॥ এস.কে খগেশপ্রতি চন্দ্র খোকন ॥ বান্দরবানের লামা উপজেলার ইয়াংছা ছোট মার্মা পাড়ায় বৃদ্ধ দম্পতিকে জবাই করে খুন করা হয়েছে। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বনপুর ছোট মার্মা পাড়ায় শনিবার গভীর রাতের কোন এক সময় এই বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীকে খুন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিহতের বড় ছেলে উহ্লামং মার্মা। পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।
নিহতরা হলেন, ক্যাহ্লাচিং মার্মা (৭০) ও তার স্ত্রী চিংহ্লামে মার্মা (৬৫)। নিহতের ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ে রয়েছে।
নিহতের মেয়ে মাঅং মার্মা (৪২) বলেন, আমার বাবা-মা দুইজন নিজেদের বাড়িতে একা থাকত। শনিবার সকাল ৭টায় আমি তাদেরকে রান্না করে দিতে এসে দেখি আমার বাবা ও মায়ের রক্তাক্ত লাশ বিছানায় পড়ে আছে। বাবার গলা কাটা অবস্থা ও মায়ের বুকে কাটা বুকে কাটা অবস্থায় দেখতে পাই। আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন সবাই ছুটে আসে।
নিহতের ৩য় ছেলে হ্লাঅং প্রু বলেন, ঘরের আলমারি, সিন্দুক, বক্সের তালা খোলা রয়েছে। সারা ঘর এলামেলো ও জিনিসপত্র গুলো ছড়ানো ছিটানো রয়েছে। মাটির দুইতলা ঘরের উপরের অংশের ছোট জানালা গুলো খোলা রয়েছে। যা সব সময়বন্ধ থাকত। তিনি আরো বলেন, ৫ থেকে ৬ মাস পূর্বে আমার বাপের বাড়ীতে চোর ডুকে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে গিয়েছিল।
ইয়াংছা ছোট পাড়ার কারবারী অংশৈ প্রু মার্মা ও নিহতের বড় ছেলে উহ্লামং মার্মা ও ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার আপ্রু সিং মার্মা বলেন, ক্যাহ্লাচিং মার্মা ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ছিল। তার জায়গা জমি ও অনেক সম্পত্তি রয়েছে। জায়গা জমির বিরোধ অথবা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে তারা জানাই।
ঘটনা জানা জানির পর পর লামা থানার পুলিশ ও লামার ইয়াংছা ক্যাম্পের সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছি। ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
॥রাহুল বড়–য়া ছোটন,বান্দরবান॥ বান্দরবানে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এক প্রস্তুতিমুলক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, পার্বত্য জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো:শহীদুল আলম,পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নুরুল আবছার,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলী হোসেন, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্য সা প্রু, সদস্য লক্ষীপদ দাশ, সদস্য কাঞ্চনজয় তংচঙ্গ্যা, সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর , সদস্য মোস্তফা জামাল, সদস্য ক্যউচিং চাক, সদস্য তিং তিং ম্যা, সদস্য ¤্রাশা খিয়াং , সদস্য সিং ইয়ং ¤্রাে, সদস্য ফিলিপ ত্রিপুরা, ৩নং ওয়ার্ড পৌর কাউন্সিলর অজিত কান্তি দাশ, প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু সহ প্রমুখ। প্রস্তুতিমুলক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন,প্রতিবছরের মত এবারে ও পার্বত্য এলাকায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে পহেলা বৈশাখ পালন করা হবে। এবারের নববর্ষ উদযাপন অন্যান্য বছরের চেয়ে আরো আকষর্নীয় করে তুলতে পহেলা বৈশাখ, সাংগ্রাই,বিজু,বৈসু,সাংক্রাং সহ নতুন বছরের নতুন নতুন অনুষ্টানে পাহাড়ের আনন্দের মাত্রা আরো বাড়ানো হবে।উৎসবকে ঘিরে মৈত্রী পানি বর্ষণ,বলী খেলা,নাগরদোলা, আদিবাসীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পিঠা উৎসব ও বর্নিল আয়োজনের সমারোহ হবে এবারের নতুন বছরের পহেলা বৈশাখ পালন। মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি আরো বলেন,বাঙ্গালীদের পাশাপাশি বারোটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি সম্প্রদায় যাতে এই উৎসব আনন্দময় করে তুলতে পারে তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া প্রতিবারের মত এবারে ও যাতে দেশী বিদেশি পর্যটকেরা উৎসবে অংশ নিতে পারে তার জন্য আয়োজক কমিটিকে সকল ধরণের সহযোগিতা করতে অনুরোধ জানান পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী। এসময় পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা জানান, বাংলা নববর্ষ উদযাপনে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন । পাহাড়ের এই উৎসবে সকল সম্প্রদায়ের অংশগ্রহনে এবারে ও আরো জাকজমকপূর্ণ এই উৎসব উদযাপন করা হবে।
মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার চম্পট পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হুমায়রা বেগমের বদলি আদেশ প্রত্যাহার করে তাকে স্ব-পদে পুর্ণবহালের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে বিদ্যালয়ের অভিভাবক, প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী, এলাকাবাসি ও শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বিকালে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে পান বাজারে এই কর্মসূচী পালন করা হয়।
প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের সভাপতি আবু মূসা নয়নের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, প্রাক্তন ছাত্র ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুরুল আলম, অভিভাবক নজু মিয়া, মোঃ রায়হান হামিদ সোহাগ, খুকী আক্তার, মুরশিদা বেগম, মোজাম্মেল হক, প্রাক্তন ছাত্র মোঃ সোহেল, কপিল উদ্দিন, আরিফুল ইসলাম, মোঃ ইয়াছিন ও ৫ম শেণীর ছাত্রী রুপালী তংচংগ্যা, মুক্তা আক্তার।
বক্তরা বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার উন্নয়নের স্বার্থে প্রধান শিক্ষক হুমায়রা বেগমের বদলি আদেশ প্রত্যাহার পূর্বক তা বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। একই সাথে তারা জানান, হুমায়রা বেগমের সফল নেতৃত্বের কারণে চম্পট পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় আলীকদম উপজেলার মধ্যে লেখাপড়ায় শীর্ষে অবস্থান করছে। অত্র বিদ্যালয় হতে লেখাপড়া করে অনেক ছাত্র ছাত্রী সরকারী উচ্চ পদস্থ চাকুরী সহ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নের সুযোগ পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হুমায়রা বেগমকে বদলি করার জন্য বান্দরবান জেলা পরিষদ গত মঙ্গলবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছে বলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুরুল আলম জানিয়েছেন।
॥ বান্দরবান প্রতিনিধি ॥ বান্দরবানে ৩৪ হাজার টাকার জালনোটসহ ১জন জালনোট ব্যবসায়ীকে আটক করেছে বান্দরবান সদর থানা পুলিশ। গত রবিবার সকালে বিশেষ সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিক উল্লাহ এর নেতৃত্বে এসআই মোঃ খালিকুর রহমান, এসআই মোহাম্মদ বেলাল, এএসআই মোঃ ফখরুল ইসলাম, এএসআই/এম.মকছুদ আহমদ সহযোগিতায় পৌরসভাধীন মগবাজার, মার্মা রেষ্টুরেন্ট দোকান হইতে মিন্টু দাশ রানা (৩৩), পিতা-সনেন্দ্র কুমার দাশ, মাতা-মিনু বালা দাশ, সাং-বারদোনা, ৬নং ওয়ার্ড, থানা-সাতকানিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম, কে ৫টি ১০০০/-টাকার জাল নোটসহ হাতেনাতে আটক করা হয়েছে।
আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে করলে সেই জাল নোট কারবারী বলে স্বীকার করে এবং তাঁর সহযোগী হিসেবে নাজিম (৩০),সাহাব উদ্দিন (২৮) জড়িত আছে বলে স্বীকার করে। আটকের পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই/অজয় দেব শীল সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সদের সহায়তায় মেম্বার পাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জালনোট ব্যবসায়ী মিন্টু দাশ(৩৩)এর ভাড়া বাসা হইতে আরও ২৯ টি বিভিন্ন সিরিয়ালের ১০০০/-টাকার জাল নোট উদ্ধার পূর্বক জব্দ করেন।
আসামীরা দীর্ঘদিন যাবৎ জাল নোট কারবারী সাথে জড়িত থেকে বান্দরবান, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় জাল নোটের ব্যবসার পরিচালনা করছে বলে স্থানীয় তদন্তে এবং সাক্ষ্য প্রমাণে জানা যায়।
॥ বান্দরবান সংবাদদাতা ॥ সীতাকুন্ডে জঙ্গি আস্তানায় নিহত কামাল এবং জোবাইরা ইয়াসমিন দম্পতির বাড়ি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায়। প্রায় ৯ মাস আগে তারা বাইশারী ইউনিয়নের যৌথ খামার পাড়ার বাড়ি থেকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে চট্টগ্রামে চলে যায়। আর ফিরে আসেনি এ দম্পতি। চট্টগ্রামে আসার পর ২ মাস পরিবারের সাথে যোগাযোগ থাকলেও গত ৭ মাস ধরে পরিবারের সাথে তাদের কোনো যোগাযোগ ছিল না।
শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে কান্না জড়ানো কণ্ঠে কথাগুলো বলেন জঙ্গি আস্তানায় নিহত জোবাইরা ইয়াসমিনের মা জান্নাত আরা এবং বাবা নূরুল আলম।
এদিকে সীতাকুন্ডে জঙ্গি হামলায় হতাহতদের খোঁজে শনিবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারীতে যৌথ খামার পাড়ায় যান পুলিশ। নিহত জোবাইরা ইয়াসমিন এবং তার স্বামী কামাল উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন তারা। এ সময় তাদের বাড়ি তল্লাশি করা হয়।
জোবাইরার বাবা-মা জানান, প্রায় ৯ মাস আগে তারা বাইশারী ইউনিয়নের যৌথ খামার পাড়ার বাড়ি থেকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে চট্টগ্রামে চলে যায়। এর কয়েকদিন পর জোবাইরা ইয়াসমিনের ছোট ভাই জহিরুল হক বোন জোবাইরার বাড়ি চট্টগ্রামে চলে যায়। তারও কিছুদিন পর জোবাইরা ইয়াসমিনের সন্তান দেখা-শোনার কথা বলে জহিরুল হক তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম এবং ছোট বোন মনজিয়ারাকে চট্টগ্রামে জোবাইরার বাসায় নিয়ে যায়। চট্টগ্রামে সবাই চলে যাওয়ার পরও মাসখানেক পরিবারের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল। কিন্তু গত প্রায় ৭ মাস ধরে তারা নিখোঁজ রয়েছে। তাদের কোনো খোঁজ-খবর নেই। কোথায় আছেন তাও জানেন না তার বাবা-মা।
জোবাইরা ইয়াসমিনের বাবা নুরুল আলম বলেন, স্ত্রী’সহ সন্তান নিয়ে প্রায় ৩০ বছর আগে মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর থেকে বাইশারী ইউনিয়নের যৌথ খামারপাড়ায় আসেন। সেই থেকে এ গ্রামেই তারা বসবাস করে আসছেন। তার ছেলে জহিরুল হক, মেয়ে জোবাইরা ইয়াসমিন এবং মেয়ের জামাতা কামাল খুবই ধার্মিক ছিলেন। তারা এলাকায় পানের চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। জঙ্গি তৎপরতায় জড়িয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তবে পান ক্ষেতে কাজ শেষে সন্ধ্যার পর তার ছেলে জহিরুল হক এবং জামাতা কামাল প্রায় সময় হাসান নামের স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে কথাবার্তা বলতেন। বন্ধুর মতই সম্পর্ক ছিল তার সঙ্গে। কিন্তু কোন বিষয়ে কথাবার্তা হতো, সেটি জানতেন না।
অপরদিকে কামালের বাবা মোজাফ্ফর আহমদ বলেন, কক্সবাজারের রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা থেকে ১০ বছর আগে তারা বাইশারীতে যৌথ খামার গ্রামে এসে বসবাস শুরু করে। কামালের সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ নেই।
বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম বলেন, যৌথ খামার পাড়াতে বসবাসকারীরা অধিকাংশই বহিরাগত। দুর্গম জনপদ হওয়ায় এখানে ভাসমান লোকদের আনাগোনা বেশি। বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। বহিরাগত আগমন ঠেকাতে বাইশারী ইউনিয়নের প্রবেশমুখে পুলিশের তল্লাশি চেকপোস্ট বসানোর দাবি জানাচ্ছি।
বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু মুসা জানান, তাদের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে কেউ কখনো অভিযোগ করেনি। তাছাড়া পরিবারের পক্ষ থেকেও থানায় কোন ধরনের জিডি করা হয়নি। সীতাকুন্ডে জঙ্গি আস্তানায় হতাহতদের মধ্যে কয়েকজনের বাড়ি বাইশারীতে খবর পেয়ে তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। জঙ্গি হামলায় নিহত জোবাইরা ইয়াসমিনের বাড়ি তল্লাশি করে জঙ্গি সম্পৃক্ততা রয়েছে এরকম কোন কিছু পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সীতাকুন্ডে ৪ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ও গুলিতে ৫ জনের মৃত্যু হয়।
॥ ছোটন বড়ুয়া রাহুল/ এস.কে খগেশপ্রতি চন্দ্র খোকন ॥ জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হল লামা মাতামুহুরী ডিগ্রী কলেজের এযাবৎ কালে সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান “অগ্রযাত্রার ৩০ বছর” পূর্তি উৎসব। ১৮ মার্চ শনিবার কলেজ মাঠে বর্ণাঢ্য আয়োজনে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। সকাল ১০টায় মাতামুহুরী কলেজের প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য র্যালী লামা বাজার প্রদর্ক্ষিণ করে মাতামুহুরী কলেজে অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে শেষ হয়। কলেজের এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে সমগ্র লামা উপজেলায় সকল মানুষের মাঝে আনন্দ, উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। শুরুতে অতিথিদের আসন গ্রহণ, ফুল দিয়ে বরণ, ক্রেষ্ট প্রদান, কলেজের কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা স্মারক প্রদান, কলেজ সৃষ্টিতে অবদানকৃত মহান ব্যাক্তিদের সম্মাননা, ‘শৈল দ্যুতি’ নামক স্মরণিকা মোড়ক উম্মোচন ও স্মৃতিচারণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, মাতামুহুরী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। বিশাল এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার ১ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোঃ ইলিয়াছ, বান্দরবান সেনা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার যুবায়ের সালেহীন, লামা-আলীকদম সেনা জোনের জোন কমান্ডার সারোয়ার হোসেন পি.এস.সি, অগ্রযাত্রার ৩০ বছর’ পূর্তি উৎসব কমিটির আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোঃ মাকসুদ, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু সহ কলেজের প্রভাষক, সাংবাদিক, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, অভিভাবক, প্রাক্তন এবং বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, লামা উপজেলা প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আলী মিয়া এই কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। তার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় আজ মাতামুহুরী কলেজ একটি সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে রুপ নিয়েছে। এসময় তিনি কলেজ প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনী, বাস-জীপ মালিক সমিতি, বাশঁ ও গাছ ব্যবসায়ী সমিতির অবদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি ৩০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যারা শ্রম, মেধা ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছে তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য জন্য ১টি কলেজ বাস ও শিক্ষা সফরের জন্য নগদ ২লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেন। তাছাড়া কলেজের কনফারেন্স রুম নির্মাণ, সীমানা প্রচীর তৈরি, রাস্তা সংস্কার, একটি মিনি স্টেডিয়াম ও নতুন ভবন তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দেন।
॥ রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে এই দেশ স্বাধীন হতো না। ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনেক স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল। বঙ্গবন্ধুর কারনেই আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি। তিনি বেঁচে থাকলে দেশ অনেক আগেই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশে পরিনত হতো বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে একযোগে দেশের কল্যাণে কাজ করে যেতে হবে, তাতেই দ্রুত দেশ এগিয়ে যাবো।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া পার্বত্য দূর্গম এলাকায় পৌছে গেছে। পার্বত্য এলাকায় সরকারের উন্নয়নে সড়ক যোগাযোগ, ব্রিজ, শিক্ষা, চিকিৎসা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পূর্ণরায় আবারো নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার জন্য উপস্থিত সকলের প্রতি আহবান জানান। বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে বর্নাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়েছে।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায় রাজার মাঠ থেকে বর্নাঢ্য র্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। এরপর শহরের বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশের সঞ্চালনায় জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্রগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সুধাংশু বিমল চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্য সা প্রু, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর অজিত কান্তি দাশ, জেলা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মানস কুমার দাশ, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ, সাধারণ সম্পাদক সামশুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ হোসেন সহ সকল অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮ তম জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি ও সকল সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা পৃথক পৃথক ভাবে কেক কাটে জন্ম বার্ষিকী পালন করেন।
॥রাহুল বড়–য়া ছোটন,বান্দরবান॥ বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানের বালাঘাটা সনাতনী সম্প্রদায়ের আয়োজনে শুরু হয়েছে বিশ্বশান্তি গীতাযজ্ঞ ও অষ্টপ্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞ। গতসোমবার বিকেলে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলন,গীতা পাঠ প্রতিযোগিতা ও ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্টানের মধ্য দিয়ে এই বিশ্বশান্তি গীতাযজ্ঞ ও অষ্টপ্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞের উদ্বোধন হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে বালাঘাটা সার্বজনীন শ্রী শ্রী রক্ষাকালী মন্দিরে বিশ্বশান্তি কামনায় শুরু হয় বিশ্বশান্তি গীতাযজ্ঞ। এতে পৌরহিত্য করেন চট্টগ্রাম বাঙ্গালহালিয়ার জ্যোতিশ্বর বেদান্ত মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী অভেদানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ। অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন বালাঘাটা সার্বজনীন শ্রী শ্রী রক্ষাকালী মন্দিরের সভাপতি প্রিয়তোষ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সুভাষ কান্তি দাশ,উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি রাখাল দত্ত,সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিত দাশ,কোষাধ্যাক্ষ বিশ্বজিত দাশসহ প্রমুখ । বিশ্বশান্তি গীতাযজ্ঞ অনুষ্ঠানে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সনাতন ধর্মালম্বী নারী পুরুষেরা উপস্থিত হয়ে এই বিশ্বশান্তি গীতাযজ্ঞে অংশ নেয়। ১৫ মার্চ ব্রাহ্মমুহুর্তে মহানামযজ্ঞের শুভারম্ব ও অহোরাত্র নাম সংকীর্ত্তন আর গৌরলীলা পরিবেশনসহ দুপুর ও রাতে চলবে আনন্দবাজারে মহাপ্রসাদ বিতরণ। অনুষ্ঠানে নামাঞ্জলি পরিবেশন করবেন শ্রী রাম সম্প্রদায় চট্টগ্রাম,গোবিন্দ মহারাজ সম্প্রদায় চট্টগ্রাম,আদি নারায়ণ সম্প্রদায় চট্টগ্রাম ও অনন্ত কৃষ্ণ সম্প্রদায় চট্টগ্রাম। আগামী ১৬ই মার্চ ব্রাহ্মমুহুর্তে নগর পরিক্রমা ও মহানামযজ্ঞের পূর্ণাহুতির মধ্য দিয়ে চারদিনব্যাপী এই বিশ্বশান্তি গীতাযজ্ঞ ও অষ্টপ্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞের শেষ হবে।
বান্দরবানে ক্যান্সার, কিডনী, জন্মগত হৃদরোগ,স্ট্রোকে প্যারালাইজড
ও লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্তদের অনুদানের চেক বিতরণ
॥ রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ বান্দরবানে “ক্যান্সার ,কিডনী,জন্মগত হৃদরোগ,স্ট্রোকে প্যারালাইজড ও লিভার সিরোসিসসহ জটিল রোগে আক্রান্তদের এককালীন অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার (১৩ মার্চ) সকাল ১০টায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এই অনুদানের চেক বিতরন করা হয়।
পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার সভাপতিত্বে চেক বিতরণ অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ পরিষদের নির্বাহী সচিব মো:ইব্রাহিম খলিল। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল আবছার, সাবেক পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংক্যচিং চৌধুরী, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কাঞ্চন জয় তংঞ্চঙ্গ্যা, সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক কিরণ শংকর বিশ্বাস, ডেপুটি সিভিল সার্জন অং সুই প্রু চৌধুরী, জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার মো:শামীম হোছাইন, সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা মিল্টন মহুরী, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বাদশা মিয়া মাষ্টারসহ সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা ও জটিল রোগে আক্রান্ত রোগী ও তাদের আত্মীয় স্বজনেরা। এসময় অনুষ্টানে “ক্যান্সার, কিডনী, জন্মগত হৃদরোগ, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ও লিভার সিরোসিসসহ জটিল রোগে আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচজনকে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে মোট দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার এককালীন অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান,এই পর্যন্ত সমাজসেবা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বান্দরবান জেলায় বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত পয়ত্রিশজনকে মোট সতের লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে এবং আগামীতে এই সমাজসেবামুলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
॥ আবুল বশর নয়ন, নাইক্ষ্যংছড়ি ॥ রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া-গর্জনিয়া সংযোগ সড়কের উপর খালেকুজ্জামান সেতু সংলগ্ন নির্মিতব্য বালির সড়ক ও ব্রিজ রক্ষার চেষ্টায় সহযোগিতা করছেন এলাকাবাসীর পাশাপাশি কর্মসৃজন কর্মসূচীর মানুষ। গত কয়েকদিন থেমে থেকে ভারী বৃষ্টির ফলে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ জনস্বার্থে এ কাজে এগিয়ে এসেছে।
কচ্ছপিয়া-গর্জনিয়া ইউনিয়নকে বিভক্ত করা বাকঁখালী নদীর উপর খালেকুজ্জামান সেতুর সড়ক বন্যার পানিতে ভেসে যায় ২০১৪সনে। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে কয়েক লাখ মানুষ। সম্প্রতি ভাঙ্গন অংশে বিশেষ পদ্ধতির জিও টেক্সটাইল কাপড়ের বালির বস্তা ফেলে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সড়ক পুন: স্থাপনে কাজ করে যাচ্ছে রামু উপজেলা পরিষদ। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টির ফলে বাকঁখালী নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন সড়কে আচঁড়ে পড়েছে। এ অবস্থায় ব্রিজ ও নতুন সড়কটি রক্ষায় এগিয়ে এসেছে গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম। কর্মসৃজন কর্মসূচীর শতাধিক মানুষকে দিয়ে নদীর গতিপথ রক্ষায় কাজ করানো হচ্ছে। বাকঁখালী নদীতে ভাঙ্গন অংশে নিয়োজিত ঠিকাদার সোহেল সিকদার জানান, ভারী বর্ষণের ফলে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রবল ¯্রােতের কারণে কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। তবে জনস্বার্থে গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এগিয়ে আসায় তিনি ধন্যবাদ জানান।
গর্জনিয়া ইউনিয়নের স্থানীয় যুবক তানজীদ রায়হান জানান, চীনের দু:খ যেমন হোয়াংহো নদী তেমনি আমরা গর্জনিয়ার মানুষের সর্বোচ্চ দুখ হচ্ছে বাকঁখালী নদী। এই করালগ্রাস থেকে রক্ষার জন্য তিনি সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এদিকে রবিবার সকালে বাকঁখালী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম। এসময় তিনি কচ্ছপিয়া ডাকবাংলো সড়কে পানি নিষ্কাষনের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ^াস দেন।