॥ মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, খাগড়াছড়ি থেকে ॥ আসছে পাহাড়ী উপজাতীয়দের বৈসাবী উৎসবকে ঘিরে বর্তমান পার্বত্য অঞ্চলের উপজাতী সম্প্রদায়গণ ঘরে-বাহিরে সৌন্দর্য সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি হাতে নিয়েছে। সরেজমিনে দেখে এই প্রতিনিধি উদ্বুদ্ধ হয় যে, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বৈশাখকে আনন্দ উৎসবে গ্রহণ করতে জেলার ৮টি উপজেলায় পাহাড়ী উপজাতীয়রা হরদম ব্যস্ত দিন কাটাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে উপজাতীয় নেতারা জানিয়েছেন, বৈসাবী পালন করতে যেন আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘœ সৃষ্টি না হয় সেদিকে নজর রেখে সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে বৈসাবী পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, পার্বত্য খাগড়াছড়িতে উপজাতীদের প্রাণের উৎসব বৈসাবি। ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বৈসু, মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই ও চাকমা সম্প্রদায়ের বিজু। এই তিন সম্প্রদায়ের আধিক্ষ্যারে মিলিত বৈসাবি। প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও খাগড়াছড়িতে বৈসাবি, বাঙালির ১লা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ দু’টি উৎসব আগামী ১১এপ্রিল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা করবে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ।
গত ১১এপ্রিল সকাল ৯টায় পরিষদ প্রাঙ্গনে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের উদ্বোধনের পর পরই বর্ণিল আয়োজনে সকল সম্প্রদায়ের মিলনমেলায় র্যালি বের করা হবে। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে শেষ হবে। সকাল ১০টায় স্কুল মাঠে শুরু হবে পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী খেলাধূলা, ত্রিপুরাদের গড়াইয়া নৃত্য, মারমাদের পানি উৎসবসহ বর্ণিল কর্মসূচি। এদিকে, বিকালে জেলার বিভিন্ন সেক্টরে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ গুণীজন সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। যা খাগড়াছড়ির ইতিহাসে বর্তমান পাজেপ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী-ই গুণীজন সংবর্ধনা বিগত ২বছর প্রদান করে আসছেন। সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে গত ২২মার্চ পরিষদ মিলনায়তনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বিশেষ কাজে জেলার বাহিরে অবস্থান করায় প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন পাজেপ সদস্য মংসুইপ্র“ চৌধুরী। সভায় বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করা হয়।