স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের মহেশপুর ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে জেল জরিমানা দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার দুপুরে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশাফুর রহমান এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
ঝিনাইদহ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের পরিদর্শক রাসেল আলী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে মহেশপুর উপজেলার ভগবতীতলা ও সোজিয়া গ্রামে মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক ক্রয়-বিক্রয় করছে।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত সেখানে অভিযান চালিয়ে ১শ গ্রাম গাঁজাসহ ভগবতীতলা গ্রামের মৃত হাকিম সর্দারের ছেলে রবিউল সর্দার (৪৫), রবিউল সর্দারের স্ত্রী ছকিনা বেগম ও সেজিয়া গ্রামের মৃত গোলাম মন্ডলের ছেলে আমির হোসেন (৩৫) কে ৬০ লিটার তাড়িসহ আটক করে।
পরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে রবিউল সর্দার ও তার স্ত্রীকে ১০ হাজার টাকা ও আমির হোসেনকে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করে। ভ্রাম্যমান আদালতে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের এএসআই শেখ আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, পাপিয়া সুলতানা, সিপাই জিএম শহিদুল ইসলাম, আব্দুল আজিজ খান, সাইদুল হকসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পৌর এলাকার ফাজিলপুর গ্রামে গলায় ফাঁস নিয়ে নাঈম (৮) নামে এক শিশু আত্মহত্যা করেছে। সে ফাজিলপুর গ্রামের নয়ন শেখের ছেলে ও হিতামপুর মাধ্যমিক বদ্যিালয়ের ছাত্র। বুধবার বিকেলে এঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, স্কুলে যাওয়া কে কেন্দ্র করে নাঈম মায়ের উপর অভিমান করে নিজ ঘরে গলায় রশি দেয়। এসময় টের পেয়ে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
অপর দিকে উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের পুরাতন বাখরবা গ্রামের কুদ্দুস বিশ্বাসের মেয়ে ও কাতলাগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী স্বপ্না খাতুন (১৫) ছোট ভাইয়ের উপর অভিমান করে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এসময় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা হাসপাতালে নিয়ে আসে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছে। শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃবান্দরবানের আলীকদমে চম্পট পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হুমায়রা বেগমের বদলি আদেশ বাতিলের দাবিতে বিদ্যালয়ের অভিভাবক, শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা বুধবার বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও পুলিশ বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছেন।
এদিকে বিক্ষোভরত ছাত্র-ছাত্রীদের উপর বহিরাগতদের হামলায় ৪ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতরা হল শাহীনুর আক্তার ৪র্থ শ্রেণী, খতিজা আক্তার ৩য় শ্রেণী, ছালমা আক্তার ৪র্থ শ্রেণী ও জুবলি আক্তার ৪র্থ শ্রেণী। আহতদের আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। আহত ছাত্র-ছাত্রীরা জানিয়েছেন, সহকারী শিক্ষিকা জয়নব আরা বেগমের স্বামী শফিকুল ইসলাম, দেবর মুনির ও জহিরুল ইসলাম বিক্ষোভের সময় আমাদের মারধর করেছেন।
জানা গেছে, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জয়নব আরা বেগমের বিদ্যালয়ের উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এরই প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষিকা হুমায়রা বেগমকে বদলি করা হয়েছে মর্মে বিদ্যালয়ে খবর আসে। তাৎক্ষণিক পরিচালনা কমিটি, অভিভাবক, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক শিক্ষিকাগণ সহ স্থানীয় জনসাধারণ প্রধান শিক্ষকের বদলি আদেশ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
অভিভাবক সজরুং ত্রিপুরা, অংহ্লাইতি ত্রিপুরা, ববিতা ত্রিপুরা, রেহেনা বেগম, গানুচিং তংচংগ্যা ও সেতারা বেগম সহ অনেকে জানায়, প্রধান শিক্ষিকা অত্র বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর থেকে মেধা, শ্রম, আন্তরিকতা ও নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। যে কারণে ইতিমধ্যে তিনি সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। বর্তমানে এই বিদ্যালয়টি উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয়। আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারি যে, তাকে বদলী করার জন্য বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জয়নব আরা বেগম বান্দরবান জেলা পরিষদ কার্যালয়ে মিথ্যা ও ভুয়া একটি অভিযোগ করেছে। ইতিমধ্যে তাকে বদলি করা হয়েছে। তাই আমরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হুমায়রা বেগম বলেন, কর্তৃপক্ষের যে কোন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে আমি বাধ্য। আমি অফিস অর্ডার না পেতেই কতিপয় ব্যাক্তিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বদলি হয়েছে বলে গুজব ছড়ানো কারণে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও মানবন্ধন করেছে।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নুরুল আলম বলেন, প্রধান শিক্ষিকাকে মিথ্যা অভিযোগের প্রেক্ষিতে অত্র বিদ্যালয় হইতে বদলি করা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। বিদ্যালয়ের স্বার্থে তার বদলি আদেশ বাতিল করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
আলীকদম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বাসু দেব কুমার সানা বলেন, প্রধান শিক্ষিকা হুমায়রা বেগমের বদলির কোন অফিস আদেশ আমরা পায়নি। বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য বিদ্যালয় গমন করে সকলকে বলে এসেছি।
॥ মিরসরাই প্রতিনিধি ॥ চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্যকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব। সোমবার (২০ মার্চ) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন আজমনগর নাহার ডেইরী প্রকল্পের পূর্ব পার্শ্বস্থ করেরহাট সড়কের উপর থেকে এই ডাকাতদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলো, আবদুল কাদের (৩৬), জানে আলম (২৫), এনামুল হক (৩৬), জানে আলম চৌধুরী সোহেল (২৩)। সোমবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিয়টি জানানো হয়। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৭ এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়াত জামিল ফাহিমের নেতৃত্বে র্যাবের একটি চৌকশ দল উপজেলার আজমনগরস্থ করেরহাট সড়কের উপর থেকে এই চার আন্তঃজেলা ডাকাতকে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো চ ৫১-৮৯১৬) সহ গ্রেফতার করে।
এসময় গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ১ টি ৭.৬৫ মিঃ মিঃ বিদেশী পিস্তল, ০১ ম্যাগজিন, ০২ রাউন্ড গুলি, ০১ রাউন্ড গুলির খালি খোসা, ০২ টি ছুরি, ০১ টি রাম দা ও নগদ ১১,৬২৭ টাকা উদ্ধার করা হয়।
পরে উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গ্রেফতারকৃতদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ লামায় ২শত টাকার জন্য মেরে যুবকের পা ভেঙ্গে দিয়েছে দোকান মালিক। রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টায় লামা বাজারের গজালিয়া জীপ স্টেশনে মাহাবুব আলমের ফার্ণিচার দোকানে এই ঘটনা ঘটে। আহত হাবিবুল ইসলাম (২৫) লামা সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মেরাখোলা মুসলিম পাড়া এলাকার মাহাবুব আলমের ছেলে। ড্রাইভার সেলিম লামা পৌরসভার চেয়ারম্যান পাড়ার মৃত মোজাহার মিয়ার ছেলে।
আহত হাবিবুল ইসলাম জানায়, সে পেশায় একজন কাঠ মিস্ত্রি। লামা বাজারের মীম ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন মোঃ সেলিম ড্রাইভারের ফার্ণিচার দোকানে কাজ করত। সেলিমের আচার আচরণ ভাল না হওয়ায় সে তার দোকানের চাকুরি ছেড়ে দেয়। এসময় হিসাব করে দোকান মালিক সেলিম হাবিবুল থেকে ১৫ হাজার ২শত টাকা পেত। সেখান থেকে ১৫ হাজার টাকা হাবিবুল আগেই পরিশোধ করেছে। আর মাত্র ২শত টাকা পেত সেলিম। রবিবার রাতে এসে ২শত টাকা দেয় নাই কেন এই বলে তাকে প্রচন্ড মারধর করে বাম পায়ের হাটু ভেঙ্গে দেয়। এসময় তার পকেটে থাকা নগদ ৪ হাজার ৭শত টাকা ও একটি মোবাইল ফোন হারিয়ে যায়।
বর্তমান কর্মরত দোকানের মালিক মাহাবুব বলেন, মূলত হাবিবুল আমার দোকানে কাজ করাই রাগে সে তাকে মেরেছে। এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সেলিমের মুঠোফোনে কল করলে মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।
লামা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শফিকুর রহমান মজুমদার বলেন, হাটু ভাঙ্গার চিকিৎসা আমাদের হাসপাতালে নেই। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হযেছে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জে বিশেষ অভিযানে সংঘবদ্ধ গরু চোর চক্রের ০৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশ।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায় গতকাল সোমবার ভোর রাতে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার সিচনী এলাকায় সন্দেহ জনক ভাবে ঘোরা ফেরা করার সময় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই মাজহারুল ইসলাম সহ সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সের সহায়তায় সংঘবদ্ধ গরু চোর চক্রের ০৫ সদস্যকে আটক করা হয়। আটকৃতরা হলো দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার আস্তমা গ্রামের কমর আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম সুমন(২১), জগন্নাথপুর থানার জগন্নাথপুর গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে আব্দুছ ছোবান, ছাতক থানা এলাকার ভাঁতগাঁও গ্রামের গোলাম হোসেন হিরণের ছেলে মাহতাব উদ্দিন(২৮),একই গ্রামের মৃত আরজক আলী ছেলে দুলন মিয়া(৩২) ও সিলেটের বিশ^নাথ থানা এলাকার গন্ধারকাপন গ্রামের তফুর আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম দুদু মিয়া(২৩)। থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটকৃত চোরেরা অত্র থানা এলাকার বিভিন্ন এলাকায় গরু চুরির ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে স্বীকার করে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) কাজী মোক্তাদির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন জানান আটকৃত চোরদের বিরুদ্ধে ছাতক,জগন্নাথপুর থানায় একাধিক চোরি ও ডাকাতি মামলা রয়েছে। চোরদের কোর্টে চালান দেয়া হয়েছে।
গোলাপগঞ্জ (সিলেট)প্রতিনিধি: গোলাপগঞ্জের আমুড়া ইউপির ধারাবহর গ্রামবাসীর উদ্যোগে আইন শৃঙ্খলা উন্নয়নে জরুরি মতবিনিময় সভা গতকাল সোমবার বিকাল ৪টায় উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের ধারাবহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। আমুড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মইন উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ব্যবসায়ী সামছুল হুদার পরিচালনায় প্রধান অতিথি বক্তব্য দেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্য একেএম ফজলুল হক শিবলী। মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন আইন শৃঙ্খলার উন্নয়নের জন্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে যুব সমাজসহ সর্বস্তরের জনগণ সোচ্চার হতে হবে। ধারাবহর গ্রামবাসীর উদ্যোগে ব্যতিক্রম উদ্যোগ গ্রহণ করায় তিনি গোলাপগঞ্জ মডেল থানার প থেকে সকলকে ধন্যবান জানান। তিনি বলেন বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ আলাদা তারপরও অনেক সময় আইনের ফাঁকে আসামীরা কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বের হয়ে এসে সমাজে নানা অপরাধমুলক কর্মকান্ড করতে থাকে। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ওই সব অপরাধীরা যাতে বের হয়ে না আসতে পারে।
সভায় বক্তারা বলেন যে কোন অপরাধ দমনে ও অপরাধের মুলোৎপাটন করতে গ্রামবাসী সোচ্চার ও ঐক্যবদ্ধ আছেন। প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে গ্রামে আর কোন অপরাধ কর্মকান্ড চলতে দেয়া হবে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন সাবেক ইউপি ইউপি সদস্য মো. আব্দুর রহিম, ফখর উদ্দিন সফই, মো. খলিলুর রহমান, মো. আব্দুুল খালিক, গোলাপগঞ্জ প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি অজামিল চন্দ্র নাথ, আমুড়া ইউপি আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক নাজিমুল হক লস্কর, স্থানীয় মুরব্বি শাহাব উদ্দিন ছওয়াব, ছালেহ আহমদ চৌধুরী ফয়েজ। এসময় উপস্থিত ছিলেন ধারাবহর গ্রামের ব্যবসায়ী শাহরিয়ার পারভেজ লস্কর শিপু, আতিকুর রহমান দুবুল, গোলাপগঞ্জ মডেল থানার উপ পরিদর্শক মঞ্জুরুল ইসলাম, মৃদুল কুমার ভৌমিক, সহকারী উপ পরিদর্শক শংকর চন্দ্র দেব, আনোয়ার, সুমন, বিপ্রেশ, গোলাপগঞ্জ প্রেসকাবের সিনিয়র সহসভাপতি এনামুল হক এনাম, সহসভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুছ, কোষাধ্য রতন মনি চন্দ, নির্বাহী সদস্য জাহেদুর রহমান জাহেদ, দৈনিক যুগান্তর গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি হারিছ আলী, গোলাপগঞ্জ বিয়ানীবাজার ডাকের নির্বাহী সম্পাদক আব্দুল আহাদ, দৈনিক কাজিরবাজার গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি সেলিম হাসান কাওসার, দৈনিক মানচিত্র গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান বাচ্চু, দৈনিক যুগভেরী গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি অনুপম চন্দ্র নাথ, চ্যানেল এস প্রতিনিধি হোসাইন আহমদ, বাংলাভিশন ক্যামেরা পার্সন পাপ্পু তালুকদার প্রমুখ। এদিকে সম্প্রতি আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার জসিম উদ্দিনকে গোলাপগঞ্জ চৌমুহনী থেকে অস্ত্র, ইয়াবা ও মানুষ হত্যার বিষাক্ত পাউডারসহ গ্রেফতার করায় ধারাবহর গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্য একেএম ফজলুল হক শিবলীকে সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটি শহরের ডিসি বাংলোর পার্ক থেকে জঙ্গি সন্দেহে ৬জনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। জঙ্গিরা শহরের নাশকতা সৃষ্টি করতে পার্কে গোপন বৈঠক করছে এমন সংবাদ পেয়ে ডিবি পুলিশ রবিবার (১৯মার্চ) রাতে পাকে অভিযান চালায়। এসময় জঙ্গি সন্দেহে রংপুরের ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতিসহ ৬জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের কাছ থেকে জেহাদি বইসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গেছে, আটককৃতদের মধ্যে রংপুরের পীরগাছা থানার পুলিশ হত্যা মামলাসহ রংপুরের ৭টি মামলার আসামী কারমাইকেল কলেজের ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি হারুনুর রশিদ রয়েছেন। তার নেতৃত্বে রাঙ্গামাটিতে নাশকতা সৃষ্টির জন্য বৈঠক করছিল তারা। এই বৈঠকে ফটিকছড়ি দুইজন ও রাঙ্গামাটির ৩জন শিবির কর্মী যোগ দেয়।
আটককৃরা হলেন, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ইউসুফ বিন মিরাজ ও ইরফানুল হক, রাঙ্গামাটির মোস্তাফা কামাল, সাখাওয়াৎ হোসেন ও মুক্কুর আলম। তাদের বিরুদ্ধে রাঙ্গামাটি কতোয়ালী থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
এব্যাপারে রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন জায়গায় পর পর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা আমাদের অভিযানগুলো জোরদার করছি এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সর্তক অবস্থানে রয়েছে। এই সর্তকর্তামূলক অংশ হিসেবে আমরা বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অভিযান পরিচালনা করছি। রবিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিসি পার্ক সংলগ্ন এলাকায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অভিযান পরিচালনা করি এবং সেখান থেকে আমরা ৬জনকে আটক করি। জঙ্গী সন্দেহে তাদেরকে আটক করা হয় এবং আমাদের সন্দেহ হচ্ছে তারা নাশকতামূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকতে পারে। আমরা তাদের কাছ থেকে কিছু পুস্তক জেহাদী বইসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলামত উদ্ধার করেছি। এইগুলো যাচাই বাছাই করছি এবং তাদের ইতিহাস যাচাই বাছাই করে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
তিনি আরো জানান, যে ৬জনকে আটক করা হয়েছে তার মধ্যে ১জনকে পেয়েছি যার নাম হারুনুর রশীদ সে কারমাইকেল কলেজ ছাত্র শিবিরের সভাপতি ছিল এক সময় এবং তার নিজের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সে রংপুর সদরের তার বিরুদ্ধে ৭টি মামলা রয়েছে এবং পীরগাছা থানায় ১টি মামলা রয়েছে। যে মামলাটি ২০১৩ সালে পুলিশ হত্যা মামলায় জড়িত হিসেবে তার বিরুদ্ধে চার্জশীট দেয়া আছে।
॥ কাজী মোশাররফ হোসেন, কাপ্তাই ॥ কাপ্তাই তথ্য অফিসের উদ্যোগে বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সকল শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ, আনসার, বিজিবি, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার লোকজন মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাপ্তাই তথ্য কর্মকর্তা মোঃ হারুন। তিনি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের কুফল এবং ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন ১৯ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ দিলদার হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তারিকুল আলম, কাপ্তাই সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ আসলাম ইকবাল, ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত বিকাশ তনচংগ্যা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নুর নাহার, কাপ্তাই থানার ওসি রঞ্জন কুমার শামন্ত, কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল লতিফসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।
মত বিনিময় সভায় ১৯ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের চেয়ে ভয়াবহ হলো মাদক। যে একবার মাদকে আসক্ত হয়েছে সে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সাথেও জড়িয়ে যাচ্ছে। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক সেবন নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে যেভাবে ধংস করে তেমনি নিজের দেশকেও ধংস করে ফেলে। একবার যদি কেউ কোনভাবে জঙ্গিবাদের সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে সেখান থেকে বের হয়ে আসা কঠিন হয়ে পড়ে। আর কিছু সন্ত্রাসী গোষ্ঠি আছে যারা কোমলমতি ছাত্রছাত্রী ও সহজ সরল লোকজনকে বিভিন্ন প্রলভোন দেখিয়ে জঙ্গিবাদের সাথে জড়াতে বাধ্য করে।
এই অবস্থা থেকে বের হতে হলে সবার আগে নিজের পরিবারকে সচেতন হতে হবে বলে ১৯ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান মন্তব্য করেন। সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কখন বাসায় ফিরছে, বাহিরে কার সাথে মিশছে, তার আচরণে অস্বাভাবিক কিছু পরিলঙ্খিত হচ্ছে কিনা এরকম অনেক কিছু পরিবার থেকেই নজরদারি রাখতে হবে। যে পরিবার সচেতন সেই পরিবারের কোন সন্তান কখনো সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদেরমত ঘৃন্য কাজে লিপ্ত থাকতে পারেনা। মেজর মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সবসময় সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, আশেপাশে কোন অপরিচিত লোকজন আসা যাওয়া করছেকিনা অথবা পরিচিত জনের মধ্যেও কেউ কোন অস্বাভাবিক আচরণ করছে কিনা লক্ষ রাখার জন্য তিনি পরামর্শ দেন। সে রকম কিছু পরিলক্ষিত হলে তাৎক্ষনিক প্রশাসনকে অবহিত করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান। সমসাময়িক বিষয়ে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ কর্মকান্ড নিয়ে সবাইকে সচেতন করতে মতবিনিময় সভার আয়োজন করায় বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান কাপ্তাই তথ্য অফিসার মোঃ হারুনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বিএনপি জামায়াত দেশের জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশকে একটি অস্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত করতে উঠে পড়ে লেগেছে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য দীপংকর তালুকদার তাদের এই কর্মকান্ড যাতে সফল না হয় তার জন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি ও জামাত আজ দেশে ইতিহাস বিকৃতির এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে। তাদের এজেন্ডা যাতে বাস্তবায়ন না হয় তার জন্য আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন।
গত ১৭ মার্চ শুক্রবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা রাঙ্গামাটি জেলা শাখার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ভাস্কর্য্যরে পাশে র্যালী পরবর্তী আলোচনাসভা, পুরস্কার বিতরনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলার প্রধান উপদেষ্ঠা দীপংকর তালুকদার এসব কথা বলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেছেন, সময়ের প্রয়োজনে বিভিন্ন দেশে অনেক মহামানবের জন্ম হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সে রকমই এক মহামানব। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না এটাই বাস্তবতা। বঙ্গবন্ধুর অবদান বিএনপি-জামাতজোটের অনেকে স্বীকার করতে চাননা, তারা ইতিহাস বিকৃতি করে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াসে সবসময় লিপ্ত থাকে। তাদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে।
১৭ মার্চ রাঙ্গামাটি কলেজ প্রাঙ্গন থেকে বর্নাঢ্য র্যালীর নেতৃত্বে দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। র্যালীটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিও অফিস এলাকায় বঙ্গবন্ধুর মুর্যালে এসে শেষ হয়। পরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সভাপতি মনসুর আহম্মেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী কামাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ রুহুল আমিন, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন। পরে কেক কেটে জন্মদিনের উৎসব পালন করা হয়।
আলোচনা সভা শেষে ৪দিন ব্যাপী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সংগীত পরিবেশিত হয়।