বান্দরবান প্রতিনিধি ॥ বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির সীমান্তর্বতী বিভিন্ন দুর্গম এলাকা থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন “ জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ” ৭ জন এবং পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের ৩ জনসহ মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে র ্যাব। এ সময় তদের কাছ থেকে বিপুল অস্ত্র , গোলাবারুদ ও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বান্দরবানের মেঘলা এলাকায় র্যাব-১৫ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিংকালে র ্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এই তথ্য নিশ্চিত করেন । তিনি বলেন, সম্প্রতি নতুন জঙ্গি সংগঠন “ জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার’র ” শীর্ষ নেতাদের ধরতে পাহাড়ে অভিযান শুরু হয়। সম্প্রতি জঙ্গিবাদে জড়িয়ে নতুন করে কথিত হিজরতের নামে ঘরছাড়া তরুণরা জামাতুল আনসারের হয়ে পাহাড়ি এলাকার আস্তানায় আশ্রয় নেয়। এসব আস্তানায় হিজরত করা তরুণদের ভারি অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
তিনি আরো জানান , উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছায় হিজরতের নামে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হওয়া বিভিন্ন জেলার ৫০ তরুণের তথ্য পায় র্যাব, তাদের মধ্যে ৩৮ জনের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা প্রকাশ করা হয়। বান্দরবানের সীমান্তবর্তী সীমান্তঘেঁষা দুর্গম পাহাড়ে বাড়িছাড়া কিছু তরুণ জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিচ্ছে, নতুন এ জঙ্গি সংগঠনকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ (কেএনএফ) নামে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে টানা অভিযান চালিয়ে বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র ৭জন এবং পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের ৩ জনসহ মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করে র ্যাব। এ সময় তদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৯টি বন্ধুক, ৫০ রাউন্ড গুলি , ৬২টি কার্তুজ কেইস, ১টিওয়াকটকি, হাত বোমা ৬টি, মানচিত্র ও বিভিন্ন ধরনের পোশাক।
পার্বত্য এলাকায় সাধারণ জনগণের উন্নয়ন ব্যাহত ও শান্তি শৃংঙ্খলা ভঙ্গে যারা জড়িত থাকবে এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করবে সেই ধরণের সকল সংগঠন ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান র ্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো :: ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) দ্বি–বার্ষিক নির্বাচনের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছেন সিইউজে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেমুল হক।
সোমবার (১০ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে সিইউজের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভার মুলতবি সভায় তিনি ফলাফল ঘোষণা করেন।
উৎসবমুখর পরিবেশে ফুল দিয়ে বরণ করা হয় বিজয়ীদের।
বৃহষ্পতিবার (৬ অক্টোবর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সাধারণ সভার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মুলতবি সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নিজাম উদ্দিন আহমদ, নুরুল আমিন, মোরশেদ আলম, কামাল পারভেজ। সিইউজের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, নবনির্বাচিত সভাপতি তপন চক্রবর্তী, সভাপতি প্রার্থীদের পক্ষে আসিফ সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম প্রমুখ।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি শহীদুল আলম।
বক্তারা ঐতিহ্যবাহী সিইউজের গৌরব অক্ষুণ্ন রেখে সাংবাদিকদের পেশাগত মর্যাদা, নিরাপত্তা ও অধিকার আদায়ের সংগ্রাম এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলানিউজের ডেপুটি এডিটর তপন চক্রবর্তী। পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন দেশ রূপান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার ম. শামসুল ইসলাম।
সভাপতি পদে তপন চক্রবর্তী পেয়েছেন ১৭৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোস্তাক আহমদ পেয়েছেন ১০৫ ভোট।
সিনিয়র সহ সভাপতি ২৩৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন রুবেল খান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রতন কান্তি দেবাশীষ পেয়েছেন ১৩২ ভোট।
সহ সভাপতি পদে ১৯৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন অনিন্দ্য টিটো। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামসুল হুদা মিন্টু পেয়েছেন ১৭২ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে ম. শামসুল ইসলাম ১৯২ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সবুর শুভ পেয়েছেন ১২২ ভোট।
যুগ্ম সম্পাদক পদে ১৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সাইদুল ইসলাম। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরিচ আহমেদ পেয়েছেন ১৩৬ ভোট।
অর্থ সম্পাদক পদে ১৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মুজাহিদুল ইসলাম। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সৌমেন ধর পেয়েছেন ১৭৭ ভোট।
সাংগঠনিক সম্পাদক ১৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মহরম হোসাইন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুবল বড়ুয়া পেয়েছেন ১২৯ ভোট।
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ২২৯ ভোট পেয়ে সরওয়ার কামাল নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিজান ইউসুফ পেয়েছেন ১২৯ ভোট।
নির্বাহী সদস্য পদে আলাউদ্দিন হোসেন দুলাল ২০৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিশু রায় চৌধুরী পেয়েছেন ১৫১ ভোট।
চট্টগ্রাম ব্যুরো :: বাড়তি দামে যন্ত্রপাতি কিনে ৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি মামলায় চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খান চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৮ আগস্ট) সকালে মহানগর দায়রা জজ ও স্পেশাল জজ ডা. বেগম জেবুননেছার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করা হয়।
আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, একটি এমআরআই মেশিনের বাজারমূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা হলেও চট্টগ্রাম জেনালের হাসপাতাল সেটি কিনে ৬ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকায়। একইভাবে চারটি কালার ডপলার কেনা হয় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকায়। যদিও এই মেশিনের দাম মাত্র ৯৮ লাখ টাকা। এভাবে বাজার মূল্যের চেয়ে দুই-তিনগুণ বেশি দাম দেখিয়ে মোট ৯ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকা সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর সাতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন দুদক সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম ১-এর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. মো. আব্দুর রব, জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক সার্জারি) ডা. মো. মইন উদ্দিন মজুমদার, সিনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. বিজন কুমার নাথ, যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মো. জাহের উদ্দিন সরকার, মেসার্স আহম্মদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সী ফারুক হোসেন এবং এএসএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আফতাব আহমেদ।
২০১৪ সালে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জন্য যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে এ দুর্নীতি হয়েছিল বলে মামলার এজাহারে লেখা রয়েছে। ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জনের পাশাপাশি ওই সময় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
ঢাকা অফিস :: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধ ও মাদক নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পের ভেতরে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্তে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। একই সঙ্গে মাদকের প্রবেশ রোধে নাফ নদীতে মাছ ধরার ট্রলারে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
রোববার (২৮ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির ৫ম সভা মেষে সাংবাদিাদের এক প্রশ্নের জাবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, স্বরাষ্ট্রসচিব (সুরক্ষা সেবা বিভাগ) আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, পররাষ্ট্র সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. কামরুল হাসানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিন আমাদের এখানে অবস্থান করার কারণে একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে আমরা পড়েছি। আমরা বারবার প্রচেষ্টার পরেও তাদের দেশে যাওয়ার যে প্রক্রিয়াটা তাদের অনীহার কারণে শুরু করতে পারিনি। তারপরেও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাঝে মধ্যেই আমরা রক্তপাত দেখছি, সন্ত্রাস দেখছি।
তিনি বলেন, আজ দীর্ঘ আলোচনার পরে যে সিদ্ধান্তগুলো এসেছে— ক্যাম্পে আমরা মাঝেমধ্যেই সন্ত্রাসী কার্যক্রম লক্ষ্য করেছি এবং বিনা কারণে রক্তপাতও দেখছি। মাঝে মাঝে মিয়ানমার থেকে মাদকের আনাগোনাও আমরা লক্ষ্য করছি। এটার জন্য গোয়েন্দা তৎপরতা এবং অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধের জন্য আমরা তথ্য ভিত্তিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই অভিযানে প্রয়োজনে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার তো আছেই প্রয়োজনে আমাদের সেনাসদস্যরাও এতে অংশ নেবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাস্তবতার নিরিখে এবং সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে যৌথভাবে ক্যাম্পের ভেতরে এবং বাহিরে টহল ও অভিযান পরিচালনা করবে। ক্যাম্পের ভেতরে বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। সেগুলো কেন হচ্ছে আমরা তা খতিয়ে দেখছি, পাশাপাশি আরও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যা প্রয়োজন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
স্বশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক ক্যাম্পের চতুর্দিকে নিরাপত্তা বেষ্টনি স্থাপন যেটা চলছিল, সেটা প্রায় শেষের দিকে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাপে টহল রাস্তা কিছুটা বাকি আছে, শেষের দিকে। ওয়াচটাওয়ার সেখানে হবে। তারা যেন সার্বক্ষণিক নজরদারিতে থাকে সে ব্যবস্থা আমরা করছি। ক্যাম্পের ভেতরে জন্মনিরোধের জন্য একটি এসওপি তৈরির কাজ চলছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, ইসলামি ফাউন্ডেশন এ নিয়ে কাজ করছে। ঘরে ঘরে স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন এবং সচেতন করছেন। মসজিদের ইমাম ও এনজিওরাও এ বিষয়ে উপদেশ দিচ্ছেন।
মন্ত্রী বলেন, নাফ নদী মাদক আনা নেওয়ার রুট, সেখানে মাছ ধরার ট্রলারের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করতে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ক্যাম্পের ভেতরে এবং বাইরে মাদক চোরাচালান বন্ধে অভিযান যেটা ছিল তা আরও জোরদার করা হবে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদকের পাশাপাশি ভারী অস্ত্রও দেখা যাচ্ছে, এ বিষয়ে উদ্যোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এ নিয়ে আমাদের কাজ চলছে। ভেতরে পুলিশসহ গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন, তারা কাজ করছেন। ভারী অস্ত্রের কথা যেটা বললেন, ঠিক অতখানি নয়, মাঝে মাঝে অস্ত্র দ্বারা রক্তপাত হচ্ছে। এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। তবে যারা এই ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা গোয়েন্দা নজরদারিতে আছে। তারা কীভাবে কোথা থেকে আসে বিস্তারিত নিয়ে খুব শিগগিরই তথ্য প্রকাশ করবো। তথ্য অনুযায়ী আমাদের পুলিশ ও র্যাব কাজ করছে।
রোহিঙ্গাদের মোবাইল ব্যবহার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এরা মিয়ানমারের মোবাইল ব্যবহার করে, এতে আমরা ক্রিমিনালদের শনাক্ত করতে পারছি না। আমরা যেটা চাচ্ছি তারা যেন আমাদের দেশি মোবাইল ব্যবহার করে। প্রয়োজনবোধে আমরা যেভাবে মোবাইল নিয়ন্ত্রণ করি সেভাবেই করবো।
ফেনী প্রতিনিধি : অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ফেনীর ৩২৬ অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার পাবেন বীর নিবাস। জেলার ছয়টি উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে এসব ঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, বীর নিবাস নির্মাণ শুরুর আগেই যাচাই-বাছাই করে জেলায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নামে এসব ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ঘরের বরাদ্দ পেয়ে এবং নির্মাণ শুরু হওয়ায় ব্যাপক খুশি অসহায় মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার। সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তারা।
জেলা প্রশাসন থেকে জানা গেছে, অসচ্ছল-শহীদ-প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্ত্রী ও সন্তানদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ লাখ টাকা করে এক একটি পাকা ঘর তৈরি করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। এর অংশ হিসেবেই ফেনীর ৩২৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সরকারি এসব ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জেলার ছয় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ৫ পৌরসভায় মোট ৩২৬টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলছে। ঠিকাদাররা বলছেন, দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতির কারণে এসব ঘর নির্মাণ করতে গিয়ে তাদের লোকজন গুনতে হবে। তবুও, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তারা ঘর নির্মাণ কাজ শেষ করবেন।
ফেনী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবদুল মোতালেব বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বেশিরভাগ নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। সরকার যে ঘরগুলো দিচ্ছে তা অবশ্যই ভালো কাজ। এতে করে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা তাদের মাথাগোঁজার ঠাই পাবেন এবং পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন।
ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদুল উল হাসান বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। সরকার দেশের অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কথা ভেবে তাদের জন্য পাকা ঘর নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ঘর পেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা ভীষণ উপকৃত হচ্ছেন। এ প্রকল্প মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে সাড়া ফেলেছে।
সাপ্তাহিক চাটগাঁর শরৎকালীন সাহিত্য আসর ২৬ আগস্ট শুক্রবার বিকাল চারটায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোমিন রোডস্থ কদম মোবারক মার্কেটের বিজয়’৭১ হলে অনুষ্ঠিত আসরে সভাপতিত্ব করেন সীতাকুণ্ড তাহের-মনজুর কলেজের অধ্যক্ষ লেখক মুকতাদের আজাদ খান। আসর উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সাহিত্যসেবী ভানু রঞ্জন চক্রবর্ত্তী। সাংস্কৃতিক সংগঠক সাজ্জাদ হোসেন জাফরের সঞ্চালনায় সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক চাটগাঁর সহকারী সম্পাদক রোকন উদ্দীন আহমদ। অতিথি ছিলেন মাসিক কথন সম্পাদক কবি ফারুক হাসান, দৈনিক গিরি দর্পণের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান এম.কে. মোমিন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক চাটগাঁর লেখক প্রণব রঞ্জন চক্রবর্ত্তী, সাংবাদিক সমীরন পাল, সাংস্কৃতিক সংগঠক জসিমুল হক চৌধুরী, মানবাধিকার কর্মী রূপংকর পাল। প্রাণবন্ত ২ ঘণ্টার আসরটিতে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন, কবি যথাক্রমে আবু মুসা চৌধুরী, আশীষ সেন, গোফরান উদ্দিন টিটু, তালুকদার হালিম, বিদ্যুৎ কুমার দাশ, লিটন কুমার চৌধুরী, সঞ্চয় কুমার দাশ, সারাফ নাওয়ার, মিনু মিত্র, নান্টু বড়ুয়া। নবীন-প্রবীণ কবিদের কবিতা পাঠ ও অতিথিদের কথামালায় আসরটি উপভোগ্য হয়। এসময় অতিথি বক্তারা বলেছেন, চট্টগ্রামের লেখকদের সাহিত্য আন্তর্জাতিক মানের। এই ধারা বাঁচিয়ে রাখতে সাহিত্যকর্মে পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। সুস্থ ও সুন্দর সমাজ নির্মাণে মানবিক মানুষ প্রয়োজন। সাহিত্য চর্চায় মানবিক মানুষ তৈরী হয়। তাই সাহিত্য পাঠে সকলের প্রতি আহ্বান জানাই। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চট্টগ্রাম ব্যুরো :: প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক চট্টগ্রাম জেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন (৩য় পর্যায়) ৫৮৭টি পরিবারকে জমিসহ ঘরের মালিকানা হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার (২০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘মুজিবশতবর্ষে একজন লোকও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প এর অধীনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদানের কার্যক্রম গ্রহণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১ম পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি সারাদেশে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ ঘর বরাদ্দ প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
আগামী ২১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ৩য় পর্যায়ের (২য় ধাপ) ২৬ হাজার ২২৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ ঘর বরাদ্দ প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম জেলায় ৩য় পর্যায়ে (২য় ধাপ) ৫৮৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হয়েছে। পটিয়া উপজেলায় ১০টি, বোয়ালখালী উপজেলায় ১৫টি, চন্দনাইশ উপজেলায় ১৫টি, সাতকানিয়া উপজেলায় ২০টি, লোহাগাড়া উপজেলায় ৫১টি, বাঁশখালী উপজেলায় ১৫টি, হাটহাজারী উপজেলায় ৬০টি, ফটিকছড়ি উপজেলায় ১০০টি, আনোয়ারা উপজেলায় ১০০টি, মীরসরাই উপজেলায় ১০৯টি, রাউজান উপজেলায় ৫৪টি এবং সীতাকুণ্ড উপজেলায় ৩৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হবে।
এছাড়াও চট্টগ্রাম জেলার ৪টি উপজেলা যথাক্রমে পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলাকে হালনাগাদ যাচাই-বাছাইকৃত তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ২১ জুলাই ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।
॥ মো সোহেল রানা, দীঘিনালা ॥ সেনা সদস্যদের মনোবল বাড়াতে ঈদুল আযহার উপলক্ষে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ। রবিবার (১০ জুলাই) পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে খাগড়াছড়ি রিজিয়নের বাঘাইহাট জোন পরিদর্শন করেন এবং পরে দীঘিনালা জোনের পাংখোয়া পাড়া সেনাবাহিনী ক্যাম্প পরিদর্শন করেন তিনি। জোন পরিদর্শনকালে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তা ও সৈনিকদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। আজ দুপুরে সেনাপ্রধান বাঘাইহাট জোনে আসলে তাকে অভ্যর্থনা জানান ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) মেজর জেনারেল মো. সাইফুল আবেদীন ও খাগড়াছড়ির রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম। পরিদর্শনকালে সেনাপ্রধান সকল সদস্যদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা এবং কুশলাদি বিনিময় করেন।
এ সময় সেনাপ্রধান বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুর্গম পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে। তারা পরিবার স্বজন ছেড়ে পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় দেশের নিরাপত্তায় কাজ করছে। দেশের যেকোন সংকটে সেনাবাহিনীর তার অর্পিত দায়িত্ব পালন করছে এবং করবে।
সেনাপ্রধান এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ উভয় ক্যাম্পেই গাছের চারা রোপণ করেন এবং দীঘিনালা জোনে সেনা সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উপলক্ষে আয়োজিত প্রীতিভোজে অংশ নেন।
পরিদর্শনকালে সামরিক সচিব মেজর জেনারেল খালেদ আল-মামুন, জিওসি ২৪ পদাতিক ডিভিশন ছাড়াও সেনা সদরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের স্টাফ অফিসার মেজর জাহিদ হাসানসহ অন্যান্য সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
॥ আশরাফ উদ্দিন, মিরসরাই ॥ মিরসরাইয়ে জোরারগঞ্জ থানায় গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫টি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত সাড়ে ৯টার মধ্যে এসব চুরির ঘটনা ঘটছে। এসময় চোরের দল স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা সহ মূল্যবান আসবাবপত্র নিয়ে যায়। সর্বশেষ রবিবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যায় ধুম ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে আবুল হোসেন পাটোয়ারি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। আবুল হোসেন পাটোয়ারির ছেলে আমজাদ হোসেন রনি বলেন, রবিবার সন্ধ্যা ৮টার দিকে আমার মা, স্ত্রী সন্তান পাশে আমার অসুস্থ মামাকে দেখতে যান। সেখানে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ছিলেন। এরপর বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে ৩টি স্বর্নের চেইন, একটি আংটি ও আমার মা ও বোনের গচ্চিত টাকা, আমার মেয়ের ঈদ সালামির টাকাসহ প্রায় ১ লাখ ৬ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। ওই সময় এলাকায় বিদ্যুৎ ছিলো না। ঘরের সবকিছু তছনছ করে গেছে।
রনি আরো বলেন, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ৫বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। ২৮ জুন রাত সাড়ে ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে পশ্চিম হিঙ্গুলী এলাকার নিজাম উদ্দিনের বাড়িতে, ১ জুলাই বারইয়ারহাট পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের জামালপুর গ্রামের আবুল হাশেমের বাড়িতে, ২ জুলাই হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের খায়েজ আহম্মদ, ফজলুল হকের বাড়িতে ও সর্বশেষ ৩ জুলাই ধুমে আবুল হোসেন পাটোয়ারির বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ নূর হোসেন মামুন বলেন, এলাকার চিহিৃত চোর-ডাকাতরা এখন এলাকায় নেই। অনেকে জেলে আছেন। হয়তো ছিচকে চোর মানুষের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে চুরি করছে। তবে এখনো পর্যন্ত এসব বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া সন্ধ্যার দিকে এলাকায় অপরিচিত কাউকে দেখলে পুলিশকে খবর দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ২০১৭ সালের ভয়াবহ পাহাড় ধ্বসের ঘটনায় বিধ্বস্ত হওয়া রাঙ্গামাটির সড়কগুলোর ক্ষত এখনো কাটেনি। রাঙ্গামাটি শহর ও আন্তজেলা সড়কের দেড় শতাধিক স্থানে ভাঙ্গনের শিকার হলেও পাঁচ বছরেও তা স্বাভাবিক হয়নি। বরং সড়কের নতুন নতুন জায়গায় দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। ১৪৯ কোটি টাকার সংস্কার কাজ শুরু হলেও কাজের ধীরগতির কারণে স্থানীয়দের মাঝে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৩ জুন রাঙ্গামাটিতে ঘটে স্মরণকালের ভয়াবহ পাহাড় ধ্বসের ঘটনা। এ ঘটনায় ১২০ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি বিধ্বস্ত হয় জেলার সড়ক যোগাযোগ। প্রায় এক মাস বন্ধ থাকে রাঙ্গামাটির সড়ক যোগাযোগ। এরপর রাঙ্গামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ এসব সড়কের ১৫৩টি ক্ষতিগ্রস্ত স্থান চিহ্নিত করে সংস্কার প্রকল্প গ্রহণ করে। এতে সরকার ১৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। ২০২০-২১ অর্থ বছরে এ প্রকল্প পাশ হলেও করোনা মাহামারি কারণে থমকে যায় বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া। পরে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে কাজ শুরু হলেও কাজের রয়েছে ধীরগতি। এতে চলতি বর্ষ মৌসুমেও শঙ্কামুক্ত হচ্ছে না সড়কগুলো। আর সড়কগুলো স্থায়ী সংস্কার না হওয়ায় সড়কের পাশে বসবাসকারীরাও রয়েছেন ঝুঁকিতে।
রাঙ্গামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ আল নুর সালেহীন জানান, ২০১৭ সালের পাহাড় ধ্বস রোধ কল্পে রাঙ্গামাটি সড়ক বিভাগ কর্তৃক একটি প্রকল্প গৃহিত হয় এবং বর্তমানে প্রকল্পটি চলমান রয়েছে। কিন্তু পার্বত্য এলাকার নানা বাস্তবতার কারণে প্রকল্পের কাজের ধীরগতি হচ্ছে। তবে আমরা আশা করছি ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের সমস্ত কাজ সমাপ্ত করতে পারবো। এ ছাড়াও নতুন করে ভাঙ্গন রোধে সড়ক বিভাগ তৎপর রয়েছে এবং সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে আমরা সার্বক্ষণিক দেখভাল করছি।
এদিকে পাহাড় ধ্বস রোধ কল্পে চলমান প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি নতুন করে ঝুঁকিপূর্ণ অংশের ভাঙ্গন ঠেকাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানিয়েছেন এলাকাবাসী।