॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥ ’উন্নত আগামীর জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ এ প্রতিপাদ্যে খাগড়াছড়িতে শুরু হয়েছে দুদিন ব্যাপী ৩৮ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা।
বুধবার খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলিশ শরমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমা, ভাইস-চেয়ারম্যান রনিক ত্রিপুরা ও বিউটি রানি ত্রিপুরা।
উদ্বোধন শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চর্চার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। এ কাজে শিক্ষক, ছাত্র, অভিভাবক ও দেশের প্রত্যন্ত এলাকার উদ্ভাবকদের উৎসাহিত করার আহ্বান জানান।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা প্রশাসন এবং জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর এ মেলার আয়োজন করে। মেলায় জেলার ২টি কলেজ ও ১১ টি স্কুলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে মোট ৩৫ স্টলে প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন প্রজেক্টের প্রদর্শনী হয়।
দেশের মোবাইল ফোন অপারেটররা প্রতি গিগাবাইট ইন্টারনেট ডাটা কিনছে গড়ে ২৬ পয়সায়। একই পরিমাণ ডাটা গ্রাহকের কাছে ২০০ টাকার বেশি নিচ্ছে অধিকাংশ অপারেটর। যদিও অপারেটরগুলোর দাবি, ব্যান্ডউইডথের যে দাম তারা গ্রাহকদের কাছ থেকে নেয়, তা তাদের ডাটাভিত্তিক সেবার মোট ব্যয়ের ১-৩ শতাংশের বেশি নয়।
সেলফোন অপারেটররা ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) থেকে প্রতি মেগাবিটস পার সেকেন্ড (এমবিপিএস) ব্যান্ডউইডথ কিনছে ৩৯০ থেকে ৫৫০ টাকায়। এক এমবিপিএস গতির সংযোগে মাস শেষে ডাটা ব্যবহারের পরিমাণ দাঁড়ায় সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫৯২ গিগাবাইট (জিবি)। এ হিসাবে প্রতি জিবি ডাটা কিনতে অপারেটরদের ব্যয় হয় ১৫-২১ পয়সা। তবে সংযোগ বিচ্ছিন্নতাসহ অন্যান্য খাতে ৩০ শতাংশ অপচয় সমন্বয় করা হলেও তা দাঁড়ায় ১ হাজার ৮১৪ জিবি। এতে প্রতি জিবি ডাটা কিনতে অপারেটরদের ব্যয় হয় সর্বনিম্ন ২২ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩০ পয়সা, দুটোর গড় করলে যা দাঁড়ায় ২৬ পয়সা।
সেলফোন অপারেটরদের ডাটাভিত্তিক সেবার তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে গ্রামীণফোনের ১ জিবি ডাটার সরাসরি কোনো প্যাকেজ না থাকলেও ফ্লেক্সিপ্ল্যানের মাধ্যমে সমপরিমাণ ডাটা ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। ফ্লেক্সিপ্ল্যানে ৩০ দিন মেয়াদে ১ জিবি ডাটা কিনতে গ্রামীণফোনের গ্রাহকের ব্যয় ২৭৪ টাকা ২৮ পয়সা। একই পরিমাণ ডাটা কিনতে বাংলালিংকের গ্রাহকদের দিতে হচ্ছে ২০৯ টাকা। রবি ও এয়ারটেলের ১ জিবি ডাটা প্যাকেজের মূল্য যথাক্রমে ২১৩ টাকা ৬ পয়সা ও ২০৯ টাকা। তবে এক্ষেত্রে মেয়াদ ধরা হয়েছে ২৮ দিন। আর রাষ্ট্রায়ত্ত সেলফোন অপারেটর টেলিটকের ১ জিবি ডাটা প্যাকেজের মূল্য তুলনামূলকভাবে অন্যদের চেয়ে কম। প্রতিষ্ঠানটির ৩০ দিন মেয়াদি ১ জিবি ডাটা প্যাকেজের মূল্য ১৮০ টাকা। তবে গড় হিসাবে এ পাঁচটি অপারেটরের প্রতি জিবি ডাটার বিক্রয়মূল্য দাঁড়ায় ২১৭ টাকা।
দেশে ইন্টারনেট সেবার সম্প্রসারণে গত কয়েক বছরে ধারাবাহিকভাবে ব্যান্ডউইডথের মূল্য কমিয়ে এনেছে সরকার। পাশাপাশি ওয়াইম্যাক্স ও থ্রিজির মতো তারবিহীন উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়েছে। ফলে সেবাটির গ্রাহকও বেড়েছে। আর ইন্টারনেট গ্রাহকের সিংহভাগই সেলফোন অপারেটরদের ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছে। থ্রিজি প্রযুক্তি চালু অপারেটরদের ডাটাভিত্তিক সেবা আরো সম্প্রসারণের সুযোগ এনে দেয়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অপারেটররা ব্যবসা করলেও বঞ্চিত হচ্ছে গ্রাহক।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক অপারেটর গ্রুপের (বিডিনগ) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুমন আহমেদ সাবির বলেন, দেশে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের দাম আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে। বিশ্বের অন্যতম সস্তা মূল্য এটি, তাতে সন্দেহ নেই। তবে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্য কতখানি কমেছে, সেটি বিবেচনার সুযোগ রয়েছে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে মূল্য যেভাবে কমেছে, মোবাইল ইন্টারনেটের মূল্য সেভাবে কমেনি। অপারেটরদের ইন্টারনেট প্যাকেজের মূল্য আগের তুলনায় খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। অথচ এ সময়ে কয়েক গুণ বেড়েছে তাদের গ্রাহক। এসব বিবেচনায় দেশে মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম গ্রাহক পর্যায়ে আরো সহনীয় করতে হবে।
এদিকে ইন্টারনেট ডাটার মূল্য বাবদ গ্রাহকের কাছ থেকে বেশি অর্থ আদায়ের বিষয়টি মানতে রাজি নয় অপারেটররা। তাদের দাবি, ডাটাভিত্তিক ইন্টারনেট সেবার জন্য গ্রাহকের কাছ থেকে যে টাকা নেয়া হয়, তার মাত্র ১-৩ শতাংশ হলো ব্যান্ডউইডথের মূল্য। সিংহভাগ অর্থই প্রতিষ্ঠানের মূলধনি ও পরিচালন ব্যয় সংশ্লিষ্ট। এসব ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে— নেটওয়ার্ক অবকাঠামো নির্মাণ, তরঙ্গ বরাদ্দ, বার্ষিক তরঙ্গ বরাদ্দ ফি ও লাইসেন্স ফি, বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য।
এ বিষয়ে রবি আজিয়াটার ভাইস প্রেসিডেন্ট (কমিউনিকেশন অ্যান্ড করপোরেট রেসপন্সিবিলিটি) ইকরাম কবীর বলেন, প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে কস্ট মডেলিংয়ে দেখা গেছে, ব্যান্ডউইডথের ব্যয় সেবাটির সংশ্লিষ্ট মূলধনি ও পরিচালন ব্যয়ের ১ শতাংশেরও কম। ফলে গ্রাহক পর্যায়ে এ সেবা দিতে যে ব্যয় হয়, তার তুলনায় ব্যান্ডউইডথের ব্যয় সামান্যই।
তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতি মেগাবাইট ডাটার খুচরা বিক্রয়মূল্য আমাদের ব্যয়ের চেয়ে কম। বাজারে অস্বাভাবিক প্রতিযোগিতার কারণেই সেবাটির মূল্য এ পর্যায়ে এসেছে। এতে সেবাটি গ্রাহকের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে এলেও সেবাদানকারী অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের জন্য তা লাভজনক হচ্ছে না।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারি শেষে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা ৬ কোটি ৭২ লাখ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধু সেলফোন অপারেটরদের টুজি ও থ্রিজি প্রযুক্তির ইন্টারনেট সেবার আওতায় গ্রাহক রয়েছে ৬ কোটি ৩১ লাখের বেশি। এছাড়া ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার (আইএসপি) ও পাবলিক সুইচড টেলিফোন নেটওয়ার্ক (পিএসটিএন) অপারেটরদের সেবাগ্রহণকারী ৪০ লাখ ৩৬ হাজার। আর ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্রাহক রয়েছে ৮৯ হাজার। দেশে বর্তমানে প্রতি মাসে গ্রাহকপ্রতি ডাটা ব্যবহার হচ্ছে ৪০০-৫০০ মেগাবাইট (এমবি)।
২০১৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নিলামের মাধ্যমে থ্রিজির তরঙ্গ বরাদ্দ পায় গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেল। পরবর্তীতে একই বছরের ৭ অক্টোবর গ্রামীণফোন, ২১ অক্টোবর বাংলালিংক, ৩০ অক্টোবর রবি ও ৭ নভেম্বর এয়ারটেল বাণিজ্যিকভাবে এ সেবা চালু করে। আর রাষ্ট্রায়ত্ত সেলফোন অপারেটর টেলিটক পরীক্ষামূলকভাবে থ্রিজি সেবাদান শুরু করে আরো এক বছর আগে। ২০১২ সালের ১৪ অক্টোবর সেবাটি চালু করে টেলিটক।
থ্রিজি চালু হওয়ার পর থেকে ডাটাভিত্তিক সেবায় কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে সেলফোন অপারেটররা। গত তিন বছরে অপারেটরদের আয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে ডাটাভিত্তিক সেবা। গত বছর ইন্টারনেট সেবা থেকে শীর্ষ সেলফোন অপারেটর গ্রামীণফোন আয় করেছে ১ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে খাতটি থেকে প্রতিষ্ঠানটির আয় হয় যথাক্রমে ৫৫০ কোটি ও ৮৫০ কোটি টাকা।
গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন্স সৈয়দ তালাত কামাল এ প্রসঙ্গে বলেন, ডাটা নয়, আইআইজি থেকে ব্যান্ডউইডথ কিনছে গ্রামীণফোন। এরই মধ্যে গ্রামীণফোনের থ্রিজি সেবার আওতায় এসেছে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ ইন্টারনেট গ্রাহক।
ইন্টারনেট সেবা থেকে গত বছর ৬৮৪ কোটি টাকা আয় করে সেলফোন অপারেটর রবি। এ সেবা থেকে ২০১৫ সালে ৫২৪ কোটি ও ২০১৪ সালে ২৮৭ কোটি টাকা আয় করে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া বাংলালিংক ডাটাভিত্তিক সেবা থেকে গত বছর আয় করেছে ৪৯১ কোটি টাকা। এর আগে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে ডাটা থেকে প্রতিষ্ঠানটির আয় হয়েছে যথাক্রমে ১৭৬ কোটি ও ৩২৫ কোটি টাকা।
বাংলালিংকের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশন্স আসিফ আহমেদ বলেন, গত কয়েক বছরে ইন্টারনেট সেবার দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়েছে বাংলালিংক। ২০০৯ সালে যেখানে প্রতি এমবি ডাটার মূল্য ৩ টাকা ৯০ পয়সা ছিল, তা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৩০ পয়সায়। তিনি বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশে সেলফোনের গ্রাহকরা ফিচারফোন থেকে স্মার্টফোন ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। এর ফলে ডাটার ব্যবহারও ক্রমেই বাড়ছে।
বর্তমানে দেশে ব্যান্ডউইডথের চাহিদা প্রায় ৪০০ গিগাবিটস পার সেকেন্ড (জিবিপিএস)। সাবমেরিন কেবল ও ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি) সংযোগের মাধ্যমে এ ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ করা হচ্ছে। সাবমেরিন কেবল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) সরবরাহ করছে ১৩০ জিবিপিএস। আইটিসি লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান সামিট কমিউনিকেশন্স ১০০ জিবিপিএস, ফাইবার অ্যাট হোম ৮০ জিবিপিএস, ওয়ান এশিয়া ৪০ জিবিপিএস ও অন্য তিনটি আইটিসি প্রায় ৪০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ করছে। আইআইজি লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিএসসিসিএল ও আইটিসির কাছ থেকে ব্যান্ডউইডথ কিনে তা বিক্রি করছে সেলফোন অপারেটর, আইএসপি, পিএসটিএন এবং ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তির সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে। সূত্র : বণিক বার্তা।
॥ মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, খাগড়াছড়ি ॥ খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, কোন শক্তি সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড বাধাগ্রস্থ করতে চাইল আওয়ামীলীগের কর্মীরা ঘরে বসে থাকবে না। তিনি আঞ্চলিক দলগুলোর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন।
তিনি গত বুধবার বিকালে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার থানা বাজারের পূর্বপার্শ্বে মাইনি নদীর উপর নির্মিত সেতু’র শুভ উদ্ধোধনকালে তাকে দেওয়া এক সংবর্ধনা সভায় এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণে ব্যায় হয়েছে ৩ কোটি ৯৫ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. নুরুনবীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, দীঘিনালা জোন উপ- অধিনায়ক মো. সাব্বির আহম্মহ পিএসসি, উপজেলা চেয়ারম্যান নব কমল চাকমা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আবুল কাশেম, পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য শতরুপা চাকমা, এড আশুতোষ চাকমা, নিরোধপল খীসা প্রমূখ।
প্রধান অতিথি বক্তব্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন বর্তমান সরকার শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের বিশ্বাসী।পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংর্ঘশের এই এলাকার পাহাড়ী-বাঙ্গালী মানুষগুলি কথা চিন্তা করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তি করেছিল মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য।
তিনি সংবর্ধনা সভায় অভিযোগ করে বলেছেন, পার্বত্য এলাকায় যেখানে উন্নয়নের কাজ শুরু হয় সেখানে কয়েকটি আঞ্চলিক দল চাঁদা দাবী করে। ফলে উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এটা মেনে নেওয়া যায় না।
বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কাজে কোন প্রকার বাধা আসলে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসীদের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেবে আওয়ামীলীগ কর্মীরা।
রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজে “শিক্ষিত তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের প্লাটফর্ম আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকার একুশ শতকের উপযোগী দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলছে। বিশ্বমানের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তৈরি করা হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত জনবল। দেশের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের এ সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য এগিয়ে আসতে হবে।
গতকাল রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজে রাঙ্গামাটি জেলার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ গভর্নেন্স (এলআইসটি) প্রকল্পের আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব ও চট্টগ্রাম হিলট্র্যাক্ট ডেভেলপমেন্ট বোর্ড এর ভাইস চেয়ারম্যান তরুন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশ সরকারের যুগ্ম সচিব ও এলআইসিটি প্রোজেক্টের প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট সরকার আবুল কালাম আজাদ, রাঙ্গামাটি জেলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ মানজারুল মান্নান, রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক জাফর আহমেদ, এলআইসিটি প্রোজেক্টের কনসালট্যান্ট শাহ মো: ইমরান, ওমেন ইন ডিজিটাল এর রাঙ্গামাটি কমিউনিটির লিডার সাহিদা সুলতানা। এছাড়াও উক্ত কলেজর বিপুল সংখ্যক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, সরকার ২০২১ সালের মধ্যে আইটি পেশাজীবির সংখ্যা বর্তমান সাত লাখ থেকে ২০ লাখে উন্নীত করতে চায়। এজন্য নানামূখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। আইটি শিল্পের চাহিদা অনুযায়ী এলআইসিটি প্রকল্পের মাধ্যমে আইটিতে বিশ্বমানের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ৪৫ হাজার দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলছে। দেশব্যাপী অব্যহত রয়েছে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। এছাড়াও চলমান রয়েছে ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৫ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরির প্রশিক্ষণ। তাছাড়া বিসিসিতে অব্যাহতভাবে তথ্য প্রযুক্তির নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
তরুন কান্তি ঘোষ তার বক্তব্যে বলেন, আইসিটি ডিভিশনের অধীনে এলআইসিটি প্রজেক্টের মাধ্যমে সারাদেশ ব্যাপী ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বারপ্রান্তে যে ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা যেন তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে। একই সাথে তরুণ সমাজকে আইটিতে তাদের ভবিষ্যত গড়ারও আহবান জানান।
সরকার আবুল কালাম আজাদ তার বক্তব্যে কলেজের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় অবদান রাখতে হলে শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত হওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নেই।
এলআইসিটি প্রোজেক্টের কনসালট্যান্ট শাহ মো: ইমরান-এর সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় অন্যান্য বক্তারা আইটিতে অমিত সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে দেশের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের আইসিটিতে ক্যারিয়ার গড়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে অনলাইন কুইজে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে একজন বিজয়ী শিক্ষার্থীকে ও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে একজন শিক্ষার্থীকে উই মোবাইলের সৌজন্যে একটি করে স্মার্ট মোবাইল ফোন পুরষ্কার হিসেবে প্রদান করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার চট্টগ্রামে নৌ ঘাঁটি ঈশা খাঁয় ‘বানৌজা নবযাত্রা’ ও ‘বানৌজা জয়যাত্রা’ নামের সাবমেরিন দুটির কমিশনিং ফরমান হস্তান্তর করেন।
নবযাত্রার অধিনায়ক কমান্ডার কে এম মামুনুর রশীদ এবং জয়যাত্রার অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাজহারুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে কমিশনিং ফরমান নেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে ক্রুরা সাবমেরিনে ওঠেন।
বানৌজা ‘নবযাত্রা’ এবং বানৌজা ‘জয়যাত্রা’ দৈর্ঘ্যে ৭৬ মিটার, প্রস্থে ৭ দশমিক ৬ মিটার। টর্পেডো ও মাইনে সজ্জিত সাবমেরিন দুটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭ নটিক্যাল মাইল এবং ডিসপ্লেসমেন্ট এক হাজার ৬০৯ টন।
নৌবাহিনীর এ দুটি যুদ্ধযান শত্রু জাহাজ ও সাবমেরিনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণসহ যুদ্ধকালীন দায়িত্ব পালনে সক্ষম বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে সাবমেরিন দুটির নামফলক উন্মোচন করেন সরকারপ্রধান। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাবমেরিন যুগে পদার্পণের এই মুহূর্তিটি উদযাপন করা হয় বহরের বিভিন্ন জাহাজ থেকে বেলুন উড়িয়ে ও রঙিন আতশবাজি পুড়িয়ে।
এরপর জাতীয় সংগীত বাজিয়ে সাবমেরিনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এর মধ্য দিয়ে প্রতীকী জীবন সঞ্চার করা হয় ডুবোজাহাজ দুটিতে।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে নৌবাহিনীর ত্রিমাত্রিক সক্ষমতা অর্জনের পরিচিতিমূলক একটি প্রদর্শনী দেখেন। এরপর সাবমেরিন দুটিকে স্বাগত জানিয়ে তোপধ্বনি করা হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এবং তাকে স্বাগত জানিয়ে সাবমেরিনের ক্রুরা জয়োধ্বনি দেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী সাবমেরিন ঘুরে দেখেন।
চীনের দালিয়ান প্রদেশের লিয়াওনান শিপ ইয়ার্ডে গত বছরের ১৪ নভেম্বর এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদের কাছে সাবমেরিন দুটি হস্তান্তর করেন চীনের রিয়ার অ্যাডমিরাল লিউ জি ঝু।
বাংলাদেশ ও চীনের নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নাবিকদের যৌথ তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ ও ‘সি ট্রায়াল’ শেষে গত ২২ ডিসেম্বর সাবমেরিন দুটি চট্টগ্রামে আসে।
চীনের ইবাদা ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পিপলস লিবারেশন আর্মি নেভির জন্য উচাং শীপইর্য়াড
এক ডজন টাইপ ০৩৫ জি (মিং ক্লাস) সাবমেরিন বানানো হয়েছিল ১৯৯০ থেকে ১৯৯৯ সালের মধ্যে। এর মধ্যে দুটি ২০১৬ সালে কিনে নেয় বাংলাদেশ সরকার।
হস্তান্তরের আগে লিয়াওনান শিপ ইয়ার্ডে সংস্কার ও আধুনিকায়ন করে ডুবোজাহাজ দুটির সামরিক ক্ষমতা ও কার্যক্ষমতা বাড়ানো হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে সাবমেরিন দুটি নতুন নাম পেল।
প্রধানমন্ত্রী এ অনুষ্ঠানে সাবমেরিন দুটির জন্য বেইজ সাপোর্ট ফ্যাসিলিটিজের উদ্বোধন এবং ডুবোজাহাজের জন্য পূর্ণাঙ্গ ঘাঁটি ‘বিএনএস শেখ হাসিনার’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
তিনি সকালে চট্টগ্রাম নৌঘাঁটিতে পৌঁছালে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল এম আবু আশরাফ তাকে স্বাগত জানান।
মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সেনা ও বিমান বাহিনী প্রধান, সংসদ সদস্য, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন এ অনুষ্ঠানে।
বিকালে পতেঙ্গা বোট ক্লাবে চট্টগ্রাম ওয়াসার অধীনে বাস্তবায়িত ১৪ কোটি লিটার ধারণ ক্ষমতার ‘শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার’ প্রকল্পের উদ্বোধন ও সুধী সমাবেশে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।
॥ লিটন ভট্টাচার্য্য রানা, খাগড়াছড়ি ॥ খাগড়াছড়িতে ক্ষৃদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট’র আয়োজনে উচ্চতর সংগীত ও বাদ্যযন্ত্রের উপর পক্ষকাল ব্যাপী উচ্চতর প্রশিক্ষণ কোর্স ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের হলরুমে প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: রাশেদুল ইসলাম, ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক সুসময় চাকমা, প্রশিক্ষক জীতেন চাকমা প্রমুখ।
প্রশিক্ষণে উচ্চতর সংগীতে ৩২ জন, বাদ্যযন্ত্র (তবলায়) ১৮জন প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
গত বছর ১৪২ জনের মৃত্যুর পর বজ্রপাতকে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করেছিল সরকার। এবারও বিস্মৃত এলাকাজুড়ে বজ্রঝড় হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদদের তথ্য অনুযায়ী, মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে কালবৈশাখী, বজ্রপাত আর বজ্রঝড়ের মৌসুম।
এর মধ্যে মার্চে উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ১-২ দিন মাঝারি বা তীব্র কালবৈশাখী অথবা বজ্রঝড় এবং অন্যত্র ২-৩ দিন হালকা অথবা মাঝারি কালবৈশাখী বা বজ্রঝড় হতে পারে।
এপ্রিলে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ৩-৪ দিন মাঝারি থেকে তীব্র কালবৈশাখী বা বজ্রঝড় এবং অন্যত্র ২-৩ দিন হালকা থেকে মাঝারি কালবৈশাখী ও বজ্রঝড় হতে পারে।
তাৎক্ষণিক পূর্বাভাস (নাউ কাস্টিং), ব্যাপক প্রচারণা আর জনসচেতনতা সৃষ্টি করা গেলে এ ধরনের দুর্যোগ থেকে প্রাণহানির পরিমাণ কমানো সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর বলছে, বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রচার ও জনসচেতনতায় তৎপরতার পাশাপাশি দেশজুড়ে ১০ লাখ তালগাছ লাগানোর পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে তারা।
অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সানাউল হক খান জানান, আবহাওয়া সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় পূর্বাভাস অধিদপ্তর সঠিকভাবে দিলেও বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের।
“বজ্রমেঘ তৈরির ৩০-৪৫ মিনিটের মধ্যে দিক ও সম্ভাব্য স্থান শণাক্ত করে পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব। এসময় নদীবন্দরগুলোকে দৈনিক চার বার পূর্বাভাসও দেওয়া হয়,” বলেন তিনি।
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে আবহাওয়া অফিসগুলোর মধ্যে উচ্চপ্রযুক্তির রাডার ও ডফলার রাডার রয়েছে। ২৪ ঘণ্টা আগে পূর্বাভাস দিতে বিমান বন্দরসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অনেক অধিদপ্তর ও স্থাপনার উচ্চ প্রযুক্তিকেও কাজে লাগানো হচ্ছে বলে জানান এ আবহাওয়াবিদ।
“আমরা এখন স্বল্প সময়ের নাও কাস্টিংও দিচ্ছি। ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসের পর আরও নিখুঁত করে নির্দিষ্ট এলাকা চিহ্নিত করে এসব পূর্বাভাস দেওয়া হয়।”
“কিন্তু পূর্বাভাস দিলেই তো হবে না এগুলো প্রচারে গণমাধ্যমসহ অন্যান্য অধিদপ্তরকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে,” বলেন আবহওয়াবিদ সানাউল।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডব্লিউএফএম রিচার্স ফেলো ও বিলুপ্ত সার্ক আবহাওয়া গবেষণা কেন্দ্রের গবেষক মোহন কুমার দাস বলেন, অধিদপ্তরের যে প্রযুক্তিনির্ভর অবকাঠামো রয়েছে তা দিয়ে আরও নিখুঁতভাবে কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে হুমকিপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করা যায়।
“উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা না বলে জেলা, উপজেলা ও গ্রাম পর্যন্ত পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব। হাওর এলাকায় বজ্রপাত ও বজ্রঝড়ের প্রবণতা বেশি। এসব এলাকাকে চিহ্নিত করে জনসচেতনতায় ব্যাপক উদ্যোগ নিতে হবে।”
গত বছর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বজ্রপাতকে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করা হয়েছে উল্লেখ করে এক বছরে ১৪২ জনের মৃত্যুর খবর সংসদে দিয়েছিলেন। ওই বছর কেবল মে মাসের দুই দিনেই এ দুর্যোগে ৮১ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল।
বাংলাদেশে প্রতি বছর বজ্রপাতে গড়ে দুই থেকে তিনশ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
কালবৈশাখীর মৌসুমে বজ্রঝড় বেশি হয় বলে বিলুপ্ত সার্ক আবহাওয়া গবেষণা কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক সুজিত কুমার দেবশর্মা জানান।
“যখন কিউমুলোনিম্বাস মেঘ তৈরি হয়, তখনই বজ্রঝড় হয়ে থাকে। কিউমুলোনিম্বাস মেঘ হচ্ছে খাড়াভাবে সৃষ্টি হওয়া বিশাল আকৃতির পরিচালন মেঘ; যা থেকে শুধু বিদ্যুৎ চমকানো নয়, বজ্রপাত-ভারি বর্ষণ-শিলাবৃষ্টি-দমকা-ঝড়ো হাওয়া এমনকি টর্নেডোও সৃষ্টি হতে পারে।”
বায়ুমন্ডলে বাতাসের তাপমাত্রা ভূ-ভাগের উপরিভাগের তুলনায় কম থাকে। এ অবস্থায় বেশ গরম আবহাওয়া দ্রুত উপরে উঠে গেলে আর্দ্র বায়ুর সংস্পর্শ পায়। তখন গরম আবহাওয়া দ্রুত ঠান্ডা হওয়ায় প্রক্রিয়ার মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়ে বজ্রমেঘের সৃষ্টি হয়।
বজ্রপাত হলে উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটিতে বিদ্যুৎস্পর্শের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই বজ্রঝড়ের সময় গাছ বা খুঁটির কাছাকাছি থাকা নিরাপদ নয়। ফাঁকা জায়গায় যাত্রী ছাউনি বা বড় গাছে বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অত্যন্ত বেশি।
ক্ষয়ক্ষতি কমাতে তালগাছ ঃ
দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বৃহস্পতিবার বলেন, “বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রচুর পরিমাণে তালগাছ ও নারকেল গাছ রোপণ করা হলে সেগুলো বজ্রনিরোধক দন্ড হিসেবে কাজ করবে। এজন্য সরকারিভাবে সারাদেশে ১০ লাখ তালগাছের চারা রোপণ করা হচ্ছে।”
বজ্রপাত একটি নতুন দুর্যোগ হিসেবে দেখা দিয়েছে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ বলেন, “বজ্রপাত যে কোনোভাবেই ভূমিতে আসবে। সেক্ষেত্রে খোলা জায়গায় উঁচু গাছ থাকলে তাতে বাহিত হয়ে তা ভূমি স্পর্শ করবে। তালগাছ সাধারণ সবচেয়ে উঁচু হয়ে থাকে।”
এ কর্মকর্তা জানান, ইতোমধ্যে অনেক এলাকায় তালাগাছ লাগানো শুরু হয়েছে। তবে তালগাছ বেড়ে উঠতে বছর দশেক সময় লাগে। একসময় প্রকৃতির এ সহায়তা কাজে লাগবে ও উপকার পাবে সাধারণরা।
হাওর এলাকার জন্যেও বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হবে বলে জানান রিয়াজ আহমেদ।
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস জানান, বজ্রপাতের সময় পাকা বাড়ির নিচে আশ্রয় নিতে এবং উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের লাইন থেকে দূরে থাকতে হবে। এ সময় জানালা থেকে দূরে থাকার পাশাপাশি ধাতব বস্তু এড়িয়ে চলা, টিভি-ফ্রিজ না ধরা, গাড়ির ভেতর অবস্থান না করা এবং খালি পায়ে না থাকারও পরামর্শ দেন তিনি।
১০ই মার্চ ২০১৭, শুক্রবার বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম চকবাজারস্থ বিজ্ঞান পরিষদ ভবনে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদ, চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি অধ্যাপক ডা. দেবব্রত ভট্টাচার্য্যরে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত “টিউমার ও ক্যান্সার চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি” বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাহোপ কেন্দ্রীয় সংসদের মহা-সচিব ডা. অঞ্জন কুমার দাশ। প্রধান বক্তা ছিলেন বিশিষ্ট রসায়নবিদ অধ্যাপক ডা. চয়নকৃষ্ণ দাশ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাহোপ মহা নগর সভাপতি ডা. মৃদুল কান্তি দে, জেলা সহ-সভাপতি ডা. মোহাম্মদ আবদুর রহমান, ডা. সাধুন চন্দ্র পাল, অধ্যাপক ডা. যহরলাল ভট্টাচার্য্য আলহাজ, ডা. এস.এম ছালেহ জাহাঙ্গীর, ডা. আ.ক.ম রফিকুল ইসলাম, ডা. এম.এ গণি, ডা. সাকিনা আকতার লাকী, ডা. সুজিত কুমার পাল। উক্ত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ “টিউমার ও ক্যান্সার চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি উপস্থাপন করেন বাহোপ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও ত্রান সম্পাদক লায়ন ডা. প্রণব রঞ্জন বিশ্বাস। প্রভাষক ডা. মোহাম্মদ এনামুল হক এনামের সঞ্চালনায় প্রবন্ধের উপর অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লায়ন ডা: প্রণব রঞ্জন বিশ্বাস, ডা. রতন কুমার বণিক, ডা. মঞ্জুর চৌধুরী, ডা. মোহাম্মদ ইয়াদুল রিফাত, ডা. লুৎফুনেসা, ডা. সুবির দত্ত, ডা. মোহাম্মদ সাজেদ উল্লাহ, ডা. নুরুল ইসলাম, প্রধান অতিথি বলেন হোমিওপ্যাথি রোগের নাম ধরে যেহেতু চিকিৎসা করে না, রোগীর ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য ভিত্তিক চিকিৎসা করেন, সেহেতু টিউমার ও ক্যান্সার চিকিৎসার হোমিওপ্যাথি সফলতা খুব বেশি বর্তমান সময়ে।
মোবাইলে উপবৃত্তি বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বুধবার গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে ‘মায়ের হাসি’ নামে প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “একটা আবেদন করব অভিভাবকদের প্রতি যে, নিজের ছেলেমেয়ে মন দিয়ে যাতে পড়াশোনা করে সেদিকে যেমন দৃষ্টি রাখবেন, আবার ছেলেমেয়ে যেন বিপথে না যায় ছোটবেলা থেকেই তাকে সেইভাবে গড়ে তুলবেন।
“যেন তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারে। তারা যেন দেশকে ভালবাসতে পারে।”
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ‘মায়ের হাসি’ নামে প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি বিতরণ করা হবে দেশের এক কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীর মায়ের হিসাবে। এতে দেশের নারীর ক্ষমতায়ন বাড়বে বলে সরকার মনে করছে।
আগে এই উপবৃত্তির অর্থ শিক্ষার্থীদের হাতে দেওয়া হত। এখন তা সরাসরি চলে যাবে তাদের মায়ের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে।
রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল কোম্পানি টেলিটকের হিসাবে উপবৃত্তির টাকা পাঠানো হবে রূপালি ব্যাংকের শিওরক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং থেকে।
প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য মাসে ৬০০ টাকা হিসাবে বছরে এ উপবৃত্তিবাবদ ১৬০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে অনুষ্ঠানে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।
শেখ হাসিনা বলেন, “শিক্ষার্থীদের মানসিকতা এমনভাবে গড়ে উঠবে যেন এ দেশটা তার নিজের এবং দেশকে ভালবাসতে হবে, দেশের কল্যাণ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাদের মোবাইল ফোন নেই, টেলিটক বিনামূল্যে প্রায় ২০ লাখ সিম ও প্রত্যেক মাসে ২০ টাকা বিনামূল্যে কথা বলার সুযোগ দেওয়ার একটা চুক্তি করেছে।শেখ হাসিনা জানান, তিনি ক্ষমতায় আসার আগে বিরোধীদলে থাকার সময় শিক্ষার্থীদের স্কুলে না আসা ও ঝরে পড়ার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে বৃত্তি ও উপবৃত্তি দেওয়ার বিষয়টি মাথায় আসে।
“আমরা শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছি। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ছাত্র-ছাত্রী বৃত্তি ও উপবৃত্তি পাচ্ছে।”
এবছর বিনা পয়সায় ৪ কোটি ১৬ লাখ শিক্ষার্থীকে বই দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বই কেনার খরচ, এটাও কিন্তু বাবা-মাকে নিতে হচ্ছে না। এ দায়িত্বটা আওয়ামী লীগ সরকার নিয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টুঙ্গীপাড়া, পীরগঞ্জ ও পার্বতীপুর উপজেলায় সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
এর আগে সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীকে বিজয় সরণীর যানজট নিরসনে ‘সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার’ ওপর একটি এনিমেটেড উপস্থাপনা দেখানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রীকে উপস্থাপনাটি দেখান সেনাবাহিনীর প্রধান প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান সরকার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সেনা প্রধান আবু বেলাল মো. শফিউল হক, মুখ্যসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন প্রমুখ।
পার্বত্য অঞ্চলের নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী কোটার বিধিমালা মেনে
রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী
ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে
* তিন জেলার ৯২ জন ও অন্যান্য জেলার ৯৩ জন শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক কর্মচারীর ক্ষেত্রে উপজাতি ৩২ জন ও অ-উপজাতি ১৯ জন
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (রাবিপ্রবি) এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১৪ সালে। বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে এবং ৯ নভেম্বর ২০১৫ ইং তারিখ হতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।
রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় একটি নতুন বিশ^বিদ্যালয় বিধায় স্বাভাবিকভাবে অন্যান্য নবপ্রতিষ্ঠিত বিশ^বিদ্যালয়ের ন্যায় ভাড়াকৃত বাসায় অস্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ^বিদ্যালয় সূচনালগ্নে দেশের প্রায় প্রত্যেকটি বিশ^বিদ্যালয়ে অস্থায়ী ক্যাম্পাস অথবা ভাড়া করা স্থাপনায় শিক্ষা কার্যক্রমসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণের লক্ষ্যে রাবিপ্রবি কর্তৃক রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের নিকট প্রয়োজনীয় অর্থ হস্তান্তর করা হয়েছে। কিছু আইনগত ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বিলম্বিত হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক আগামী মার্চ, ২০১৭ -এর মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রাবিপ্রবির নিকট হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন।
রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের তথ্য কর্মকর্তার দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে বিশ^বিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও ব্যবস্থাপনা- এই দুইটি বিভাগের ০২ (দুইটি) ব্যাচে ১৮৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। যারমধ্যে তিন পার্বত্য জেলার শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯২ জন ও অন্যান্য জেলার শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯৩ জন। তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে অ-উপজাতি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৭ জন অর্থাৎ ৬১.৯৬% এবং উপজাতি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৫ জন অর্থাৎ ৩৮.০৪%।
রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় একটি সংবিধিবদ্ধ স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা হলেও প্রশাসনিক কার্যক্রম সম্পাদনের ব্যাপারে সরকারি বিধিমালা অনুসরণ করে থাকে। সরকারি বিধানমতে, কিছু সংখ্যক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা বাধ্যতামূলক নয়। শিক্ষাগত যোগ্যতা, মেধা ও অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে যথাযথ বিধি মেনে বিশ^বিদ্যালয়ের সকল পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বিশ^বিদ্যালয়ে দুটি ব্যাচে শিক্ষার্থী ভর্তি করার পর থেকে ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে এবং এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে শিক্ষার্থীদের সেশনজটে পড়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে পার্বত্য অঞ্চলের নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী কোটার যে বিধিমালা রয়েছে তা অনুসরণ করে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিশ^বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। বর্তমানে রাঙ্গামাটি জেলা থেকে ২৩ জন, খাগড়াছড়ি জেলা থেকে ১৭ জন এবং অন্যান্য জেলা থেকে ১১ জনসহ সর্বমোট ৫১ জন (উপজাতি ৩২ জন ও অ-উপজাতি ১৯ জন) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী বিশ^বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।
বিশ^বিদ্যালয়ে ¯œাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রথম ব্যাচের তুলনায় দ্বিতীয় ব্যাচে আরো অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী আবেদন করেছে এবং ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাক্রম অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। যেমন, ভর্তি পরীক্ষায় কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও ব্যবস্থাপনা দুটি বিভাগে ৫০টি করে সর্বমোট ১০০টি আসনের বিপরীতে প্রথম ব্যাচে ৩০১ জন শিক্ষার্থী ও দ্বিতীয় ব্যাচে ১০১২ জন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছিলেন এবং তৃতীয় ব্যাচে (২০১৬-১৭) ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া ২৮/০২/২০১৭ পর্যন্ত চলমান থাকবে। প্রথম ব্যাচের (২০১৪-১৫) ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দৈনিক সমকাল ও ঞযব ওহফবঢ়বহফবহঃ, দ্বিতীয় ব্যাচের (২০১৫-১৬) ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক পূর্বকোণ, দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রাম, ঞযব ইধহমষধফবংয ঞড়ফধু এবং তৃতীয় ব্যাচের (২০১৬-১৭) ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দৈনিক জনকন্ঠ ও ঞযব ইধহমষধফবংয ঞড়ফধু পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দুটি জাতীয় দৈনিকে (দৈনিক জনকন্ঠ ও ঞযব ইধহমষধফবংয ঞড়ফধু) প্রকাশিত হওয়ার পাশাপাশি ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার প্রেস বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও আঞ্চলিক পত্রিকায় পাঠানো হয়েছে এবং সংবাদ আকারে দুইটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় (দৈনিক প্রথম আলো ও ঞযব উধরষু ঝঃধৎ) প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও এ যাবতকালের সকল ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বিশ^বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।