টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে জাতিসংঘের বিশেষ দূত

॥ মুহাম্মদ জুবাইর,টেকনাফ ॥  মিয়ানমারের সৃষ্ট সহিংসতায় সে দেশের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মানবিক পরিস্থিতি দেখতে কক্সবাজারের টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শণ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার বিশেষ দূত ইয়াং হি লি। শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে তিনি টেকনাফের দমদমিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প আসেন এবং পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি টেকনাফ নেচার পার্কের অভ্যার্থনা কেন্দ্রে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের ১০ পুরুষ ও ১০ জন নারীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এ সময় রোহিঙ্গারা তাদের ওপর নির্যাতনের কথা বর্ণনা করেন। সফর কালে তার সঙ্গে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও ক্যাম্পে নিয়োজিত আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার কর্তকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এরপর বেলা ১২টার দিকে নয়াপাড়া নিবন্ধিত ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন এবং সেখানেও পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের কথা শুনেন। এসময় রোহিঙ্গারা ব্যানার ফেস্টুনে ‘স্বদেশে ফেরত যেতে হলে মিয়ানমারে নির্যাতন বন্ধ করতে হবে, মিয়ানমার কারাগারে থাকা রোহিঙ্গাদের মুক্তি দিতে হবে, নিজেদের পুরান বসত-ভিটায় থাকতে দিতে হবে, চাকরি ও ভোটাধিকারের ক্ষেত্রে সমান নাগরিক সুযোগ-সুবিধা এবং স্বাধীনভাবে ধর্ম-কর্ম পালনের সুযোগ দিতে হবে’ দাবীগুলো তুলে ধরেন।
এই দলের একজন রোহিঙ্গা মোহাম্মদ রফিক (৩০) বলেন, উক্ত দাবীগুলো মেনে নিলে আমরা ফিরে যেতে চায়।
এরপর বিকালে তিনি হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনছিপ্রাংয়ের রইক্ষ্যংস্থ পুটিঁবনিয়া ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সেখানে কর্মরত এনজিও সমুহের কাজেরমান পর্যবেক্ষণ করে সাধারণ রোহিঙ্গাদের মতামত গ্রহণসহ বিশেষ বৈঠক করেন। তিনি বিভিন্ন ক্যাম্প পরিদর্শনকালে মিয়ানমারে ফেরত যাবে কিনা এবং কোন কোন পদক্ষেপ নিলে তারা ফেরত যাবে সে বিষয়েও জানতে চান।
এরপর সন্ধ্যায় তিনি কক্সবাজারের উদ্দেশ্য ক্যাম্প ত্যাগ করেন। এসময় আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং বিভিন্ন দাতা সংস্থার লোকসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াং হি লি বুধবার রাতে ঢাকায় পৌছান এবং শুক্রবার দুপুরে তিনি কক্সবাজার আসেন। চলতি মাসে তার মিয়ানমার সফরের কথা থাকলেও সে দেশের নিষেধাজ্ঞার কারণে তিনি মিয়ানমারের পরিবর্তে বাংলাদেশে সফরে আসেন। এবার সাত দিনের সফরে ৫ দিন বাংলাদেশে থেকে ২৩ জানুয়ারি থাইল্যান্ড সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে।

মুক্ত গণমাধ্যম চাই : সকল গণমাধ্যমে এক নীতিমালা, তথাকথিত ওয়েজ বোর্ড বাতিল, নিজস্ব বেতন বোর্ড, বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র নীতিমালা নিয়ন্ত্রণ মুক্ত, প্রয়োজনীয় কাঁচামালের মূল্য কমানো ও মফস্বলের পত্রিকাগুলো সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে টিকিয়ে রাখতে হবে

Archive Calendar
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031