পার্বত্যাঞ্চলে প্রথম স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত শহীদ এম আবদুল আলীর ৪৬ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী শহীদ আবদুল আলীর মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক অর্জন পুরো পার্বত্যবাসীকে গৌরবান্মিত করেছে — মোঃ সামসুল আরেফিন

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথম স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন রাঙামাটি সদর মহকুমার এসডিও শহীদ আব্দুল আলীর ৪৬ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী বৃহস্পতিবার যথাযোগ্য মর্যাদায় রাঙামাটিতে পালিত হয়েছে। রাঙামাটি শহীদ আব্দুল আলী স্কুল এন্ড কলেজ এই উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচী পালন করে।
সকালে রাঙ্গামাটির শহীদ আব্দুল আলী স্মৃতিস্তম্বে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের এই সংগঠককে গভীর শ্রদ্ধা চিত্তে স্মরন করা হয়। পরে রাঙ্গামাটি শহীদ আব্দুল আলী একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল আরেফিন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ সামসুল আরেফিন বলেন, শহীদ আবদুল আলীর মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক অর্জন পুরো পার্বত্যবাসীকে গৌরবান্মিত করেছে। আলহাজ্ব আবদুল বারী মাতব্বর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ যদি এই বীরের নামে না করতেন তবে এই বীরের অসামান্য অবদানও চাপা পড়েই থাকতো। এই বীরকে নিয়ে যখই ইয়াছিন রানা সোহেল লেখালেখি শুরু করেন তখন তা সকলের দৃষ্টিতে আসে। আর প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ একজন ব্যক্তির স্বাধীনতা সংগ্রামে এমন অবদান দীর্ঘদিন লোকজনের অজানাই ছিল। শহীদ এম আবদুল আলীর জীবনীগ্রনন্থ প্রকাশ হওয়ার ফলে আমিও তা জানতে পারি। আর স্বাধীনতা পদক অর্জনের প্রক্রিয়া শুরু করাটাও সহজ হয়। এটি অত্যন্ত কঠিন কাজ হলেও সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই রাষ্ট্রীয় এই সম্মাননা অর্জন সম্ভব হয়েছে। চট্টগ্রামের জেলাপ্রশাসক শহীদ এম আবদুল আলী ও আলহাজ্ব আবদুল বারি মাতব্বর স্মৃতি বৃত্তির ফান্ডের জন্য আর্থিক সহায়তার প্রদানেরও আশ্বাস দেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাজী মোঃ মূছা মাতব্বরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় রাঙামাটির ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, শহীদ আব্দুল আলীর কণ্যা নাজমা আক্তার সিনিয়র সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে, মোস্তফা কামাল, জেলা শিক্ষা অফিসার নির্মল চাকমা, শিক্ষাবিদ তাছাদ্দিক হোসেন কবির , আওয়ামী লীগ নেতা মমতাজুল হক বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্কুলের শিক্ষানুরাগী সদস্য মোঃ শাওয়াল উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাজী মোঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরী। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শহীদ আবদুল আলীর নাতি কবির আব্দুল্লাহ তাপস ও তাঁর সহধর্মিনী।
পরে শহীদ আব্দূল আলীর বিদেহী আতœার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাযাত অনুষ্ঠিত হয়।

পার্বত্য অঞ্চলের প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম একেএম মকছুদ আহমেদের স্বরণে নাগরিক শোকসভা :  পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতার জীবন্ত কিংবদন্তি প্রবীন সাংবাদিককে মরনোত্তর রাষ্ট্রীয় পদকে ভুষিত করার দাবী

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031