————————–
পার্বত্য চট্টগ্রামের চারণ সাংবাদিক, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি, দৈনিক গিরিদর্পন ও সাপ্তাহিক বনভূমির সম্পাদক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদকে একুশে পদক দেয়ার দাবী জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি পৌরসভার মেয়র মোঃ আকবর হোসেন চৌধুরীসহ বিভিন্ন সূধীজন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সাংবাদিক,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক নেতৃবৃন্দসহ অনেকেই প্রবীণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদকে একুশে পদকে ভূষিত করার দাবী জানান।
বিষয়টি নিয়ে রাঙ্গামাটি পৌরসভা মেয়র মোঃ আকবর হোসেন চৌধুরীর কাছে মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চারণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমদকে একুশে পদক দেয়ার দাবী জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ যে আলোচনা বা দাবী উঠেছে তা আমি অবগত হয়েছি, এ দাবীর প্রতি আমি ও একমত পোষণ করছি। কারন এই মানুষটি তার লেখনির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সমস্যা, সম্ভাবনা, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পাহাড়ের মানুষের কথা দেশ বিদেশের পত্র পত্রিকায় তুলে ধরেছেন। পৌরসভা মেয়র বলেন, আমরা চেয়েছিলাম পাহাড়ে এই গুণী মানুষটিকে নাগরিক সংবর্ধনা দেব, কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারনে সে বিষয়ে আর উদ্যোগ নেয়া সম্ভব হয়নি, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা তাকে পৌরবাসীর পক্ষ থেকে নাগরিক সংবর্ধনা দিতে পারব বলে আশা করছি। তিনি সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমদের মত মানুষকে একুশে পদক প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, আমি বিশ^াস করি পাহাড়ের এই গুণী মানুষটির কথা বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তুলে ধরতে পারলে অবশ্যই একেএম মকছুদ আহমেদকে সরকার মূল্যায়ন করবে। তিনি সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদের সফলতা কামনা করেন। উল্লেখ্য, পিছিয়ে থাকা পার্বত্য জনপদে সুদীর্ঘ সময় ধরে একটি সাপ্তাহিক ও একটি দৈনিক পত্রিকার প্রকাশনা অব্যাহত রেখেছেন সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমদ। একই সঙ্গে পিছিয়ে থাকা এলাকা ও এলাকার জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন পাহাড়ের এই বাতিঘর এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ। পিছিয়ে পড়া জনগনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে লেখনীর মাধ্যমে ভূমিকা রাখায় এবং পার্বত্য অঞ্চলের সংবাদপত্র জগতের অবদানের জন্য রাখতে একুশে পদকের মাধ্যমে তাকে সম্মানিত করলে পাহাড়ের মানুষের পাশাপাশি দেশের মানুষও আনন্দিত হবে ও অনেকে মতামত ব্যক্ত করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাহাড়ের এই মানুষটিকে একুশে পদক প্রদানের মাধ্যমে সম্মানিত করার জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের চারণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদানের বিষয়ে অনেকেই সমহত প্রকাশ করেছেন। তাদের সামান্য কয়েকজনের মতামত তুলে ধরা হলো। চট্টগ্রামের এই প্রতিতযশা সাংবাদিক মোস্তফা নঈম তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাহাড়ের এই বরপত্র এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের সম্পর্কে লিখেন পার্বত্য সাংবাদিকতা বাতিঘর মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদান করা হোক —— তিনি বলেন, সরকারের প্রতি একটি আহ্বান, পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার বাতিঘর, সাপ্তাহিক বনভূমি ও দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার সম্পাদক মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদান করুন। মকছুদ আহমদ একটি পিছিয়ে থাকা জনপদে সুদীর্ঘ সময় ধরে একটি সাপ্তাহিক ও একটি দৈনিক পত্রিকার প্রকাশনা অব্যাহত রেখেছেন। একই সঙ্গে পিছিয়ে থাকা এলাকা ও এলাকার জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এখনো করছেন। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি আহ্বান জানাই পার্বত্য সাংবাদিকতার প্রতিকৃত মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদান করে প্রান্তিক এলাকার সম্পাদককে মূল্যায়ণ করলে পুরো পার্বত্য এলাকার সাংবাদিক সমাজকে সম্মানিত করা হবে। রাঙ্গামাটি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক নন্দন দেবনাথ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবীণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমদের হাত ধরে অনেক নবীন তরুন সাংবাদিক উঠে এসেছে। আমরা বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী মেখ হাসিনার প্রতি দাবী জানাচ্ছি পাহাড়ে সাংবাদিক তৈরীর কারিগর প্রবীন সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমদকে একুশে পদকে ভূষিত করা হোক। পাহাড়ের সর্বপ্রথম অনলাইন নিউজ সিএইচটিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক ও রাঙ্গামাটির প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এস,এম শামসুল আলম পাহাড়ের এই প্রবীন সাংবাদিক দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ¦ এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের পক্ষে লিখে একুশে পদক প্রাপ্তির বিষয়ে সহমত প্রকাশ করে সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছেন। এদিকে রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলার এক শিক্ষক মোহাম্মদ সাইদুল হক তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কালের কন্ঠের সাংবাদিক মোস্তফা নঈম এর লেখনীতে সমর্থন করে তিনি লিখেন— এ.কে.এম মকছুদ আহমদ স্যার পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ। উনাকে একুশে পদক দেয়া হোক।ইউনুস মিয়া নামে একজন তার লেখনীতে একুশে পদকের প্রাপ্তির বিষয়ে সহমত জানিয়ে বলেন, আমার সাথে মকছুুদ ভাই ও সাংবাদিক সুনীল দে’র সাথে পরিচয় সেই ১৯৮১ সালে। তাঁরা পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির আদর্শিক মানুষ। দুজনেই “কলম যোদ্ধা” হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। মকছুদ ভাইকে একুশে পদক দেয়ার আহবানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে দাবী উঠেছে তা অত্যন্ত যুক্তিসংগত এবং সময়োপযোগী আমি এই দাবীর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি। সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলন মন্তব্য করেন পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতা বাতিঘর একেএম মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদান করা হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের গুণী ব্যক্তিকেই মূল্যায়ন করা হবে।বান্দরবান পার্বত্য জেলার তরুন উদীয়মান সাংবাদিক খগেশপতি চন্দ্র খোকন পাহাড়ের এই সংসপ্তক দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ¦ এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের পক্ষে লিখে একুশে পদক প্রদানের জন্য সহমত প্রকাশ করেন।চট্টগ্রামের একজন প্রবীন সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ¦ এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের পক্ষে লিখে একুশে পদক প্রদানের জন্য সহমত প্রকাশ করেছেন।রাঙ্গামাটির একজন প্রবীন ব্যক্তিত্ব বোরহান উদ্দিন তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, চারন সাংবাদিক আলহাজ্ব মাকছুদ ভাইকে জাতীয় পয্যায়ে তার অবদানকে মুল্যায়ন করা উচিত।এভাবে আরো অনেকে পার্বত্য সাংবাদিকতার বাতিঘর মকছুদ আহমদকে একুশে পদক দেয়ার জন্য সহমত প্রকাশ করেছেন।পার্বত্য চট্টগ্রামের চারণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদ ১৯৭৮ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথম সাপ্তাহিক বনভূমি ও পরে দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকা প্রকাশ করেন। তিনি পার্বত্য অঞ্চলের লেখকদের জন্য রাঙ্গামাটি প্রকাশনী নামে একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।পার্বত্য শান্তি প্রক্রিয়ায় অবদানের জন্য দক্ষিন এশিয়া সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ, ঢাকা কর্তৃক মাদার তেরেসা শান্তি পদক ও ভারতের উত্তর বঙ্গের নাট্য জগৎ পত্রিকার পক্ষ থেকে সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য পার্বত্য অঞ্চলের প্রথম সাপ্তাহিক পত্রিকা বনভূমি ও দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমেদকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়া সাংবাদিকতসহ সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে অবদানের জন্য সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমদকে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগ এবং চট্টগ্রামের বহুল প্রচারিত দৈনিক পত্রিকা সাঙ্গুর পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়া ও এই প্রবীণ সাংবাদিককে তিন পার্বত্য জেলা, চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ ঢাকা থেকে ও সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়া ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরাও প্রবীণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদান করতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
॥রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ “এখনই সময় অঙ্গীকার করার, যক্ষ্মা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে যক্ষ্মা প্রতিরোধে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) বান্দরবান জেলা শাখার উদ্যোগে জেলার সাংস্কৃতিক কর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৩ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সকালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী বান্দরবান জেলা শাখার অস্থায়ী কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) বান্দরবান জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এম.এ মোমেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সিং ইয়ং ¤্রাে, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা: মো. আলমগীর হোসেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শিলাদিত্য মুৎসুদ্দি, শিল্পী জাহাঙ্গীর, নাটাবের আঞ্চলিক সমন্বয়ক মো. হেলাল খন্দকারসহ বান্দরবান জেলার অর্ধশতাধিক সাংস্কৃতিক কর্মী। এসময় মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, যক্ষ¥া হলে রক্ষা নেই এই কথার ভিত্তি নেই। নিয়মিত পূর্ণ মেয়াদের চিকিৎসায় যক্ষ¥া সম্পূর্ণভাবে ভালো হয়। ইতোমধ্যে সারাদেশে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ¥া নিরোধ সমিতি (নাটাব) এর উদ্যোগে সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে অনেকাংশ যক্ষ¥া রোগ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, এসময় বক্তারা আরো বলেন, সকলের সহযোগিতা ও সচেতনতাই পারে যক্ষ¥া রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে।
॥ রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ বান্দরবানে গেল ২৪ ঘন্টায় ২জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। সনাক্তদের মধ্যে ২জনই বান্দরবান সদর উপজেলার বাসিন্দা। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কেএম জাহাঙ্গীর রয়েছেন। আক্রান্তদের বান্দরবান সদর হাসপাতালের আইসোলেশানে নেয়ার ব্যবস্থা করছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
বান্দরবানের স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, বান্দরবান জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৬০১ জন আর ৪৪৭ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টিনে এ পর্যন্ত ১ হাজার ১শত ৬জন জন ছিল তার মধ্যে ১ হাজার ১শত ৬জন রোগীকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ১শত ১১জন ছিল এর মধ্যে ১শত ১১জনকেই ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ আরো জানায়, এই পর্যন্ত বান্দরবানে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪ হাজার ১শত ৯২ জনের, তার মধ্যে রির্পোট এসেছে ৩ হাজার ৮শত ৫৭ জনের, এদের মধ্যে ৬০১জনের শরীরে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এই পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
॥রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উৎসব আজ। এই দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয় আর তাই এই দিনকে উদযাপন করতে প্রতিবছরই বান্দরবানে কয়েকদিনব্যাঁপী নানান কর্মসুচীর আয়োজন করে সনাতন ধর্মালম্বীরা। কিন্তুু দীর্ঘদিনের ধর্মীয় রীতি ভেঙ্গে বান্দরবানে এবার সনাতনী সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বের করা হয়নি কোন শোভাযাত্রা, আয়োজন করা হয়নি বিভিন্ন অনুষ্ঠামালার। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বান্দরবান জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে। এদিকে করোনার কারণে শুধুমাত্র বান্দরবান শ্রী শ্রী সার্বজনীন কেন্দ্রীয় দূর্গা মন্দিরে বান্দরবান জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপন পরিষদের ২০২০ এর আয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধুমাত্র ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজার আয়োজন করা হয়েছে, পাশাপাশি মন্দিরের প্রবেশদ্বারে ভক্ত-দর্শনার্থীদের জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আয়োজকেরা জানান, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ১১ আগস্ট (মঙ্গলবার) দুপুরে রাধাকৃষ্ণের ভোগ নিবেদন, সন্ধ্যা ৭টায় গীতা পাঠ আর রাত ৮টায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজা অনুষ্ঠিত হবে আর এরপরে প্রণাম নিবেদন ও পুস্পাঞ্জলির মধ্য দিয়ে এই উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ১১আগস্ট (মঙ্গলবার) দুপুরে বান্দরবান শ্রী শ্রী সার্বজনীন কেন্দ্রীয় দূর্গা মন্দিরে উপস্থিত থেকে সমবেত প্রার্থনায় অংশ নেন বান্দরবান শ্রী শ্রী সার্বজনীন কেন্দ্রীয় দূর্গা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক ও পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ, বান্দরবান জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপন পরিষদ ২০২০ইং এর সভাপতি অঞ্জন কান্তি দাশ, সাধারণ সম্পাদক সুজন চৌধুরী সনজয়, কোষাধ্যক্ষ অমল চৌধুরী টিটুসহ সনাতনী নারী ও পুরুষভক্তবৃন্দরা। বান্দরবান শ্রী শ্রী সার্বজনীন কেন্দ্রীয় দূর্গা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক ও পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ বলেন, প্রতিবছরই আমরা বান্দরবানে জাঁকজমকভাবে জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপন করে আসছি। বিগত বছরগুলোতে বান্দরবানে আয়োজিত জন্মাষ্টমী উৎসবে আমরা জাঁকজমক আয়োজন করেছি, শোভাযাত্রা করেছি এবং সফলভাবে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করেছি। তিনি আরো বলেন, প্রতিবছর বান্দরবানে জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপনে বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলার অসংখ্য সনাতনী নারী পুরুষ আমাদের এই বৃহৎ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়, কিন্তু করোনার কারণে এবার সারাদেশের ন্যায় বান্দরবানে অনাড়ম্বরভাবে শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপন করা হচ্ছে।
রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান \ গেল ২৪ ঘন্টায় বান্দরবানে ৪জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। সনাক্তদের মধ্যে ৩জন বান্দরবান সদর উপজেলা ও ১জন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাসিন্দা। নতুন সনাক্তদের হাসপাতালের আইসোলেশানে নেওয়ার ব্যবস্থা করছে বান্দরবানের স্বাস্থ্য বিভাগ। বান্দরবানের স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, বান্দরবান জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৫৯৯ জন আর ৪৪৩ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টিনে এ পর্যন্ত ১ হাজার ১শত ৬জন জন ছিল তার মধ্যে ১ হাজার ১শত ৬জন রোগীকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ১শত ১১জন ছিল এর মধ্যে ১শত ১১জনকেই ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ আরো জানায়, এই পর্যন্ত বান্দরবানে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪ হাজার ১শত ৭৩ জনের, তার মধ্যে রির্পোট এসেছে ৩ হাজার ৮শত ৪৭ জনের, এদের মধ্যে ৫৯৯জনের শরীরে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এই পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
॥রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান॥
“বঙ্গমাতা ত্যাগ ও সুন্দরের সাহসী প্রতীক” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বান্দরবানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দরিদ্র, অসহায় ও দুঃস্থ মহিলাদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৮ আগষ্ট) সকাল ১০টায় বান্দরবান জেলা প্রশাসনের আয়োজনে, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ও জাতীয় মহিলা সংস্থার সহযোগিতায় বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসময় সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে বান্দরবান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আছাদুজ্জামান, পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের বান্দরবান উপ-পরিচালক আতিয়া চৌধুরী, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শিলাদ্দিত্য মুৎসুদ্দিসহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে নারীরা আজ আর পিছিয়ে নেই, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সুবিধার আওতায় নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। নারীদের অগ্রযাত্রার কারণে দেশ ও জাতি অনেকটাই এগিয়ে যাচ্ছে। এসময় পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি আরো বলেন, আমাদের শুধু সরকারের দান গ্রহণ করে জীবনধারণ করলে চলবে না, সরকারে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহন করে নিজ পায়ে দাঁড়িয়ে এগিয়ে যেতে হবে এবং সমাজের উন্নয়নে কাজ করতে হবে।
আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি সদর উপজেলার ৬ জন দরিদ্র, অসহায় ও দুঃস্থ মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন প্রদান করে।
জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বান্দরবান জেলার ৪২ জন দরিদ্র, অসহায় ও দুঃস্থ মহিলাদের ১টি করে সেলাই মেশিন বিতরণ এবং ২০জন দুঃস্থ মহিলাকে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে জনপ্রতি দুই হাজার টাকা করে অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
॥রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ বান্দরবানে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতি উম্মোচন করা হয়েছে। ৬ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) বিকালে বান্দরবার সদরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের সামনে এই প্রতিকৃতি উম্মোচন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বান্দরবান জেলা শাখার সভাপতি ক্য শৈ হ্লা, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ, সদস্য মোজ্জামেল হক বাহাদুরসহ বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতা কর্মীরা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বান্দরবান জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসলাম বেবী বলেন, শোকের মাস আগস্ট উপলক্ষে আমরা বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের সামনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতি স্থাপন করেছি এবং আমরা মনে করি নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্মৃতি মনে করিয়ে দিতে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান মনে রাখতে এই প্রতিকৃতি অনেকটাই কাজে আসবে।
॥লামা প্রতিনিধি॥ বান্দরবানের লামা বাজারে ৬ জুয়াড়িকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সুত্রে জানা যায় ,বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) রাতে বান্দরবানের লামা পৌরসভা এলাকার সোনালী ব্যাংক ভবনের নিচতলায় হোটেল প্রিজনে অভিযান চালিয়ে ৬ জুয়াড়িকে আটক করে পুলিশ। এ সময় জুয়ার আসর থেকে লামা পৌরসভার নয়া পাড়া এলাকার মৃত আবু সিদ্দিকের ছেলে ফারুক হোসেন (৩৫), চাম্পাতলী এলাকার ওয়াহেদ আলীর ছেলে মোঃ হেদায়েত উল্লাহ (৪০), টিটিএন্ডডিসি এলাকার জাফর আলীর ছেলে নুর জামাল (৩৩), নয়া পাড়া এলাকার জাফর আলীর ছেলে সাহাব উদ্দিন (৩৮) বমু বিলছড়ি এলাকার নুরুল কবিরের ছেলে নুর মোহাম্মদ (৪০) ও নয়া পাড়া এলাকার আতর আলীর ছেলে মোঃ আলী কে আটক করা হয়, এরপর প্রত্যেককে ১০০ টাকা করে জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বান্দরবানের লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, লামা বাজারে আবাসিক হোটেল প্রিজনে লামা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা জেরিন এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয় এবং এসময় জুয়া খেলার অপরাধে ৬ জুয়াড়িকে জরিমানা করা হয়।
॥ রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ বান্দরবানে কর্তব্যরত সাংবাদিকদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সকালে বান্দরবানের একটি আবাসিক হোটেলের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যান ট্রাষ্ট আয়োজনে ও প্রেস ইউনিট এর বান্দরবান সহযোগিতায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর এ আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এর সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
এসময় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এর যুগ্ম-মহাসচিব মহসিন কাজী, বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: শামীম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজা সরওয়ার, বান্দরবান প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, সাবেক সহ-সভাপতি এম এ হাকিম চৌধুরী সহ বান্দরবানে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আমলে সবাই সুখে আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিক বলে আজ দেশে করোনার এই মহামারিতে ও সাংবাদিকসহ সকলের পাশে তিনি আছেন। এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ চায় দেশের উন্নয়ন, আর দেশের উন্নয়নে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। এসময় মন্ত্রী সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ট ও গ্রহণযোগ্য সংবাদ বেশি বেশি প্রচার করে দেশের উন্নয়নে কাজ করার আহবান জানান।
এসময় জেলার ২৯জন সাংবাদিককে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে মোট ২লক্ষ ৯০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
॥রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ যেকোন সরকারি বন্ধে, পূজা ও ঈদের ছুটিতে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের মেঘলা, নীলাচল, বগালেক, চিম্বুক, শৈলপ্রপাত, নীলগীরি, নীলদিগন্ত সহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ঘুরতে যায় অসংখ্য দেশি বিদেশি পর্যটক। কিন্তু এবার করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরণের পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রাখায় বান্দরবানের পর্যটকদের আগমন ঘটেনি। পর্যটনকেন্দ্রগুলোর মুলফটকে লাগানো হয়েছে তালা আর কর্র্মচারীরা পার করছে অলস সময়। পর্যটক না থাকায় বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে বিরাজ করছে শুনসান নীরবতা। বান্দরবান জেলা প্রশাসন পরিচালিত পর্র্যটনকেন্দ্র মেঘলা ঘুরে দেখা যায় প্রতিবছর এসময়টা পর্যটনকেন্দ্রে অসংখ্য পর্যটক থাকলে ও এবারে কোন পর্যটক নেই বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। নীলাচল পর্যটনকেন্দ্রের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে টিকেট কাউন্টার রাখা হয়েছে বন্ধ। পর্যটনকেন্দ্র মেঘলার তত্বাবধায়ক সুকুমার তঞ্চঙ্গ্যা জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বান্দরবানের সকল পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রাখার জন্য নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তাই এবারে সকল পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ। সুকুমার তঞ্চঙ্গ্যা আরো জানান,আমাদের এই পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমনে প্রতিদিনই অনেকে মূল ফটকের সামনে আসে কিন্তু অনুমতি না থাকায় আমরা কাউকে প্রবেশ করে ভ্রমন করতে দিই না। বান্দরবানের আবাসিক হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর কোরবানীর ঈদের বন্ধে বান্দরবানের প্রচুর পর্যটকের আগমন হয়, কিন্তু এবারে বান্দরবানে কোন পর্যটক নেই, আর আমাদের সব ব্যবসা বন্ধ হয়ে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, করোনার কারণে বান্দরবানের পর্যটন ব্যবসায় একেবারে ধস নেমে এসেছে। বান্দরবান আবাসিক হোটেল হিলভিউ এর জেনারেল ম্যানেজার মো: সুলতান বলেন, করোনায় আমাদের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। আমাদের বান্দরবানের সকল হোটেল মোটেল বন্ধ থাকায় অনেক কর্মচারী বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে, পর্যটক আসা বন্ধ থাকায় জেলার পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা নতুন ব্যবসার চিন্তা করছে। এদিকে বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: শামীম হোসেন জানান, কোরবানীর ঈদে বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখা হলে ও শীঘ্রই বান্দরবানের সকল পর্যটনকেন্দ্র ও সকল আবাসিক হোটেল মোটেল খোলা হবে এবং বান্দরবান ভ্রমনে পর্যটকরা আরো বেশি আনন্দ পাবে। তিনি আরো জানান,বান্দরবানে দীর্ঘদিন লকডাউন ছিল আর বন্ধ ছিল যানবাহন চলাচল, তবে এখন শুধু পর্যটনকেন্দ্র ও আবাসিক হোটেল মোটেল বন্ধ। বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: শামীম হোসেন আরো জানান, বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে এই বন্ধে আরো নিত্যনতুন কাজ করা হচ্ছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বান্দরবানের সকল পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়া হবে এবং দেশী বিদেশি প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটবে। প্রসঙ্গত, গত ৮মার্চ দেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার ১০দিন পর ১৮মার্চ থেকে বান্দরবানের সকল আবাসিক হোটেল মোটেল ও পর্যটনকেন্দ্র পর্যটকদের জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয় বান্দরবান জেলা প্রশাসন আর সেই থেকে এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে বান্দরবানের সকল আবাসিক হোটেল মোটেল ও পর্যটনকেন্দ্র।