চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্টান কলাউজান ডাঃ এয়াকুব বজলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্টান,বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্টান ১৮মার্চ ১৭ইংসকাল ১১টায় বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে বর্নাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্টিত হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর প্রফেসর ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভী এমপি।উদ্বোধক ছিলেন সাতকানিয়া-লোহাগাড়া নারী উন্নয়ন ফোরামের সভানেত্রী , বিশিষ্ট নারীনেত্রী ও সমাজসেবী মিসেস রিজিয়া রেজা চৌধুরী।বিশেষ অতিথি ছিলেন লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ফিজনুর রহমান,চট্টগ্রাম দক্ষিণের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান মোল্লা,লোহাগাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মাওলানা নুরুল আবছার,লোহাগাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজাহান পিপিএম(বার), কলাউজান ইউপির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ ওয়াহেদ।বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সমাজসেবক মুজিবুর রহমান দুলুর সভাপতিত্বে সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের সাবেক সহকারী এটর্নী জেনারেল এডভোকেট মকবুল আহমদ,চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান চিকিৎসক ডাঃ মোস্তফিজুর রহমান,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ ইসমাইল,নরসিংদী জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চন্দন কান্তি নাথ,সরকারী মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোমিনুল ইসলাম,নরসিংদী জেলার সহকারী জজ সাদ্দাম হোসেন ও চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোহাগাড়া জোনাল অফিসের ডিজিএম মোহাম্মদ বেলায়েত হেসেন।শিক্ষিকা লায়লা বিলকিস ও ধারা ভাষ্যকার মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্টানে আরো উপস্হিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাষ্টার ফরিদুল আলম আলম,আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল জব্বার,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম গণি সম্রাট,দক্ষিণ জেলা যুবলীগ সদস্য নুরুল আলম জিকু, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক মিজানুর রহমান,যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন।
অনুষ্টানের পুর্বে কলাউজানবাসীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রস্তাবিত কলেজের নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্হাপন করেন প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক।এছাড়াও সংবর্ধিত প্রাক্তন কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেষ্ট প্রদান ও কলাউজান জয়নগরসহ বিভিন্ন এলাকায় ১২৫পরিবারের মাঝে বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন করেন সাংসদ ড.নদভী এমপি।প্রধান অতিথি মাননীয় এমপি বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে।যার ধারাবিকতায় বছরের শুরুতে নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়েছে।
তথ্য প্রযুক্তির শিক্ষায় সুশিক্ষিত হয়ে যোগ্য নাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশ সকল ধরনের জঙ্গী ও সন্ত্রাস মুক্ত হবে ইনশাআল্লাহ। কোন দেশদ্রোহী কে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেয়া হবে না। জঙ্গীরা দেশ ও জাতির শত্রু। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসীদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।শিক্ষার্থীরা যাতে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের দিকে অগ্রসর হতে না পারে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে অভিভাবক ও অভিভাবিকাদের কে সচেতন হওয়ার জন্য আহবান জানান।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন উপলক্ষে সারা বাংলাদেশে হামদর্দের সকল চিকিৎসা কেন্দ্রের ন্যায় বৃহত্তর চট্টগ্রাম জোনের নিয়ন্ত্রণাধীন ২৬ টি চিকিৎসা কেন্দ্রে সকাল ১০ টা হতে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ফ্রি-মেডিকেল ক্যাম্প এর আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে সমাজের গণ্যমান্য জন প্রতিনিধি/ সমাজ সেবক/ হামদর্দ পৃষ্ঠপোষক শুভানুধ্যায়ী ও বিশিষ্ট চিকিৎসকবৃন্দ উপস্থিত থেকে এ সকল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের শুভ উদ্বোধনসহ গরীব অসহায় ও দু:স্থ রোগীদের হাতে বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ করা হয়।
ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও আগত রোগী সাধারণ ও শিশু কিশোরদের হামদর্দ এর ঐতিহ্যবাহী শরবত রুহ আফজা দিয়ে আপ্যায়ন এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান করা হয়। বিভিন্ন স্তরের মানুষ ও রোগী সাধারণ এই আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
হামদর্দ সারাদেশে প্রায় ৩০০ চিকিৎসা কেন্দ্রের মাধ্যমে জনসাধারণকে ফ্রি-চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার উন্নয়নে ইতোমধ্যে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া (ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা সেতুর টোল প্লাজার পার্শ্বে) হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এছাড়াও হামদর্দ পাবলিক কলেজ, রৌশনজাহান ইষ্টান মেডিকেল কলেজ লক্ষীপুর, বগুড়া ইউনানী মেডিকেল কলেজ, হাকীম সাঈদ ইষ্টান মেডিকেল কলেজ, ঢাকা, প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে হামদর্দ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবতার কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
হামদর্দ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, জ্ঞান অন্বেষণের মাধ্যমে মানুষ একদিন প্রকৃতিকে জয় করবে। প্রতিষ্ঠিত হবে রোগ দৌর্বল্য, কুসংস্কার, অশিক্ষা ও দারিদ্রমুক্ত একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্ম বার্ষিকী পালন উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ও দক্ষিন জেলা এবং মহানগর আওতাধীন বিভিন্ন ওয়ার্ড থানা কমিটির উদ্যোগে দিন ব্যাপী কর্মসূচীর মাধ্যমে পালিত হয়। এসব কর্মসূচীর মধ্য ছিল। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্য দান,কেক কাটা, বঙ্গবন্ধুর ভাষন প্রচার, মিলাদ মাহফিল এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন বৃত্তিক আলোচনা সভা। চট্টগ্রাম মহানগর সৈনিক লীগের আলোচনা সভা ও কেক কাটা অন্ষ্ঠুান রাত ৮ ঘটিকায় জিপিও চত্তরে সংগঠন মহানগর সভাপতি মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক রায়হান নেওয়াজ সজীবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় দায়িত্ব প্রাপ্ত ও মহানগর সৈনিক লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি শাহজাদা মাসুদ আকবরী, উত্তর জেলার সভাপতি বকতেয়ার হোসেন তালুকদার, মহানগর সহ সভাপতি মাহবুবুর রহমান পূর্ব সহ মহানগর সম্পাদক মন্ডলী সদস্য বৃন্দ এ ছাড়া ২৮নং পাঠানটুলী ওয়ার্ড সৈনীক লীগের কেক কাটা ও আলোচনা সভা ওয়ার্ড আহ্বায়ক ইউনুস সর্দ্দারের সভাপতিত্বে সকাল ৯ ঘটিকায়, ২৯নং ওয়ার্ড সৈনিক লীগের কেক কাটা ও আলোচনা সভা সকাল ১০ ঘটিকায় যুগীঁ চাঁদ মসজিদ লেইনস্থ সংগঠনের দলীয় কার্যালয়ে ওয়ার্ড সৈনিক নেতা আরিফ মহি উদ্দিনের সভাপত্বি ৩০ নং পূর্ব মাদার বাড়ী ওয়ার্ড সৈনিক লীগের সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠিন, সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় পূর্ব মাদারবাড়ী, মাঝিরঘাট লেইন। মহানগর সৈনিক লীগের সহ সভাপত্তি মাহবুবুর রহমান পূর্ব এর সভাপতিত্বে, সদরঘাট থানার সৈনিক লীগের কেক কাটা ও আলোচনা সভা সকাল ১১.৪৫ মিনিটে রবিউল হাসানের সভাপতিত্বে,৩৩নং ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ড সৈনিক লীগের আলোচনা সভাও কেক কাটা অনুষ্ঠান, ফিরিঙ্গী বাজার মোড়ে, মহানগর সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে ,১২.৩০ মিনিটে, ৩৪নং ওয়ার্ড পাথর ঘাটা ওয়ার্ড সৈনিক লীগের কেক কাটা ও বঙ্গবন্ধুর জীবন বৃত্তি নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা, দুপুর ২. ঘটিকায়, মহানগর সৈনিক লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সফি উল্লাহ সভাপতিত্বে, ডবলমুরিং থানার সৈনিক লীগের আলোচনা সভা কেক কাটা অনুষ্ঠান, চৌমুহনী মোড়ে, বিকাল ৩.০০ ঘটিকায় সৈনিক লীগ নেতা মোঃ মনির হোসেনের সভাপতিত্বে, পাঁচ লাইশ থানার সৈনিক লীগের আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠান, বিকাল ৪.০০ ঘটিকায়। সংঘঠনের সভাপতি মোঃ ইলিয়াছের সভাপতিত্বে বিবির হাট মোড়ে, ৯নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড সৈনিক লীগের আলোচনা সভা কেক কাটা অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা ৬.০০ ঘটিকায় মোঃ তাহের মামার সভাপতিত্বে একে খান মোড়ে, বায়েজীদ থানার সৈনিক লীগের আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠান রাত ৮.০০ ঘটিকায় সংগঠনের আহব্বায়ক নাছির উদ্দিন সাকির সভাপত্বিতে বায়েজিদ থানার সামনে অনুষ্ঠিত হয়।
বোয়ালখালী উপজেলার প্রাচীনতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চরণদ্বীপ রজভীয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসায় যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্ম বার্ষিকি ও জাতীয় শিশু দিবস গত ১৭ই মার্চ উদ্যাপিত হয়। দিবসের কর্মসূচীর মধ্যে ছিল জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল।
চরণদ্বীপ রজভীয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও ৭নং চরণদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ শোয়াইব রেজার সভাপতিত্বে ও মাওলানা জিল্লুর রহমান হাবিবীর পরিচালনায় সকাল ১০টায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক এনামুল হক, আরবী প্রভাষক মাওলানা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন নোমানী। অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাব্বির আহমদ, আরবী প্রভাষক মাওলানা মোহাম্মদ ওবাইদুল্লাহ, অধ্যাপক দেলোয়ার হোছাইন, অধ্যাপক কাকন কুমার বদ্য, মাওলানা আব্দুল মালেক, মাষ্টার রিটু কুমার বড়–য়া, মাষ্টার কপিল উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল হালিম অহিদী, মাওলানা মোহাম্মদ শাহ আলম, মাওলানা নুর মোহাম্মদ, মিসেস জুলেখা বেগম, আরজু মরিয়ম মনি, ফারজানা সেহেলী প্রমুখ।
বক্তাগণ বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমির জন্ম হতো না। একটি সুখী, সমৃদ্ধ, আত্মনির্ভরশীল ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দল-মত, শ্রেণী-পেশা ও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে কাজ করতে হবে দেশের জন্য, মানুষের জন্য। আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মুনাজাত করা হয়।
গতকাল ১৫ মার্চ‘১৭ বুধবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে অটো রিক্শা মেট্রো আরটিসি অনুমোদিত ১নং রুটসহ সকল অটোটেম্পো রুটে পারমিট বিহীন হিউম্যান চলাচল বন্ধ। ২০০৭ইং এর নীতিমালা অনুযায়ী অটো রিকশার দৈনিক মালিকের জন্য জমা ৯শত টাকার পরিবর্তে ৬শত টাকা পূর্ণবহাল। ভূঁয়া নিয়োগপত্র দ্বারা রুটে পারমিট নবায়ন বন্ধ, স্বল্প শিক্ষিত দক্ষ অটোটেম্পু চালকদের সহজ শর্তে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান। নগরীর প্রবেশমূখ কাপ্তাই রাস্তার মাথা, নতুন ব্রীজ ও অক্সিজেন এলাকায় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত চট্টগ্রাম জেলা নম্বরের অটো রিকশা চালকদের কাছ থেকে জোর পূর্বক মাসিক টোকেনের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ। ২০০৭ এর অটো রিকশার নীতিমালার আলোকে অটোরিকশা-অটোটেম্পো’র জন্য পার্কিং ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত নো পার্কিং ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির নামে মামলা দেওয়া বন্ধ করাসহ ৫ দফা দাবিতে সংগঠনের সভাপতি মো. ইলিয়াছের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি মহানগর শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, একটি কুচক্রী মহল অসাধু ব্যবসায়িরা বিদেশ হতে মিনি পিকআপ ট্রাক চেসিস আমদানি করে বিআরটিএ’র অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে যাত্রীবাহী হিউম্যান হলার রূপান্তরের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রেশন প্রদান করে সাধারণ স্বল্প আয়ের মালিকদের থেকে নামমাত্র জনা নিয়ে স্বল্প কিস্তির ফাঁদে ফেলে অধিক মূল্যে বিক্রী করে চেচিস ব্যবসায়িরা রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ থেকে তালগাছে পরিণত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, মেট্রো আরটিসি কর্তৃক হিউম্যান হলার চলাচলের জন্য মেট্রো এলাকায় ১৬টি রুট সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু গাড়িগুলি নির্ধারিত রুটে পারমিট না নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কিছু দুষ্কৃতিকারী অর্থলোভী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে চট্টগ্রাম মেট্রো আরটিসি/ বিআরটিএ নির্ধারিত সকল অটোটেম্পো রুটে দিনের পর দিন শত শত পারমিট বিহীন অবৈধ চার চাকার হিউম্যান হলার চলাচরের মাধ্যমে অবৈধ অটেটেম্পো সেক্টরকে ধ্বংস করে চালক-মালিকদের বেকার করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগের সভাপতি বাবু উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, সরকার ইতিমধ্যে অটোরিকশার দৈনিক মালিকের জমা ৬শত টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯শত টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যাহা চট্টগ্রাম মেট্রো এলাকার সিএনজি চালকদের উপর মরার উপর খারার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মালিকের জমা পুন:নির্ধারণের সময় ঢাকা মেট্রো ২৬৯ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় বসবাসরত ১ কোটি ১৮ লক্ষ, ৮৪ হাজার ৪১ জনের জন্য ১৩ হাজার সিএনজি-অটোরিকশার পারমিট প্রদান করেছে। অথচ চট্টগ্রাম মেট্রো পলিটনে ১৬৮.০৭ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বসবাসরত ৬০ লক্ষ জনসাধারণের জন্য ব্যবহারার্থে রুট পারমিট ইস্যূ করা হয়েছে ১৩ হাজার। যা ঢাকা মেট্রো এলাকার তুলনায় ৩ গুণ বেশি। তাই ঢাকা মেট্রো এলাকার সাথে পার্থক্য রেখে চট্টগ্রামের জন্য পূর্বের নীতিমালা অনুযায়ী দৈনিক মালিকের জমা ৬শত টাকা পুর্নবহাল রাখা প্রয়োজন। মানববন্ধন শেষে লাল পতাকা মিছিলসহকারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়রকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। মেয়র সাহেব উক্ত দাবিগুলো যৌক্তিক মনে করে দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরে মিছিল সহকারে মাননীয় পুলিশ কমিশনারকে স্মারকলিপি প্রদান করতে গেলে তাঁর পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অর্থ প্রশাসন) মাসুদুল হাসান স্মারকলিপি গ্রহণ করেন এবং আগ্রহের সহিত তা শ্রবণ করেন। তিনি ৫ দফা দাবি বাস্তবায়েনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নেতৃবৃন্দরা মিছিলসহকারে মাননীয় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং উপ পুলিশ কমিশনার(ট্রাফিক উত্তর) বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করার পর কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেন এবং উক্ত স্মারকলিপির মাধ্যমে শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায় হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন, পরিবহন শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি আবদুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, সহ-সম্পাদক মো: হাসান, ১নং রুট অটো টেম্পো চালক মালিক সংগ্রাম পরিষদ আহ্বায়ক মোজাম্মেল আলী নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক দিলীপ সরকার, অটো রিক্সা শ্রমিক লীগ নেতা মিজানুর রহমান, মো: বেলাল, মো: রাশেদ, মো: মহসিন, আবদুল হালিম আদু, মো: সোহেল, রফিকুল ইসলাম, মোটর চালক লীগ চাঁন্দগাও থানার সভাপতি টিটু চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো: হোসেন, অটো টেম্পো চালক মালিক সংগ্রাম পরিষদ নেতা ইসমত পাশা চৌধুরী, সুমন মিয়া, বাবু তুষার সেন, মো: বেলাল, মো: হারুন, মো: মোরশেদ, মো: ইকবাল, মো: জামাল, মো: মোতালেব, শ্রমিক নেতা আবদুস সালাম, মো: আরশাদ আলী, মো: বশর প্রমুখ।
চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঁচ দশক সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব আবদুল খালেদ মিলনায়তনে আজ ১৬ মার্চ’১৭ইং সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ফারহানা ইদ্রিছ বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে লীলাভূমি চট্টগ্রামের একটি ঐতিহ্যবাহী ও গৌরবময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কোলাহল মুক্ত শান্ত শ্যামল ছায়া সুনিবিড় পরিবেশে যুগের প্রয়োজন মেটাবার প্রয়াসে ১৯৬৭ সালের ১৩ মার্চ যাত্রা শুরু করে নারী শিক্ষায় অগ্রণী- এই বিদ্যায়তন। ২০১৭ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি গৌরবের পাঁচ দশক অতিক্রম করছে। সুদীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এ বিদ্যালয় তার ছন্দময় গতিময়তা হারায়নি এবং রচনা করে চলেছে গৌরবময় অধ্যায়-শ্রেষ্ঠত্বের ইতিহাস। গৌরবোজ্জ্বল এই পথচলায় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শুরু করে আজ অবধি ৩ বার জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পেয়েছে। বোর্ডের ফলাফল, সহ শিক্ষা কার্যক্রম ও বহুমুখী সৃজনশীল কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে সম্মান ও গৌরব অক্ষুন্ন রেখেছে। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় গুটি গুটি পায়ে সময় ঘনিয়ে এসেছে আমাদের প্রাণপ্রিয় শিক্ষাঙ্গণের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের ক্ষণ। অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, আমরা এই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রীদের আয়োজনে আগামী ২৩ ও ২৪ মার্চ ২০১৭ইং স্বর্ণোজ্জ্বল সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদ্যাপন করতে যাচ্ছি। উক্ত অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের মাননীয় মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। একই সাথে সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিথ স্মরণিকা ‘স্বর্ণালী’র মোড়ক উন্মোচন করবেন। বিশেষ অতিথি থাকবেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন মো: শামসুল আরেফীন এবং পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার। আমন্ত্রি অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের মাননীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহেদা ইসলাম এবং সম্মানিত ওয়ার্ড কমিশনারগণ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রেজিয়া বেগম, কোহিনুর রহমান আশা, রাজিয়া সুলতানা, নাসরিন সুলতানা, ডাঃ অনিন্দিতা চৌধুরী, জান্নাতুল ফেরদৌস টিনা, কানিজ ফাতেমা, সামিনা আফরোজ, ফারজানা ইসলাম, নুশরাত জাহান স্নিগ্ধ, জান্নাতুল ফেরদৌস আঁখি প্রমুখ।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের বনভোজন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বক্তব্য প্রতিযোগিতা, শ্লোগান প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, সংস্কৃতি প্রতিযোগিতা, কবিতা ও কাবাডি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য দেবাশীষ নাথ দেবু’র সভাপতিত্বে ও সিরাজুল ইসলাম সিরাজ’র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক কমিশনার ও আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব মামুনুর রশিদ মামুন। এতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্যানেল মেয়র, মহানগর আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন, মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য আলহাজ্ব কামরুল হাসান বুলু, জয়নাল আবেদীন আজাদ, ৮নং শুলকবহর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সরওয়ার্দী, ওগমর গণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি হাসান মনসুর, আবদুল মান্নান, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য ওয়ারিশ আলী খান, আশরাফ উদ্দিন শাহীন, জালাল মিয়া, মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাইফুদ্দিন বাবুল, মো: কামরুল আলম, খুরশিদ হাসান, মো: মোরশেদুল আলম, মো: জজ মিয়া, যীশু নাথ, মো: আবদুল নুর, আবদুর রাজ্জাক বাবু, আলী রেজা পিন্টু, মো: রফিক, আবু সুফিয়ান লিটন, এম.কে. আলম বাসেদ, মো: রাজু, আমিনুল হক চৌধুরী, নাঈমুদ্দিন রাসেল, মামুন বাদশা, আশরাফুল আলম শিবলী, এস.এম. আব্বাস উদ্দিন, কার্তিক রঞ্জন শীল টিটু, মো: সাইফুল ইসলাম, আবদুল সবুর, মো: আব্দুর রাজ্জাক রুবেল, নাঈম উদ্দিন সাইফুল, মো: জাহাঙ্গীর, মো: ইমন, মো: তুহিন, মো: কাইয়ুম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সকল বিষয়ে বিজয়ী প্রতিযোগিদের পর্যায়ক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও চট্টল বীর আলহাজ্ব এ.বি.এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী’র ছবি খচিত মগ মোট ৫১টি পুরস্কার এবং ১১ জনকে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনি বই পুরস্কার প্রদান করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের থানা ও ওয়ার্ড সমুহের প্রায় ৪০০ নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের প্রেমতলায় জঙ্গিবিরোধী অভিযানে এক নারীসহ চার জঙ্গি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন সোয়াত টিমের ২ সদস্য। তাদের চট্টগ্রাম সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম চার জঙ্গি নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সীতাকুণ্ডে চৌধুরী পাড়ার ‘ছায়ানীড়’ নামের বাড়িতে অভিযানে সম্পন্ন করার পর পুলিশ সেখান থেকে ১৮ জনকে উদ্ধারের কথা জানিয়েছে। জঙ্গিবিরোধী এ অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন অ্যাসল্ট-১৬’।
অভিযানে সম্পন্ন করার পর ডিআইজি শফিকুল ইসলাম সেখানে সাংবাদিকদের জানান, জঙ্গিরা বাড়ির মধ্যে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এতে চারজন নিহত হয়েছে। তাদের শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়ায় চেহারা ঠিকমতো বোঝা যাচ্ছে না।
এর আগে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট এবং সোয়াতের সমন্বিত বাহিনী সকাল সোয়া ৬টার দিকে অভিযান শুরু পর জঙ্গিদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক গোলাগুলি হয়। এর পর বাড়ির ভিতরে বিকট শব্দে বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বাড়ির ছাদ অনেকটা উড়ে যায়।
ঢাকা থেকে আসা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক জহির উদ্দিন বলেন, জঙ্গিবিরোধী অভিযান শেষ। এখন বাড়ির ভেতরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। জঙ্গিদের কাছে শক্তিশালী বোমা ছিল, যা অপারেশনের সময় তারা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। বোমা বিস্ফোরণে তারা নিহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে বুধবার দুপুরে সীতাকুণ্ড সদরের নামার বাজার এলাকায় একটি বাড়িতে জঙ্গিরা বসবাস করছে বলে বাড়ির মালিকের সন্দেহ হয়। জঙ্গিদের ঘরে বাইরে থেকে তালা দিয়ে বাড়ির মালিক থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ‘সাধন কুঠির’ নামে ওই বাড়িটি ঘিরে ফেলে। এরপর সেখান থেকে জঙ্গি দম্পতি ও তাদের ৪ মাস বয়সের এক শিশুকে আটক করে পুলিশ। সেখান থেকে বিপুল গ্রেনেড ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।
আটক দুইজনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে সীতাকুণ্ড ডিগ্রি কলেজের পিছনে প্রেমতলা চৌধুরী পাড়ার ‘ছাড়ানীড়’ নামে অপর একটি ভবন ঘিরে ফেলে। সেখানে অভিযান চালাতে গেলে বাড়ির ভিতর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে সীতাকুণ্ড থানার ওসিসহ (তদন্ত) দুইজন আহত হন।
এর পর পুলিশ পিছু হটে। পরে রাত একটার দিকে দু্টি মাইক্রোবাস ও একটি পিকআপভ্যানে করে ঢাকা থেকে সোয়াত টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এর আগে ঢাকা থেকে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
আর চট্টগ্রাম থেকে র্যাব, সোয়াত (স্পেশাল উইপনস অ্যান্ড ট্যাকটিকস) ও পুলিশের বোমা নিষ্ক্রীয়করণ দলের সদস্যরাও সেখানে অবস্থান নেন। এর পর সকাল সোয়া ৬টা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবগুলো ইউনিট অভিযান শুরু করে। অভিযানের কিছু সময়ে বাড়ির ভিতরে বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা।
সাজেকে চাদাঁ আদায়ের টাকা সহ তিনজনকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহীনি
॥ মোঃ জুয়েল, সাজেক ॥ রাঙ্গামাটি সাজেকের রেতকাটাছড়া নামক এলাকা থেকে চাদাঁ আদায়ের টাকাসহ মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে পিসিপির সাজেক থানা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রুপায়ন চাকমা(১৮), পিসিপি রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সহ সাধারণ-সম্পাদক রিপন আলো চাকমা(২৫), তথ্য প্রচার সম্পাদক সুমন চাকমা(২১) কে আটক করেছে নিরাপত্তাবাহিনী।
এসময় তাদের কাছে থেকে চাঁদা আদায়কৃত নগত ৩৩,৩৩৬ (তেত্রিশ হাজার তিনশত ছত্রিশ)টাকা, ০৪টি মোবাইল, ০৫টি ব্যাগ, সামরিক বাহিনীর ০২টি প্যান্ট, ০১টি দেশীয় অস্ত্র(ছুরি), চাঁদার রশিদ বই ০৭টি ও গুরুত্বপূর্ণ নথী পাওয়াযায়।
নিরাপত্তা বাহিনী সুত্রে জানায়, অটককৃতরা এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলন করে রেতকাটা ছড়ার একটি ঘরে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয় বলে জানায় সুত্রটি।
আটককৃত রিপন আলো চাকমা নানিয়ারছড় বাকছড়ি মুখ গ্রামের হরিহর চাকমার ছেলে, সুমন চাকমা বাঘাইছড়ির ঝগড়াবিল গ্রামের বিজয় সেন কার্বারীর ছেলে, রুপায়ন চাকমা সাজেকের এ্যাকুজ্যাছড়ি রামুছড়া গ্রামের চন্দ্রজয় চাকমার ছেলে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় একটি সুত্র জানায় ক্ষুদ্র ও বড় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ ইউপিডিএফ’র অধীনে যুব ফোরাম ও পিসিপি’র ছেলেরা একত্রে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কুপন দিয়ে ব্যাপক হারে চাদাঁ আদায় করে আসছে।
এ বিষয়ে সাজেক থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল আনোয়ার বলেন, পিসিপি’র আটককৃত চাদাঁবাজদের বিরুদ্দে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং তাদের কে কোর্টে প্রেরনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
রোববার চট্টগ্রামে নৌ ঘাঁটি ঈশা খাঁয় তিনি বাংলাদেশের প্রথম দুটি সাবমেরিন ‘বানৌজা নবযাত্রা’ ও ‘বানৌজা জয়যাত্রা’র কমিশনিং ফরমান হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে জনগণের উন্নয়ন করতে চাই। তবে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে আমাদের যা যা প্রয়োজন, আমরা সংগ্রহ করব।
“আমরা কারও সাথে কখনো যুদ্ধে লিপ্ত হতে চাই না। যদি কেউ আমাদের আক্রমণ করে, আমরা যেন তার সমুচিত জবাব দিতে পারি, সেই প্রস্তুতি আমাদের সব সময় থাকবে।… এজন্য যা যা করণীয় আমরা করে যাচ্ছি।”
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি সত্যিকারের ‘ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে’ রূপান্তরের যে প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছিলাম, সাবমেরিন অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে তা পূরণ হল।
“আমাদের সকলের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন-ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী গঠনের অংশ হিসেবে দুটি সাবমেরিন বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সংযোজন করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত,” বলেন তিনি।
চীনে তৈরি ০৩৫ জি টাইপ অ্যাটাক সাবমেরিক বানৌজা ‘নবযাত্রা’ও বানৌজা ‘জয়যাত্রা’ দৈর্ঘ্যে ৭৬ মিটার, প্রস্থে ৭ দশমিক ৬ মিটার। টর্পেডো ও মাইনে সজ্জিত সাবমেরিন দুটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭ নটিক্যাল মাইল এবং ডিসপ্লেসমেন্ট এক হাজার ৬০৯ টন।
নৌবাহিনীর এ দুটি যুদ্ধযান শত্রু জাহাজ ও সাবমেরিনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণসহ যুদ্ধকালীন দায়িত্ব পালনে সক্ষম বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
বিশ্বের ‘গুটিকয় দেশ’ সাবমেরিন পরিচালনা করে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সেই তালিকায় আজ থেকে বাংলাদেশের নাম স্থান পেয়েছে। জাতি হিসেবে এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত সম্মান ও মর্যাদার বিষয়।”
বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাতিসংঘের জন্য আন্তর্জাতিক জলসীমায় টহল দিয়ে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ‘অনন্য নজির স্থাপন করছে’ বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
চীনের দালিয়ান প্রদেশের লিয়াওনান শিপইয়ার্ডে গত বছরের ১৪ নভেম্বর এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদের কাছে সাবমেরিন দুটি হস্তান্তর করেন চীনের রিয়ার অ্যাডমিরাল লিউ জি ঝু।
বাংলাদেশ ও চীনের নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নাবিকদের যৌথ তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ ও ‘সি ট্রায়াল’ শেষে গত ২২ ডিসেম্বর সাবমেরিন দুটি চট্টগ্রামে আসে।
সাবমেরিন দুটির আধুনিকায়ন, ক্রুদের প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহযোগিতার জন্য চীন সরকার এবং দেশটির নৌবাহিনী ও জনগণকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
সেই সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন দুটির ক্রুদের অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এটি একটি ‘বিরল সৌভাগ্য ও সম্মানের’ বিষয়।
“সাবমেরিন পরিচালনার ঝুঁকি আছে। তেমনি অত্যন্ত গর্বেরও বটে। আপনাদের প্রশিক্ষণ ও উদ্যোগে কাজে লাগিয়ে যখন কাজ করবেন তখন এই কঠিন কাজটিও আপনাদের জন্য সহজ হয়ে যাবে।”
ক্রুদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, “আপনারা নবীন ক্রু। আপনাদের লক্ষ্য হবে সমুদ্রে সফলভাবে সাবমেরিন চালনার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে প্রকৃত অপারেশনের জন্য প্রস্তুত হওয়া।”
নবগঠিত এই সাবমেরিন আর্মকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ শাখা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যে নীতিমালা, অবকাঠামো ও ইক্যুইপমেন্ট দরকার তা তৈরির ক্ষেত্রেও ক্রুদের অবদান রাখার তাগিদ দেন সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, “দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে অসীম সাহসের সাথে সাবমেরিন চালনার চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতে হবে।”
একাত্তরে চট্টগ্রামে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর সরবরাহ লাইন পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া অপারেশন জ্যাকপটের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্বাধীনতা যুদ্ধে অপারেশন জ্যাকপট পরিচালনার কেন্দ্রে ছিলেন দেশপ্রেমী এবং অকুতোভয় একদল প্রশিক্ষিত সাবমেরিনার।”
সাবমেরিনের সকল মিশনের সাফল্য কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাঙালি জাতির ইতিহাস বীরের ইতিহাস। কাজেই আমি নিশ্চিত, আপনাদের দেশপ্রেম, মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে এই সাবমেরিন দুটির সর্বোত্তম ব্যবহার আপনারা নিশ্চিত করবেন।”
আন্তর্জাতিক আদালতের মামলার রায়ে মিয়ানমারের কাছ থেকে ১ লাখ ১১ হাজার ৬৩১ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকা এবং ভারতের কাছ থেকে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকার ওপর কর্তৃত্ব অর্জনের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সমুদ্রসীমার সম্পদ কাজে লাগিয়ে যেন আমরা আর্থসামাজিক উন্নয়ন করতে পারি। আমরা এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে নৌ-বাহিনীকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলেছি।”
নৌবাহিনীর উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলোর কথাও প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি চীন থেকে সংগ্রহ করা অত্যাধুনিক করভেট নৌবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি করেছে। পাশাপাশি যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণে নিজস্ব সামর্থ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। খুলনা শিপইয়ার্ডে প্রথমবারের মত এলপিসি তৈরির কাজ চলছে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত চট্টগ্রাম ড্রাইডকে ফ্রিগেট নির্মাণ প্রকল্পের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে যুদ্ধজাহাজ নির্মাণে বাংলাদেশ ‘অনেকটা স্বয়ংসম্পূর্ণতা’ অর্জন করবে। সমুদ্রে বিভিন্ন ‘অপ্রথাগত হুমকি’ মোকাবিলার জন্য নৌবাহিনীর স্পেশাল ফোর্সও গঠন করা হয়েছে।
ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী গঠনের লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের সময়ে হেলিকপ্টার ও মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফ্ট নিয়ে গঠিত হয় নেভাল এভিয়েশন।এর বহরে শিগগিরই আরও মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও আধুনিক সমর সরঞ্জাম সম্বলিত হেলিকপ্টার যুক্ত করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
নৌবহর বৃদ্ধির পাশাপাশি নৌবাহিনীর নিজস্ব বিমান ও সাবমেরিন ঘাঁটিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর উন্নয়নে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এর ধারাবাহিকতায় পটুয়াখালীর রাবনাবাদ এলাকায় ‘বানৌজা শেরে বাংলা’ নামে নৌবাহিনীর সর্ববৃহৎ নৌঘাঁটির ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নাবিকদের আবাসন এবং প্রশিক্ষণ সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা নৌ-অঞ্চলে বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্পের কথাও প্রধানমন্ত্রী বলেন।
সাবমেরিন সংযোজনের সঙ্গে সঙ্গে এর নিরাপত্তা, রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, “সাবমেরিনের জন্য পৃথক ঘাঁটি নির্মাণসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির কার্যক্রম চলমান রয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে সাবমেরিন দুটির অধিনায়কদের হাতে কমিশনিং ফরমান তুলে দেন এবং নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে নামফলক উন্মোচন করেন।
মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সেনা ও বিমান বাহিনী প্রধান, সংসদ সদস্য, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন এ অনুষ্ঠানে।