চট্টগ্রাম ব্যুরো :: শুক্রবার (১৭ জুন) দিনগত রাত ১টার দিকে আকবর শাহ থানাধীন বরিশাল ঘোনা ও রাত ৩টার দিকে ফয়’স লেকের বিজয় নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- লিটন (২৪), ইমন (১৪), শাহীনুর (৩২) ও মাইনুর আখতার (২০)। পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বলেন, রাতে আকবর শাহ থানার ১ নম্বর ঝিলের বরিশাল ঘোনা এলাকায় পাহাড় ধসে আহত ৫ জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মধ্যে ২ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে ৬ জনকে উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যান। অন্যদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
দুইদিনের টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে নগরে। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। শনিবার (১৮ জুন) নগরের নিচু এলাকা মরাদপুর, বহদ্দারহাট, ষোলশহর ২ নম্বর গেইট, কাতালগঞ্জ, আগ্রাবাদ, হালিশহর এলাকায় রাস্তায় পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় রিকশায় অথবা পায়ে হেঁটে হাঁটুপানি মাড়িয়ে যাত্রা করতে হয়েছে কর্মস্থলে। বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার এই দুর্ভোগের জন্য নগরের সেবা সংস্থাগুলো খামখেয়ালিপনাকে দুষছেন নগরবাসী। এলাকার লেকজন জানান জলাবদ্ধতা সমস্যা নতুন নয়। খাল খননে কাজ চলছে অনেকদিন ধরে। এখনও শেষ হচ্ছে না। এতে নগরবাসীর ভোগান্তি দিন দিন আরও বাড়ছে। কখন এ সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে তা কেউ জানে না। এদিকে, বর্ষার এ বৃষ্টি আরো দুই একদিন স্থায়ী হবে বলে জানিয়েছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস। সহকারী আবহাওয়াবিদ শেখ হারুনুর রশীদ জানান, মৌসুমি বায়ুর সক্রিয় প্রভাবের কারণে চট্টগ্রামের কোথাও কোথাও বজ্রপাতসহ ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। ২০ জুন পর্যন্ত চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় মাঝারী থেকে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। নদীবন্দরগুলোর জন্য ২ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে।
নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি প্রকল্পের কাজ চলছে। তবে প্রকল্পগুলোর কাজের অগ্রগতি নেই।
চট্টগ্রাম ব্যুরো :: সীতাকুণ্ডের শীতলপুর এলাকায় বেসরকারি বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করেছেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান। বন্দর চেয়ারম্যানের সঙ্গে ছিলেন বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন), পরিচালক (পরিবহন) ও পরিচালক (নিরাপত্তা)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক।
কনটেইনার ডিপোতে শনিবার (৪ জুন) রাতে আগুন লাগার পর রাত ১১টার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ডিপোতে এখনও আগুন জ্বলছে। শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের শব্দও। ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। সকাল ৮টার দিকে দুটি মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। ঘটনাস্থলে র্যাব-পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন রয়েছেন।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম বলেন, বিএম ডিপোর ঘটনা তদন্তে টার্মিনাল ম্যানেজারকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম ব্যুরো :: সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২ জনে দাঁড়িয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান জানান, এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে।
রোববার (৫ জুন) সকালেও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কিছুক্ষণ পর পর বিস্ফোরণের কারণে আগুন নেভাতে সমস্যা হচ্ছে। ডিপোতে বিপুল পরিমাণ ‘হাইড্রোজেন পার অক্সাইড’ দাহ্য রাসায়নিক রয়েছে।
এদিকে, চমেক হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে ৫২ জন এবং অর্থোপেডিক বিভাগে ১০ ভর্তি রয়েছে। চমেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ৫২ জন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। তাদের বেশিরভাগেরই শ্বাসনালী পোড়া। তাদের বাঁচাতে আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সারা দেশের সাংবাদিকদের জন্য একটা ডাটাবেজ তৈরি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রকৃত সাংবাদিকদের ভুয়া ও অপসাংবাদিকতা থেকে নিরাপদে রাখা। সাংবাদিকতার নামে অনেকে নানা অপকর্মে জড়িয়ে যাচ্ছে এমন খবরও গোচরে আসে। তাদের সম্পর্কে জনমনে নানা প্রশ্ন। জনগণ তাদেরকে ‘সাংঘাতিক’ও বলছেন। তাই সাংঘাতিক না হয়ে সঠিক ও সত্যনিষ্ঠ তথ্য তুলে ধরে প্রকৃত সাংবাদিক হিসাবে ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান তিনি। শনিবার (৪ জুন) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস কাউন্সিলের উদ্যোগে আয়োজিত প্রেস কাউন্সিল আইন ও তথ্য প্রযুক্তি আইন বিষয়ক রাঙ্গামাটিতে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জনাবে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আল মামুন মিয়ার সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব মোঃ শাহালমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের প্রাক্তণ সভাপতি ও দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদ, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, সাধারন সম্পাদক আনোয়ার আল হক, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা, সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি নন্দন দেবনাথ প্রমূখ।
বিচারপতি আরো বলেন, সাংবাদিকরা সরকারের পরিপূরক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান সাংবাদিকদের সম্মান করতেন। যে কারণে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় ১৯৭৪ সালে প্রেস কাউন্সিল আইন বাস্তবায়ন করেন। সে লক্ষ বাস্তবায়নের জন্য প্রেস কাউন্সিল কাজ করছে। আর সাংবাদিকরা কাজ করলে দেশ এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আরো বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হলে বা গ্রেফতার করার আগে প্রেস কাউন্সিলের সাথে কথা বলতে হবে। অন্যায়ভাবে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানী করা হলে প্রয়োজনে প্রেস কাউন্সিল আইনি সহায়তা দিবে।
তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে সাংবাদিকতার অপব্যহার হচ্ছে। তাদের অনেকে সাংঘাতিক কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের মান রক্ষা করতে হলে নিয়ন্ত্রনের প্রয়োজন আছে। সাংবাদিকতা পেশার সম্মান এখন আগের মতো নেই। প্রেস কাউন্সিল সাংবাদিকতার মানোন্নয়নের জন্য কাজ করছে। সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নূন্যতম গ্রাজ্যুয়েশ থাকতে হবে। তবে তা পাচঁ বছর আগে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে নয় বলে তিনি জানান।
এ সময় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম তথ্য প্রযুক্তি আইনের কথা উল্লেখ করে আরো বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যাবহার ও অনলাইন পোর্টালের দৌরাত্ব কমাতে তথ্য প্রযুক্তি আইনের প্রয়োজন আছে। তবে এ আইনে আসামীকে জামিন দেয়া যাবে না যে বিধান আছে তার সাথে দ্বিমত করে তিনি বলেন, এটি সংশোধন করা প্রয়োজন। একই সাথে তথ্যমন্ত্রীর দেয়া ঘোষণা “এ আইনে সাংবাদিকদের গ্রেফতার করা যাবে না” তা বাস্তবায়নেরও আহবান জানান প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান।
কর্মশালায় রাঙ্গামাটিতে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ৪২ জন সাংবাদিক অংশগ্রহন করেন।
॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥ সমাজের সুষ্ঠু বিকাশে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার গুরুত্ব তুলে ধরে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সমাজ যাদের দিকে তাকানোর সুযোগ পায় না, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা সেই মানুষের না বলা কাহিনী তুলে ধরে।’
তিনি আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন।
ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ১১ জন সাংবাদিককে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য প্রত্যেককে আড়াই লাখ টাকা, মফস্বল সাংবাদিকতায় ৬৪ জন প্রবীণ সাংবাদিক প্রত্যেককে এক লাখ টাকা এবং সকলকে সনদপত্র ও সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়।
তথ্যমন্ত্রী পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন ও বসুন্ধরা গ্রুপকে বিশেষ করে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় পুরস্কার আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এই ধরনের পুরস্কার প্রদান অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ও সার্বিকভাবে সাংবাদিকতাকে উৎসাহিত করবে।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, সাংবাদিকতা এমন একটি পেশা যা সমাজকে সঠিকখাতে প্রবাহিত করতে সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দিতে এবং অবহেলিত দিকগুলোতে সমাজের দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে যেভাবে ভূমিকা রাখে, তা অন্য কোনো পেশার মানুষ পারে না।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ভিন্ন মাত্রার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের সাংবাদিকতায় ঝুঁকি থাকে, জীবন বিপন্ন হতে পারে। সেসব অতিক্রম করে সাংবাদিককে কাজ করতে হয়। পথের পাশের বিপন্ন মানুষগুলোর জীবনের যে গল্প, যে বেদনা, সেটিও তুলে আনতে পারে অনুসন্ধানী সাংবাদিকই।
গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতূর্থ স্তম্ভ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মনে করে গণমাধ্যমের বিকাশের সাথে রাষ্ট্র ও গণতান্ত্রিক সমাজের বিকাশ নিহিত উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেকারণেই বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে গত সাড়ে ১৩ বছরে সংবাদপত্র, বেতার, টেলিভিশন ও অনলাইন গণমাধ্যমের প্রতিটি ক্ষেত্র যুগান্তকারী বিকাশ লাভ করেছে। একইসাথে অসুস্থ প্রতিযোগিতা ও আইনবিরোধী চর্চা কমে এসেছে।’
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতিতে আমরা বিশ্বাস করি, লালন করি। সমালোচনা পথ চলাকে শাণিত করে, কাজকে বিশুদ্ধ করে।
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান তার বক্তৃতায় অতিথিদেরকে উপস্থিতির জন্য ধন্যবাদ জানান। সভাপতির বক্তব্যে সায়েম সোবহান আনভীর পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন এবং পুরস্কারের এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও চিত্রনায়িকা বুবলির উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে ডেইলি স্টারের আহমাদ ইশতিয়াক, মাছরাঙা টেলিভিশনের কাওসার সোহেলী, জাগো নিউজ ২৪.কম-এর সালাহ উদ্দিন জসিম, অপরাধ ও দুর্নীতি ক্যাটাগরিতে দেশ রূপান্তরের শোয়েব চৌধুরী, জিটিভির জান্নাতুল ফেরদৌসী, নিউজ বাংলা২৪.কম-এর জেসমিন পাপড়ি, নারী ও শিশু ক্যাটাগরিতে সমকালের রাজীব আহাম্মদ, আনন্দ টিভির শওকত সাগর, ঢাকা পোস্টের আদনান রহমান, অনুসন্ধানী প্রামাণ্যচিত্রে মাছরাঙা টেলিভিশনের মাজাহারুল ইসলাম, তৃণমূল সাংবাদিকতায় অবদানের ক্যাটাগরিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম সাংবাদিকতার পথিকৃৎ ও দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদ এবং আলোকচিত্রে প্রথম আলোর দীপু মালাকার, পুরস্কার গ্রহণ করেন।
পুরস্কারের জুরিবোর্ডে ছিলেন, অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত, সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক দেশ রূপান্তর সম্পাদক অমিত হাবিব, লেখক নাসির আলী মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, সহযোগী অধ্যাপক শাওন্তী হায়দার ও সাংবাদিক জুলফিকার আলি মানিক।
কাপ্তাই প্রতিনিধি ॥ চলমান কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট পাহাড়ী ঢলে ভেঙে গেলো রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার ২নং রাইখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নারানগিরিমুখ এলাকার হাজারো মানুষের পারাপারের একমাত্র বাঁশের সাঁকোটি। যার ফলে যাতায়াতে চরম সমস্যাই ভুগছেন ওই পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দারা।
সোমবার (৩০ মে) সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের ফলে বাঁশের সাঁকোর মাঝখানে কিছু অংশ ভেঙে গেছে। ফলে দুই পাড়ের জনগণ এই ব্রিজ দিয়ে পার হতে পারছে না। বিশেষ করে স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা নারানগিরি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আসতে পারছেন না।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ রাশেদ, ইউচুফ সওদাগর, মোহাম্মদ আজিজ মিয়াসহ এলাকাবাসীরা জানান, নারানগিরি ১নং পাড়ায় হাজারো মানুষের বসবাস। প্রতিদিন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় পড়ুয়া শতশত ছাত্র-ছাত্রী এ সাকোঁটি দিয়ে পার হয়। এছাড়া জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হয় গর্ভবতী মা সহ স্থানীয় জনগণরা। যা নিত্যদিনের কষ্টে পরিণত হয়েছিলো।
এছাড়া বেশ কয়েকবার ভারীবৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলে সাঁকোটি পারাপারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। পরে তারা নিজেদের সহযোগিতায় ব্রীজটি কোনভাবে মেরামত করে পারপার হয়। কিন্তু টানা কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলে গত রবিবার সাঁকোটি আবারো ভেঙে গেলো। এখন নারানগিরি মুখ এলাকার মানুষের দুর্ভোগ চরম সীমায় পৌঁছেছে বলে তারা জানান।
এদিকে ইতিপূর্বে এই বাঁশের সাঁকোটির দুর্দশা চিত্র নিয়ে কাপ্তাইয়ের স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রতিবেদন করেছিলো। যার ফলে সাঁকোর জায়গায় নতুন ব্রীজ নির্মানের জন্য সরকারি অনুমোদন হওয়ার কথা শোনা গিয়েছিলো। কিন্তু কেন এখনো ব্রীজটি নির্মিত হচ্ছেনা, এতে হতাশ হয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
এই বিষয়ে স্থানীয় ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শৈবাল সরকার জানান, সম্প্রতি নতুন ব্রীজটির নির্মানের কাজ রাঙ্গামাটি জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে টেন্ডারের অপেক্ষায় আছে। তবে বর্তমানে দেশের বাজারে রড সিমেন্টের দাম বেড়ে যাওয়ায় থমকে গেছে কাজটি। তবে আগামী জুনের পরে এই ব্রীজের টেন্ডার কাজ শুরু হতে পারে বলে তিনি জানান।
২নং রাইখালী ইউপি চেয়ারম্যান মংক্য মারমা বলেন, এই বাঁশের সাকোঁটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি পারাপার করে স্থানীয় বাসিন্দারা। এখানে সাঁকোর জায়গায় একটি ব্রীজ নির্মিত হওয়া অনেক জরুরী।
এবিষয়ে এলজিইডির কাপ্তাইয়ের সিনিয়র প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, করোনার কারণে সেতু নির্মানের কাজটি পিছিয়ে পরার ফলে এখনো অনুমোদন হয়নি সেতুটির নির্মান কাজ। তবে তিনি এই বিষয়ে, আবারো উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত সময়ে ব্রীজটি নির্মাণে ব্যবস্থা করার আশ্বাস প্রদান করেন।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে আগামী ৩০শে মে ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) তে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে বসুন্ধরা অ্যাওয়ার্ড ২০২১।
বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১ আয়োজনে ৫টি ক্যাটাগরিতে ১১জন অনুসন্ধানী সাংবাদিককে পুরস্কার প্রদান করা হবে। একই সঙ্গে তৃণমূল সাংবাদিকতায় অবদান রাখায় দেশের প্রতিটি জেলা থেকে একজন করে মোট ৬৪জন গুণী সাংবাদিককে সম্মাননা প্রদান করবে দেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ।
এতে উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবাহান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম ও বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১ এর জুরিবোর্ড প্রধান অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান।
॥ জুরাছড়ি প্রতিনিধি ॥ রাঙ্গামাটির জুরাছড়ি উপজেলার মৈদং ইউনিয়নের দূর্গম পাহাড়ের পাড়ায় পাড়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। মৈদংয়ের আমতলা নাম গ্রামে ৮ বছরের এক শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মারা যাওয়া শিশুটি কান্তি চাকমার মেয়ে রাঙাবি চাকমা (৮)। এছাড়া এই গ্রামে ৬০/৭০ জন বৃদ্ধ, শিশু ও নারী আক্রান্ত হয়েছে বলে দাবী পাড়াবাসীর।
আক্রান্তদের সেবা দিতে দূর্গম মৈদং এলাকায় কাজ করছে জুরাছড়ি স্বাস্থ্য বিভাগের ৫ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম। রাঙ্গামাটি জুরাছড়ির একটি মেডিকেল টিম শুক্রবার সন্ধ্যায় গিয়ে তাৎক্ষণিক ৭০ জনকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে থেকে ১০ জনকে হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জুরাছড়ি উপজেলার হতে ২৭কিলোমিটার প্রায় দূরে মৈদং ইউনিয়নের আমতলা গ্রাম। উপজেলা হতে ছড়া ও পাহাড়ী উচু নিচু পথ বেয়ে সেখানে পৌঁছাতে ৬/৭ ঘন্টা সময় লেগে যায়। গ্রামে ৪৫ পরিবারের বসবাস।
আমতলা বাদলহাটছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মঙ্গল চাকমা বলেন, গেল কয়েক দিন দফায় দফায় বৃষ্টি পর এই ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে। তিনি আরো জানান, পাড়ায় কান্তি চাকমার মেয়ে ২য় শ্রেণীর ছাত্রী রাঙাবি চাকমা ডায়রিয়াই আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
এলাকার স্থানীয় কার্বারী ও ওয়ার্ড সদস্য রহিনী কুমার চাকমা বলেন, পাড়ায় প্রতিটি ঘরে এক বা একাধিক ডায়রিয়ায় আক্রান্তের রোগী রয়েছে। শুধু ডায়রিয়া নয়, এর পাশাপাশি জ্বরের প্রকোপও বাড়ছে। এতে করে এলাকাবাসীরা দুঃচিন্তায় রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নতর কারণে উপজেলায় রোগীদের আনা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি কান্তি চাকমার আট বছরের মেয়ে রাঙাবি চাকমার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
একই গ্রামবাসী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি দুই বছরের শিশু অমর শান্তি চাকমার মা সঞ্জারিকা চাকমা বলেন, তার ছেলে বুধবার সকাল থেকে ৮/৯ বার পাইখানা হওয়ার পর দুর্বল হয়ে পরে। এমন সময় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার ব্র্যাকের দুই কর্মী আর্থিক সহযোগিতা ও পরামর্শে রাত ১১টায় বাড়ী থেকে রওনা করি। ভোর ৪টায় পৌছাই। এখন একটু ভালো আছে ছেলেটা।
তবে তিনি উদ্বেগ কন্ঠে বলেন, ছেলেটা কিছুটা সুস্থ হয়েছে। কিন্তু চিন্তায় আছি বৃদ্ধ শশুর-শাশুরিকে নিয়ে, তারাও আক্রান্ত ডায়েরিয়াই। দূর্গমতার কারণে নেই কোন যোগাযোগে ব্যবস্থা।
আক্রান্ত পাড়ার ভুবন জয় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেডে দুর্বল হয়ে পরে আছে। তিনি বলেন বাড়ীতে গিয়ে সেও আক্রান্ত হয়েছে।
মৈদং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাধনা নন্দ চাকমা বলেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্তে বিষয়টা খবর পেয়েছি। স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম দ্রুত পর্যাপ্ত ঔষধসহ পাড়াবাসীদের পাশে দাঁড়ানো দরকার।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অনন্যা চাকমা জানান, মৈদং ইউনিয়নসহ কিছু কিছু পাড়ায় ডায়েরিয়া আক্রান্ত খবর পেয়েছি। শুক্রবার একটি দক্ষ ডাক্তারের নেতৃত্বে মেডিকেল টিম আক্রান্ত এলাকায় কাজ করছে। ইতিমধ্যে তারা চিকিৎসা সেবা শুরু করেছে। তারা সেখানে ডায়রিয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অবস্থা করবে। প্রয়োজনে আরো টিম পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।
নিজস্ব প্রতিদেক :: রাঙামাটি: পার্বত্য তিন জেলার পরিত্যক্ত সেনা ক্যাম্পগুলোতে শিগগিরই এপিবিএন মোতায়েন করার ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে সেনবাহিনী শান্তির জন্য কাজ করছে।
তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং যাদের সঙ্গে আমাদের শান্তিচুক্তি হয়েছিল, সেই চুক্তির একটি শর্ত ছিল সেনাবাহিনীর পরিত্যক্ত ক্যাম্পগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হবে। যাতে এ এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকে।
আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় থাকা পরিত্যক্ত সেনা ক্যাম্পগুলোতে ধীরে ধীরে, এক সঙ্গে নয়, পুলিশ মোতায়েন করতে যাচ্ছি আমরা। লক্ষ্য একটাই, পার্বত্য চট্টগ্রামে যেন শান্তিশৃঙ্খলার সুবাতাস বইতে শুরু করে, যোগ করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা জানেন, আমরা জলদস্যু মুক্ত করেছি, চরমপন্থি মুক্ত করেছি। সবার প্রচেষ্টায় এ অঞ্চলে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করব। আমরা ঘোষণা দিচ্ছি- তিন জেলায় (বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি) তিনটি এপিবিএন ব্যাটালিয়ন আসবে। এ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ধীরে ধীরে পরিত্যক্ত সব ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়বে। এর হেডকোয়ার্টার থাকবে রাঙামাটিতে। কথা হয়েছে, সিদ্ধান্ত হয়েছে, কোথায় কোন অসুবিধা। এ অসুবিধার আলোকে অনেক কথা আসছে। আমরা সবগুলো নোট করে নিয়েছি। সন্তু লারমা শান্তিচুক্তির কথা বলেছেন, শান্তিচুক্তির ভূমি কমিশনের কথা বলেছেন। সবগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সবগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন হবে।
বুধবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত রাঙামাটিতে তিন পার্বত্য জেলার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভা শেষে রাতে সাংবাদিকদের সামনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আমি এখানে এসে হেডম্যান, কার্বারি, জনপ্রতিনিধি, মন্ত্রী এবং তিন পার্বত্য জেলার রাজাদের নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদের একটা অনুরোধ, এ এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। তারা নানা ধরনের সাজেশন দিয়েছেন। তারা ভয়ংকর পরিস্থিতির কথা বলেছেন, চাঁদাবাজির কথা বলেছেন, সন্ত্রাসের কথা বলেছেন। দল-উপদলের মারামারির কথা বলেছেন।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদূর ঊশৈসিং, ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু নির্দিষ্টকরণ ও পুনর্বাসন টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এমপি দীপংকর তালুকদার, সংরক্ষিত নারী আসন-৯ এর এমপি বাসন্তী চাকমা, সিনিয়র সচিব নিরাপত্তা বিভাগ, পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ, চট্টগ্রাম ২৪ পদাধিক ডিভিশনের জিওসি, মহাপরিচালক এনএসআই, বিভাগীর কমিশনার চট্টগ্রামসহ প্রশাসনের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ এ বিশেষ সভায় যোগ দেন।