লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বগাইছড়ি ও ডুলহাজারা সড়ক নয়,যেন মরণ ফাঁদ!

॥ লামা সংবাদদাতা ॥ এক হাঁটু কাঁদা, খানাখন্দে ভরপুর ও জরাজীর্ণ একটি সড়কের নাম বগাইছড়ি ডুলহাজারা সড়ক। “রাস্তা নয় যেন মরণ ফাঁদ”। ৪ কিলোমিটার সড়কটির সম্পূর্ণ অংশে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে সড়কের খানাখন্দ গুলো মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছরই সড়কটি মেরামত করা হলেও বেপরোয়া বালুর গাড়ি চলাচলের কারণে দ্রুত সময়ে রাস্তাটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ লোকজন।
মোঃ জলিল নামে এক স্কুল শিক্ষক জানান, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে অন্তত ২০টি পয়েন্ট থেকে উত্তোলনকৃত বালুর ৩ শত থেকে ৫ শত গাড়ি চলাচল করে। যার দরুণ সড়কটির এই বেহালদশা। এই সড়কটি দিয়ে ইউনিয়নের অর্ধেকের বেশী প্রায় ২৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। তাদের কত যে ভোগান্তি তা বলে বুঝানো যাবে না।
সরেজমিনে গেলে সড়কের মালুম্যা এলাকায় একটি সিএনজি রাস্তার মাঝে সৃষ্ট বড় গর্তে পড়ে যেতে দেখা যায়। সেসময় মায়ের কোল থেকে একটি ৪ মাসের শিশু কাঁদাপানিতে পড়ে যায়। পাশে থাকা পথচারীরা দ্রুত এগিয়ে গিয়ে শিশুটিকে একহাটু কাঁদা মিশ্রিত পানি থেকে তুলে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করে। সিএনজি ড্রাইভার মোঃ হেলাল বলেন, আমরা গাড়ি চলানো কাজে বিভিন্ন জায়গায় যায়। কোথাও এমন রাস্তা নেই। রাস্তায় এতবড় গর্ত, জমে থাকা ময়লা পানির জন্য তা বুঝা যায়না। সবসময় এমন দুর্ঘটনা হয়।
ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ হোসেন মামুন বলেন, বেহাল রাস্তার দুর্ভোগ আর গেল না। ৫টি ওয়ার্ডের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে এই রোডটি দিয়ে। বালির গাড়ির কারণে যোগাযোগের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। একজন মুমূর্ষ রোগীকে ডাক্তারের কাছে জীবিত নিয়ে যাওয়া আদৌ সম্ভব না !
ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, বগাইছড়ি ডুলহাজারা সড়কের ন্যায় ইউনিয়নের আরো ৬টি সড়ক বালুর গাড়ির জন্য নষ্ট হয়ে গেছে। অবৈধ বালু বন্ধ না হলে সড়ক মেরামত করে ঠিক রাখা যাবে না।
লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল বলেন, যেহেতু লামা উপজেলায় কোন বালুর মহালের অনুমোদন দেয়া হয়নি, তাই বালু বন্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বলা হবে। বিষয়টি আগামী মাসে জেলা আইন শৃঙ্খলা মিটিংয়ে উপস্থাপন করা হবে।

থানচি সীমান্ত সড়কের ব্রীজ উদ্বোধন ও ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন পাহাড়ে উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ শান্তির পরিবেশ বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী নিরলস কাজ করে যাচ্ছে —–ব্রিঃ জেঃ মোঃ শামসুল আলম

চবি সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা রাঙ্গামাটির দৈনিক গিরিদর্পণ কার্যালয় পরিদর্শন দৈনিক গিরিদর্পণ পার্বত্য অঞ্চলের গণমাধ্যম ইতিহাসের অমূল্য দলিল —–অধ্যাপক শাহাব উদ্দীন নীপু ৪৩ বছর ধরে নানা প্রতিকূলতার মাঝেও দৈনিক গিরিদর্পণ আজো নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে —–সম্পাদক মঞ্জুরাণী গুর্খা

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031