এই পর্যন্ত তার যতগুলো ছবি মুক্তি পেয়েছে, প্রত্যেকটিই পেয়েছে অপ্রত্যাশিত সাফল্য। শুরুটা করণ জোহরের ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ থেকে। ২০১২ থেকে এখন পর্যন্ত ফ্লপ ছবি উপহার দেননি বরুণ ধাওয়ান। স্বাভাবিকভাবেই সমাজের প্রতি দায়িত্ব অনুভব করতে শুরু করেছেন তরুণ প্রজন্মের এই নায়ক। আর তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সমাজের বার্তা রয়েছে যে সমস্ত ছবির কাহিনিতে, শুধু সেগুলোতেই অভিনয় করবেন বরুণ।এই মাসের ১০ তারিখ মুক্তি পেয়েছে বরুণ অভিনীত ‘বাদ্রিনাথ কি দুলহানিয়া’। বক্স অফিসে এখন পর্যন্ত ভালো ব্যবসা করেছে ছবিটি। মূল ভূমিকায় বরুণের সঙ্গে অভিনয় করেন আলিয়া ভাট। এই ছবিতে নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার বার্তা ছিল। ছবিটি সাফল্য পাওয়ার পর এমন ঘরানার ছবিতে আগ্রহী হয়েছেন বরুণ।
নায়ক বলেন, ‘বিনোদনের উদ্দেশ্যে নির্মিত ছবিতেই অভিনয় করা আমার মূল লক্ষ্য। তবে আমি আমার ছবির মাধ্যমে সমাজের উন্নতির জন্য বার্তা দিতে চাই। আমার ছবিতে এমন কিছু রাখতে চাই, যা দর্শক সিনেমা হল থেকে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারেন এবং বিষয়টি নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাবেন।’বাদ্রিনাথের সাফল্যের পর এই মুহূর্তে বাবা ডেভিড ধাওয়ানের পরিচালনায় ‘জুড়ুয়া ২’ ছবির কাজে ব্যস্ত আছেন বরুণ। এছাড়াও হাতে আছে ‘পিকু’ ছবির নির্মাতা সুজিত সরকারের একটি ছবি। সব মিলিয়ে বোঝা যাচ্ছে, খুব ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে চিন্তেই সিনেমা হাতে নিচ্ছেন বরুণ।সূত্র- ডেকান ক্রনিকলস
॥ লিটন ভট্টাচার্য্য রানা, খাগড়াছড়ি ॥ পার্বত্য চট্টগ্রামের পর্যটন শিল্পের বিকাশে সাজেক-নীলগিরি পর্যন্ত ‘ট্যুর ডি সিএইচটি মাউন্টেন বাইক প্রতিযোগিতা’ নামে তিনব্যাপী সাইকেলিং প্রতিযোগীতা শুরু হয়েছে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ এ্যাডভেঞ্চার ক্লাব যৌথভাবে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
শুক্রবার (২৪মার্চ) সকালে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভারতের মিজোরাম রাজ্য সন্নিহিত রাঙ্গামাটির সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের রুইলুই পাড়ায় প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব এএসএম শাহেন রেজা, সুবিনয় ভট্টাচার্য্য ও বাংলাদেশ এ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের পরিচালক মশিউর খন্দকার প্রমুখ।
শুক্রবার খাগড়াছড়ি শহরে পৌঁছের পরে প্রতিযোগীতার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আয়োজক কমিটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী। তিনি বলেন, রাঙ্গামাটির সাজেক ভ্যালী থেকে খাগড়াছড়ি হয়ে বান্দরবানের নীলগিরি পর্যন্ত মোট ২৫০ কিলোমিটার পাহাড়ি পথে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ৩১ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছেন। শুক্রবার প্রথম দিনে সাজেক হতে ৬৮ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে তারা খাগড়াছড়িতে অবস্থান করছেন। দ্বিতীয়দিন শনিবার ভোর ৭টায় খাগড়াছড়ির চেঙ্গী ব্রীজ থেকে রাঙ্গামাটির উদ্দেশ্যে প্রতিযেগাীতারা যাত্রা শুরু করবেন।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৬শে মার্চ বান্দরবানের নীলগিরি গিয়ে শেষ হবে এ প্রতিযোগীতা। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ এ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের পাশাপাশি খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলা পরিষদ, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও বিজিবি এ প্রতিযোগীতায় পৃষ্ঠপোষকতা করেছে।