ভারতের মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। পুলিশের কোলে চড়ে নালা পার হওয়ার কারণে সামাজিক গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছেন।
সোমবার মধ্য প্রদেশের পান্না জেলার আমানগঞ্জ তহশীল পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে মাত্র গোড়ালি পর্যন্ত ডুবে এমন একটি নালা দুই পুলিশ সদস্যের কোলে চড়ে নালা পার হন তিনি। এরপর আরেক এলাকায় কাদার মাঝে খালি পায়ে হেঁটে যান মন্ত্রী। তার জুতোজোড়া হাতে নিয়ে পেছন পেছন হেঁটে যেতে দেখা যায় তার এক সহকারীকে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত মানুষের মোবাইল ফোনে তোলা ছবিগুলো দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে। মুখ্যমন্ত্রীর এ ধরনের কাজে প্রতিবাদে সরব হয়ে উঠেছে বিরোধী দলগুলো। রাজ্য কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট অরুণ যাদব বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজে হেঁটে এতটুকু পানি পার হতে পারছেন না, পুলিশের কোলে চেপে পেরোতে হচ্ছে, এটি অত্যন্ত লজ্জার বিষয়।
অবশ্য সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, মন্ত্রীকে যে কোনো আঘাত এবং সাপের কামড় থেকে বাঁচাতে তাকে কোলে করে পানি পার করানো হয়েছিল। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে মধ্যপ্রদেশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বেশকিছু জায়গায় পরিস্থিতি বেশ ভয়াবহ। বিভিন্ন জায়গায় খোলা হয়েছে ত্রাণশিবির। বিরোধীরা অভিযোগ করেন, নেতা-মন্ত্রীদের আগমনে উদ্ধারকাজে ব্যাঘাত ঘটছে। উদ্ধারকাজের জন্য ব্যবহৃত সরকারি হেলিকপ্টারগুলো ভিআইপিদের এলাকা পরিদর্শনে নিয়ে যেতেই ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। এনডিটিভি।
যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে আর কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে চুক্তি ভঙ্গ করে ‘কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই’ পরমাণু কর্মসূচি আবারও শুরুর হুমকি দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
নতুন করে পরমাণু কর্মসূচি শুরু হলে তা ২০১৫ সালের তুলনায় আরও আধুনিক হবে বলেও রুহানি জানিয়ে দিয়েছেন।
২০১৫ সালেই বিশ্বের শক্তিধর ছয় দেশের সঙ্গে একটি চুক্তির আওতায় ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি হ্রাস করেছিল। বিভিন্ন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা ধীরে ধীরে শিথিল করা হবে এই শর্তেই পরমাণু প্রকল্পের কাজ অন্তত ১০ বছরের জন্য হ্রাস করতে রাজি হয় ইরান।
এখন নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে ইরান ওই চুক্তি পরিহার করবে বলে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে।
চুক্তিটিকে ‘শান্তিপূর্ণ ও কূটনৈতিক উপায়ে জয়লাভের’ উদাহরণ বলে বর্ণনা করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট রুহানি।
পরমাণু চুক্তি অনুযায়ী ইরান তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে চায় জানিয়ে মঙ্গলবার পার্লামেন্টে এক ভাষণে রুহানি বলেন, “কিন্তু এটিই (আমাদের সামনে) একমাত্র পথ নয়।”
“যারা হুমকির ভাষায় এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপের পথে ফিরে যেতে চায় তারা আসলে তাদের অতীত বিভ্রমের মধ্যেই বাস করছে। যদি তারা আবারও অতীত অভিজ্ঞতায় ফিরে যেতে চায় তবে নিশ্চিতভাবেই খুব কম সময়ে আরও শক্তিশালী হয়ে আমরা আমাদের আগের অবস্থায় ফিরে যাব। এজন্য আমরা সপ্তাহ বা মাস সময় নেব না, বরং দিন বা ঘণ্টার হিসেবে আমরা তা করব।”
এ বছর জানুয়ারিতে একটি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরানের এই পরীক্ষা জাতিসংঘের চুক্তির লঙ্ঘন।
অন্যদিকে, ইরানের দাবি নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র বরং পরমাণু চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
পরমাণু চুক্তি অনুযায়ী, পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম হতে পারবে এমন কোনও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের এমনকি নকশার উন্নয়ন নিয়েও কাজ করতে পারবে না ইরান। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের প্রযুক্তি নিয়েও কাজ করা যাবে না।
ইরানের দাবি, জানুয়ারির শেষ দিকে পরীক্ষা চালানো ক্ষেপণাস্ত্রটি পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম নয়। তাদের পরমাণু প্রকল্প পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ কারণে বলেও জোর দাবি তাদের।
ওদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্রমাগত পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
ইরানের সর্বশেষ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর ট্রাম্প প্রশাসন সতর্ক করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ‘ইরানের শত্রুতাপূর্ণ এবং আগ্রাসী আচরণে আর চোখ বন্ধ করে থাকবে না’। যদিও তারা স্বীকার করেছে, জানুয়ারির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা পরমাণু চুক্তির ‘সরাসরি লঙ্ঘন নয়’।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্র ‘একজন ভাল অংশীদার না বা বিশ্বাসযোগ্য মধ্যস্থতাকারী না’, এরই মধ্যে বিশ্ব তা স্পষ্ট বুঝে গেছে বলেও মন্তব্য করেছেন রুহানি।
তিনি বলেন,“এরই মধ্যে ট্রাম্প প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়েছেন এবং কিউবার সঙ্গে চুক্তি থেকে পিছিয়ে গেছেন।”
চীনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে আরও সৈন্য পাঠিয়েছে ভারত।
কয়েকটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) ও রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে বলে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পিটিআই জানিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনী সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশের ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার সীমান্তে মোতায়েন বাহিনীগুলোর মধ্যে ‘সতর্কতার মাত্রা’ বৃদ্ধি করেছে।
পিটিআইর সূত্রগুলো জানিয়েছে, চীনের আক্রমণাত্মক কথাবার্তা ও তৎপরতায় গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতি সতর্কভাবে বিশ্লেষণ করছে নয়া দিল্লি।
প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর বিষয়ে কোনো কিছু জানাতে অস্বীকার করেছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা; তারা বলেছেন, কার্যক্রমের বিস্তারিত প্রকাশ করতে পারবেন না তারা।
প্রায় দুই মাস আগে সিকিম সীমান্তের ডোকলাম মালভূমিতে চীনা সেনাবাহিনী রাস্তা নির্মাণের সময় সেখানে উপস্থিত হয়ে বাধা দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। তারপর থেকে ওই সীমান্তে দুদেশের সেনাবাহিনী মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে আছে।
ওই মালভূমিটিকে ডোংলাং বলে থাকে চীন। ডোংলাং মালভূমিকে নিজেদের অংশ দাবি করে সেখানে তাদের রাস্তা নির্মাণের পূর্ণ অধিকার আছে বলে দাবি করছে চীন।
অন্যদিকে মালভূমিটি ভুটানের অংশ বলে দাবি করেছে ভারত ও ভুটান।
দিল্লি জানিয়েছে, ভারত, চীন ও ভুটানের ত্রিদেশীয় সীমান্তে রাস্তা বানানোর উদ্যোগ নিয়ে চীন স্থিতাবস্থা ক্ষুণ্ণ করছে এবং এটি গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি করতে পারে বলে বেইজিংকে সতর্ক করেছে তারা।
ওই উপত্যকায় সৃষ্ট অচলাবস্থার পর থেকে এ পর্যন্ত চীন ও ভারতের ৩০০ জন করে সৈন্য মাত্র কয়েকশ ফুট দূরে পরস্পরের মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে আছে।
শুক্রবার ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, উত্তেজনা আরো বাড়বে বলে মনে করছেন না তারা।
নয়াদিল্লি ও সিকিমের দুটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে জানিয়েছে, সাবধানতা হিসেবে সামরিক বাহিনীর সতকর্তার মাত্রা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ওই সীমান্তে মোতায়েন ভারতীয় বাহিনীগুলোর সাধারণত ‘সতর্কাবস্থায় থাকে’, কিন্তু চলতি বছর পূর্বাঞ্চলীয় সেক্টরে কিছুটা আগেই ওই অবস্থা চালু করা হয়েছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে সূত্রগুলো।
রাতের খাবার পরিবেশন করতে দেরি হওয়ায় স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতের দিল্লীর এক বাসিন্দা। অশোক কুমার নামের সে ব্যক্তির বয়স ৬০ বছর।
গত শনিবার রাতে অশোক কুমার মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরেন। তারপর স্ত্রী সুনাইনার সাথে তার বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে ৫৫ বছর বয়সী স্ত্রীকে মাথায় গুলি করে অশোক কুমার।
গুরুতর আহত অবস্থায় একটি হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানকার ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
পুলিশ কর্মকর্তা রূপেশ সিং জানিয়েছেন, স্ত্রীকে গুলি করে হত্যার কথা স্বীকার করেছে অশোক কুমার। এখন তিনি সেজন্য অনুতপ্ত।
রূপেশ সিং বলেন, ” সে ব্যক্তি প্রতি রাতে মদ্য পান করতো। শনিবার সে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরলে স্ত্রী সাথে ঝগড়া শুরু হয়। স্বামীর মদ্যপান নিয়ে স্ত্রী বেশ হতাশায় ভুগছিলেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি তার স্বামীর সাথে কথা বলতে চান। কিন্তু তার স্বামী দ্রুত খাবার চেয়েছেন।”
খাবার দিতে দেরি হওয়ায় এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে স্ত্রীকে গুলি করেন অশোক কুমার।
ভারতে নিজের বাড়িতে নারীদের প্রতি সহিংসতার মাত্রা গত এক দশকে অনেকটা বেড়ে গেছে। ২০১৫ সালের এক জরিপে দেখা গেছে যৌতুককে কেন্দ্র করে প্রতি চার মিনিটে একটি সহিংসতা হচ্ছে।
সরকার পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, ভারতে ৫৪ শতাংশ পুরুষ ৫১ শতাংশ নারী মনে করেন কোন নারী যদি তার শ্বশুর-শাশুড়িকে অসম্মান করে কিংবা গৃহস্থালির কাজ এবং সন্তান পালনে অমনোযোগী হয় তাহলে স্বামীরা স্ত্রীদের প্রহার করতে পারে। এতে দোষের কিছু মনে করেন না তারা।
শুধু তাই নয়, খাবারে পরিমানমতো লবণ না হলেও স্ত্রীদের পেটানো যায় বলে অনেকে মনে করে।
রোববার ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ করা হয়।
বিবিসি জানিয়েছে, প্রায় সব ভোট গণনার পর দেখা যায়, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ৫৭৭ আসনের মধ্যে এলআরইএম ও মোদেমের জোট তিনশটিরও বেশি আসনে জয়ী হয়েছে।
কোনো দল ২৮৯ আসন পেলেই ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে।
তবে প্রথম দফার ফল ও জনমত জরিপের-ভিত্তিতে যেমনটি আশা করা হয়েছিল তার চেয়েও কম আসন পেয়েছে জোটটি। এর আগের বারের চেয়ে এবার কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতিও কম ছিল।
তবে মাত্র এক বছর আগে গঠিত মাক্রোঁর রাজনৈতিক দলটি এরই মধ্যে যা করেছে তা অতীতের সব হিসাবনিকাশকে উল্টে দিয়েছে। এলআরইএম এর অর্ধেকেরও বেশি প্রার্থীর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা খুব অল্পদিনের বা একেবারেই নেই।
দলটির প্রার্থী তালিকায় একজন বুলফাইটার, রুয়ান্ডার এক শরণার্থী ও একজন গণিতবিদও আছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
আর এইসব প্রার্থীর কাছেই ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলো ধরাশায়ী হয়েছে।
মাত্র তিন বছর আগেও ফ্রান্সের জনগণের কাছে অপরিচিত ছিলেন মাক্রোঁ। আর এখন মাত্র ৩৯ বছর বয়সে তিনি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্টেও তার নবপ্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের একাধিপত্য।
পার্লামেন্টে এই শক্ত অবস্থানের মাধ্যমে গত মাসে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ তার ইউরোপন্থি, ব্যবসাবান্ধব সংস্কার কর্মসূচী নিয়ে সহজেই এগিয়ে যেতে পারবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রক্ষণশীল রিপাবলিকান ও তাদের জোট সঙ্গীরা ১২৫ থেকে ১৩১ আসন পেতে যাচ্ছে। এই জোটটিই পার্লামেন্টে বৃহত্তম বিরোধী শিবির হতে যাচ্ছে। তবে আগের বারের পার্লামেন্টে তাদের ২০০ আসন থাকলেও এবার অনেক কম আসন নিয়েই তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।
আর গত পাঁচ বছর ফ্রান্সের ক্ষমতায় থাকা সমাজতন্ত্রীরা মাত্র ৪১ থেকে ৪৯টি আসন পেতে যাচ্ছে। দলটির পার্লামেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বিপর্যয়কর ফল।
অপরদিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাক্রোঁর প্রধান প্রতিদ্বিন্দ্বী মারি লো পেনের উগ্র-ডানপন্থি ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এফএন) আটটি আসনে জয়ী হয়েছে। দলটি ১৫ আসনে জয় পাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। প্রথমবারের মতো জয় পেয়ে পার্লামেন্টে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন দলটির নেতা লো পেন।
স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১২টা ৫৪ মিনিটে ল্যাঙ্কাস্টার ওয়েস্ট ইস্টেটের লাটিমার রোডের গ্রেনফেল টাওয়ারে আগুন লাগার খবর প্রথম পাওয়া যায় বলে পুলিশের বরাতে জানিয়েছে বিবিসি।
এর পরপরই ৪০টি ফায়ার ইঞ্জিন নিয়ে প্রায় ২০০ দমকল কর্মী আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করেন। এর তিন ঘণ্টা পরেও ওই ভবন থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, উত্তর কেনসিংটনের গ্রেনফেল টাওয়ারে মানুষ আটকা পড়ে আছে। সাহায্যের জন্য চিৎকার করছে।
দমকলকর্মীরা ৬৫ জনকে উদ্ধার করেছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এখনও বহু মানুষের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ভবনটিতে আগুন জ্বলছে এবং এটি ধসে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে লন্ডন দমকলের কমিশনার ড্যানি কটন বলেন, “এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা। দমকল কর্মী হিসেবে আমার ২৯ বছরের অভিজ্ঞতায় এ ধরনের ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আমি আর দেখিনি।”
আগুন লাগার কারণ উদঘাটন করা যায়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি। মধ্যরাতের পর ভবনটিতে আগুন লাগার সময় সেখানে কয়েকশ’ মানুষ ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের বেশির ভাগই ঘুমাচ্ছিল।
মেট্রোপলিটন পুলিশ কমান্ডার স্টুয়ার্ট কান্ডি বলেছেন, তিনি এখন পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছেন। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এম্বুলেন্স সার্ভিস জানায়, আহত ৬৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৮ জনের অবস্থা গুরুতর।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আসা ছবি ও ভিডিওতে নিচ থেকে পুরো ভবনটিই জ্বলতে দেখা গেছে।
বিবিসি’র একজন প্রতিবেদক ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছিলেন, জ্বলন্ত ভবনটি থেকে বিভিন্ন অংশ খুলে নিচে পড়ছে। সেখান থেকে বিস্ফোরণ আর কাচ ভাঙার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।
“ভবনটি ভেঙে পড়তে পারে এই আশঙ্কায় পুলিশ আশপাশ থেকে সবাইকে সরিয়ে দিচ্ছে।”
চ্যানেল ফোরের উপস্থাপক জর্জ ক্লার্ক বিবিসি’কে বলেছেন, ভবনটি থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে দাঁড়ানো অবস্থাতেও তার মনে হচ্ছিল তিনি হয়ত ছাইয়ে ঢাকা পড়ে যাবেন।
ক্লার্ক জানান, ভবনে আটকা পড়া একজনকে তিনি ওপর থেকে টর্চের আলো দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করতেও দেখেছেন।
টিম ডাউনি নামের আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসি’কে বলেছেন, ভবনটির একটি অংশ পুড়ে শেষ হয়ে গেছে।
জাপান প্রতিনিধি জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৫টা ৪০ মিনিটে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
স্বল্পপাল্লার ওই স্কাড ক্ষেপণাস্ত্রটি ৪৫০ কিলোমিটার উড়ে গিয়ে জাপানি জলসীমায় পড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে জাপান। জাপানের মন্ত্রীসভার মুখ্য সচিব ইয়াশিদা সুগা এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সাদো ও ওকি দ্বীপের মাঝামাঝি এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্রটি অবতরণ করেছে।
এতে কোনো নৌযানের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও ঘটনাটিকে ‘চরম ধৃষ্টতা’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। উত্তর কোরিয়ার এ ধরনের পদক্ষেপ জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চলের ক্ষতির কারণে হয়ে দাঁড়াবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা জাতিসংঘের নিরাপত্তা চুক্তির চরম লঙ্ঘন এবং এ ধরনের কাজ থেকে দেশটিকে বিরত রাখতে তাদের মোকাবিলা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক কমান্ড জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ওনসান থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয় এবং অবতরণের আগে প্রায় ছয় মিনিট এটি আকাশে ছিল।
উত্তর কোরিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র জাপানের জলসীমায় পড়ায় প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে; ২৯ মে, ২০১৭। রয়টার্স
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি ১২০ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠেছিল।
উত্তর কোরিয়া ঠিক কতগুলো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তার ‘সঠিক সংখ্যা বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে’ বলে জানিয়েছেন দক্ষিণের ওই কর্মকর্তা। তার এ কথায় একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়ে থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
নতুন একটি বিমান প্রতিরক্ষা পদ্ধতি পরীক্ষার ঘোষণা দেওয়ার একদিন পর এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করল উত্তর কোরিয়া।
পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন, এই পরীক্ষায় ইঙ্গিত মেলে ওয়ারহেড বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে উত্তর কোরিয়া ক্রমাগত অগ্রগতি অর্জন করছে।
উত্তর কোরিয়ার সব ধরনের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচীর ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা আছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসন মোকাবিলায় আত্মরক্ষার্থে এসব কর্মসূচী অব্যাহত রাখা প্রয়োজন দাবি করে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে আসছে দেশটি।
উত্তর কোরিয়ার কাছে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরি স্বপ্লপাল্লার স্কাড ক্ষেপণাস্ত্রের বড় ধরনের মজুদ আছে। ওই স্কাড ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত সংস্করণগুলোর পাল্লা এক হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
এর আগে উত্তর কোরিয়ার যে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ‘সফল’ পরীক্ষা চালানোর দাবি করেছে সেগুলো মাঝারি ও দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছিল। ২১ মে মাঝারি পাল্লার একটি এবং ১৪ মে দীর্ঘ পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দুটির পরীক্ষা চালিয়েছিল দেশটি।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম বিদেশ সফরে সৌদি আরবে এসে রোববার ৫৫টি মুসলিম প্রধান দেশের নেতাদের অংশগ্রহণে এক সম্মেলনে বক্তব্যে উগ্রপন্থিদের নিয়ে ট্রাম্প বলেন, “তাদেরকে এই পৃথিবী থেকে দূর করে দিন।”
আরব-ইসলামিক-আমেরিকান সামিট নামে রিয়াদে এই সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অংশ নেন।
প্রেসিডেন্ট হয়ে কয়েকটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিতর্ক তৈরি করা ট্রাম্প সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইকে ‘সভ্যতার সংঘাতের’ বদলে ‘শুভ ও অশুভের যুদ্ধ’ বলেছেন।
তিনি বলেন, “এ লড়াই মানবজীবনকে ধ্বংস করতে চাওয়া বর্বর অপরাধী এবং এর সুরক্ষা দিতে চাওয়া সব ধর্মের সভ্য মানুষের মধ্যে।
“এর অর্থ হচ্ছে, ইসলামী উগ্রবাদের সংকট এবং এ থেকে উদ্বুদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে সততার সঙ্গে লড়ে যাওয়া। একইসঙ্গে নিরপরাধ মুসলিম হত্যা, নারী নিপীড়ন, ইহুদি নির্যাতন এবং খ্রিস্টান নিধন একযোগে রুখে দাঁড়ানো।”
ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার জয়ের পথ সুগম করার পাশাপাশি নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার উপর নির্ভর করা দেশগুলোকে উদ্বেগে ফেলে। এখন নিজের দেশে রাজনৈতিক কেলেঙ্কারি সামালে ধুকতে থাকা ট্রাম্প বক্তব্যে স্পষ্ট করেছেন, ওয়াশিংটন মধ্যপ্রাচ্যের সহযোগী হিসেবে কাজ করবে তবে বিনিময়ে আরও পদক্ষেপ চায় তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, “সারা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু শান্তির পথের শুরু হয়েছিল এখান থেকে, এই প্রাচীন মাটি, এই পবিত্র ভূমি থেকে।”
ট্রাম্প বলেন, “আমরা এখানে শিক্ষা দেওয়ার জন্য বক্তব্য দিতে আসিনি, আমরা অন্যদের বলতে আসিনি কীভাবে জীবনযাপন করতে হবে, কী করতে হবে, কী হতে হবে বা কীভাবে প্রার্থনা করতে হবে।
“তবে আমরা শুধু তখনই এই অশুভ থেকে মুক্তি পাব যদি সব শুভ শক্তি একত্রিত এবং শক্তিশালী হয়। এবং এক্ষেত্রে প্রত্যেকে তার দিকের কাজটা করে…মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এই শত্রু খতমে আমেরিকান শক্তির জন্য অপেক্ষা করে থাকতে পারে না।”
সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর অর্থায়ন বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও আরব দেশগুলো।
আঞ্চলিক দ্বন্দ্বে ইরানকে মোকাবেলায় নেটোর মতো একটি আরব বাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে ছয় জাতির গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিলের সঙ্গে বসেন ট্রাম্প।
ওই সভায় ইসলামি জঙ্গিদের বার্তা ছড়ানোর শক্তি-সামর্থ্য গুড়িয়ে দিতে একটি সেন্টার তৈরিতে সম্মত হয়েছে ট্রাম্প ও উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর নেতারা।
বিভিন্ন আরব নেতার সঙ্গে একের পর এক বৈঠকে ওই অঞ্চলে ট্রাম্পকে স্বাগত জানানোর চিত্র ফুটে উঠেছে।
মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, “বিরূপ পরিস্থিতিতে আপনি চমৎকার কাজ করেছেন।”
শিগগিরিই মিশর সফরে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। মিশরীয় এক জোড়া উজ্জ্বল কালো জুতাও বেছে নিয়েছেন ট্রাম্প।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির সঙ্গে বৈঠকে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির চেষ্টায় তিনি বলেন, তারা অনেক ‘সুন্দর সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে আলোচনা করেছেন কারণ যুক্তরাষ্ট্রের মতো সেগুলো আর কেউ তৈরি করেনি’।
বাহরাইনের বাদশা হামাদ বিন ইস আল-খলীফার সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প বলেছেন, তাদের দুই দেশের অনেক অভিন্ন বিষয় রয়েছে এবং ‘এই প্রশাসনের সঙ্গে কোনো ঝামেলা হবে না’।
যুক্তরাষ্ট্র-বাহরাইনের সম্পর্কের প্রশংসা করে বাদশা বলেছেন, এটা এই অঞ্চলে ‘শান্তি ও সমৃদ্ধি’ আনতে ভূমিকা রেখেছে।
কুয়েতের আমির সাবাহ আল-আহমাদ আল-সাবাহর সঙ্গে বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম কেনার কথা উল্লেখ করেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পকে ‘নিজের ভাই’ বলেন কুয়েতি আমির।
নয় দিনের বিদেশ সফরে সৌদি আরব থেকে ইসরায়েল, ইতালি, বেলজিয়ামসহ কয়েকটি দেশ ঘুরবেন ট্রাম্প।
শুক্রবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় বালখ প্রদেশের মাজার ই শরীফ শহরে হামলাটি চালানো হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি, বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
আফগানিস্তানের কোনো সেনা স্থাপনায় চালানো সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা এটি।
ঘটনাস্থল থেকে দেশটির এক কর্মকর্তা শনিবার জানিয়েছেন, অন্তত ১৪০ জন সৈন্য নিহত ও বহু আহত হয়েছে।
নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন অন্যান্য কর্মকর্তারা।
সরকারিভাবে এখনও হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব কথা জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তারা।
ওয়াশিংটন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জন থমাস বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে শুক্রবারের হামলাটিকে ‘উল্লেখযোগ্য’ হামলা উল্লেখ করে এতে সম্ভবত ৫০ জনের বেশি হতাহত হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন।
ঘাঁটিটির একটি মসজিদ ও একটি ডাইনিং এলাকাকে কেন্দ্র করে হামলাটি পরিচালিত হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
এক বিবৃতিতে তালেবান হামলার দায় স্বীকার করেছে।
মাজার ই শরীফে সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চলার সময় আফগান জাতীয় সেনাবাহিনীর সৈন্যরা সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছে; ২১ এপ্রিল, ২০১৭। রয়টার্স
আফগান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রায় ১০ জনের মতো তালেবান যোদ্ধার একটি দল আফগান সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম পরে সামরিক যান চালিয়ে ঘাঁটিতে প্রবেশ করে, তারা দুপুরের আহার গ্রহণরত ও জুমার নামাজ শেষে একটি মসজিদ থেকে বের হওয়া সৈন্যদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে।
এ সময় হামলাকারীরা রকেট চালিত গ্রেনেড ও রাইফেল ব্যবহার করে বলে জানিয়েছেন তারা।
শনিবার এক বিবৃতিতে তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেন, সম্প্রতি উত্তর আফগানিস্তানে তালেবানের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে এ হামলা চালানো হয়েছে।
নেটোর নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট মাজার ই শরীফের এই ঘাঁটিটিতে আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা করার জন্য বেশ কিছু সামরিক উপদেষ্টা মোতায়েন করেছে। তাদের কেউ এ হামলায় হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক ওই সামরিক জোটটির কর্মকর্তারা।
এ হামলায় আটজন নিহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছিল, পরে নিহতের সংখ্যা আরো অনেক বেশি বলে খবর হয়।
সেনাবাহিনীর এক কমান্ডার জানিয়েছেন, বেশ কয়েকজন হামলাকারীর মধ্যে অন্তত একজন আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায়। শুক্রবার রাতেও ঘাঁটিটিতে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
মাজার ই শরীফের এই ঘাঁটিটি আফগান ন্যাশনাল আর্মির ২০৯তম কর্পসের ঠিকানা। উত্তর আফগানিস্তানের অধিকাংশ অঞ্চলের নিরাপত্তার বিধানের দায়িত্ব এই ঘাঁটিটির ওপর ন্যস্ত। এসব অঞ্চলের মধ্যে কুন্দুজ প্রদেশও আছে যেখানে সম্প্রতি তীব্র লড়াইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
ঘাঁটিটিতে বেশ কিছু জার্মান ও অন্যান্য বিদেশি সৈন্য ছিল বলে জানা গেছে।
গত মাসে দেশটির রাজধানী কাবুলের একটি সামরিক হাসপাতালে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের হামলায় প্রায় ৫০ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছিল। ওই একই মাসে তালেবান দাবি করেছিল, তারা বছরব্যাপী দীর্ঘ এক লড়াইয়ের পর দক্ষিণাঞ্চলীয় গুরুত্বপূর্ণ আফগান জেলা সানগিন দখল করে নিয়েছে।
ভারতে এরই মধ্যে বেশ কিছু রাজ্যে গরুর মাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অথচ সেখানে নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে একেবারে উল্টোপথে হাঁটলেন বিজেপি নেতা এন শ্রীপ্রকাশ। বললেন, কসাইখানা বন্ধ রাখা নিয়ে দল যে সিদ্ধান্তই নিক না কেন, আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগ নেব, যাতে স্বচ্ছ কসাইখানাগুলো পুনরায় খোলা যায়।
সামনেই কেরলার মালাপ্পুরাম লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। সেই নির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এন শ্রীপ্রকাশ। রোববার নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই তার বক্তব্য, ‘বিভিন্ন কসাইখানা বন্ধের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়েছে দল। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নেব, যে কসাইখানাগুলো আইন মোতাবেক কাজ করবে সেগুলো যাতে পুনরায় খোলা যায়। এবং সেখানে যেন ভালো গরুর মাংস পাওয়া যায়।’ খবর কলকাতা টোয়েন্টিফোরের।
উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসতেই কসাইখানা বন্ধের ওপর অভিযান চালানো হচ্ছে। যোগী আদিত্যনাথের সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যে কোন বেআইনি কসাইখানা রাখা চলবে না। গোবলয়ের রাজ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজ্য বিধানসভায় সংশোধনী বিল আনে গুজরাটও। একধাপ এগিয়ে গরু হত্যা থেকে শুরু করে গো-মাংস বিক্রিতে কড়া শাস্তির কথা বলে বিজয় রুপানির সরকার। এরই মাঝে বিজেপি নেতার এমন মন্তব্য নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
ভোটের কথা ভেবেই কি তবে এই মন্তব্য? এই বিষয়ে বিজেপি এই নেতার সাফাই, ‘কংগ্রেস আমল থেকেই এই ধরনের অভিযান চলছে। এই অভিযান নতুন কিছু নয়। অনেক রাজ্যেই কংগ্রেস সরকারে থাকার সময় বেআইনি কসাইখানা বন্ধের পথে হেঁটেছিল। এখন সেটাই অনুস্মরণ করা হচ্ছে।’\