পার্বত্য চট্টগ্রামের অবৈধ অস্ত্রধারী, চাঁদাবাজ ও সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আহ্বান জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের নবাগত কমান্ডার ব্রি: জেনারেল মীর মুশফিকুর রহমান। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) এর হলরুমে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্টস ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন।
এসময় তিনি বলেন, চাঁদাবাজদের সামাজিক ভাবে প্রতিহত করতে হবে। ঠিকাদার, ব্যবসায়ী ও অন্যান্য পেশাজীবীরা যদি তাদের চাঁদা না দিয়ে সামাজিক ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলে তাহলে চাঁদাবাজরা কোনঠাসা হয়ে পড়বে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রাম নিরাপত্তা প্রদানের পাশাপাশি শিক্ষা, শান্তি ও উন্নয়নে কাজ করছে। সাংবাদিকদের এসব ইতিবাচক দিক তুলে ধরে এলাকার প্রেক্ষাপট দেশবাসী জানানোর আহ্বান জানান তিনি।
খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য দুলাল হোসেনের সঞ্চালনা ও সভাপতি নুরুল আজমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক কানন আচার্য, প্রবীণ সাংবাদিক তরুণ কুমার ভট্টাচার্য।
মতবিনিময় সভায় এসময় উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি সদর সেনা জোন অধিনায়ক লে: কর্ণেল জি এম সোহাগ, রিজিয়নের স্টাফ অফিসার (জিটুআই) মেজর মুজাহিদুল ইসলাম, কেইউজে’ সহ-সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী প্রমুখ।
পরে সাংবাদিকদের পক্ষে খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের নবাগত কমান্ডার ব্রি: জেনারেল মীর মুশফিকুর রহমানকে ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।
রাঙ্গামাটিতে শিল্পকলা একাডেমীর ৪৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও বসন্তবরণে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটিতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর ৪৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও বসন্তবরণ উপলক্ষে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় রাঙ্গামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমী সম্মেলন কক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে কেক কেটে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর উদ্বোধন করেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা।
রাঙ্গামাটি জেরা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক বুলবুলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ রেডিও বেতার রাঙ্গামাটি জেলার আঞ্চলিক পরিচালক মোঃ সালাহ উদ্দীন, ক্ষুদ্র -নৃ-গোষ্ঠি সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের পরিচালক (ভাঃ) রুনেল চাকমা, রাঙ্গামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সহ-সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার অনুসিনথিয়া চাকমা।
আলোচনা সভায় রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা বলেন, সংস্কৃতি একটি সুন্দর জাতি গঠনে অসামান্য অবদান রাখে। এ কারণে স্বাধীনতা পরবর্তী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিল্পকলা একাডেমী প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বলেন, এ পার্বত্যঞ্চল সংস্কৃতির দিক দিয়ে ভিন্ন বৈচিত্র যা দেশের অন্য কোথাও দেখা যায় না। এই শিল্পকলার মাধ্যমে এখানকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিল্পী ও সাহিত্যিকরা তাদের সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশ ঘটাটে পারছে। তিনি শিল্পীদের নিজেদের সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে বেশী বেশী করে চর্চা করার আহ্বান জানান।
বক্তব্য শেষে অতিথিরা বিশাল কেক কেটে শিল্পকলা একাডেমীর ৪৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করে। পরে শিল্পকলার শিল্পীদের পরিবেশনায় পাহাড়ী নৃত্য ও সঙ্গীতের মাধ্যমে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
॥ রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ বান্দরবানে পুন:নির্মিত জোন সদর জামে মসজিদের উদ্বোধন করা হযেছে। সোমবার বিকেলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে মসজিদের উদ্বোধন করেন।
এসময় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গর্ভনর প্রফেসর ড:আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী এমপি। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৬৯ পদাতিক ব্রিগ্রেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহম্মদ যুবায়ের সালেহীন, এসইউপি, এনডিইউ, পিএসসি।
অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক আল জাহরানি আবদুল্লাহ ফয়সাল, সদর জোন কমান্ডার লে:কর্ণেল মো:মশিউর রহমান জুয়েল পিএসসি, পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো:হারুন-অর-রশীদ, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য মো:শফিকুর রহমান, সদস্য কাজল কান্তি দাশ, পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাস, মোজাম্মেল হক বাহাদুরসহ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদ মর্যাদার কর্মকর্তা -কর্মচারী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্য দিতে গিয়ে সদর জোন কমান্ডার লে:কর্ণেল মো:মশিউর রহমান জুয়েল পিএসসি জানান, আনুমানিক ১৯২০ সালে বান্দরবানের সাংগু নদীর পাড়ে চট্টগ্রাম সাতকানিয়ার আমিরাবাদ থেকে আগত ৪জন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা মিলিত হয়ে একটি মাটির তৈরি মসজিদ নির্মাণ করে, পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালে বান্দরবান সেনানিবাস প্রতিষ্টার সময়ে মাটির তৈরি মসজিদটি সেনাবাহিনীর আওতায় চলে আসে, এরপর ১৯৮৭ সালে তৎকালিন মাটির তৈরি মসজিদটিকে পূর্ণ সংস্কার করে টিনশেডের একটি মসজিদে রুপান্তর করা হয়। ১৯৮৭ সাল হতে ২০১৬সাল পর্যন্ত এই মসজিদটি একই অবস্থায় বিদ্যমান থাকলে ও পরবর্তীতে ১১জুন ২০১৬ ইং তারিখে বান্দরবান সদরের তত্বাবধানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি এবং প্রফেসর ড:আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী এমপির আন্তরিক প্রচেষ্টায় মসজিদটি পুন: নির্মাণের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। আর এর মধ্য দিয়ে একবছরের মধ্যে ১তলা বিশিষ্ট মসজিদের কাজ শেষ হয়। অনুষ্টানে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গর্ভনর প্রফেসর ড:আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী এমপি বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ছোয়া সর্বত্র লেগেছে। সরকারের উন্নয়নের অংশ হিসেবে পার্বত্য জেলার আনাচে কানাছে আজ মসজিদ, মন্দিরসহ নানান ধর্র্মীয় উপসনালয় প্রতিষ্টা হচ্ছে। এসময় তিনি সৌদি সরকারের সহযোগিতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে মসজিদ নির্মাণ করায় আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক আল জাহরানি আবদুল্লাহ ফয়সালকে সৌদি বাদশাকে ধন্যবাদ প্রকাশ করেন।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়ন বান্ধব সরকার, সরকারের আন্তরিকতায় আমরা আজ পার্বত্য এলাকার উন্নয়নে আরো বেশি ভুমিকা রাখতে পারছি। পার্বত্য এলাকার উন্নয়নে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, শিক্ষা, চিকিৎসার উন্নয়ন ও সর্বোপরি ধর্মীয় প্রতিষ্টানের নির্মাণে এলাকায় ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। এসময় প্রতিমন্ত্রী আগামীতে এলাকার উন্নয়নে আরো বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করার ঘোষনার পাশাপাশি পুন:নির্মিত জোন সদর জামে মসজিদের বাকী অসমাপ্ত কাজ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে সমাপ্ত করে দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। অনুষ্টানের শেষে ফিতা কেটে মসজিদের শুভ উদ্বোধন ও মসজিদের সম্মুখে বৃক্ষরোপন করার মধ্য দিয়ে অনুষ্টানের সমাপ্তি হয়।
অমর একুশে স্মরণে রাঙ্গামাটিতে বিস্তারিত কর্মসূচী
আজ জাতীয় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আজ মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস। ১৯৫২সালে মাতৃভাষা বাংলার জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করে মায়ের ভাষা বাংলাভাষাকে প্রতিষ্টিত করেছেন তাদের প্রতি বাংলাদেশের আবাল বৃদ্ধবনিতার শোকাবহ হৃদয় নিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন শহীদদের প্রতি। এ উপলক্ষে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন নানা কর্মসুচী গ্রহন করেছে।
এদিকে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে সপ্তাহব্যাপী বই মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারী হতে ২৭ ফেব্রুয়ারী ৭দিন ব্যাপী বিকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বই মেলা চলবে। এছাড়া আলোচনা সভা ও সাংষ্কৃতি অনুষ্টানের আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠান সূচীর মধ্যে রয়েছে ২০ ফেব্রুয়ারী সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, ২১ ফেব্রুয়ারী রাত ১মিনিটে রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্প স্তবক অর্পণ, সুর্যোদয়ের সাথে সাথে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় ছাত্র/ছাত্রীদের প্রভাত ফেরীর আয়োজন ও সকল সরকারী/বেসরকারী স্বায়ত্বশাসিত/আধা-সরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা যথানিয়মে অর্ধনমিত রাখা।
২১ ফেব্রুয়ারী সুবিধামত সময়ে সকল মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা (কিয়াং), গীর্জায় শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা, ২১ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা ৬টায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে ভ্রাম্যমান চলচিত্র প্রদর্শনী, ২১ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাঙ্গামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ।
নিহত পাঁচজনই ওই বিচক্রাফট বি২০০ কিং এয়ার উড়োজাহাজে ছিলেন, তারা সবাই তাসমানিয়ার কিং আইল্যান্ডের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ভিক্টোরিয়া পুলিশের সহকারী কমিশনার স্টিফেন লিন জানান, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে এসেনডেন বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কিছু সময় পরই আকস্মিকভাবে বিমানটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে এবং তা ওই বিপনী বিতানের উপর আছড়ে পড়ে।
সেন্ট্রাল মেলবোর্নের ১৩ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে এসেনডেন বিমানবন্দর সাধারণত হালকা যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ওঠানামার জন্য ব্যবহৃত হয়।
স্টিফেন জানান, দুর্ঘটনার সময় বিপনী বিতানটি বন্ধ থাকায় হতাহতের সংখ্যা বাড়েনি।
উড়োজাহাজটি আছড়ে পড়ে স্পটলাইট নামের একটি দোকানের ওয়্যারহাউজের উপর। স্পটলাইটের একজনর মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাদের সব কর্মীই নিরাপদে আছেন। মাইক কাহিল নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী অস্ট্রেলিয়ার হেরাল্ড সানকে জানান, বিস্ফোরণের পর লাল-কালো আগুনের হলকা অন্তত ৩০ মিটার উপরে উঠে যায়।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ড্যানিয়েল মে দ্য এজ-কে জানান, ঘটনার সময় তিনি বিপনী বিতানটি খোলার অপেক্ষায় কাছাকাছি দাঁড়িয়ে ছিলেন।
“হঠাৎ করেই কমলা রঙয়ের বিস্ফোরণ হল, এবং তারপরই ধোঁয়া দেখতে পেলাম। কিছুক্ষণ পর জরুরি নিরাপত্তা কর্মীরা ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে এলেন, তার কিছু সময় পর আমি চলে আসি।”
এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে ভিক্টোরিয়ার প্রিমিয়ার ডেনিয়েল অ্যান্ড্রুজ বলেন, “এটি একটি ভয়াবহ শোকের দিন। যত লোক মারা গেছেন, গত ত্রিশ বছরে আমাদের অঙ্গরাজ্য বিমান দুর্ঘটনায় এতজনকে নিহত হতে দেখেনি।”
অস্ট্রেলিয়ার ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরো জানিয়েছে, টুইন ইঞ্জিনের উড়োজাহাজটি কীভাবে দুর্ঘটনায় পড়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে তারা।
শহীদ মিনারের মূল বেদীতে উঠে সমালোচনায় খালেদা
এর মধ্য দিয়ে শহীদ মিনারের ‘পবিত্রতা নষ্ট করা হয়েছে’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একুশে ফেব্রুয়ারি ও আর্ন্তজান্তিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন কমিটির সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল।
একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ বেদীতে ফুল দেন। তারপর ফুল দেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
ঢাকার দুই মেয়র, তিন বাহিনীর প্রধান, পুলিশ প্রধান, কূটনীতিকদের পর ফুল দেয় ক্ষমতাসীন ১৪ দল। সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, অ্যা টর্নি জেনারেলও ফুল দেন প্রথম প্রহরে।
রীতি অনুযায়ী খালি পায়ে দ্বিতীয় ধাপে দাঁড়িয়ে মূল বেদীতে পুষ্পাঞ্জলি রেখে ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানান সবাই। রোভার স্কাউট সদস্যরা সেসব পুষ্প স্তবক মূল বেদীতে এনে সাজিয়ে রাখতে থাকেন।
রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদ মিনার সবার জন্য খুলে দেওয়া হয়। এরপর রাত ১টা ২৫ মিনিটে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি নেতৃবৃন্দ শহীদ মিনারের দক্ষিণ দিকের প্রবেশ পথ দিয়ে ফুল নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে এগিয়ে যান।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোভার স্কাউটের সদস্যররা মানবপ্রাচীর তৈরি করে তাদের শহীদ মিনারের মূল বেদীর কাছে নিয়ে যান। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসন ও দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা শহীদ মিনারের মূল বেদীতে উঠে পড়েন। এ সময় কিছুটা হুড়োহুড়িও হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মাহবুবুর রহমান, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খানও এ সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন। ফুল দিয়ে দক্ষিণ দিকের পথ দিয়ে বের হয়ে যান তারা।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও দলটির নেতারা শহীদ মিনারের মূল বেদীতে উঠে পড়ায় বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন আর্ন্তজান্তিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন কমিটির সমন্বয়ক অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলেন এবং যারা নিজেদের জাতীয় নেতা বলে দাবি করে, তাদের কাছ থেকে শহীদ মিনারের অবমাননা কোনোভাবেই কাম্য নয়। শহীদ মিনারে এসে কীভাবে কোথায় ফুল দিতে হবে তা তাদের জেনে আসা উচিৎ।”
গতবছর শহীদ মিনারে খালেদা জিয়ার শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। অবশ্য বিএনপি ওই ঘটনার জন্য পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের দায়ী করে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শহীদ মিনারের এবারের ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আর মূল বেদীতে ওঠা নিয়ে ‘শাসকদল’ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যেখানে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করার স্থান, সেখানেই বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। আমাদের নেত্রী যখন সেখানে যান, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সদস্যরা ছিলেন, আমরা যেখানে শ্রদ্ধা জানিয়েছি, সেখানে গণমাধ্যমসহ সকলেই ছিলেন, নিরাপত্তার দায়িত্বে রাখা স্কাউটরাও ছিলেন।
“যারা অভিযোগ তুলছেন, বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, তারা কারা? তারা শাসক দলের বুদ্ধিজীবীরা, তারা এসব কথা বলে একটা বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার চালাচ্ছেস। কেন তারা এটা করছেন তা দেশবাসীর কাছে স্পষ্ট।”
রিজভী বলেন, “এবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো সুতা পাচ্ছে না, তাই এখন তারা বিএনপির বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।”