নিজস্ব প্রতিদেক :: রাঙামাটি: পার্বত্য তিন জেলার পরিত্যক্ত সেনা ক্যাম্পগুলোতে শিগগিরই এপিবিএন মোতায়েন করার ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে সেনবাহিনী শান্তির জন্য কাজ করছে।
তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং যাদের সঙ্গে আমাদের শান্তিচুক্তি হয়েছিল, সেই চুক্তির একটি শর্ত ছিল সেনাবাহিনীর পরিত্যক্ত ক্যাম্পগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হবে। যাতে এ এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকে।
আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় থাকা পরিত্যক্ত সেনা ক্যাম্পগুলোতে ধীরে ধীরে, এক সঙ্গে নয়, পুলিশ মোতায়েন করতে যাচ্ছি আমরা। লক্ষ্য একটাই, পার্বত্য চট্টগ্রামে যেন শান্তিশৃঙ্খলার সুবাতাস বইতে শুরু করে, যোগ করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা জানেন, আমরা জলদস্যু মুক্ত করেছি, চরমপন্থি মুক্ত করেছি। সবার প্রচেষ্টায় এ অঞ্চলে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করব। আমরা ঘোষণা দিচ্ছি- তিন জেলায় (বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি) তিনটি এপিবিএন ব্যাটালিয়ন আসবে। এ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ধীরে ধীরে পরিত্যক্ত সব ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়বে। এর হেডকোয়ার্টার থাকবে রাঙামাটিতে। কথা হয়েছে, সিদ্ধান্ত হয়েছে, কোথায় কোন অসুবিধা। এ অসুবিধার আলোকে অনেক কথা আসছে। আমরা সবগুলো নোট করে নিয়েছি। সন্তু লারমা শান্তিচুক্তির কথা বলেছেন, শান্তিচুক্তির ভূমি কমিশনের কথা বলেছেন। সবগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সবগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন হবে।
বুধবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত রাঙামাটিতে তিন পার্বত্য জেলার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভা শেষে রাতে সাংবাদিকদের সামনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আমি এখানে এসে হেডম্যান, কার্বারি, জনপ্রতিনিধি, মন্ত্রী এবং তিন পার্বত্য জেলার রাজাদের নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদের একটা অনুরোধ, এ এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। তারা নানা ধরনের সাজেশন দিয়েছেন। তারা ভয়ংকর পরিস্থিতির কথা বলেছেন, চাঁদাবাজির কথা বলেছেন, সন্ত্রাসের কথা বলেছেন। দল-উপদলের মারামারির কথা বলেছেন।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদূর ঊশৈসিং, ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু নির্দিষ্টকরণ ও পুনর্বাসন টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এমপি দীপংকর তালুকদার, সংরক্ষিত নারী আসন-৯ এর এমপি বাসন্তী চাকমা, সিনিয়র সচিব নিরাপত্তা বিভাগ, পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ, চট্টগ্রাম ২৪ পদাধিক ডিভিশনের জিওসি, মহাপরিচালক এনএসআই, বিভাগীর কমিশনার চট্টগ্রামসহ প্রশাসনের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ এ বিশেষ সভায় যোগ দেন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো :: আগামী ১ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি।
বুধবার (২৫ মে) দুপুরে নগরের কাজীর দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১ অক্টোবর আগে নগর আওয়ামী লীগের ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের মূল শক্তি ক্ষমতা নয়, আওয়ামী লীগের মূল শক্তি জনগণ। সংগঠনকে নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে হবে। আওয়ামী লীগের মাধ্যমে এই দেশের পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশকে দরিদ্র দেশ থেকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করেছে আওয়ামী লীগ। দেশের সকল উন্নয়নের সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে আগামী ৩১ সালে মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রে উন্নীত হবে।
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বিএনপি বাধা দিতে প্রস্তুত মন্তব্য করে মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, ১২ বছরে বার বার আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার অপচেষ্টা করেছে। সবকিছু মোকাবিলা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি বার বার মিথ্যাচার করেছে। বিএনপি দেশের উন্নয়ন চায় না। বেগম খালেদা জিয়া জিএসপি সুবিধা বাতিলের জন্য চিঠি দিয়েছিলেন। ২০২০ সালে বিএনপি র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার জন্য লবিস্ট নিয়োগ করেছিল, যাতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়।
মঙ্গলবার ঢাকায় ছাত্রদল-ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপিকে দায়ী করে হানিফ বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিদিন প্রেসক্লাবে বিএনপি মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান করে বক্তব্য দেওয়া হয়। দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দলের সঙ্গে মুনাফিকি করবেন না, পদ-বাণিজ্য করবেন না। যোগ্য লোককে মাঠ থেকে খুঁজে নিয়ে আসতে হবে। সুবিধাভোগিরা সবসময় আশেপাশে ঘুরবে, তাই সতর্ক থাকতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক, সাবেক চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঞ্চালনায় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এমপি, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কৃষি ও সমবায় সম্পাদক বেগম ফরিদুনন্নাহার লাইলী, কেন্দ্রীয় উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।
ঢাকা :: বুধবার (২৫ মে) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী ও তাঁর অসামান্য বিখ্যাত কবিতা ‘বিদ্রোহী’র শতবর্ষ উপলক্ষে তাঁর অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব জাতি, ধর্ম ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সাহসের প্রতীক। কবি নজরুল তাঁর প্রত্যয়ী ও বলিষ্ঠ লেখনীর মাধ্যমে এদেশের মানুষকে মুক্তি সংগ্রামে অনুপ্রাণিত ও উদ্দীপ্ত করেছিলেন। তাঁর গান ও কবিতা সব সময় যেকোনো স্বাধীনতা আন্দোলনে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। নজরুল সাহিত্যের বিচিত্রমুখী সৃষ্টিশীলতা আমাদের জাতীয় জীবনে এখনও প্রাসঙ্গিক।
শেখ হাসিনা বলেন, নজরুল জন্মেছিলেন এবং বেড়ে উঠেছিলেন একটি পরাধীন সমাজে। পরাধীনতার গ্লানি তিনি উপলব্ধি করেছেন মর্মে মর্মে। কবি নজরুলের আজীবন সাধনা ছিল সমাজের শোষিত ও নিপীড়িত মানুষের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তি এবং মানুষের সামাজিক মর্যাদার স্বীকৃতি অর্জন। এছাড়াও তিনি অন্যায়, অসত্য, নির্যাতন-নিপীড়ন, নানামাত্রিক অসাম্য ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে আমাদের যুগিয়েছেন প্রতিবাদ প্রতিরোধের অনাবিল প্রেরণা।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান স্বাতন্ত্র মহিমায় সমুজ্জ্বল থাকবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কালজয়ী প্রতিভার অধিকারী কবি নজরুল তাঁর লেখনির মাধ্যমে আমাদের সাহিত্য, সংগীত ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন। তাঁর সাহিত্যকর্মে উচ্চারিত হয়েছে পরাধীনতা, সাম্প্রদায়িকতা ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের বাণী। অসামান্য ও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী কবি নজরুল ছিলেন অসাম্প্রদায়িক ও জাতীয়তাবোধের মূর্ত প্রতীক।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের জীবনাদর্শ একই দর্শনের ধারাবাহিক রূপ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনিও দেশের জন্য, জাতির জন্য সর্বস্ব ত্যাগ করেছেন এবং দীর্ঘদিন কারাবরণ করেছেন। মহান মানবতাবাদী কবি নজরুলের সংগ্রামশীল জীবন এবং তাঁর অবিনাশী রচনাবলী জাতির জন্য অন্থহীন প্রেরণার উৎস।
শেখ হাসিনা বলেন, কবি নজরুলের সাহিত্য ও সংগীত শোষণ, বঞ্চনা ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে মুক্তিরও দীক্ষাস্বরূপ। তাঁর ক্ষুরধার লেখনির স্ফুলিঙ্গ যেমন ব্রিটিশ শাসনের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল, তেমনি তাঁর বাণী ও সুরের অমিয় ঝর্ণাধারা সিঞ্চিত করেছে বাঙালির হৃদয়কে। তিনি প্রকৃতই প্রেমের এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার কবি। ধর্ম-বর্ণের ঊর্ধ্বে মানবতার জয়গান গেয়েছেন, নারীর অধিকারকে করেছেন সমুন্নত। তিনিই প্রথম বাঙালি কবি যিনি ব্রিটিশ অধীনতা থেকে ভারতকে মুক্ত করার জন্য স্বরাজের পরিবর্তে পরিপূর্ণ স্বাধীনতার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন কবির প্রতি একান্ত অনুরক্ত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী পর্যায়ে তাঁরই ঐকান্তিক আগ্রহে কবিকে কলকাতা হতে বাংলাদেশে এনে জাতীয় কবির সম্মানে অধিষ্ঠিত করা হয়। নজরুল যে অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতেন, তারই প্রতিফলন আমরা পাই জাতির পিতার সংগ্রাম ও কর্মে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন নজরুলের রচনা আমাদের কর্ম, চিন্তা ও মননে সকল কূপমুণ্ডকতা এবং প্রতিবন্ধকতা দূর করে একটি অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন, শান্তিপূর্ণ, সুখী-সমৃদ্ধ ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন তিনি।
॥॥ গিরিদর্পণ ডেস্ক ॥ পার্বত্য চট্টগ্রাম-বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় তিন পার্বত্য জেলায় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে একটি মহাপরিকল্পনা (মাস্টার প্ল্যান) গ্রহণ করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ মে) কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মো. দবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে একথা জানানো হয়।
সভায় জানানো হয়, গৃহীত মহাপরিকল্পনার আওতায় তিন পার্বত্য জেলায় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। কমিটির সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রাম-বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং, এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরী, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এবং বাসন্তী চাকমা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় কাপ্তাই লেককে মাছ চাষের জন্য অধিক উপযোগী করে গড়ে তোলা, জনগণের যাতাযাত সুবিধা এবং পর্যটন শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে তিন পার্বত্য জেলায় রেল লাইন স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
এছাড়া, পার্বত্য জেলার যে কোন উপযুক্ত স্থানে ছোট পরিসরে একটি বিমান বন্দর নির্মাণ, তিন পার্বত্য জেলায় হাউজিং প্রকল্প গ্রহণসহ জেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কমিটি বিস্তারিত আলোচনা করে। সভায় ১ম বৈঠক হতে ৩য় বৈঠক পর্যন্ত গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
সভায় তিন পার্বত্য জেলার যে সমস্ত জমি ব্যক্তি পর্যায়ে বনায়ন করার জন্য লিজ দেওয়া হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত বনায়ন করা হয়নি, সেই লিজকৃত জমির বর্তমান অবস্থা কমিটিকে অবহিত করার জন্য আগামী বৈঠকে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদেরকে উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।
কমিটি তিন পার্বত্য জেলায় সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিদের জন্য বাসভবন/কোয়ার্টার নির্মাণ এবং পরিকল্পিত হাউজিং এর প্রকল্প গ্রহণসহ পার্বত্য জেলায় বিদ্যুতায়নের ওপর গুরুত্বরোপ করে। পার্বত্য জেলাসমূহকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জোর সুপারিশ করে।
সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন সংস্থা প্রধানসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
॥ মিল্টন বাহাদুর ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পার্বত্য শান্তিচুক্তির প্রতিটি শব্দ ও ওয়াদা অক্ষর অক্ষরে পূরণ করবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি। তিনি বলেন, ভূমি জটিলতার সমস্যা ছাড়া পাহাড়ী এলাকার সব সমস্যা সমাধান করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। কি নেই আজ রাঙ্গামাটিতে, সবই আছে। ভূমি সমস্যার সমাধান হলে সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের উপর আস্থা রাখুন। শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখুন। হানাহানি মারা মারি রক্তপাত এই পাহাড়ে আর চাই না। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করুন।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, পাহাড়ে আপনার অনেক ঝুঁকি নিয়ে আওয়ামীলীগকে গড়ে তুলেছেন। জীবনের অনেক ঝুঁকি নিয়ে আপনারদের এগিয়ে যেতে হয়েছে। এখনো ঝুঁকি আছে। এখনো সংঘাতে রক্তপাত মাঝে মাঝে আমরা দেখতে পায়। এই রক্তপাত বন্ধ করতে হবে। পাহাড়ী-বাঙ্গালী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের পার্টিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।
এসময় তিনি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আগামী বছর নির্বাচন। অন্তর কলহ থেকে আপনারা নিজেদের বিরত রাখুন। অন্তর কলহ আপন ঘরে যার শক্রু, তার শক্রুতা করার জন্য বাইরের শক্রুর দরকার নেই। দুঃসময়ের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করুন, যারা এক সময় একটি সাথে পার্টি করেছে। ঘরের কহল নিজেরা বসে সমাধান করুন, আলাপ আলোচনা করুন। কোন অবস্থাতে আওয়ামীলীগের মধ্যে অন্তর দন্দ্ব-অন্তর কলহ এগুলো সমাধান করতে হবে বলে সবার প্রতি অনুরোধ জানান এবং আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিজয় ধরে রাখতে দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।
তিনি মঙ্গলবার (২৪ মে) সকালে রাঙ্গামাটির জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের ভ্যাচুয়ালী যোগদিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক ও সেতু মন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি এইসব কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনিষ্টিটিউট প্রাঙ্গনে রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, কেন্দ্রীয় ধর্ম বিসয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খাঁন এমপি, কেন্দ্রীয় উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, তিন পার্বত্য জেলার মহিলা সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের শুভ সূচনা করা হয়।
এসময় বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি আরো বলেন, পদ্মা সেতুর ব্যায় নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল অন্ধকারে ঢিল ছুড়ছেন। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু হয়ে গিয়েছে, জুনে উদ্বোধন হবে। পদ্মাসেতু নিয়ে সারা বাংলার মানুষ যখন আনন্দে উচ্ছাসিত সে সময় শুধুমাত্র বিএনপি ও মির্জা ফখরুলের বুকে ব্যাথা বিষ জ¦ালা ছড়িয়েছে। এই বিষ জ্বালায় তারা আজ দিশেহারা। আজ মানুষের মুখে সুখের হাসি আর বিএনপি’র মুখে শ্রাবনের আকাশের সব কালো মেঘ। আজ বিএনপি মুখ ঢেকে ফেলেছে।
সম্মেলনে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, এখন যত কথাই বলুক, আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে অংশ নেবে। সরকার প্রধান শেখ হাসিনা থাকবে আর স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং বিএনপি যে আস্ফালণ করছে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকতে সেই পরিস্থিতি কখনোই সৃষ্টি হবে না।
এসময় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফ এমপি বলেন, জামায়াত-বিএনপি পাকিস্তানের মদদে পরিচালিত বিধায় বাংলাদেশের অর্জন-অগ্রগতি তাদের পছন্দ হয় না। তারা শেখ হাসিনাকে দু’চোখে দেখতে পারে না। তিনি আরো বলেন, ইদানিং দেখা যাচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীরা বেফাঁস ও লাগামহীন কথাবার্তা বলছে। আপনাদের হুঁশিয়ার দিয়ে বলতে চাই, এভাবে কথা বলতে থাকলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা আপনাদেরকে মাঠেই প্রতিহত করবে।
এদিকে বিকালে সম্মেলনকে ঘিরে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এবারের জেলা কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুটি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। কাউন্সিলে সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি দীপংকর তালুকদার এবং তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান সহ-সভাপতি হাজী মোঃ কামাল উদ্দিন।
রাঙ্গামাটির কাউন্সিলে আবারো আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার, সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর নির্বাচিত
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে আবারো সভাপতি হয়েছেন দীপংকর তালুকদার এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে পুনঃনির্বাচিত হাজী মুছা মাতব্বর।
মঙ্গলবার (২৪ মে) বিকেলে সভাপতি পদে ভোট না হলেও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে সাধারণ সম্পাদক পদকে ঘিরে। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বরের বিরুদ্ধে হাজী কামাল উদ্দিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেন। অবশেষে গোপন ব্যালেট পেপারের মাধ্যমে নির্ধারিত হয় জয় পরাজয়।
কাউন্সিলরদের ভোট গণনা শেষে জানা যায়, ১৩৮ ভোট পেয়েছেন মুছা মাতব্বর এবং ১০২ ভোট পেয়েছেন হাজী কামাল উদ্দিন। ৩৬ ভোটে জয় পেয়েছেন হাজী মুছা মাতব্বর পুনরায় সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ছিলো উত্তাপ। নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ জনতা পর্যন্ত। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মাঝে ঘুরেফিরে একটাই আলোচনা, কারা আসছে নতুন নেতৃত্বে। বিশেষ করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়েই সবার আগ্রহ।
কারণ ১৯৯৬ সাল থেকে সভাপতির দায়িত্ব পালন করা বর্তমান সভাপতি ও সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদারের বিপরীতে সভাপতি পদে মাঠে মেনেছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান ও সহ সভাপতি নিখিল কুমার চাকমা। আর সাধারন সম্পাদক পদে লড়েছেন বর্তমান সাধারন সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা এবং সাবেক সাধারন সম্পাদক হাজী কামাল উদ্দিন। পরবর্তীতে সভাপতি পদ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান ও সহ সভাপতি নিখিল কুমার চাকমা সড়ে দাঁড়ালে সম্পাদক পদটিকে ঘিরে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।
দলটি একদিকে পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী এবং অন্যদিকে সরকার ক্ষমতায়। তাই সম্মেলনকে ঘিরে বেশ সরগরম ছিলো চারদিক। কারা নতুন নেতৃত্বে আসলে জেলা আওয়ামী লীগ আরও শক্তিশালী হবে এসব নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। পরিশেষে সকল বিশ্লেষণকে ছাপিয়ে আবারো জয়ের মুকুট পড়লেন বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
চট্টগ্রাম অফিস :: ‘প্রশিক্ষিত জনবল ও নিরাপদ জলযান, নৌ নিরাপত্তায় রাখবে অবদান’ প্রতিপাদ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে শুরু হয়েছে নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ। নিরাপদ ও দুর্ঘটনামুক্ত নৌ পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সবার সচেতনতা সৃষ্টিই এ সপ্তাহ উদযাপনের মূল লক্ষ্য।
রোববার (২২ মে) সকালে বন্দর ভবনের সামনে নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বন্দরের সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
সহকারী হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মো. মুস্তাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম।
বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দেশে নৌ-শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। নিরাপদ নৌযান নির্মাণ ও নৌযানে আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন করে নৌপথের নিরাপত্তা বিধানে আস্থা ফিরেছে। দেশের অর্থনীতির ঈর্ষণীয় উন্নয়নে নৌপরিবহনের গুরুত্ব অপরিসীম। নৌপথ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব। নৌপথ দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি।
জাহাজগুলোতে পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট, নৌ-রুটে পর্যাপ্ত বয়া বাতি স্থাপন ও ক্রুদের প্রশিক্ষণের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।
তারা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের শক্তিশালী নৌ-বহর দক্ষতার সঙ্গে শিপিং সার্ভিস, পাইলটিং, হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভে, সমুদ্রে উদ্ধারকাজ ও পরিবেশ দূষণ রোধে ভূমিকা রাখছে।
ঢাকা অফিস :: করোনার মহামারি শেষ না হতেই নতুন করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ‘মাঙ্কিপক্স’। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১২টি দেশে ছড়িয়েছে সংক্রামক এ রোগ।
বাংলাদেশে ‘মাঙ্কিপক্স’ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রতিটি বন্দরে (স্থল, নৌ এবং বিমান) বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
শনিবার (২১ মে) রাতে গণমাধ্যমেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, এয়ারপোর্ট, ল্যান্ড পোর্টসহ পোর্ট আমরা সতর্কতা জারি করছি। এছাড়া এয়ারপোর্টে মেডিক্যাল অফিসারদের সতর্ক থাকতে বলেছি। সন্দেহভাজন কেউ এলে যেন তাকে চিহ্নিত করা যায় এবং দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়।
‘মাঙ্কিপক্স’ বিষয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ভাইরাসটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার সুযোগ নেই। আমরা ভাইরাসটির সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সারাবিশ্ব থেকে এ ব্যাধি বিষয়ে জানবো, তথ্য-উপাত্ত নেবো। এরপর যদি কোনো কিছু করতে হয় অবশ্যই আমরা তা করবো।
জেলা পর্যায়ে সিভিল সার্জনদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে অধিদপ্তরের এই পরিচালক বলেন, জেলা পর্যায়ে আমরা চিঠি দিয়েছি। তবে যেহেতু সব জায়গায় পোর্ট নেই সেজন্য সব জায়গায় এটা এখনো তেমন গুরুত্বপূর্ণ না। তবে এয়ারপোর্ট দিয়েই যেহেতু আসতে পারে তাই এ ক্ষেত্রেই আমরা সবচেয়ে বেশি সতর্কতা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, স্পেন, সুইডেন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ায় এই মাঙ্কিপক্স’ এর সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
ঢাকা অফিস :: ২০ গ্রেডের পরিবর্তে ১০ গ্রেড (ধাপ) চালু ও অন্তর্বর্তীকালীন ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতাসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি বাস্তবায়ন ঐক্য ফোরাম।
রোববার (২২ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আহ্বায়ক হেদায়েত হোসেন। তিনি বলেন, পে-স্কেল বাস্তবায়নের আগে অন্তর্বর্তীকালীন কর্মচারীদের জন্য ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা দিতে হবে। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে। সচিবালয়ের মতো সব দফতর, অধিদফতরের পদ-পদবি পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে।
লিখিত বক্তব্য আরও বলা হয়, আনুতোষিকের হার এক টাকার সমান ৩০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করতে হবে। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে। ৩০ লাখ টাকা গৃহঋণ, ৩০ শতাংশ পোষ্যকোটা চালু ও কর্মচারী কমপ্লেক্স নির্মাণ করতে হবে।
সংগঠনের মূখ্য সমন্বয়ক ওয়ারেছ আলী বলেন, বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সব ভাতা পুনর্নির্ধারণ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সমন্বয়ক লুৎফর রহমান বলেন, বৈষম্য নিরসন না করে পুনরায় বৈষম্যের বেড়াজাল তৈরি করা হচ্ছে। যা কোনোভাবে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে প্রত্যাশিত নয়।
তিনি আরও বলেন, সচিবালয়ের বাইরে সকল দফতর ও অধিদফতরের কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তন ও ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা না হলে চরম বৈষম্য সৃষ্টি করা হবে। যা সাধারণ কর্মচারীরা কখনো মেনে নেবেন না। ১১ থেকে ২০ গ্রেডের এই বঞ্চিত লাখ লাখ কর্মচারীদের বাদ দিয়ে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা সম্ভব নয়। বিষয়টির বিভিন্নভাবে সরকারের উচ্চ মহলের জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (তোতা-গাজী), বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম-শাহীন), ১১-২০ সরকারি চাকরিজীবীদের সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরাম, বাংলাদেশ ১৬-২০ গ্রেড সরকারি কর্মচারী সমিতি, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদ, বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ, বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি, বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, বাংলাদেশ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর কর্মচারী কল্যাণ সমিতি, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
॥ ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ॥ আওয়ামীলীগ সরকার আমলেই পাহাড়ের মানুষ উন্নয়ন দেখছে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর (উশৈসিং) এমপি। তিনি বলেন, পার্বত্য চুক্তি ফলে পাহাড়ে যেমন শান্তির সুবাতাস দেখছে তেমনী পাহাড়ের প্রতিটি এলাকায় উন্নয়ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে মানুষ শান্তি দিন অতিবাহিত করছে। শনিবার (২১ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় কাপ্তাই উপজেলার ২নং রাইখালী ইউনিয়নের বড়খোলা পাড়ায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের উদ্বোধন এবং কৃষি উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে রাঙ্গামাটি-বান্দরবান সড়ক হতে বড়খোলা পাড়া পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প উদ্বোধন, বড়খোলা পাড়া বৌদ্ধ শাসন রক্ষিত বৌদ্ধ বিহারের চেরাংঘর উদ্বোধন, বড়খোলা পাড়া রাইখালী ছড়ার উপর নব নির্মিত সেতু নির্মাণের উদ্বোধন, বড়খোলাপাড়া সেচনালা নির্মাণ এবং কৃষি উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
ডংনালা শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহারের বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত সুরিয়া মহাথের এর সভাপতিত্বে এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরী ও সদস্য দীপ্তিময় তালুকদার কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুল হক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান, কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশন আরা রব, উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য প্রকৌশলী থোয়াইচিং মারমাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুজনীয় ভিক্ষু সংঘ এবং গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর (উশৈসিং) এমপি আরো বলেন, বর্তমান সরকার পাহাড়ের মানুষ তথা তৃণমূলের মানুষের উন্নতির কথা সবসময় ভাবেন। যার কারণে পাহাড়ে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মকান্ড ত্বরান্বিত করা হচ্ছে। পাহাড়ের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন ও শহরের মানুষের মতো সমান সুযোগের জন্য সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। তাই এইসব উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে সম্মেলিত ভাবে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
উদ্বোধনী অনুষ্টানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেন, পাহাড়ের মানুষের আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কারণে বোর্ডের কাজের পরিধি অনেকাংশে যেমন বেড়েছে তেমনি পাহাড়ের মানুষও এর সুফল ভোগ করছে। ভবিষ্যতেও এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।