডেস্ক ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যমান গভীর সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে একমত হয়েছেন দুই প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে, দুই প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বৈঠকে ভোট নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানি না। তিনি বলেন, এদিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারতের সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উভয় দেশের মধ্যকার অনিষ্পন্ন সমস্যা সমাধানে আলোচনার তাগিদ দিয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে তিনটি সমঝোতা সই হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এগুলোর মধ্যে আছে কৃষি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি এবং পারস্পরিক লেনদেন আরও সহজ করা। এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার সকালে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে রওনা হন তিনি। নয়াদিল্লিতে ৯-১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে এই সফর।
প্রসঙ্গত, ভারতে হতে যাওয়া এবারের জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ৯টি দেশকে অতিথি রাষ্ট্র হিসেবে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটি। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য দেশগুলো হচ্ছে—মিসর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিংগাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ভারতের মধ্যে বিদ্যমান নানা সম্পর্কের ভিত্তিতে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছে।
॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী সংহতি জোরদার করার এবং বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলায় সমন্বিতভাবে প্রচেষ্টা গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছেন। শেখ হাসিনা শীর্ষ সম্মেলনে তার চার দফা সুপারিশে এই আহ্বান জানান। তিনি শীর্ষ সম্মেলনে ‘ওয়ান আর্থ’ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় তাঁর সুপারিশের প্রথম পয়েন্টে বলেছেন, ‘এখানে জি-২০ এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এবং বাংলাদেশ সংকট মোকাবেলায় কার্যকর সুপারিশ তৈরি করতে তাদের প্রচেষ্টাকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রগতি ময়দানের ভারত মান্দাপান কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্টিত শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করেন। শেখ হাসিনা দ্বিতীয় পয়েন্টে বলেন, মানবতার বৃহত্তর স্বার্থে এবং সারা বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বব্যাপী সাহসী, দৃঢ় এবং সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক উন্নয়নের জন্য প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোকে তাদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করা উচিত।’
তৃতীয়ত, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের ত্রয়ীকার সদস্য হিসেবে তিনি বলেন, ‘জলবায়ুজনিত অভিবাসন মোকাবেলায় অতিরিক্ত অর্থায়নের ব্যবস্থা করার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্ষতি এবং ক্ষয়ক্ষতি তহবিল চালু করার জন্য আমি সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসন্ন কপ-২৮ এ, আমি সবাইকে জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে ক্ষতি এবং ক্ষতির জন্য তহবিল বাস্তবায়নের ওপর জোর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করবো।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অবশেষে অভিমত ব্যক্ত করেন, সব মানুষেরই উপযুক্ত জীবনযাপনের সমান অধিকার থাকা উচিত। ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের তাদের ডিনজ দেশে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক সম্প্রদায় ভুলবেন না এবং তাদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে।’
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘আমরা আমাদের পৃথিবীকে বাঁচাতে ও শক্তিশালীকরণে জি-২০ অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি’।
তিনি বলেন, ‘আমাদের একে অপরের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে এবং আমাদের মাতৃ পৃথিবীর যত্ন নেওয়ার জন্য নিজেদেরকে পুনরায় প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।’
২০২২ সালে গঠিত জাতিসংঘ মহাসচিবের গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপের একজন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শেখ হাসিনা উল্লিখিত সুপারিশগুলো করেছেন।
শীর্ষ সম্মেলনের এই অধিবেশনে ভাষণকালে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এমন একটি বৈশ্বিক ব্যবস্থা চাই যা দারিদ্র্য বিমোচন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্র্রভাব প্রশমন, সংঘাত প্রতিরোধ এবং জ্ঞান-ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য প্রযুক্তিগত স্থনান্তরকে অর্থায়নের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।’
অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে এই শীর্ষ সম্মেলনটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন ‘আমাদের মাতৃ পৃথিবী’ জলবায়ু পরিবর্তনের একাধিক সংকট, কভিড-১৯ মহামারী এবং নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার চ্যালেঞ্জ দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘এই চ্যালেঞ্জগুলো মানবজাতির শান্তি ও উন্নয়ন এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সম্প্রদায়ের দৃষ্টিভঙ্গি অন্য সম্প্রদায়ের গ্রহণ করা অপরিহার্য।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাস্তবতা হল মানুষ এবং আমাদের মাতৃভূমি কেবল পারস্পরিক সহায়তার মাধ্যমেই টিকে থাকতে পারে।’
‘অতএব, আমাদের উন্নয়ন প্রচেষ্টা সবুজ এবং টেকসই উন্নয়নের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে’-উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন, আমরা সার্কুলার অর্থনীতির পদ্ধতিও নিচ্ছি।’
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে নগণ্য অবদান রাখলেও এর পরিণতির শিকার হিসেবে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের গ্রাউন্ডসওয়েল রিপোর্ট ২০২১ অনুসারে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ২০৫০ সালের মধ্যে ১৩.৩ মিলিয়ন মানুষকে তাদের স্বাভাবিক আবাসস্থল থেকে দূরে সরিয়ে দিতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, যদিও বাংলাদেশের প্রশমনের সুযোগ কম। প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়ন এবং এসডিজি অর্জনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জলবায়ু পরিবর্তনের বিপজ্জনক প্রভাব মোকাবেলায় অনেক রূপান্তরমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালে তিনি গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ বা আশ্রয় নামে একটি প্রকল্প শুরু করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, এই উদ্যোগের অধীনে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত তার সরকার প্রায় ৮ লাখ ৪০ হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে বাড়ি ও জমি দিয়ে পুনর্বাসন করেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত করা।’
বাংলাদেশ ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার রোল মডেল’ হিসেবে পরিচিত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং জলবায়ু অভিযোজনে শক্তিশালী অবস্থা অর্জন করেছে।
দুর্যোগ মেকাবেলার জন্য তার সরকার ৪ হাজার ৫৩০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। এছাড়া এখন বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের জন্য ‘মুজিব কিল্লা’ নামে আরও ৫৫০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করছে।
তিনি বলেন,‘বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য আমরা ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’ চালু করেছি।’
শেখ হাসিনা জানান, তার সরকার আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য ও সমৃদ্ধ ব-দ্বীপ গড়ে তোলার লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদি বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, ‘২০২২ সালে আমার সরকার জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা চালু করেছে। ২০৫০ সালের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রয়োজন। আমরা এই বিষয়ে উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে সক্রিয় সমর্থনের আহ্বান জানাই।’
ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজকে নতুন একটা খবর আছে, জি-২০ সম্মেলন হচ্ছে দিল্লিতে। আটলান্টিকের ওপারে হোয়াইট হাউসে থেকে নিষেধাজ্ঞা দেবে এ আশায় ছিল বিএনপি।
কিন্তু কী দেখা গেল? মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজেই সেলফি তুললেন শেখ হাসিনার সঙ্গে, সঙ্গে পুতুলও ছিলেন। বিএনপির এখন কী হবে? পতনযাত্রা নাকি পশ্চাতযাত্রা। কেবলই পেছনের দিকে বিএনপিকে যেতে হচ্ছে। বাইডেন সাহেব শেখ হাসিনার সঙ্গে ছবি তুলেছেন কেমন করে? এসব ভালো লাগেনি বিএনপির।
শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকের পদযাত্রায় জনগণ নেই, জনগণ বিএনপির সঙ্গে নেই। বাংলাদেশ বৃহৎ শক্তির শক্তিকেন্দ্র। এ বলয় বন্ধুত্বের বলয়, এখানে কোনো শত্রুতা নেই। বাংলাদেশের জাতির পিতা বলেগেছেন, সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উদ্দেশ্যে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল বলেন, এখন কী খবর? সিঙ্গাপুর থেকে শলাপরামর্শ নিয়ে এসেছেন, সেই আন্দোলন এখন ভুয়া। ২১ দফা, এক দফা, ২৭ দফা, বিএনপির আন্দোলন ভুয়া। কোনো জনসমর্থন নেই।
ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফীর সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের কক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানার্থে সংরক্ষিত চেয়ার স্থাপন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের চেয়ারের পাশেই এই সংরক্ষিত চেয়ার স্থাপন করা হয়েছে। সোমবার (৪সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের কক্ষে স্থাপিত সংরক্ষিত চেয়ারে বসে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী কামাল উদ্দিন এর শুভ সূচনা করেন। এ সময়ে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার ইকবাল হোসেন চৌধুরীসহ রাঙ্গামাটিতে বসবাসরত বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময়ে হাজী কামাল উদ্দিন বলেন, এটি আমাদের জন্য সম্মানের ও গর্বের। এরজন্য জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদও জানান তিনি।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রাঙ্গামাটি ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার ইকবাল হোসেন চৌধুরী বলেন, বর্তমান জেলা প্রশাসকের এমন কার্যক্রম জেলার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করেছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ডাকে জীবনে বাজি রেখে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ এদেশ যদি স্বাধীন না করতেন তাহলে আমরা ডিসি হতে পরতাম না। তাই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে এই চেয়ার স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে শুধুমাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধারাই বসবেন।
॥ মিকেল চাকমা, রাঙ্গামাটি ॥ রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে নতুন অস্থায়ী ছাত্রী হলের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নতুন অস্থায়ী ছাত্রী হলের শুভ উদ্বোধন করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা, রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউসুফ, প্রক্টর ও সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জুয়েল সিকদার, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের উপ-পরিচালক আবদুল গফুর, ছাত্রী হলের সহকারী প্রভোস্ট ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহনা বিশ্বাস, সহকারী প্রভোস্ট ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারহা সুলতানা, ছাত্রী হলের সহকারী রেজিস্ট্রার টিংকেল খীসাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানগণ, শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রাবিপ্রবির প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে যোগদানের পর থেকেই নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে তড়িৎ গতিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.সেলিনা আখতার। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের স্থায়ী হল তৈরি, হলের নামকরণ করা, বিভিন্ন স্থাপনা, খেলাধূলার মাঠসহ শিক্ষার্থীদের যাবতীয় সমস্যা সমাধানের লক্ষে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥ অনেকেই পেশাগত ভুয়া সনদ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাচ্ছেন। এসব ভুয়া সনদধারী বিদেশগামী ও এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি এ নির্দেশ দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে আমাদের কাছে তথ্য আসছে, ভুয়া ডাক্তার, ভুয়া ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সনদ নিয়ে অনেকে বিদেশে কাজের জন্য যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী এসব ভুয়া সনদধারী বিদেশগামী ও এর সঙ্গে জড়িতদের ধরতে নির্দেশনা দিয়েছেন। কীভাবে এই ভুয়া সার্টিফিকেট তারা নেয়, কীভাবে এই ভুয়া সার্টিফিকেটসহ তারা যায়, কারা তাদের এ কাজে সহযোগিতা করে এবং তারা নিজেরাও যারা কাজটি করছে, তাদেরও চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সহযোগিতা করবে।
ভুয়া সনদধারীদের সংখ্যা নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সংখ্যা কোনো বিষয় না। এমন অভিযোগ প্রায়ই পাওয়া যাচ্ছে। তখন একটা বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এটিকে খুব কঠোরভাবে ব্যবস্থাপনার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।