॥ আবুল বশর নয়ন, নাইক্ষ্যংছড়ি ॥ রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া-গর্জনিয়া সংযোগ সড়কের উপর খালেকুজ্জামান সেতু সংলগ্ন নির্মিতব্য বালির সড়ক ও ব্রিজ রক্ষার চেষ্টায় সহযোগিতা করছেন এলাকাবাসীর পাশাপাশি কর্মসৃজন কর্মসূচীর মানুষ। গত কয়েকদিন থেমে থেকে ভারী বৃষ্টির ফলে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ জনস্বার্থে এ কাজে এগিয়ে এসেছে।
কচ্ছপিয়া-গর্জনিয়া ইউনিয়নকে বিভক্ত করা বাকঁখালী নদীর উপর খালেকুজ্জামান সেতুর সড়ক বন্যার পানিতে ভেসে যায় ২০১৪সনে। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে কয়েক লাখ মানুষ। সম্প্রতি ভাঙ্গন অংশে বিশেষ পদ্ধতির জিও টেক্সটাইল কাপড়ের বালির বস্তা ফেলে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সড়ক পুন: স্থাপনে কাজ করে যাচ্ছে রামু উপজেলা পরিষদ। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টির ফলে বাকঁখালী নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন সড়কে আচঁড়ে পড়েছে। এ অবস্থায় ব্রিজ ও নতুন সড়কটি রক্ষায় এগিয়ে এসেছে গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম। কর্মসৃজন কর্মসূচীর শতাধিক মানুষকে দিয়ে নদীর গতিপথ রক্ষায় কাজ করানো হচ্ছে। বাকঁখালী নদীতে ভাঙ্গন অংশে নিয়োজিত ঠিকাদার সোহেল সিকদার জানান, ভারী বর্ষণের ফলে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রবল ¯্রােতের কারণে কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। তবে জনস্বার্থে গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এগিয়ে আসায় তিনি ধন্যবাদ জানান।
গর্জনিয়া ইউনিয়নের স্থানীয় যুবক তানজীদ রায়হান জানান, চীনের দু:খ যেমন হোয়াংহো নদী তেমনি আমরা গর্জনিয়ার মানুষের সর্বোচ্চ দুখ হচ্ছে বাকঁখালী নদী। এই করালগ্রাস থেকে রক্ষার জন্য তিনি সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এদিকে রবিবার সকালে বাকঁখালী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম। এসময় তিনি কচ্ছপিয়া ডাকবাংলো সড়কে পানি নিষ্কাষনের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ^াস দেন।