॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সরকার প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ-পিআইবি’র মহাপরিচালক পদে আরও দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে একুশে পদকপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদকে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এবার নিয়ে টানা চতুর্থবার পিআইবি’র মহাপরিচালক পদে জাফর ওয়াজেদ নিয়োগ পেয়েছেন। জাফর ওয়াজেদ পিআইবি’র মহাপরিচালক পদে প্রথম নিয়োগ পান ২০১৯ সালের ২১শে এপ্রিল। প্রথম দুই বছরের মেয়াদ শেষে ২০২১ সালের ২০শে এপ্রিল জাফর ওয়াজেদকে আরও দুই বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়; তৃতীয়বার একই মেয়াদে নিয়োগ দেয়া হয় ২০২৩ সালের ২৫শে এপ্রিল। দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে জাফর ওয়াজেদ জাতীয় সংবাদপত্র এবং টেলিভিশন চ্যানেলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তার পেশাগত সাংবাদিকতার শুরু দৈনিক সংবাদে। সেখানে জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করার পর দৈনিক মুক্তকণ্ঠ ও বাংলাবাজার পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেছেন। পিআইবি’র মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগ পর্যন্ত জাফর ওয়াজেদ দৈনিক জনকণ্ঠের সহকারী সম্পাদক ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সংবাদপত্রে নিয়মিতভাবে কলাম লিখেন। স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও সংগ্রাম নিয়ে তথ্য সমৃদ্ধ লেখালেখি তাঁর কাজের একটি বড় জায়গা। পিআইবির মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় “দৈনিক গিরিদর্পন “পরিবারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক গিরিদর্পনের সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমেদ ও দৈনিক গিরিদর্পনের সদস্যবৃন্দ।
॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হাওর এলাকায় মাটি ভরাট করে আর কোনো রাস্তা হবে না। নিদের্শ দিয়েছি, যেন পানির স্রোত অব্যাহত থাকে। বন্যার সময় অনেক রাস্তা ভেঙে যায়। যেখানে ভেঙে যাবে সেখানে মাটি ভরাট করতে দেই না। সেখানে ব্রিজ বা কালভার্ট করে দিয়েছি। কারণ আবার যদি বন্যা হয়, তাহলে আবারও ভাঙবে, সেই বিষয়গুলো মাথা রেখে পরিকল্পনা করতে হবে। শনিবার (১১ মে) সকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবির) ৬১তম কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, অনেকে প্রশ্ন করেন পৃথিবীর অন্যান্য দেশে রাস্তা বানাতে কম খরচ, বাংলাদেশ বেশি খরচ হয় কেন? যারা বলেন, আমার মনে হয় তাদের বাংলাদেশের মাটি সম্পর্কে ধারণা নেই। কারণ, আমাদের মাটি তো নরম মাটি। যেটাকে বলে দোআঁশ মাটি। টেকসই কিছু করতে গেলে আগে আমাদের মাটিটা তৈরি করতে হয়। মাটিকে যথাযথভাবে তৈরি করতে পারলে তাহলে সেটাই টেকসই হয়।
জলাধার যাতে নষ্ট না হয় সেভাবেই পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমি দেখেছি একটা সুন্দর বড় পুকুর, তার ভেতরে বিল্ডিং বানানের প্ল্যান নিয়ে আপনারা হাজির হন। আমি আসার পর যে কয়টা এসেছে, আমি বাতিল করে দিয়েছি। আমি আসার আগেই এই ঢাকা শহরে অনেক পুকুর বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ওই এলাকার যত পানি সেটা যাবে কোথায়?
তিনি আরও বলেন, পান্থপথ ছিল একটা বিল। পুরো বর্ষাকালে সেখানে পানি জমতো। ওখানে একটা খাল ছিল। বক্স কালভার্ট করার কারণে বৃষ্টির পানি জমে যায়। সেই পানি নিষ্কাশনের জন্য আলাদা ব্যবস্থা নিতে হলো। আমাদের দেশের জন্য এটা (বক্স কালভার্ট) প্রযোজ্য না। আমি মনে করি আমাদের উন্মুক্ত খাল থাকবে। দরকার হলে আমরা সেখানে এলিভেটেড রাস্তা করবো। নিচে খাল, উপরে রাস্তা।
দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করা হয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আপনারা নিজেরাই জানেন ৯৬ সালের দেশের কী অবস্থা ছিল। বিদ্যুতের জন্য হাহাকার। মাত্র ১৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেওয়া যেত। ৪৬০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করে যাই। তারপর দ্বিতীয়বার যখন ক্ষমতা আসি তখন কী ছিল? সেই ৪৬০০ থেকে কমে গিয়েছিল। সেই থেকে যাত্রা শুরু করে আজকে আমরা ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সাল এবং ২০৪১ সালের মধ্যে কতটুকু উৎপাদন করব। ৪১ সালের মধ্যে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা। আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন আমরা বহুমুখী করছি। সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রকৌশলীদের গবেষণা দরকার।
সরকারপ্রধান বলেন, দেশের মানুষের উন্নত জীবনমানের কথা মাথায় রেখেই কাজ করছে সরকার। কিন্তু একটি গোষ্ঠী আছে তাদের কিছুই ভালো লাগে না। পদ্মা সেতুতে রেল, মেট্রোরেল, স্যাটেলাইট, পারমাণবিক বিদ্যুৎ এসব নিয়ে সমালোচনা করছে তারা।
প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, কীভাবে জ্বালানি উদ্ভাবন করতে পারি, কীভাবে আমরা স্বল্প খরচে উন্নয়নের কাজটা সচল রাখতে পারি, যোগাযোগ ব্যবস্থার কীভাবে আরও উন্নত করতে পারি, সেটা চিন্তা করেই প্রকল্প নিতে হতে। আওয়ামী লীগ সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, তৃণমূল থেকেই উন্নয়নটা করা। তৃণমূল থেকে মানুষের মাথাপিছু আয়টা বৃদ্ধি করা। তৃণমূল থেকে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে শিল্পায়নের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করা, আমাদের নিজস্ব বিশাল বাজার, সেই বাজার আমাদের সৃষ্টি করতে হবে এবং সেদিকে লক্ষ্য রেখেই পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়। এরইমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশে করা হয়েছে, এখন স্মার্ট বাংলাদেশে করা হবে।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, আইইবির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু। এবারের কনভেনশনের মূল প্রতিপাদ্য ‘ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’। এ কনভেনশনের মূল আকর্ষণ ‘দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স ফর ট্রান্সফরমিং টেকনোলজি ড্রাইভেন স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনার। দেশের প্রাচীন পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) ৬১তম কনভেনশন এটি।
॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥ পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ব্যাঙ প্রাণী হিসেবে অনেক ছোট হলেও আওয়াজ অনেক বড়। রাজনীতিতেও কিছু পরিত্যক্ত মানুষ আছে, যারা ঘুরে ঘুরে সব দল করে। আর রাজনীতিতে পরিত্যক্ত মানুষগুলোরও ব্যাঙের মত আওয়াজ বড়।
তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমান মান্না ভাইয়ের একটা বক্তব্য গতকাল পত্রিকায় পড়লাম, পরশুদিন রাতে টেলিভিশনে শুনলাম। সরকারের নাকি একদম ভিত নাই। সরকারের ভিত নাই বিধায় পরপর চারবার আমরা রাষ্ট্র ক্ষমতায়। তারা তো টেনে ফেলে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু টান দিতে গিয়ে তারাই ধপাস করে পড়ে গেছে। এখন কোমর যে ভেঙে গেছে সে অবস্থা থেকে আস্তে আস্তে একটু দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। গতবছর ২৮ অক্টোবর কার আগে কে দৌড় দেয় সেই প্রতিযোগিতা আমরা দেখেছি নয়াপল্টনের সামনে।
শনিবার (১১ মে) দুপুরে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক, বিডিআরসিএস ব্যবস্থাপনা পরিষদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও বিশ্ব রেড ক্রস, রেড ক্রিসেন্ট দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ রেড ক্রিসেন্ট মাঠে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা রেড ক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আসলাম খান। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও রেড ক্রিসেন্ট জেলা ইউনিটের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংবর্ধেয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম ইউ কবির চৌধুরী।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মাহমুদুর রহমান মান্না ভাইসহ আরো কিছু দল ও ব্যক্তি বিশেষ আছে, যাদের নিজের দলের কোনো ভিত্তি নাই, ঘুরে ঘুরে দল করে। মান্না ভাই মাশাআল্লাহ এই পর্যন্ত মাত্র সাতটি দল বদল করেছেন। কতদিন জাসদ ভেঙে বাসদ, আবার বাসদ ভেঙে এখন গণতন্ত্র মঞ্চ। সেটি ভেঙে কখন আবার পালিয়ে যান, সেটি বলা যায় না। রাজনীতিতে তারা পরিত্যক্ত ব্যক্তি বিশেষ। এদের কথার কোনো মূল্য নাই।
তিনি বলেন, তাদের দল ছোট, যখন সমাবেশ করে তাদের মানুষ থাকে ২০ থেকে ৩০ জন, সাংবাদিক থাকে ৫০ জন, এই নিয়ে তাদের সমাবেশ হয়। কিন্তু গলা অনেক বড়, এদের একজন ঢাকা সিটি করপোরেশনে ভোটে দাঁড়িয়েছিল, প্রাপ্ত ভোট দুই হাজার পূর্ণ করতে পারে নাই। কিন্তু আওয়াজ অনেক বড়। আবার টেলিভিশনে দেখা যায় ভলিউমও তাদের একটু বড় থাকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সমগ্র পৃথিবী আজকে সেটির প্রশংসা করছে। জাতিসংঘের মহাসচিব প্রশংসা করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রশংসা করেন, ভারতের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী প্রশংসা করেন, জার্মান চ্যান্সেলর প্রশংসা করেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট প্রশংসা করেন, সমগ্র পৃথিবী প্রশংসা করে, কিন্তু বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা এটির প্রশংসা করতে পাওে না। আমাদের রাজনীতিতে প্রত্যাখ্যান আর সংঘাতের সংস্কৃতি না থাকলে দেশ আরো বহুদূর এগিয়ে যেতে পারতো।
তিনি বলেন, নির্বাচনের পর ৮০ টা দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চিঠি লিখে বলেছেন, আমাদের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান। এতে ব্যক্তি বিশেষ রাজনীতির ব্যাঙদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এজন্য তারা ব্যাঙের মত বেশি বেশি লাফাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি দেশ বিনির্মাণে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভবিষ্যতের পথচলায় আমাদের দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছানোর ক্ষেত্রে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বাস্থ্যসেবা এবং মানবসেবার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে – সেই প্রত্যাশা থাকলো।
স্কুল জীবনে পররাষ্ট্র মন্ত্রী নিজেও জুনিয়র রেড ক্রসের সদস্য ছিলেন উল্লখ করে বলেন, বিভিন্ন জায়গায় ও ক্যাম্পে গিয়ে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। আমি মনে করি জীবনের বহুপথ পাড়ি দিয়ে বহু প্রবিন্ধকতাকে ডিঙ্গিয়ে আজকের এই পর্যায়ে আসার ক্ষেত্রে রেড ক্রিসেন্ট ও বয়েজ স্কাউটিং আমার জীবনে বড় ভূমিকা পালন করেছে। দেশের মানব উন্নয়ন সূচক ও স্বাস্থ্য সূচকের উন্নয়নে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সমগ্র বাংলাদেশে অত্যন্ত চমৎকার ভাবে কাজ করে চলেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবাকে আরও উন্নত করার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের সবার আগে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। কারণ, দেখা যায় যে সরকারি হাসপাতালে সরকার কিনে দিয়েছে মেশিন, কিন্তু সেই মেশিনের বাক্স খোলা হয় না। আবার মেশিন খোলা হয় ঠিকই, ক’দিন পরে নষ্ট হয়ে যায়, মেরামতের আর উদ্যোগ নেয়া হয় না, যাতে করে মানুষ প্রাইভেট ক্লিনিকে যেতে বাধ্য হয়। এগুলো যারা করেন, তারা আসলে জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে দাঁড়ান, জনগণের বিপক্ষে কাজ করেন। এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যসেবাকে আরো উন্নত করার ক্ষেত্রে এবং সহজ-সুলভে স¦াস্থ্যসেবা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে বড় অন্তরায়।
তিনি বলেন, যখন জনগণ এগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে তখন যারা এই কাজগুলো তাদের পক্ষে করা আর সম্ভবপর হবেনা। সরকার কোনো যন্ত্র নয়, সরকারও কিন্তু মানুষ দিয়েই চলে। সুতরাং জনগণ যখন এগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলবে সরকারের পক্ষেও এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গুহণ করা সহজতর হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকার প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ- পিআইবি’র মহাপরিচালক পদে আরও দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে একুশে পদকপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদকে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এবার নিয়ে টানা চতুর্থবার পিআইবি’র মহাপরিচালক পদে জাফর ওয়াজেদ নিয়োগ পেয়েছেন।
জাফর ওয়াজেদ পিআইবি’র মহাপরিচালক পদে প্রথম নিয়োগ পান ২০১৯ সালের ২১শে এপ্রিল। প্রথম দুই বছরের মেয়াদ শেষে ২০২১ সালের ২০শে এপ্রিল জাফর ওয়াজেদকে আরও দুই বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়; তৃতীয়বার একই মেয়াদে নিয়োগ দেয়া হয় ২০২৩ সালের ২৫শে এপ্রিল।
দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে জাফর ওয়াজেদ জাতীয় সংবাদপত্র এবং টেলিভিশন চ্যানেলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তার পেশাগত সাংবাদিকতার শুরু দৈনিক সংবাদে। সেখানে জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করার পর দৈনিক মুক্তকণ্ঠ ও বাংলাবাজার পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেছেন। পিআইবি’র মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগ পর্যন্ত জাফর ওয়াজেদ দৈনিক জনকণ্ঠের সহকারী সম্পাদক ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সংবাদপত্রে নিয়মিতভাবে কলাম লিখেন। স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও সংগ্রাম নিয়ে তথ্য সমৃদ্ধ লেখালেখি তাঁর কাজের একটি বড় জায়গা। পিআইবির মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় “দৈনিক গিরিদর্পন “পরিবারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক গিরিদর্পনের সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমেদ ও দৈনিক গিরিদর্পনের সদস্যবৃন্দ।
গিরিদর্র্পণ ডেস্ক :: দেশের আকাশে কোথাও হিজরি শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। সে হিসাবে আগামীকাল বুধবার (১০ এপ্রিল) পবিত্র রমজান মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং আগামী বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) থেকে পবিত্র শাওয়াল মাস গণনা করা হবে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম মসজিদের পূর্ব চত্বরে আয়োজিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় ঈদুল ফিতর উদযাপনের তারিখ জানিয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহা. বশিরুল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. কাউসার আহমেদ, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিল, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ টেলিভিশনের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রুহুল আমিন, ঢাকা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিনুর রহমান, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
॥ মো. সোহরাওয়ার্দী সাব্বির, রাঙ্গামাটি ॥ পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বপ্রথম প্রকাশিত সংবাদপত্র দৈনিক গিরিদর্পন পত্রিকার পথ চলা ৪১ বছর পেরিয়ে ৪২ বছর পদার্পন করায় হযরত আব্দুল হাকিম আব্দুল ফকির (রহ) মাজার ও ওরশ পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
সোমবার (২৬মার্চ) দুপুরে রাঙ্গামাটি দৈনিক গিরিদর্পন পত্রিকার প্রধান কার্যলয়ে গিরিদর্পন সম্পাদক আলহাজ্ব একেএম মকছুদ আহমেদকে দৈনিক গিরিদর্পন পত্রিকার পথ চলা ৪১ বছর পেরিয়ে ৪২ বছরে পদার্পন উপলক্ষে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তারা।
হযরত আব্দুল হাকিম আব্দুল ফকির (রহ) মাজার ও ওরশ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাত জেলা শাখার সিনিয়র সহ সভাপতি মাওলানা শফিউল আলম আল কাদেরী, ওরশ পরিচালনা কমিটির দপ্তর সম্পাদক ও ইসলামিয়া সুন্নী সমাজ কল্যাণ এর সভাপতি, জেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ সভাপতি এনামুল হক হারুন, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি তাপোষ দাশ, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কর, সহ সভাপতি বাসনা প্রভা দাশসহ অনেকেই প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানান।
ফুলেল শুভেচছা শেষে মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা শফিউল আলম আল কাদেরী।
আনন্দ সঞ্চারের জন্য এ লেখা নয়। দুঃখ বিস্তারেরও উদ্দেশ্য নহে। চলে যাওয়ার রীতি সব সময?ই আসে। আমারও তাই হতে চলেছে। মনে হচ্ছে সেই কর্মস্থলের প্রথম দিন আর শেষতক্? যেন একটি মাত্র পূর্ণ কর্ম দিন। যেমন রাত প্রভাতের পর ক্রমে আলো আর্বিভূর্ত হয়। অতঃপর ক্রমে দিনের দ্বি-প্রহর, পড়ন্ত বেলা পার হয?ে সন্ধ্যা অতিক্রান্ত হয়ে রাত্রি নামে। সে রকম মনে হচ্ছে “সাড়ে তিন যুগেরও বেশী” সময়টাকে – আমার কর্মক্ষেত্রকে মতিঝিলস্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে।
আজ মনে হয় দিন কতো ছোট, কতো ছোট্ট জীবন পরিধি। জীবনের রূঢ় বাস্তবের ছোঁয়া বস্তুত কতখানি পেয়েছি জানি না । তবে জীবন মানেই কঠিন ও রূঢ়তা। যেমন নতুন বছরে মিডিয়ার মুখোমুখি হলে গণ মানুষেরা বলে থাকেন চলে যাওয়া দিনটি ভাল; কালকের দিনটা তা নাও হতে পারে। ৩৫ বছর অপেক্ষা পূর্বে যাঁদেরকে এই সোনার ব্যাংকটিতে দেখেছিলাম তাদের মধ্যে যারা তখন প্রায় প্রবীণ ছিলেন তাঁরা তো অনেকে আজ নেই; যাদের স্মৃতি ঝাপ্সা হয?ে গেছে। আর পরেও যারা মধ্য বয়সী ছিলেন তাদেরও দেখা যায় না, মানস নয়ন পটে। অনেকে আমার চাকরী জীবনে একই সময় যোগদান করেও কর্মজীবন পরিণতা প্রান্তি হওয়ার পূর্বেই চির বিদায় নিয়েছেন। তাদের কথা ভুলিই বা কিভাবে। চোখ বুজে স্মৃতি চারণ করলেই মনে হয়। যেমনঃ “ভৈরব নিবাসী’ মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন সাহেব; যিনি অফিসের মধ্যেই সেদিন হঠাৎ অসুন্থ হয?ে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুকে বরণ করেছিলেন। ১৯৮১তে প্রধান কার্যালয?ের নিরীক্ষা ও পরিদর্শন (অডিট ব্যতীত বড় অংশটি) বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, সদরঘাট ভবনে স্থানান্তরিত হলে সিরাজগঞ্জবাসী মিতভাষী মোঃ ইসমাইল হোসেন সাহেব যিনি সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক মতিঝিল অফিসের উপ মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) হতে বিদায় নিয?ে এইচআরডিতে ‘লিভ রিজার্ভে’ আছেন। তীর স্থলে সেদিন ১৯৮১ তে আসা সুনীল কুমার বিশ্বাস (স্বর্গীয় তরুণ) লোকটির কথা। শুনেছি প্রকৌশলে চান্স পেয?েও যিনি বাংলাদেশ ব্যাংকে জীবিকায? যুক্ত হয়েছিলেন। এই ফরিদপুরবাসী – যাক্? মা-বাবা আর পরিবারের সহায়তায় প্রথম ৫/৭ বছর তারপর নিজের সংসারিক সহযোগিতায় বাকী ২৯ বছর এভাবে চলে আসলো। দুইয়ে দুইয়ে চার আবার দুই দ্বিগুণে চার, এটা গানের কলিতে জানলেও বাস্তবে তেমন উপলব্ধি করে সময় পার করিনি। অনেকটা গোয়ালের গরুর মত সায?াহ্নে গৃহে ফিরে এসেছি। মনে হয় এর বাইরে কর্ম জীবনে বেশী ভাবনার অবকাশ তেমন থাকে না। অবচেতন বা সচেতন মনে বিদ্যালয? যাওয়া অপেক্ষা কর্ম ক্ষেত্রে যাওয়াই যেন গুরুত্ব বেশী হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধু যুগ পার হয়ে জিয়ার কালের শেষার্ধে যোগদান আর ২টি সেনা সমর্থিত শাসনকাল কর্ম জীবনে পার হয়ে আমি বাংলাদেশের স্থপতি-দুহিতার সোনালী শাসনকালে বর্তমানে পার হয়ে চলেছি এখন। পারাপার কিভাবে সমাপ্ত হবে আমার কে জানে? ‘ভবি’র কথা’ কেহ কি বলতে পারে। আবহাওয?ার মতন সত্যাসত্য বিজ্ঞান কেবল “চৎবফরপঃরড়হ” বা ভবিষ্যত বাণী করতে পারে। যা হয় কখনো
৪০% থেকে ৬০% সত্য হয় আবার কখনো তাও হয় না। যে দিন গ্রেড-২ করনিকে নির্বাচনের পর ১৯৮০ সনের নভেম্বরে অফিসে যোগদান করার জন্য পার্সোনেল ডিপার্টমেন্টে (বর্তমানে এইচআরডি) মরহুম ময়নাল হক খান (আল্লাহ তার রুহের মাগফিরাত করুন)। তখনকার প্রথম শ্রেণীর রিক্রুটমেন্ট কর্মকর্তার সামনে বসারত। সে সময? হঠাৎ স্যার আমার পরীক্ষার খাতা বের করে ০২টি লাইন উচ্চারণ করে নিজ আসনে বসে আমায় শোনালেন । আমি তা লিখলাম। চেকের সহি মিলাবার মতো তাৎক্ষণিকভাবে মরহুম স্যার তা মিলালেন এবং আমাকে ” একজন সফল সিপাহীর মত তারিফ করলেন”। আমি অনভ্যন্ত কর্ম জীবনে হাঁটি হাটি পা পা করে এগোলাম। তখন কিন্ত বি.এ (পার্সকোর্স) উত্তীর্ণ নহে অবতীর্ণ আগেই হয়েছিলাম ৩য় বারের বার। আর ৮১ সনের মে মাস শেষে জানতে পারি যে পাস করি ২য? বিভাগে । বাবা তখন সদ্য অবসরে। “সর্প্রথমবার তো পিতা পাসের (ভুয়া) সংবাদ শুনে করতালি দেন খুশীতে, আমি তা হতে পারি নাই” । অন্য একজন সহপাঠী বন্ধুর মতামত শুনে মা-বাবাকে মিথ্যা পাসের ‘নিউজ’ দিয়েছিলাম। পরে মনে হল, সত্য জেনে বাবা আমার স্বস্তি পাক, আর আমিও মুক্তি পাই। বাবা তো অবাক “পাস করিস নি । তবে এই যে একটু আগে বললি যে! তখন মা শোনালেন। যাক পাস করেনি ভবিষ্যতে করবে- ইন্শাল্লাহ।“
কর্ম জীবনের প্রথম সাড়ে ৮ বৎসর পার হয়ে আমি ইসিডিতেও অনুরূপ দীর্ঘকাল কাটিয়ে শেষে এলাম ঊঈউ(ওহাবংঃসবহঃ)। সে সময? সরাসরি নির্বাচিত অফিসার কে যেন বললেন “এর পর কোথায় বদলি হয়ে যাবেন” ? অতঃপর এলাম গবেষণা বিভাগের জ্ঞান মন্দিরে । দেখে তো অবাক, যেই অর্থনীতির কারণে আমার ছাত্র জীবনে ফেলের পঙতিমালা, এখানে প্রায় সবাই অর্থনীতির মাস্টার্সে উচ্চ শিক্ষিত। কর্মজীবনে কাজে আমি বিশেষ পারঙ্গমতা কোন দিনই দেখাতে পেরেছি বলে মনে করি না। তবে সফল না হলেও অধিকাংশ সময়েই যতœশীল হওয়ায় ইচ্ছেটা পোষন করেছি। ব্যাংকিং ডিপ্লেমা বা এম.এ কোনটাই আমার ৩৫ বছরের কর্ম জীবনে নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে বিবিটিএ তে এই সময়কালে অন্তত সাতবার অংশ নিই। আমার ইন্টারভিউকালে যতখানি স্মরণ হয়, স্যার জেড হাসান সিদ্দিকী মহোদয় “ভাইবা – বোর্ডে’ ছিলেন বলে মনে হয়। ১৯৮৮ সালে যখন টঢ় এৎধফধঃরড়হ মাধ্যমে অফিসার পদে উন্নীত হই । তখন দেখি সিদ্দিকী স্যার (১৯৮৯ সনের শেষার্ধে) বিবিটিএ তে যখন ক্লাস নিতে ঢুকতেন – মুগ্ধতম হয়ে তরুণী ও তরুণরা সবাই শ্রবণ করতো । ধূমবেষ্টিত হয়ে স্যার বক্তব্য রাখতেন।
চাকরীর বয়স ৫০ পৌঁছার পূর্বেই দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেটের অফিসে বদলী আমার জন্য অভিজ্ঞতা আনে। সেদিন হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা প্রায় বেশের মত ই অদ্ভুত সাজে বেলা সাড়ে বারোটায় ঢাকা হতে সিলেটে শ্যামলী পরিবহনের (এসি) বাসে পৌঁছি। একা একা ০২টি বছর সিলেটে যেয়ে থাকতে পারলাম তা আল্লাহর নিকট শুকরিয়া জানাই। সিলেট পবিত্র মাজার শরীফের শহর। নয়নাভিরাম অঞ্চল। আমাদের ০৩ ভাই-বোনের ওখানে বিয়ে হলেও যোগাযোগ তেমন গড?ে ওঠেনি। কেবল একদিন মায?ের নিকট হতে খবর পেয়ে অফিস অনতি দূরে অনুজ ভাইয?ের নানা শ্বশুর সাহেবের বাড়ী বেড়াতে যাই। নানা শ্বশুরের বাসাটি মরহুম কর্ণেল এম.এজি ওসমানীর [মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায?ক) স্মৃতি যাদুঘরের ঠিক উল্টো দিকে । শুনেছি যাদুঘরের রক্ষণাবেক্ষণকারীদের হতে বঙ্গবীরের পিতা নাকি কর্মজীবনে ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। বাবাও ১৯৪৬ সানে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করে ১৯৫১ বা ১৯৫০ সনে সাব-ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে কর্ম জীবনে প্রবেশ করেছিলেন। যদিও অডিটর হিসাবে গভমেন্ট এ চাকুরী এবং ময?মনসিংহের ত্রিশাল, দরিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনি ২/১ বছর শিক্ষকতাও করেছিলেন। কেবল নিজের একটি বোন (অগ্রজ) ছাড়া সব ভাই বোনেরা কর্ম ও সংসার জীবনে কর্মব্যাস্ত ছিল/আছে। যদিও এই বোনটির ছিল হয়তো সর্বোত্তম ডিগ্রী অর্জন হওয়ার কথা, তবে তা হয?নি। অবসর-উত্তর সময়টা বই পড?েও স্বাস্থ্যটা ভাল রেখে যে কয়দিন পারি চালিয়ে নেবার ইচ্ছা। সব ইচ্ছা তো পূরন হয় না “গধহ ঢ়ৎড়ঢ়ড়ংবং, এড়ফ ফরংঢ়ড়ংবং”
(“আশা তার একমাত্র ভেলা”)।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহোদয় কবিতায় বলেছেন, শুধু বলে রাখা যেতে দিতে হয়, যদিও যেতে দিতে ইচ্ছা নাহি। আমারও বলতে ইচ্ছে করে “চলে যাওয়ার সময় হলে (প্রয়াত শিল্পী-সুরকার আনোয়ার উদ্দীন খানের গানের ভাষায়)” আমার কফিন সাজিও দিও তোমার চোখের জলে । হয়তো জলে নয় তা হউক মনের মানসিক বলে।
খোদা – খোদা – তুমি মুক্তি ও শান্তি দাও,
দাও শক্তি এই জনপদে —– বাংলার ব-দ্বীপে।
খোদা হাফেজ
খন্দকার মমতাজ হাসান
যুগ্ম ব্যবস্থাপক, মতিঝিল অফিস, ঢাকা।
(*২০১৬ সনে রচিত)
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পার্বত্য চট্টগ্রামের চারণ সাংবাদিক, সাংবাদিকদের সূতিকাগার, সাপ্তাহিক বনভূমি ও দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ কে এম মকছুদ আহমেদকে কলকাতা লেখক সাংবাদিকদের সাংস্কৃতিক খবর পদক-২০২৪ লাভ করায় ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে জেল রোডস্থ দৈনিক গিরিদর্পণ কার্যালয়ে এই ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান প্রেস ক্লাবের সদস্যরা। এসময় রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেন প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও দৈনিক রাঙামাটি পত্রিকার সম্পাদক আনোয়ার আল হক, প্রেস ক্লাবের সদস্য ও গাজী টিভির জেলা প্রতিনিধি মিল্টন বাহাদুর, দৈনিক রাঙামাটি পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মন মারমা।
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পার্বত্য চট্টগ্রামের চারণ সাংবাদিক, সাংবাদিকদের সূতিকাগার, সাপ্তাহিক বনভূমি ও দৈনিক গিরিদর্পণের সম্পাদক এ কে এম মকছুদ আহমেদকে কলকাতার সাংস্কৃতিক খবর পত্রিকার পদক ২০২৪ প্রদান করায় বিভিন্ন মহল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে সদস্য হাজ্বী মুছা মাতব্বর, রাঙ্গামাটি জেলা মৎস্যজীবিলীগের সভাপতি উদয়ন বড়ুয়া, কাপ্তাই প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী মোশারফ হোসেন, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুজ্জামান মহসিন (রোমান), দৈনিক সময়ের আলো রাঙ্গামাটি জেলা প্রতিনিধি মোঃ ইলিয়াস, মিলিন্দ চাকমা, বিদ্যুৎ ত্রিপুরা, উদয় মারমা, প্রবীর কুমার সাহা কায়কোবাদ মিলন, কবি মোঃ নিজাম উদ্দিন, কাপ্তাই প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্ত, প্রবন্ধকার শাওন ফরিদ, প্রিন্সিপাল মোঃ হযরত আলী, বিশিষ্ট সংগীত শিক্ষক মনোজ বাহাদুর গুর্খা, অঞ্জন দে, সাংবাদিক জিকারুল ইসলাম জিকার, সেকেন্দার হোসেন চৌধুরী, সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলন, সাহিত্যেক মংক্যচুইনুয়ে, মালতির চৌধুরী মালা সিং, অরুণ দে, জগৎ দাশ, আল্পনা চাকমা, নারী নেত্রী ঝিমি কামাল, মোঃ শাহীদুল রহমান (বিটিভি) বেতার, শ্রাবণ মাহমুদ, শিমলা ত্রিপুরা শিমু, সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন লাভলু, সাংবাদিক নাসির উদ্দীন বুলবুল, জজ ত্রিপুরা, মাহামুদুল সোহাগ, মনোয়ারা বেগম, লোপা ত্রিপুরা, জানে আলম, প্রথম আলো ফটো সাংবাদিক সুপ্রিয় চাকমা, মনিরুজ্জামান, পুষ্পিতা খীসা চম্পা, পিয়াংকা পুতুল, সাংবাদিক অধ্যাপক শ্যামল রুদ্র, সাংবাদিক নুরুল আজম, মুজিব দীপু, অং মারমা, দিলীপ চন্দ্র দাশ, সাংবাদিক নাজিম উদ্দীন শ্যামল, প্রিসিলা নিউইয়র্ক থেকে মনির আহমদ, সাংবাদিক বিহারী চাকমা, মিকেল চাকমাসহ আরো অনেকে।
॥ নাইক্ষ্যংছড়ি সংবাদদাতা ॥ মিয়ানমার সীমান্ত থেকে প্রতিনিয়ত শোনা যাচ্ছে গুলির শব্দ। সেই কারণে ঘুমধুম, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ও দৌছড়ি- এই ৩ ইউনিয়নের বাসিন্দারা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন পার করছে। একেকটি দিন যাচ্ছে, আর পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ানক হয়ে উঠছে। গুলির শব্দে সেখানে দেখা দিয়েছে ব্যাপক আতঙ্ক। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সীমান্তের ওপারে প্রবল গোলাবর্ষণের কারণে ঘুমধুমের তুমব্রু এলাকা থমথমে হয়ে পড়েছে। ভয়ে, আতঙ্কে স্থানীয়রা কেউ ঘরের বাইরে বেরোচ্ছেন না। এই সংঘাত মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ হলেও কখনও কখনও সেখান থেকে ছোড়া গুলি ও মর্টার শেল নাইক্ষ্যংছড়িতে স্থানীয়দের ঘরবাড়ি ও ধানী জমিতে এসে পড়েছে। সীমান্তের কাছাকাছি এলাকা জুড়ে হেলিকপ্টার টহল দিচ্ছে। যার কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রবল হচ্ছে। বাড়ি থেকে কেউ বাইরে বের হতে পারছেন না।
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তবাসীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ।
এদিকে পরিস্থিতি যাচাই করতে গতকাল বুধবার দুপুরে তুমব্রু সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন ও বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন। পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সীমান্তবাসী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ‘সীমান্তে শান্তি রক্ষায় নিয়োজিত সব বাহিনী সজাগ রয়েছে। পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে বিপদজনক এলাকায় বসবাসকারীদের প্রয়োজনে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হবে। আতঙ্কিত হবেন না, সজাগ থাকুন।’
এ সময় এসএসসি পরীক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র। পরিস্থিতি খারাপ হলে অবস্থা বুঝে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন বলেন, ‘সীমান্তে গত কয়েকদিন ধরে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক আছে। পুলিশি (নিরাপত্তা) ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হয়েছে ও জোরদার করা হয়েছে। ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় মর্টার শেলের শব্দ শোনা গেছে। এলাকার লোকজনের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আইন-শৃঙ্খলা (পরিস্থিতি) স্বাভাবিক আছে। জনগণকে নিরাপদ রাখার সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে থেমে থেমে সশস্ত্র যুদ্ধ চলছে। তাদের এই প্রত্যক্ষ যুদ্ধে গুলির শব্দ ও বিভিন্ন সময় ছুড়ে দেওয়া গোলা ও মর্টার শেল নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তবর্তী লোকালয়ে এসে পড়ছে। এতে প্রতিদিনের কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। শিক্ষার্থীদের স্কুলে পাঠাতেও ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা।
সর্বশেষ গত দুইদিন কোনার পাড়া এলাকায় বিস্ফোরিত মর্টার শেলের খোসা ও একই এলাকায় মিয়ানমার থেকে নিক্ষিপ্ত অবিস্ফোরিত মর্টার শেল এসে পড়ে। এই নিয়ে স্থানীয়দের জনমনে চরম আতঙ্ক তৈরি হলেও হতাহতের খবর আসেনি।
স্থানীয় একটি অনলাইন পোর্টালের সংবাদকর্মী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘দুপুরের দিকে মর্টার শেল পড়ে। বিকট শব্দে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তখন ছোটাছুটি করতে থাকে এলাকাবাসী।’
সীমান্ত লাগোয়া ভাজাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক স্কুলের সভাপতি নুরজাহান বেগম বলেন, ‘মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে কয়েকদিন পর পর গোলাগুলি ও ভারী গোলাবর্ষণের শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। কখন গোলাগুলি শুরু হয় তা বলা মুশকিল। এমন পরিস্থিতিতে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে খুবই ভয় লাগে।’
তুইঙ্গাঝিরির বাসিন্দা অংচাইগ্য বলেন, ‘সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান যুদ্ধে ভারী গোলা বিস্ফোরণের শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। মধ্যরাতে গোলাগুলি শুরু হলে তখন ভয়ে সীমান্ত সড়কে আশ্রয় নিতে হয় আমাদের।’
জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমার থেকে ছুড়ে দেওয়া ১৭-১৮টি মর্টার শেল পাওয়া গেছে।
এদিকে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা, ভাটা পড়ছে ব্যবসা-বাণিজ্যেও। মিয়ানমারের রাজনৈতিক সংঘাতের কারণে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একের পর এক গোলা এসে পড়ায় চরম বিপাকে রয়েছেন কৃষকরা। আতঙ্কে, আশঙ্কায় চাষাবাদ করতে পারছেন না তারা। সেই সঙ্গে ভাটা পড়ছে ব্যবসা-বাণিজ্যেও। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
৩৪ বিজিবির অধিনায়ক জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের সম্ভাব্য অনুপ্রবেশ ঘিরে সতর্ক অবস্থানে আছে বিজিবি। সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। একজন রোহিঙ্গাকেও (আর) প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। আমরা সবসময় সজাগ আছি।’
নাইক্ষ্যংছড়ির ইউএনও মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, ‘সীমান্তের কাছাকাছি মিয়ানমারের ওপারে গোলাগুলি হচ্ছে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ঘটনা। রোহিঙ্গাদের সম্ভাব্য অনুপ্রবেশ নিয়ে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।’