বিনোদন ডেস্ক :: বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন (বনপা) চট্টগ্রাম এর নেতৃবৃন্দ ১৮ জানুয়ারী ২০২০ইং চট্টগ্রামস্থ আনোয়ারা এলাকায় গভির সমুদ্র তীরে পারকির চর ঝাউবনে বনভোজন স্পটে সকাল ৮ ঘটিকা থেকে সারাদিনব্যাপি আনন্দ উল্লসে বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন (বনপা) চট্টগ্রাম এর বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়।
বনপা চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ও গিরিদর্পণ ডট কম এর নির্বাহী সম্পাদক এম.কে মোমিন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানস্থলে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এতে সভাপতিত্ব করেন বনপা’র চট্টগ্রাম সভাপতি নিউজ বি এন এ’র নির্বাহী সম্পাদক হাদিদুর রহমান।
সংবাদ প্রচারের দায়িত্বশীলতা ও সাংগঠনিক বিভিন্ন দিকনির্দেশিকামূলক আলোচনা করেন, বনপার উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মনিরুল আলম, বিনোদনমূলক প্রোগ্রামগুলো পরিচালনায় ছিলেন বনপা’র যুগ্ম সম্পাদক ও আজকের সত্য সংবাদ এর সম্পাদক হারুন অর রশিদ, সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন সহ সম্পাদক আর্থনিউজ২৪ এর সম্পাদক ফরহাদ আমিন মোহাম্মদ ফয়সল, আপ্যায়নের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন অর্থ সম্পাদক মেজবাহ আহমেদ অনলাইন বার্তা সম্পাদক, আপ্যায়ন সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সময়ের সম্পাদক এম.ডি.এইচ রাজু।
অনুষ্ঠান চলাকালিন সময়ে চট্টগ্রামের সময়ও এস এম লজিষ্টিক এর পক্ষ থেকে সকল সদস্যদের একটি করে ডায়েরী (উপহার) প্রদান করা হয়।
এতে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন এম.নরুল ইসলাম মন্জু-চট্টগ্রামের সময় ডট কম, সালাদ্দিন কাদের মানিক-বাঁশখালী প্রতিদিন, ফারহান খান-সম্মনয় নিউজ২৪ ডট কম, শাহাদত হোসেন রিপন চট্টগ্রামের সময় ডট কম, জান্নাতুল ফেরদৌস সোনিয়া-গিরিদর্পন ডট কম, কাজী মুরাদুল ইসলাম, নুরুলগাজী, সমাজকর্মী ও সাংবাদিক মিসেস শামসুননাহার আহমেদ, সাজ্জাদ হোসেন, আবু ইউছুপ মানিক, জাহানারা আবেদিন, ফারজানা আহমেদ সহ সংগঠনের প্রায় সকল সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গ উপস্থিত ছিল। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
ভালোবাসার মায়া, যা যেতে দিলেও সরে যায় না আবার দূরে গেলেও হারিয়ে যায় না। তবুও ভালোবাসার মেঘেরা যখন ধীরে ধীরে হৃদয় আকাশ থেকে সরে যেতে চায়,তখন অসহায় হৃদয়কে বলতেই হয়, ‘যাও দিলাম যেতে’। আর এভাবেই মনের কথা প্রকাশ করেছেন খিজির হায়াত খান।
এবার ইউটউবে ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ এর ‘যাও দিলাম যেতে’ শিরোনামের আরো একটি গান প্রকাশ পেয়েছে। গানটির লিখেছেন ছবির অভিনেতা খিজির হায়াত খান নিজে এবং এছাড়া সুর দিয়েছেন নাজমুল আবেদীন আবির।
গানের ভিডিওতে রয়েছেন ছবির অভিনেতা খিজির হায়াত খান এবং তার সঙ্গে ছিলেন ছবিটির নায়িকা লাক্স তারকা শানারেই দেবী শানুকে। এর আগে ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ এর আরো দুটি গান ইউটিউবে প্রকাশ পেয়েছে। আর গানগুলো প্রতিটিই দর্শদের মনে জাগয়া করে নিয়েছে।
এদিকে, আগামী ১৬ নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। এর আগে ১৯ অক্টোবর চলচ্চিত্রটি সেন্সর থেকে আনকাট ছাড়পত্র পায়। আর এ ছবিটি দিয়েই বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছে ‘জাগো’ খ্যাত নির্মাতা খিজির হায়াত খানের।
এছাড়া, কেএইচকে প্রোডাকশনের ব্যানারে আবু আকতারুল ইমান পরিচালিত ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ চলচ্চিত্রটিতে আরো অভিনয় করেছেন, টাইগার রবি, জুবায়ের জুনায়েদ, শাহরিয়ার সজীব, শামীম হাসান সরকার, মেরিয়ান, সোলাইমান সুখন ও হামিদুর রহমান প্রমূখ।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পাহাড়ের বৈসাবী ও বাংলা নববর্ষবরণকে ঘিরে পার্বত্য চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করার প্রস্তুতি। তাইতো পাড়ায় পাড়ায় বাজছে ‘তুরু তুরু তুরু রু বাজি বাজত্তে, পাড়ায় পাড়ায় বেরেবং বেক্কুন মিলিনে, এচ্যে বিজু, বিজু, বিজু…’।
আর পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের প্রাণের উৎসব বৈসুক সাংগ্রাই বিজু, বিহু ও বিষু উৎসবকে ঘিরে নতুন সাজে সেজেছে পার্বত্য জনপথ। বৈসাবী ও বাংলা নববর্ষকে ঘিরে ইতিমধ্যে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় নেয়া হয়েছে বৈসাবী ও বর্ষবরণের ব্যাপক প্রস্তুতি।
জানা গেছে, পার্বত্যাঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের নিজস্ব নিয়মে বৈসাবী উৎসব পালন করে থাকে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির সংমিশ্রনে এক বৈচিত্র্যময় রূপ ধারণ করে বৈসাবী উৎসবকে কেন্দ্র করে। তাই আগাম নানান কর্মসূচীর মাধ্য দিয়ে বৈসাবী আনন্দে মেতে উঠে এ অঞ্চলের পাহাড়ী-বাঙ্গালীরা।
বৈসুক সাংগ্রাই বিজু, বিহু ও বিষু উৎসবকে কেন্দ্র করে ১২ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল তিনদিন ধরে উৎসব করার কথা থাকলেও তা মাসেরা প্রথম সপ্তাহেই শুরু হয় উৎসব পালনের প্রস্তুতি।
এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক উৎসব বিজু, সাগ্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু এবং ঐতিহ্যবাহী বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের উদ্যোগে শহরে বর্ণাঢ্য র্যালী, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার।
অনুষ্ঠান সুচীর মধ্যে রয়েছে ৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজ প্রাঙ্গণ হতে রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র্যালী। বিকাল সাড়ে ৪টায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এছাড়া আগামী ৯ এপ্রিল আদিবাসী ফোরামের উদ্যোগে দ্বিতীয় পর্যায়ের বৈসাবী উৎসব শুরু হবে। আগামী ১৫ ও ১৬ এপ্রিল মারমাদের সাংগ্রাই উৎসবের জল খেলার মাধ্যমে পাহাড়ের উৎসব শেষ হবে।
এছাড়া বৈসাবী ও বাংলা নববর্ষকে বরণ উপলক্ষে রাঙ্গামাটি স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন কর্মসূচী। বাংলা বর্ষবরণ ও বৈসাবীকে বরণ করতে এখন পুরোপুরি প্রস্তুত পাহাড়ের মানুষ।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ভ্রমণকাহিনি লেখা প্রতিযোগিতার প্রথম হলেন- দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ও বেসরকারি টেলিভিশন নিউজ২৪ এর রাঙ্গামাটি জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক ফাতেমা জান্নাত মুমু।
বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের পর্যটন স্থানগুলো তুলে ধরতে ভ্রমণকাহিনি লেখা প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নিয়ে ছিল- বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (বিপিসি) ও বেসরকারি ভ্রমণ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘ঘুরবো ডটকম’। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন, সমুদ্রসৈকত, ঐতিহাসিক স্থান, পাহাড়-পর্বত, দ্বীপাঞ্চল, জলা, বনসহ বাংলাদেশের যেকোনো ভ্রমণ স্থান নিয়ে লেখা । এ প্রতিযোগিতায় সারা দেশের অনেক দক্ষ অভিজ্ঞ লেখ অংশ নিয়েছিল। অবশেষে সারা দেশের হাজারো প্রতিযোগির মধ্যে রাঙ্গামাটির সাংবাদিক ফাতেমা জান্নাত মুমু’র ‘সবুজ পাহাড়ে মেঘের রাজ্য রাঙ্গামাটি’ শিরোনামের এ লেখাটি স্থান অধিকার করে। তার লেখা ও ছবি প্রকাশিত হয় ঘুরবোর বিশেষ পেজে। এ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে তিনি জিতে নেয়-সর্বোচ্চ পুরস্কার কক্সবাজারে যাতায়াতের এয়ার টিকিটসহ ওশ্যান প্যারাডাইসে ৩ দিন ২ রাত থাকার সুযোগ।
এব্যাপারে সাংবাদিক ফাতেমা জান্নাত মুমু বলেন, তাছাড় ভ্রমনকাহিনী আর সম্ভব পর্যটন স্পর্ট নিয়ে নিয়ে লেখা-লেখি করার অভ্যাস আমার অনেক পুরোন। আমার প্রিয় প্রতিষ্ঠান- ‘দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন’ পত্রিকায় এস বিষয়ে আমার অনেক অনেক ফিচার প্রকাশ হয়েছিল। সে আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (বিপিসি) ও বেসরকারি ভ্রমণ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘ঘুরবো ডটকম’ ব্লগে লেখা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ছিলাম। আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছিনা সারা বাংলাদেশের প্রতিযোগিদের মধ্যে আমি প্রথম হয়েছি। আমার সাংবাদিকতায় ১১ বছরের জীবনে এটা আমার অর্জন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭সালে ২৯ আগষ্ট বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (বিপিসি) ও বেসরকারি ভ্রমণ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘ঘুরবো ডটকম’ ‘সারা দেশের ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জায়গাগুলোর খবর জানাতে আয়োজন করেছিল ‘লিখবো আমি ঘুরবে সবাই” শিরোনামে প্রতিযোগিতা কথা দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশ হয়।
একুশে পদক প্রাপ্ত এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত গুরু শেখ সাদী খানের সংগীতায়োজনে ‘‘অনুপম কথাচিত্র’’ প্রযোজিত ও সুজন বড়–য়া পরিচালিত ‘‘বান্ধব” ছবিতে (বান্ধব ছাড়া একটা মানুষ বাঁচে কেমনে) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকার মুন্সী ওয়াদুদ এর লেখা এই ধরনের একটি গানে কন্ঠ দিলেন এই সময়ের অত্যন্ত জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী কোনাল। সংগীত গুরু শেখ সাদী খান কোনালের কন্ঠের ভুঁয়সী প্রসংশা করেন। এই ধরনের একটি অসাধারণ গান করতে পারাতে কোনাল শেখ সাদী খান, প্রযোজক, পরিচালক সহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের আরো সুন্দর গান করার প্রত্যাশা করেন। ছবিটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন চিত্র নায়িকা মৌ খান। এছাড়া আরো অভিনয় করেন গাজী রাকায়েত, সুমিত সেনগুপ্ত, রেবেকা রৌফ, জয়রাজ সহ আরো অনেকে। প্রযোজক অনুপ কুমার বড়–য়া ও হাবিব খান বলেন শীঘ্রই ছবিটি মুক্তি পাবে।
॥ কাজী মোশাররফ হোসেন, কাপ্তাই ॥ বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর বানৌজা শহীদ মোয়াজ্জম ঘাঁটিতে অবস্থিত লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পট কাপ্তাইয়ের অন্যতম আকর্ষনীয় বিনোদন কেন্দ্র। অসংখ্য গাছ গাছালী, ছোট বড় পাহাড়ের সমাহার এবং পাহাড়ের ফাঁকে ফাঁকে স্বচ্ছ জলে ভরা কাপ্তাই লেক। লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটের যে দিকে দৃষ্টি যায় আনন্দে ভরে উঠে মন। এখানে আসলে মন ফুরফুরে হয়ে উঠে।
প্রায় ৩০ বছর ধরে নৌ বাহিনী এই লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পট পরিচালনা করে আসছে। তবে ১৯৯৮ সাল থেকে এই বিনোদন কেন্দ্র বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যে কোন নাগরিক এখানে এসে আনন্দ বিনোদন করতে পারেন। লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটে বিনোদনের জন্য পৃথক পৃথক প্রায় ২০টি জায়গা রয়েছে। এর যে কোন একটি ভাড়া নিয়ে এখানে দিনভর পিকনিক করা যায়। এই লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটে রয়েছে ভাড়ায় চালিত বোট, প্যাডেল বোট ও স্পীড বোট। এর যে কোন একটিতে চড়ে কাপ্তাই লেকের স্বচ্ছ জলে নৌ বিহার করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও কাপ্তাই লেকে কায়াকিং করার সুবিধাও এখানে রয়েছে। খোলা মাঠে পিকনিক করা এবং স্টেজ প্রোগ্রাম করার যাবতীয় সুযোগও পাওয়া যাবে এখানে।
সর্বনিম্ন ৫০ জন থেকে শুরু করে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ এখানে একসাথে পিকনিক করতে পারবেন। শতাধিক বাস এবং বিপুল সংখ্যক প্রাইভেট কার, মাইক্রোসহ অন্য যে কোন যানবাহ এখানে নিরাপদে পার্কিং করার সুবিধা আছে। কোন প্রতিষ্ঠান ইচ্ছা করলে লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটের পুরোটাই ভাড়া নিয়ে সারাদিন এখানে আনন্দ বিনোদন করতে পারেন। আবার ইচ্ছা করলে ছোট একটি স্পট নিয়েও এখানে পিকনিক করা যায়। পিকনিকে আগতরা ইচ্ছা করলে নিজেরাই এখানে রান্না করে খেতে পারেন। আবার লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পট কর্তৃপক্ষকে রান্নার অর্ডারও দিতে পারেন। চাহিদানুযায়ী যে কোন ধরণের সুস্বাদু রান্না এবং আকর্ষনীয় প্যাকেটে খাবার সরবরাহ করা হয়। সকালের নাস্তা এবং দুপুর ও রাতের খাবার সরবরাহেরও সুবিধা এখানে পাওয়া যাবে। লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটে রাত্রী যাপনের জন্য আকর্ষনীয় ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ‘বনকুটির’ নামক দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি কটেজ রয়েছে। নামাজ আদায়ের জন্য আছে সুব্যবস্থা। নারী পুরুষের জন্য রয়েছে পৃথক টয়লেট ব্যবস্থা। সার্বক্ষনিক পানির ব্যবস্থা থাকার পাশাপাশি টোকাই ও অবাঞ্চিত লোকজনের প্রবেশ এখানে সম্পূর্ন নিষিদ্ধ।
আমাদের কাপ্তাই প্রতিনিধি কাজী মোশাররফ হোসেনকে কর্তৃপক্ষ জানান বছরের যে কোন দিন লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটে এসে আনন্দ ও নির্মল বিনোদনের সুযোগ রয়েছে। কাঠফাটা রোদের সময়ও লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটের সর্বত্র হিমেল হাওয়ার পরশ পাওয়া যাবে। শীতের সময় গাছগাছালীর ফাঁক গলিয়ে মিষ্টি রোদের আঁচ সত্যি মিষ্টিই লাগে। আর বৃষ্টির সময় অবিরাম ঝরঝর বৃষ্টি লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটের রুপই বদলে দেয়।
লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটে যেতে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে বাসে অথবা কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে সিএনজিতে চড়ে কাপ্তাই নতুন বাজার আসতে হবে। সেখান থেকে রিজার্ভ সিএনজি নিয়ে অনায়াসে লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটে আসা যাবে। তবে যারা ব্যক্তিগত গাড়িতে আসবেন তারা চট্টগ্রাম অথবা যে কোন স্থান থেকে সরাসরি আসতে পারবেন। বানৌজা শহীদ মোয়াজ্জম ঘাঁটি পরিচালিত লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পট বুকিং নিতে ০১৭৬৯-৭৭২১৭৪ নাম্বারে যোগাযোগ করুন।
দুবাই পুলিশের দেওয়া ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রীদেবী হোটেল অ্যাপার্টমেন্টের পানি ভর্তি বাথটাবে সংজ্ঞা হারিয়ে ডুবে মারা যান।
শনিবার রাতে জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে তার মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
বলা হয়, দুবাইয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর।
এনডিটিভি জানায়, রোববার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। পুলিশ শ্রীদেবীর পরিবার এবং দুবাইয়ে ভারতীয় কনস্যুলেটে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। ভাইপো মোহিত মারওয়াশের বিয়েতে যোগ দিতে স্বামী বনি কাপুর ও ছোট মেয়ে খুশিকে নিয়ে গত সপ্তাহের শেষ দিকে দুবাই গিয়েছিলেন শ্রীদেবী। নিজের প্রথম সিনেমার শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় এ দম্পতির বড় মেয়ে জাহ্নবি ভারতেই ছিলেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে দুবাইয়ের খালিজ টাইমস জানায়, বনি কাপুর দুবাই থেকে ভারতে ফিরে এসেছিলেন। স্ত্রীকে সারপ্রাইজ দিতে শনিবার বিকালে তিনি আবারও দুবাই যান এবং একসঙ্গে ডিনারে যাওয়ার কথা ছিল তাদের। ডিনারের প্রস্তুতি নিতেই শ্রীদেবী ওয়াশরুমে ঢুকে ছিলেন।
“বেশ কিছু সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও শ্রীদেবী যখন ওয়াশরুম থেকে বের হচ্ছিলেন না তখন বনি কাপুর প্রথমে দরজার টোকা দেন। তাতেও সাড়া না পেয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে তিনি শ্রীদেবীকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পানিভর্তি বাথটাবে পড়ে থাকতে দেখেন। স্ত্রীর সংজ্ঞা ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে প্রথমে এক বন্ধুকে খবর দেন বনি, রাত ৯টার দিকে তিনি পুলিশকে ফোন দেন।”
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কাপ্তাই হ্রদের পানিতে চার মাস ডুবে থাকার পর হ্রদের পানির উচ্চতা কমে যাওয়ায় রাঙ্গামাটির পর্যটনের ঝুলন্ত সেতুটি পারাপারের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।
পর্যটন কর্পোরেশন ব্যবস্থাপক আলোকময় চাকমা জানান, ঝুলন্ত সেতুটি চার মাস হ্রদের পানিতে ডুবে থাকায় সেতুর অনেক পাটাতন নষ্ট হয়ে গেছে। পানি কমে যাওয়ায় আজ থেকে সেতুটি সীমিত পারাপরের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।
সেতু পাটাতন সংস্কার করে আগামী সপ্তাহে ঝুলন্ত সেতুটি পারাপারের জন্য পুরোপুড়ি খুলে দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
বর্ষা মৌসুমে অতি বৃষ্টি আর পাহাড়ী ঢলের কারনে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বেড়ে ঝুলন্ত সেতুটি পনিতে তলিয়ে যায়। এরপরই সেতুর উপর দিয়ে পর্যটকদের চলাচল বন্ধ করে দেয় পর্যটন কর্পোরেশন।
ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, বাঁশিবাদকের মৃত্যু হয়।
তার ছেলে সাব্বির সিদ্দিকী বলেন, তার বাবা হৃদরোগ ছাড়াও কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।
গত ১৭ নভেম্বর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে বারী সিদ্দিকীকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক আবদুল ওয়াহাবের তত্ত্বাবধায়নে সাত দিন আইসিইইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হলেও তার অবস্থার অবনতি ঠেকানো যায়নি।
মূলত লোকগান ও আধ্যাত্মিক ধারার গানের জন্য পরিচিত এই শিল্পী গত শতকের শেষ দিকে সারা দেশের শ্রোতাদের কাছে পৌঁছান কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের হাত ধরে। চলচ্চিত্রের প্লেব্যাকে তার দরদী কণ্ঠের বেশ কিছু আবেগমাখা গান দারুণ জনপ্রিয়।
শুক্রবার সকালে বারী সিদ্দিকীর মরদেহ নেওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে। সেখানে ভক্ত আর সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কর্মীরা তার জানাজায় অংশ নেন।
এরপর তার কফিন নেওয়া হয় বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রাঙ্গণে। সেখানে আরেক দফা জানাজার পর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে এই শিল্পীর জেলা নেত্রকোণায়।
সাব্বির সিদ্দিকী জানান, আসরের পর নেত্রকোণা সরকারি কলেজ মাঠে তার বাবার জানাজা হবে। পরে চল্লিশা কালী গ্রামে হবে দাফন।
১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর ভাটি অঞ্চলের এই জেলাতেই আবদুল বারী সিদ্দিকীর জন্ম। পরিবারেই শৈশবে তার গান শেখার হাতেখড়ি হয়।
কিশোর বয়সে নেত্রকোণার শিল্পী ওস্তাদ গোপাল দত্তের কাছে তালিম নিতে শুরু করেন বারী। পরে ওস্তাদ আমিনুর রহমান, দবির খান, পান্নালাল ঘোষসহ বহু গুণীশিল্পীর সরাসরি সান্নিধ্য পান।
একটি কনসার্টে বারি সিদ্দিকীর গান শুনে তাকে প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দেন ওস্তাদ আমিনুর রহমান। পরে ছয় বছর ধরে চলে সেই প্রশিক্ষণ।
সত্তরের দশকে নেত্রকোণা জেলা শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গে যুক্ত হন বারী সিদ্দিকী। পরে ওস্তাদ গোপাল দত্তের পরামর্শে ধ্রুপদী সংগীতের ওপর পড়াশোনা শুরু করেন। এক সময় বাঁশির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন এবং উচ্চাঙ্গ বংশীবাদনের প্রশিক্ষণ নেন।
নব্বইয়ের দশকে ভারতের পুনে গিয়ে পণ্ডিত ভিজি কার্নাডের কাছে তালিম নেন বারী। দেশে ফিরে লোকগানের সঙ্গে ধ্রুপদী সংগীতের মিশেলে গান শুরু করেন।
ঢাকার বিভিন্ন স্টুডিওতে বাঁশি বাজিয়ে বেড়ানোর মধ্যেই ১৯৯৩ সালে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে তার বাসায় এক অনুষ্ঠানে বাঁশি শোনাতে যান বারী সিদ্দিকী। সেই অনুষ্ঠানে বারীর বাঁশির চেয়ে তার কণ্ঠে গাওয়া রশিদ উদ্দিন বাউল আর উকিল মুন্সির গানই বেশি পছন্দ হয় হুমায়ূনের।
পরে লেখক হুমায়ূনের আগ্রহেই বারীর কণ্ঠে ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়,’ ‘পুবালি বাতাসে’ গানগুলো রেকর্ড করা হয়।
টেলিভিশনে ‘রঙের বাড়ই’ নামে একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’ গানটি প্রচার করা হলে বারী সিদ্দিকী পৌঁছে যান সারা দেশের শ্রোতাদের হৃদয়ে।
১৯৯৯ সালে হুমায়ূন আহমেদের রচনা ও পরিচালনায় শ্রাবণ মেঘের দিন চলচ্চিত্রে সাতটি গানে কণ্ঠ দেন বারী সিদ্দিকী। ‘শুয়া চান পাখি’ গানটি সে সময় তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।
ওই বছরই জেনেভায় বিশ্ব বাঁশি সম্মেলনে যোগ দেন বারী সিদ্দিকী।
পরে রূপকথার গল্প, নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ, ও আমার দেশের মাটিসহ আরও কয়েকটি চলচ্চিত্রে প্লেব্যাকে গেয়েছেন এই শিল্পী। তার কণ্ঠের গান নিয়ে ডজনখানেক অ্যালবামও প্রকাশিত হয়েছে।
একটু উষ্ণতা পেলে কেমন হয়? ভাবছেন তো সামনেই পুজো৷ তার পরই শীত৷ আর সেই শীতে উষ্ণতার ছোঁয়া পেলে মন্দ হয় না। কিন্তু চাইলেই কি সব পাওয়া যায়? না সবসময় তা হয়তো পাওয়া যায় না। কিন্তু একটু সময় বের করে নিলে কিন্তু সব কিছুই সম্ভব। দিঘা-মন্দারমনি নয়, হাতের কাছে এমন কয়েকটি পার্ক রয়েছে যেখানে একটু গেলেই মিলবে উষ্ণতার ছোঁয়া। শুধু সময় করে বার করে নিতে হবে ঘন্টাখানেকের সময়। কি ভাবছেন শীতের দুপুরে প্রেমিক কিংবা প্রেমিকাকে নিয়ে চলে যান একবার সেখানে। রইল আপনার জন্যে বেশ কয়েকটি এমনই পার্কের নাম। যেখানে আড়ালে-আবডালে কিংবা গাছের কুটুরিতে মিলবে একটু উষ্ণতার ছোঁয়া!
সেন্ট্রাল পার্ক ( সল্টলেক)- খুব একটা দুড়ে না। সল্টলেক করুণাময়ী একাবারে কাছে সেন্ট্রাল পার্ক। যেখানে ঢুকতে খরচ করতে হয় মাত্র ৩০ টাকা। আর যদি ঢুকে পড়েন তাহলে তো আর রক্ষে নেই। উষ্ণতার ছোঁয়া পাবেনই পাবেন। শুধু আপনিই নয়, দেখবেন গাছের ঝোপে কিংবা আড়ালে-আবদালে কত কিছুই না চলছে।
ইলিয়ট পার্ক (পার্ক স্ট্রিট)- শহরের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে এই পার্ক। এখানকার সুসজ্জিত গাছের ঝোপ প্রেমিক-প্রেমিকাদের অন্যতম আকর্ষণ। তাই সকালে পার্ক খুলতেই ভিড় বাড়তে থাকে কপোত-কোপতিদের। সময় করে আপনার প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে একবার ঘুরেই আসতে পারেন।
প্রিন্সেপ ঘাট ( বাবুঘাট)- মমতা আসার পর সুন্দর করে প্রিন্সেপ ঘাটকে সাজিয়ে দিয়েছে। সঙ্গে রয়েছে নৌকা বিহারও। নৌকার মধ্যে প্রিয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মাঝ গঙ্গাতে ঘুরে বেড়ানোর মজাটাই আলাদা। যদিও এজন্যে একটি বেশি বাড়তি টাকা খরচ করতে হবে।
নলবন– সেক্টর ফাইভের একবারে শেষপ্রান্তে একটা সুন্দর জায়গা। গাছগাছালিতে ভরা, সামনে বিশাল ঝিল। সঙ্গে ঝিলে নানা বিনোদনের নানান ব্যবস্থা। রয়েছে বেশ কয়েকটি সরকারি হোটেলও। থাকা না গেলেও খাওয়াদাওয়া বেশ জম্পেশ। একবার মনের মানুষটাকে নিয়ে ঘুরে আসতেই পারেন। আশা করি ভালো লাগবে।
ইকো পার্ক– রাজারহাট-নিউটাউনের বুকে বিস্তির্ন এলাকাজুড়ে গড়ে উঠেছে বিনোদন পার্ক। যেখানে একাধিকে যেমন রয়েছে বিশাল জলাশয়, তেমনই রয়েছে সুন্দর রেস্তোরাও। এমনকি, জলাশয়ের বুকে ভাসমান হোটেল সহ একাধিক বিনোদনের ব্যবস্থাও। যদি আরেকটু সময় কাটাতে চান আপনার প্রিয় মানুষের সঙ্গে তাহলে অবশ্যই বুক করতে পারেন হোটেলও। বিশাল জলাশয়ের পাশেই সুন্দর থাকার জায়গা। যদিও এর জন্যে বেশ বাড়তি করি খরচ করতে হবে আপনাকে।