সাজেকে চাদাঁ আদায়ের টাকা সহ তিনজনকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহীনি
॥ মোঃ জুয়েল, সাজেক ॥ রাঙ্গামাটি সাজেকের রেতকাটাছড়া নামক এলাকা থেকে চাদাঁ আদায়ের টাকাসহ মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে পিসিপির সাজেক থানা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রুপায়ন চাকমা(১৮), পিসিপি রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সহ সাধারণ-সম্পাদক রিপন আলো চাকমা(২৫), তথ্য প্রচার সম্পাদক সুমন চাকমা(২১) কে আটক করেছে নিরাপত্তাবাহিনী।
এসময় তাদের কাছে থেকে চাঁদা আদায়কৃত নগত ৩৩,৩৩৬ (তেত্রিশ হাজার তিনশত ছত্রিশ)টাকা, ০৪টি মোবাইল, ০৫টি ব্যাগ, সামরিক বাহিনীর ০২টি প্যান্ট, ০১টি দেশীয় অস্ত্র(ছুরি), চাঁদার রশিদ বই ০৭টি ও গুরুত্বপূর্ণ নথী পাওয়াযায়।
নিরাপত্তা বাহিনী সুত্রে জানায়, অটককৃতরা এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলন করে রেতকাটা ছড়ার একটি ঘরে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয় বলে জানায় সুত্রটি।
আটককৃত রিপন আলো চাকমা নানিয়ারছড় বাকছড়ি মুখ গ্রামের হরিহর চাকমার ছেলে, সুমন চাকমা বাঘাইছড়ির ঝগড়াবিল গ্রামের বিজয় সেন কার্বারীর ছেলে, রুপায়ন চাকমা সাজেকের এ্যাকুজ্যাছড়ি রামুছড়া গ্রামের চন্দ্রজয় চাকমার ছেলে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় একটি সুত্র জানায় ক্ষুদ্র ও বড় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ ইউপিডিএফ’র অধীনে যুব ফোরাম ও পিসিপি’র ছেলেরা একত্রে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কুপন দিয়ে ব্যাপক হারে চাদাঁ আদায় করে আসছে।
এ বিষয়ে সাজেক থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল আনোয়ার বলেন, পিসিপি’র আটককৃত চাদাঁবাজদের বিরুদ্দে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং তাদের কে কোর্টে প্রেরনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
রোববার চট্টগ্রামে নৌ ঘাঁটি ঈশা খাঁয় তিনি বাংলাদেশের প্রথম দুটি সাবমেরিন ‘বানৌজা নবযাত্রা’ ও ‘বানৌজা জয়যাত্রা’র কমিশনিং ফরমান হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে জনগণের উন্নয়ন করতে চাই। তবে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে আমাদের যা যা প্রয়োজন, আমরা সংগ্রহ করব।
“আমরা কারও সাথে কখনো যুদ্ধে লিপ্ত হতে চাই না। যদি কেউ আমাদের আক্রমণ করে, আমরা যেন তার সমুচিত জবাব দিতে পারি, সেই প্রস্তুতি আমাদের সব সময় থাকবে।… এজন্য যা যা করণীয় আমরা করে যাচ্ছি।”
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি সত্যিকারের ‘ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে’ রূপান্তরের যে প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছিলাম, সাবমেরিন অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে তা পূরণ হল।
“আমাদের সকলের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন-ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী গঠনের অংশ হিসেবে দুটি সাবমেরিন বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সংযোজন করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত,” বলেন তিনি।
চীনে তৈরি ০৩৫ জি টাইপ অ্যাটাক সাবমেরিক বানৌজা ‘নবযাত্রা’ও বানৌজা ‘জয়যাত্রা’ দৈর্ঘ্যে ৭৬ মিটার, প্রস্থে ৭ দশমিক ৬ মিটার। টর্পেডো ও মাইনে সজ্জিত সাবমেরিন দুটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭ নটিক্যাল মাইল এবং ডিসপ্লেসমেন্ট এক হাজার ৬০৯ টন।
নৌবাহিনীর এ দুটি যুদ্ধযান শত্রু জাহাজ ও সাবমেরিনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণসহ যুদ্ধকালীন দায়িত্ব পালনে সক্ষম বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
বিশ্বের ‘গুটিকয় দেশ’ সাবমেরিন পরিচালনা করে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সেই তালিকায় আজ থেকে বাংলাদেশের নাম স্থান পেয়েছে। জাতি হিসেবে এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত সম্মান ও মর্যাদার বিষয়।”
বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাতিসংঘের জন্য আন্তর্জাতিক জলসীমায় টহল দিয়ে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ‘অনন্য নজির স্থাপন করছে’ বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
চীনের দালিয়ান প্রদেশের লিয়াওনান শিপইয়ার্ডে গত বছরের ১৪ নভেম্বর এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদের কাছে সাবমেরিন দুটি হস্তান্তর করেন চীনের রিয়ার অ্যাডমিরাল লিউ জি ঝু।
বাংলাদেশ ও চীনের নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নাবিকদের যৌথ তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ ও ‘সি ট্রায়াল’ শেষে গত ২২ ডিসেম্বর সাবমেরিন দুটি চট্টগ্রামে আসে।
সাবমেরিন দুটির আধুনিকায়ন, ক্রুদের প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহযোগিতার জন্য চীন সরকার এবং দেশটির নৌবাহিনী ও জনগণকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
সেই সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন দুটির ক্রুদের অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এটি একটি ‘বিরল সৌভাগ্য ও সম্মানের’ বিষয়।
“সাবমেরিন পরিচালনার ঝুঁকি আছে। তেমনি অত্যন্ত গর্বেরও বটে। আপনাদের প্রশিক্ষণ ও উদ্যোগে কাজে লাগিয়ে যখন কাজ করবেন তখন এই কঠিন কাজটিও আপনাদের জন্য সহজ হয়ে যাবে।”
ক্রুদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, “আপনারা নবীন ক্রু। আপনাদের লক্ষ্য হবে সমুদ্রে সফলভাবে সাবমেরিন চালনার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে প্রকৃত অপারেশনের জন্য প্রস্তুত হওয়া।”
নবগঠিত এই সাবমেরিন আর্মকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ শাখা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যে নীতিমালা, অবকাঠামো ও ইক্যুইপমেন্ট দরকার তা তৈরির ক্ষেত্রেও ক্রুদের অবদান রাখার তাগিদ দেন সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, “দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে অসীম সাহসের সাথে সাবমেরিন চালনার চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতে হবে।”
একাত্তরে চট্টগ্রামে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর সরবরাহ লাইন পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া অপারেশন জ্যাকপটের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্বাধীনতা যুদ্ধে অপারেশন জ্যাকপট পরিচালনার কেন্দ্রে ছিলেন দেশপ্রেমী এবং অকুতোভয় একদল প্রশিক্ষিত সাবমেরিনার।”
সাবমেরিনের সকল মিশনের সাফল্য কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাঙালি জাতির ইতিহাস বীরের ইতিহাস। কাজেই আমি নিশ্চিত, আপনাদের দেশপ্রেম, মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে এই সাবমেরিন দুটির সর্বোত্তম ব্যবহার আপনারা নিশ্চিত করবেন।”
আন্তর্জাতিক আদালতের মামলার রায়ে মিয়ানমারের কাছ থেকে ১ লাখ ১১ হাজার ৬৩১ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকা এবং ভারতের কাছ থেকে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকার ওপর কর্তৃত্ব অর্জনের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সমুদ্রসীমার সম্পদ কাজে লাগিয়ে যেন আমরা আর্থসামাজিক উন্নয়ন করতে পারি। আমরা এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে নৌ-বাহিনীকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলেছি।”
নৌবাহিনীর উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলোর কথাও প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি চীন থেকে সংগ্রহ করা অত্যাধুনিক করভেট নৌবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি করেছে। পাশাপাশি যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণে নিজস্ব সামর্থ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। খুলনা শিপইয়ার্ডে প্রথমবারের মত এলপিসি তৈরির কাজ চলছে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত চট্টগ্রাম ড্রাইডকে ফ্রিগেট নির্মাণ প্রকল্পের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে যুদ্ধজাহাজ নির্মাণে বাংলাদেশ ‘অনেকটা স্বয়ংসম্পূর্ণতা’ অর্জন করবে। সমুদ্রে বিভিন্ন ‘অপ্রথাগত হুমকি’ মোকাবিলার জন্য নৌবাহিনীর স্পেশাল ফোর্সও গঠন করা হয়েছে।
ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী গঠনের লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের সময়ে হেলিকপ্টার ও মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফ্ট নিয়ে গঠিত হয় নেভাল এভিয়েশন।এর বহরে শিগগিরই আরও মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও আধুনিক সমর সরঞ্জাম সম্বলিত হেলিকপ্টার যুক্ত করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
নৌবহর বৃদ্ধির পাশাপাশি নৌবাহিনীর নিজস্ব বিমান ও সাবমেরিন ঘাঁটিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর উন্নয়নে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এর ধারাবাহিকতায় পটুয়াখালীর রাবনাবাদ এলাকায় ‘বানৌজা শেরে বাংলা’ নামে নৌবাহিনীর সর্ববৃহৎ নৌঘাঁটির ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নাবিকদের আবাসন এবং প্রশিক্ষণ সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা নৌ-অঞ্চলে বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্পের কথাও প্রধানমন্ত্রী বলেন।
সাবমেরিন সংযোজনের সঙ্গে সঙ্গে এর নিরাপত্তা, রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, “সাবমেরিনের জন্য পৃথক ঘাঁটি নির্মাণসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির কার্যক্রম চলমান রয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে সাবমেরিন দুটির অধিনায়কদের হাতে কমিশনিং ফরমান তুলে দেন এবং নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে নামফলক উন্মোচন করেন।
মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সেনা ও বিমান বাহিনী প্রধান, সংসদ সদস্য, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন এ অনুষ্ঠানে।
১০ই মার্চ ২০১৭, শুক্রবার বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম চকবাজারস্থ বিজ্ঞান পরিষদ ভবনে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদ, চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি অধ্যাপক ডা. দেবব্রত ভট্টাচার্য্যরে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত “টিউমার ও ক্যান্সার চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি” বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাহোপ কেন্দ্রীয় সংসদের মহা-সচিব ডা. অঞ্জন কুমার দাশ। প্রধান বক্তা ছিলেন বিশিষ্ট রসায়নবিদ অধ্যাপক ডা. চয়নকৃষ্ণ দাশ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাহোপ মহা নগর সভাপতি ডা. মৃদুল কান্তি দে, জেলা সহ-সভাপতি ডা. মোহাম্মদ আবদুর রহমান, ডা. সাধুন চন্দ্র পাল, অধ্যাপক ডা. যহরলাল ভট্টাচার্য্য আলহাজ, ডা. এস.এম ছালেহ জাহাঙ্গীর, ডা. আ.ক.ম রফিকুল ইসলাম, ডা. এম.এ গণি, ডা. সাকিনা আকতার লাকী, ডা. সুজিত কুমার পাল। উক্ত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ “টিউমার ও ক্যান্সার চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি উপস্থাপন করেন বাহোপ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও ত্রান সম্পাদক লায়ন ডা. প্রণব রঞ্জন বিশ্বাস। প্রভাষক ডা. মোহাম্মদ এনামুল হক এনামের সঞ্চালনায় প্রবন্ধের উপর অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লায়ন ডা: প্রণব রঞ্জন বিশ্বাস, ডা. রতন কুমার বণিক, ডা. মঞ্জুর চৌধুরী, ডা. মোহাম্মদ ইয়াদুল রিফাত, ডা. লুৎফুনেসা, ডা. সুবির দত্ত, ডা. মোহাম্মদ সাজেদ উল্লাহ, ডা. নুরুল ইসলাম, প্রধান অতিথি বলেন হোমিওপ্যাথি রোগের নাম ধরে যেহেতু চিকিৎসা করে না, রোগীর ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য ভিত্তিক চিকিৎসা করেন, সেহেতু টিউমার ও ক্যান্সার চিকিৎসার হোমিওপ্যাথি সফলতা খুব বেশি বর্তমান সময়ে।
ডা. ফজলুল আমীনের ৪১তম
মৃত্যুবার্ষিকী আজ
আজ ১০ মার্চ (শুক্রবার) প্রখ্যাত চিকিৎসক পিএইচ আমীন একাডেমির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ডা. ফজলুল-হাজেরা মহাবিদ্যালয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক ও সাবেক মন্ত্রী ডা. মো. আফছারুল আমীন এমপি‘র শ্রদ্ধেয় পিতা মরহুম ডা. ফজলুল আমীন সাহেবের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষ্য মরহুমের দক্ষিণ কাট্টলীস্থ বাসভবনে বাদ আছর মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দোয়া মাহফিলে মরহুমের আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব এবং শুভানুধ্যায়ীদের অংশগ্রহণ করতে মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে। (খবর বিজ্ঞপ্তি
মিরসরাইয়ে ২৯ টি অবিস্ফোরিত গ্রেনেড সহ বিপুল
পরিমান বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার
॥ মিরসরাই প্রতিনিধি ॥ চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ বিপুল পরিমান অবিস্ফোরিত গ্রেনেড, বিস্ফোরক দ্রব্য ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১০ টা থেকে পুলিশের একটি যৌথ দল কুমিল্লায় আটক জঙ্গীদের নিয়ে মিরসরাই পৌরসভার ০৪ নং ওয়ার্ডের পূর্ব গোভনিয়ার রেদোয়ান মঞ্জিলের দুইতলা বাড়ির নিততলার এই আস্তানায় বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে এসব জিনিস উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সকাল ১১ টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা জেলার চান্দিনার কুটুম্বপুর এলাকায় অভিযানে আটক দুই জঙ্গি মাহমুদুল হাসান ও জসিম উদ্দিনের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, মিরসরাই পৌরসভার পূর্ব গোভনীয়ার রেদোয়ান মঞ্জিলে তাদের আরেকটি আস্তানা রয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, কুমিল্লা জেলা পুলিশ, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ ও সিএমপি’র বোমা/বিস্ফোরক ডিসপোজাল ইউনিট যৌথভাবে মঙ্গলবার রাত ১০ টা থেকে বুধবার ভোর ৬ টা পর্যন্ত ৮ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের ভাড়া নেওয়া বাসা থেকে ২৯ টি অবিস্ফোরিত গ্রেনেট, ৪০ টি পাওয়ার জেল, ২৮০ প্যাকেট কার্বন স্টীলবল, ছোট-বড় ০৯ টি চাপাতি, ১১ কেজি বিস্ফোরক সদৃশ্য পাউডার ও বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন রকমের সরঞ্জাম, আই এস এর সিল সংবলিত আরবী হরফের লেখা কালো একটা জিহাদী পতাকা, ৭টি কালো পাঞ্জাবী, বিস্ফোরক বহনের ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। জঙ্গিদের ওই আস্তানায় প্রাপ্ত বিস্ফোরক দ্রব্য গুলো মধ্যে ঝুকিপূর্ণ নয় এমন জিনিস গুলো বুধবার সকালেই পুলিশ তাদের হেফাজতে নেয় এবং ঝুকিপূর্ণ অবিস্ফোরিত গ্রেনেটগুলো বুধবার বিকালবেলা খোলা মাঠে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বোমা নিস্ক্রিয়করন দলের সদস্যরা নিস্ক্রিয় করে।
এ ব্যাপারে, চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা দুপুর ১টায় ওই বাড়ির সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, গতকাল কুমিল্লার চান্দিনায় আটক জঙ্গিদের তাৎক্ষনিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই বাড়িটিতে অভিযান চালানো হয়েছে। এসময় তিনি আরো জানান, মিরসরাইয়ের এই বাসাটি আটক জঙ্গী মাহমুদ হাসান চলতি বছর ফেব্রুয়ারীর ১ তারিখে তার বোন এবং ভগ্নিপতি সহ থাকবে বলে ভাড়া নিলেও তারা ওই বাসায় উঠেন চলতি মাসের ১ তারিখে। এখানে জঙ্গিদের আস্তানা কিনা এমন এক প্রশ্নে পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা বলেন, জঙ্গিরা তাদের সুবিধা মতো কিছুদিন পর পর তাদের বাসস্থান পরিবর্তন করে এবং নাশকতা মূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে, তাই আমরা এই বাসাটিকে ঠিক জঙ্গি আস্তানা বলবো না। এসময় তিনি এলাকাবাসিকে এই বিষয়ে ভয় না পেয়ে শান্ত থাকার আহবান জানান।
এ বিষয়ে মিরসরাই এসসপি সার্কেল ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান জানান, আটককৃত জঙ্গীরা ভুয়া পরিচয় পত্র ব্যবহার করে এখানে বাসা ভাড়া নিয়েছিলো। জিজ্ঞাসা বাদের জন্য বাড়ির মালিক রেদোয়ানকে আটক করা হয়েছে। এবিষয়ে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক সংগঠন আনোয়ারার ৩নং রায়পুর ইউনিয়ন জনকল্যাণ সংস্হার কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বিকাল ৫টায় রায়পুর গাউছিয়া মাদ্রসা হল রুমে জনকল্যাণ সংস্হার এক বিশেষ সাংগঠনিক সভায় এই কমিটি গঠিত হয়। গত সাধারণ সভার সিন্ধান্তের আলোকে এ সভা ও সাংগঠনিক কমিটি গঠিত হয়। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাষ্টার আহমদ ছফা। সভাটি সঞ্চালন করেন সংগঠনের সাবেক নির্বাচিত সভাপতি এম. আলী হোসেন।
পবিত্র কোরাণ তেলোয়াতের মাধ্যমে সভার সূচনা হয়। সভায় সার্বিক আলোচনা, ইউনিয়নের বর্তমান অবস্হা বর্ণনা ও পর্যালোচনা করে সংগঠনকে মজবুত, টেকসই ও গতিশীল করার লক্ষ্যে অভিক্ষ, দক্ষ ও সাংগঠনিক ব্যাক্তিদের সম্বনয়ে একটি শক্তিশালী কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটিতে বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা ও সমাজসেবক এস এম জামাল উদ্দিনকে সভাপতি করা হয়। সাধারণ সম্পাদক করা হয় সাংবাদিক এম. আলী হোসেনকে। যিনি এই সংস্হার সাবেক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন ও পরে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। গেল আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম অনলাইন প্রেসক্লাব ও আনোয়ারা ডায়াবেটিক হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির অধ্যাবদি দায়িত্বরত আছেন। চট্টগ্রাম রোগী কল্যাণ সমিতির আজীবন সদস্য সহ তিনি অসংখ্য সামাজিক ও মানবকল্যাণমূলক সংগঠনের সাথে সম্পৃত্ত আছেন। সংস্হার সিনিয়র সহ সভাপতি হন আনোয়ারা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব হাফেজ আবুল হাসান কাশেম ও সহ সভাপতি হলেন জীবন বীমা কর্পোরেশনের কর্মকর্তা আকতার কামাল চৌধুরী। সহ- সাধারণ হন এডভোকেট মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। সাংগঠনিক সম্পাদক হন তরুন সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী আবু ছাদেক চৌধুরী খোকন। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে হাফেজ মুহাম্মদ ইউনুছ ও অর্থ সম্পাদক পদে তরুন সমাজসেবক ও চুন্নাপাড়া হাজামপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সম্পাদক আবদুল মান্নান। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে কাফকো কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইউনুছ ও দপ্তর সম্পাদক পদে মেম্বার আবদুচ ছালেককে দায়িত্ব দেন।এ ছাড়া তরুন সমাজসেবক আবদুল মাবুদকে পাঠাগার, সমাজসেবক আবদুল আলীমকে শিক্ষা ও কারিগরী সম্পাদক এবং কামরুল ইসলামকে সমাজকল্যাণ ও আপ্যায়ন সম্পাদক পদে দায়িত্ব পান।নিবার্হী সদস্য হন সাবেক সংস্হার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর আজাদ. সাবেক ইউপি মেম্বার আবদুল জব্বার তালুকদার ও বিশিষ্ঠ বীমাবীদ মাষ্টার মুহাম্মদ ইউসুফ।
সাংবাদিক এম. আলী হোসেনের মায়ের মৃত্যুতে বিশেষ দোয়া মাহফিল
রায়পুর জনকল্যাণ সংস্হার সাধারণ সভায় সাংবাদিক এম. আলী হোসেনের মা মাবিয়া খাতুনের মৃত্যুতে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মাহফিলে মুনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আবুল বশর। ২১ ফেব্রুয়ারী জোহরের আগে রায়পুর গাউছিয়া মাদ্রসা হল রুমে এই দোয়া মাহফিল ও মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।এই মাহফিলে মাষ্টার আহমদ ছফা সভাপতিত্ব করেন ও সকল সদস্যগণ মুনাজাতে অংশ নেন। প্রসংগত মরহুমা মাবিয়া খাতুনের মেঝো ছেলে সাংবাদিক এম. আলী হোসেন এই সংস্হার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি ওই সংস্হার আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন।
মিরসরাইয়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার করতে গিয়ে হামলায় এক এস আই সহ তিন পুলিশ সদস্য আহত
মিরসরাই প্রতিনিধি :::
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে চেক প্রতারণা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে গ্রেফতার করতে গিয়ে এক এস আই সহ আরো দুই পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) রাত আনুমানিক আটটার সময় মিরসরাই উপজেলার ৯নং ইউনিয়নের গড়িয়াইশ গ্রামে ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হক সাব কে গ্রেফতার করতে গেলে এই ঘটনা ঘটে। হামলায় আহরা হচ্ছেন, মিরসরাই থানার এস আই শফিকুল ইসলাম, কনস্টেবল শাহ আলম ও আনসার সদস্য মুজিবর রহমান। আহতদের মস্তাননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি দেয়া হয়েছে। উক্ত ঘটনায় পুলিশ দুই জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাত ৮ টার সময় মিরসরাই থানার এসআই শফিকুল ইসলাম পিপিএম এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গড়িয়াইশ গ্রামে চেক প্রতারণার মামলায় ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী হকসাবকে আটক করার জন্য যায়। এক পর্যায়ে আসামী হক সাব কে আটক করে নিয়ে আসার সময় হটাৎ স্থানীয় মসজিদের মাইকে ডাকাত বলে ঘোষনা দিলে স্থানীয় লোকজনের হামলার শিকার হয় ওই তিন পুলিশ সদস্য। এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় এস আই শফিকুল ইসলাম ও আরেক পুলিশ সদস্য ওই স্থান থেকে সরে আসতে পারলেও আনসার সদস্য মুজিবুর রহমানকে স্থানীয় লোকজন আটক করে রাখে। পরে মিরসরাই থানা থেকে একদল পুলিশ গিয়ে ওই আনসার সদস্যকে উদ্ধার করে।
উক্ত ঘটনায় মিরসরাই থানায় ৮ জনকে সুনিদিষ্টভাবে ও অজ্ঞাতনামা আরো ২০ জনকে আসামী করে একটি মামলা (নং-১০, তাং-২৫.০২.১৭) দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মিরসরাই থানার সেকেন্ড অফিসার মো. অলিউল সাংবাদিকদের জানান, সাজাপ্রাপ্ত এক আসামী গ্রেফতার করতে গেলে সন্ত্রাসীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে এক এসআই সহ পুুলিশের আরো দুই সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
২০০১ এর নির্বাচনের পর বিএনপি মিরসরাইতে সুনীল সাধু, রেবতী মোহন জলদাস সহ ২৯ জনকে হত্যা করেছে
—- মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন
॥ মিরসরাই প্রতিনিধি ॥ বাংলাদেশ পুলিশের উদ্দেশ্য হলো, সমাজের সব শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে পুলিশের সৌহার্দপূর্ন সর্ম্পক গড়ে তুলে সবধরনের পুলিশি সেবা আন্তরিকভাবে জনগনের দোরগোড়ায় পৌছে দেয়া। কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে পুলিশিং কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে। একশ্রেণীর দালালরা সাধারণ মানুষকে পুলিশি সেবার কথা বলে হয়রানী করে থাকে, তাই দালালের মাধ্যমে যেন জনগন পুলিশকে চিনতে না হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পাতিবার) মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন জোরারগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জেলা কমিউনিটি পুলিশের মহাসমাবেশে প্রধান আলোচকের বক্তৃতাদানকালে বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বিপিএম পিপিএম এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বতর্মান সময়ে বাংলাদেশের অন্যতম জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে জঙ্গীবাদ। জামায়াত ইসলাম ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করছে। তারা মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বিপদগামী করছে। তিনি জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের সন্তানদের দিকে লক্ষ্য রাখুন। পারিবারিক ভাবে বাবা-মায়েরা সন্তানের প্রতি খেয়াল রাখলে দেশ থেকে জঙ্গীবাদ অনেকাংশে নিমূল হয়ে যাবে।
উক্ত সমাবেশের প্রধান অতিথি গৃহায়ন ও গনপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেন, বিএনপি দেশের জনগনকে উপহার দিয়েছে চুরি ডাকাতি রাহাজানি আর সন্ত্রাস। ২০০১ এর নির্বাচনের পর বিএনপি মিরসরাইতে সুনীল সাধু, রেবতী মোহন জলদাস সহ ২৯ জনকে হত্যা করেছে। কিন্তু আমরা ক্ষমতায় আসার পর ফিরিয়ে এনেছি শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছি। এই সময় তিনি সব শ্রেণীর মানুষকে পুলিশের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
চট্টগ্রামের জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনার সভাপতিত্বে, আবৃত্তি শিল্পী জাভেদ হোসেন ও অনিন্দিতা দত্ত’র সঞ্চালনায় উক্ত মহাসমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক শামছুল আরেফিন, ডি আইজি চট্টগ্রাম রেঞ্জ শফিকুল ইসলাম বিপিএম, পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার, উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য ও মিরসরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ আতাউর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাহাব উদ্দিন, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহছানুল হায়দার চৌধুরী, সীতাকুন্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আল মামুন, ১নং করেরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন।
সমাবেশে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক শামসুল আরেফিন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিডিএর সদস্য জসিম উদ্দিন, জেলা কমিউনিটি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক মাহাতাব উদ্দিন হাসান, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন ফরিদ, মিরসরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ইয়াসমিন শাহীন কাকলী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, বারইয়ারহাট পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিন, মিরসরাই পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দিন, জোরারগঞ্জ থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর সভাপতি জহির উদ্দিন ইরান, সীতাকুন্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইফতেখার হাসান, মিরমরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইরুল ইসলাম, জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল কবির চৌধুরী প্রমুখ।
জেলা কমিউনিটি পুলিশের মহা সমাবেশে আইজিপি শহীদুল হক
জনগনের সহযোগিতা ছাড়া পুলিশের কাজ করা সম্ভব নয়
॥ মিরসরাই প্রতিনিধি ॥ মানুষ আগে বিভিন্ন সমস্যার জন্য পুলিশের কাছে সরাসরি না এসে এক শ্রেণীর দালালের সাহায্য নিতো। কমিউনিটি পুলিশের বদৌলতে এখন মানুষের ধারনার পরিবর্তন হয়েছে, সাধারন মানুষের সাথে পুলিশের দুরত্ব কমে গিয়ে এখন বন্ধুত্বের সর্ম্পক গড়ে উঠেছে। কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ, মাদক ও সর্বনাশা জঙ্গীবাদের দীর্ঘ স্থায়ী ক্ষতিকর প্রভাব সর্ম্পকে সাধারণ জনগনকে সচেতন করবে। পুলিশের উদ্দেশ্য হলো, সব শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে পুলিশের সৌহার্দপূর্ন সর্ম্পক গড়ে তুলে আন্তরিকভাবে সেবা পৌছে দেয়া।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ হাই স্কুল মাঠে বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি শহীদুল ইসলাম জেলা কমিউনিটি পুলিশের মহাসমাবেশে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনার সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, মাননীয় গৃহায়ন ও গনপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। এছাড়া সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক সামছুল আরেফিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাহাবুদ্দীন আহম্মদ, সীতাকুন্ড উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন, রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য ও মিরসরা ইউপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ আতাউর রহমান প্রমুখ। উক্ত সমাবেশে চট্টগ্রামের ১৪টি উপজেলা থেকে কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা অংশগ্রহন করে।