শামীম আহমেদ :: বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেশের ৩১টি দুর্গম দ্বীপে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা নিয়ে পৌঁছে দেবে বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল)।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, যেসব স্থানে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ খুবই জটিল বা ফাইবার অপটিক কেবল নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না, সেসব দ্বীপে যাচ্ছে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট।
কোম্পানির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ জানান, ৩১টি দ্বীপ বা চরের মধ্যে ইতিমধ্যে ২০টিতে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযুক্ত করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় এ বছরের মধ্যে বাকি দ্বীপগুলোতে ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাবে।
২০১৮ সালে ১২ মে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে প্রথম বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ এর সফল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশ প্রবেশ করে মহাকাশ যুগে।
স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দ্বীপ এলাকায় নেটওয়ার্ক স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক হামেদ হাসান মুহাম্মদ
মহিউদ্দিন বলেন, ভি-স্যাট প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্বীপগুলোতে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার কাজ চলছে।
পটুয়াখালীর চর কাজল, চর বিশ্বাস, বাহের চর, চর বোরহান ও চন্দ্রদ্বীপে ইতিমধ্যে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মহিউদ্দিন বলেন, পটুয়াখালীর সাতটি চর বা দ্বীপে এ সেবা দেওয়া হবে।
এছাড়া চাঁদপুরে আটটি, পিরোজপুর, বরিশাল নোয়াখালির একটি করে এবং ভোলার ১১টি দ্বীপে এ ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হচ্ছে।
সেইন্টমার্টিন দ্বীপে মোবাইল ইন্টারনেট সুবিধা থাকলেও জরুরি যোগাযোগের জন্য সেখানে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালু করা হবে বলে জানান মহিউদ্দিন। ইতিমধ্যে ২০টি দ্বীপে বা চরে সেবা শুরু করা হয়েছে জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক বলেন, বাকী দ্বীপগুলোতে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সংযোগ নিশ্চিত করা যাবে।
প্রতিটি চর বা দ্বীপে পাঁচটি করে ভিস্যাট স্থাপন করে এ সেবা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে মহিউদ্দিন বলেন, “দ্বীপ বা চরের আয়তন বুঝে এগুলো স্থাপন করা হচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে কমবেশিও হচ্ছে। স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবায় ডাউনলোড স্পিড ১০ এমবিপিএস এবং আপলোড স্পিড ৪ এমবিপিএস সরবরাহ করা হবে। উচ্চগতির ইন্টারনেটের মাধ্যমে দ্বীপবাসীরা সব সুবিধাই নিতে পারবেন।”
এসব দ্বীপের স্কুল বা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের হিসাবে প্রকল্পে শেষে এসব এলাকার তিন লাখের বেশি জনগণ এ সেবার আওতায় আসবেন।”
স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের মাধ্যমে টেলিমেডিসিন ও শিক্ষায় গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে মহিউদ্দিন বলেন, “ইতিমধ্যে এ বিষয়ে পরীক্ষামূলক কাজ করে সফলতাও পাওয়া গেছে।”
২০১৯ সালের মার্চে শুরু হওয়া এ প্রকল্পে প্রায় ৪০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এ মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার রয়েছে। এর মধ্যে ২৬টি কেইউ-ব্যান্ড ও ১৪টি সি-ব্যান্ডের।
ইতিমধ্যে ৩৫টি বেসরকারি টিভি চ্যানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচার করছে। আরও কয়েকটি টিভি চ্যানেল সম্প্রচার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। এছাড়া ডিটিএইচ (ডিরেক্ট টু হোম) সেবাও দেওয়া হচ্ছে।
বেক্সিমকো কমিউনিকেশন্স গত বছর ১৬ মে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ডিটিএইচ (ডিরেক্ট টু হোম) প্রযুক্তির সেবা চালু করে, যার মাধ্যমে কেবল সংযোগ ছাড়াই স্যাটেলাইট চ্যানেল দেখা যাচ্ছে। আর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর বাণিজ্যিক যাত্রাও এর মধ্য দিয়েই শুরু হয়।
এরপর গত ১ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর বাণিজ্যিক সম্প্রচারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের দুই বছরের মাথায় নিজস্ব আয়ে চলা শুরু করেছে বিসিএসসিএল।
মঙ্গলবারের ওই বিস্ফোরণে বৈরুত শহরের অর্ধেক অংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অনেকে আটকে থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা মারওয়ানের।
বিস্ফোরণে লেবাননের মজুদ খাদ্যশস্যের ৮৫ শতাংশ ধ্বংস হয়ে গেছে বলে বুধবার জানা গেছে। মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটি আমদানি করা খাদ্যশস্যের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল।
খাদ্যশস্যের এখন যা মজুদ আছে তা দিয়ে দেশটি বড় জোর আর এক মাস চলতে পারবে বলে গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ব্রিটিশ এ সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বুধবারও বৈরুত বন্দরের একাংশ থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। শহরটির অসংখ্য বাসিন্দা নিখোঁজ স্বজনদের সন্ধানে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অন্তত ১৩৫ জনের প্রাণ কেড়ে নেওয়া বিস্ফোরণে আহতের সংখ্যাও প্রায় ৫ হাজার, বলছে গার্ডিয়ান। রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে দেখা যাচ্ছে আহতদের উপচে পড়া ভিড়।
লেবাননের সরকার জানিয়েছে, মঙ্গলবারের বিস্ফোরণ নিয়ে চলমান তদন্তের মধ্যেই বৈরুত বন্দরের দায়িত্বে থাকা বেশকিছু কর্মকর্তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।
কীভাবে এ বিস্ফোরণ হয়েছে তা নিয়ে অস্পষ্টতা থাকলেও লেবানন সরকারের কর্মকর্তারা বলছেন, বন্দরের গুদামে কয়েক বছর ধরে পড়ে থাকা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের কারণেই বিস্ফোরণটি হয়েছে।
ছয় বছর আগে একটি কার্গো জাহাজ থেকে জব্দ করা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট এতদিন বন্দরের গুদামে কেন পড়ে ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
লেবাননের কাস্টমস প্রধান বাদ্রি দাহের বলেছেন, তার সংস্থা গুদাম থেকে ওই রাসায়নিক পদার্থগুলো সরিয়ে ফেলার জন্য তাগাদা দিলেও ‘কাজ হয়নি’।
সার বানানোর অন্যতম প্রধান উপকরণ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বিস্ফোরক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়
মঙ্গলবার বিস্ফোরণের পর যে কমলা রংয়ের ধোঁয়ার মেঘ বৈরুতজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল, সেটি নাইট্রেটের বিস্ফোরণের কারণে হয়েছে বলে মত বিশ্লেষকদের। বিস্ফোরণের কারণে বাতাসে বিষাক্ত নাইট্রোজেন অক্সাইড ছড়িয়ে পড়েছিল বলেও ধারণা তাদের।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মঙ্গলবারের মতো ভয়াবহ বিস্ফোরণ লেবানন এর আগে দেখেনি।
ব্রিটেনের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের ধারণা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমায় ফেলা পারমাণবিক বোমার শক্তির দশভাগের এক ভাগ বৈরুতের বিস্ফোরণে দেখা গেছে।
“সন্দেহাতীতভাবেই এটি ইতিহাসের অন্যতম বড় অ-পারমাণবিক বিস্ফোরণ,” বলেছেন তারা।
বিস্ফোরণে নিহতদের স্মরণে তিন দিনের শোক পালন করছে লেবানন। দুই সপ্তাহের জন্য জারি হয়েছে জরুরি অবস্থাও।
নেদারল্যান্ডসের জাতিসংঘ সমর্থিত বিশেষ ট্রাইব্যুনাল লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরির হত্যাকাণ্ড নিয়ে মামলার রায় ঘোষণা স্থগিত করেছে। শুক্রবার এ রায় দেয়ার কথা ছিল।
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইরান, ইসরায়েল ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে লেবাননকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।
ঈদের দিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়। শুভেচ্ছা বার্তায় মমতা বলেন, “শ্রদ্ধেয়া শেখ হাসিনা জী, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আপনাকে, আপনার পরিবারকে এবং আপনার মাধ্যমে সকল বাংলাদেশিকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।”ভারতজুড়ে ও পশ্চিমবঙ্গেও এই উৎসব ‘যথোপযুক্ত মর্যাদায়’ পালন করা হচ্ছে বলেও শুভেচ্ছা বার্তায় জানিয়েছেন তিনি। মমতা বলেন, “ভৌগলিকভাবে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ ভিন্ন হলেও আমরা পরস্পরের একান্ত আপন। “দুই বাংলার ভাষা ও সংস্কৃতি এক হওয়ায় আমরা একে-অপরে বিভিন্ন উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করে থাকি।” শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ‘শ্রী বৃদ্ধি‘ হওয়ার প্রত্যাশাও ছিল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তায়।
এবার নরেন্দ্র মোদিকে একহাত নিলেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, নিজেকে ঢাকতে মিথ্যা বলছেন মোদি। সেইসঙ্গে মনমোহন সিং বলেন, মোদির উচিৎ নিজের শব্দচয়ন নিয়ে সতর্ক হওয়া। চীনের অবস্থান নিয়ে কোনও বিভ্রান্তি ছড়ানো প্রধানমন্ত্রীর উচিত নয়। কংগ্রেস এই নেতা আরও বলেন, এই মুহুর্তে, আমরা ঐতিহাসিক মোড়ের মুখে দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের সরকারের সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপই ঠিক করে দেবে যে ভবিষ্যত প্রজন্ম আমাদের সম্বন্ধে কী উপলব্ধি করবে। যারা আমাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদেরই একান্তভাবে এই দায়িত্বের ভার বহন করতে হবে এবং আমাদের গণতন্ত্রে এই দায়িত্বটি থাকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের উপর। তাই প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই তিনি কী বলছেন এবং আমাদের জাতির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যে যে ঘোষণাগুলি করছেন তার প্রভাব সম্পর্কে সবসময় সচেতন থাকতে হবে। বলেন ভারতের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠকের পর নরেন্দ্র মোদি বলেন, ভারতীয় ভূ-খণ্ডে কোনও চীনের আগ্রাসন হয়নি। দেশের সীমান্ত কেউ লঙ্ঘন করতে পারেনি। কোনও পোস্টও দখল করেনি চীন। মোদির এ মন্তব্যের পরই তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। প্রশ্ন ওঠে, কেউ যদি সীমান্ত পেরিয়ে না-ই এসে থাকে, তবে ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু হল কীভাবে? জি নিউজ, এনডিটিভি।
মহামারী আকারে ছড়য়িে পড়া নতুন করোনাভাইরাসে একদনিইে র্সবোচ্চ আক্রান্ত শনাক্তরে পাশাপাশি সবচয়েে বশেি মৃত্যু দখেল ভারত।
শনবিার সকালে ভারতরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়রে দয়ো তথ্যে ২৪ ঘণ্টায় দশেটতিে ৭ হাজার ৯৬৪ জন কোভডি-১৯ রোগী শনাক্ত ও ২৬৫ জনরে মৃত্যু হয়ছেে বলে জানানো হয়ছে।ে
কবেল আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাতইে নয়, একদনিে র্সবোচ্চ ১১ হাজার ২৬৪ জন সুস্থ হয়ছেে বলওে জানয়িছেে তারা।
শনবিার সকাল র্পযন্ত ভারতে মোট এক লাখ ৭৩ হাজার ৭৬৩ জনরে দহেে নতুন করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়ছেে বলে জানয়িছেে এনডটিভি।ি
দশেটতিে সরকারি হসিাবইে কোভডি-১৯ এ মৃত্যু ৫ হাজাররে কাছাকাছি পৌঁছে গছে;ে আক্রান্তদরে মধ্যে ৮০ হাজাররে বশেইি ইতমিধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ওি ফরিছেনে বলে র্কমর্কতারা জানয়িছেনে।
সংক্রমণ মোকাবলোয় ভারত র্মাচরে শষে সপ্তাহ থকেইে দশেজুড়ে লকডাউন দয়িছেলি। চর্তুথ ধাপরে লকডাউনে বধিনিষিধে শথিলি হওয়ার পর থকেে দশেটতিে আক্রান্ত ও মৃত্যু প্রতদিনিই হু হু করে বাড়ছ।ে
শুক্রবার সকালওে ভারতরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আগরে ২৪ ঘণ্টায় ৭ হাজাররে বশেি আক্রান্ত শনাক্তরে খবর দয়িছেলি।
মহারাষ্ট্র, তামলি নাডু, তলেঙ্গোনা ও আসামওে শুক্রবার র্সবোচ্চ সংখ্যক কোভডি-১৯ রোগী শনাক্ত হয়ছে।ে
পশ্চমিাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে শনাক্ত কোভডি-১৯ রোগীর সংখ্যা ৬২ হাজার ছাড়য়িে গছে।ে
পশ্চমিাঞ্চলীয় এ রাজ্যটতিে শুক্রবার ভাইরাস আক্রান্ত ১১৬ জনরে মৃত্যু হয়ছেে বলওে এনডটিভিরি প্রতবিদেনে জানানো হয়ছে।ে সব মলিয়িে নতুন করোনাভাইরাস মহারাষ্ট্রইে দুই হাজার ৯৮ জনরে প্রাণ কড়েে নয়িছেে বলে সরকারি হসিাবে দখো যাচ্ছ।ে
তামলি নাডুতে একদনিে শনাক্ত হয়ছেে ৮৭৪ জন; সবমলিয়িে দক্ষণিরে এ রাজ্যটতিে কোভডি-১৯ রোগীর সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়য়িে গলে।
তলেঙ্গোনায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১৬৯ জনরে দহেে ভাইরাসরে উপস্থতিি মলিছে;ে আসামে মলিছেে ১৭৭ জনরে দহে।ে
প্রাণঘাতী নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ভারতজুড়ে কয়েক সপ্তাহের লকডাউনের কারণে কেবল গত মাসেই দেশটির ১২ কোটির বেশি মানুষ কাজ হারিয়েছেন বলে বেসরকারি খাত নিয়ে কাজ করা একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্কের মূল্যায়নে উঠে এসেছে। দিনমজুর ও ক্ষুদ্র ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরতরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। নিদারুণ অভাবে পড়েছেন হকার, রাস্তার পাশের অস্থায়ী দোকানদার, নির্মাণ খাতের শ্রমিক, তাঁতি ও রিকশাচালকরা। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির এক মূল্যায়নে এসব উঠে এসেছে বলে এনডিটিভিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। লকডাউনে কাজ হারানো ভারতীয়দের একজন আবদুল করিম। দারিদ্রের কারণে স্কুল থেকে ঝরে পড়তে বাধ্য হওয়া উত্তরপ্রদেশের এ বাসিন্দা শুরুতে বাইসাইকেল সারানোর মতো ছুটা কাজ করতেন। ছোট ট্রাকে করে দিল্লিতে মাল পরিবহনের কাজ পাওয়ার পর পরিবারকে দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে খানিকটা সরিয়ে আনতেও সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। চাকরি, সামান্য আর্থিক নিরাপত্তা তাকে সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল। করোনাভাইরাস মহামারী ওই স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করে দিয়ে করিমকে আবার বিপাকে ফেলেছে। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে অবরুদ্ধ অবস্থায় দিনকাটানো এ ভারতীয় লকডাউনের মধ্যে যৎসামান্য যে সঞ্চয় ছিল, তা খরচ করে ফেলেছেন। বেঁচে থাকার তাগিদে এখন খুঁজছেন যে কোনো একটি কাজ। “যখন দিল্লি ফিরে যাবো, তখন সেখানকার চাকরির পরিস্থিতি কেমন থাকবে তা বলতে পারছি না। না খেয়ে তো থাকতে পারবো না, তাই যা পাবো তাই করবো,” বলেছেন তিনি। মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস ও এর কারণে দেয়া বিধিনিষেধের ফলে বিশ্বের অর্থনীতির যে সঙ্কোচন ঘটবে তাতে প্রায় ৫ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যের তালিকায় সংযুক্ত হতে পারে বলে বিভিন্ন আন্তর্জতিক সংস্থার মূল্যায়নে আগেই জানানো হয়েছিল। এর মধ্যে ভারতীয়দের সংখ্যাই বেশি থাকবে বলে ধারণা অনেক বিশ্লেষকের। দারিদ্র্যমুক্তির স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় আসা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য এ পরিস্থিতি বড় ধরনের রাজনৈতিক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, বলছেন তারা। “দারিদ্র্য প্রশমনে ভারতের সরকারগুলোর গত কয়েক বছরের চেষ্টা এ কয়েক মাসেই অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। ভাইরাসে যত মানুষ মারা যাবে, ক্ষুধায় এর চেয়ে বেশি মৃত্যু হতে পারে,” বলেছেন বহুজাতিক দাতা সংস্থাগুলোকে পরামর্শ দেয়া প্রতিষ্ঠান আইপিই গ্লোবালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অশ্বজিৎ সিং। এনডিটিভিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস ভারতে আঘাত হানার আগেই দেশটি এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে শ্লথ প্রবৃদ্ধির পথে অগ্রসর হচ্ছিল; ২৫ মার্চ থেকে দেয়া লকডাউন ওই পরিস্থিতিকে ত্বরান্বিত করেছে। এশিয়ায় ভাইরাস সংক্রমণের হটস্পট ভারতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এক লাখ ৫৮ হাজারের বেশি মানুষের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে বলে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হালনাগাদ তথ্য জানাচ্ছে। মোদী জানিয়েছেন, মহামারীর কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি থেকে এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিকে টেনে তুলতে তার সরকার ২৬৫ বিলিয়ন ডলার খরচ করবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত সরকারের এ প্রণোদনা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। “সরকারের প্রতিক্রিয়াই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। অসাম্য এখানে এমনিতেই বেশি, মহামারী তা আরও বাড়িয়ে তুলবে,” বলেছেন দিল্লির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অর্থনীতির অধ্যাপক ঋতিকা খেরা।
ভারতে মাত্র ৮ দিনে প্রায় ৪৮ হাজার ব্যক্তির দেহে নতুন করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
কেবল রোববার থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টাতেই ৬ হাজার ৯৭৭ জনের কোভিড-১৯ ধরা পড়েছে বলে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৭৬৭। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ৬৫৪। এ নিয়ে পরপর চারদিন দেশটিতে জ্ঞাত রোগীর সংখ্যা আগের দিনের রেকর্ড টপকাল।
সোমবার সকাল পর্যন্ত ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৩৮ হাজার ৮৪৫ এ দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
৮ দিন আগেও এ সংখ্যা ছিল ৯০ হাজার ৯২৭, জানিয়েছে আনন্দবাজার।
আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় ইরানকে টপকে ভারতই এখন বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে দশম বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ভারতের মধ্যে কেবল মহারাষ্ট্রেই আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
সোমবার কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত আরও ১৫৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকার। এ নিয়ে নতুন করোনাভাইরাস দেশটির ৪ হাজার ২১ জনের প্রাণ কেড়ে নিল।
আক্রান্তদের মধ্যে ৫৭ হাজার ৭২১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানিয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
দেশটিতে লকডাউন শিথিলের পর থেকে শনাক্ত আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। চতুর্থ দফার লকডাউন শেষে বিধিনিষেধ আরও শিথিল হলে এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও অনেকে আশঙ্কা করছেন।
মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক ড্রামা নতুন করে প্রকাশ্যে আসছে। ড. মাহাথির মোহাম্মদ ক্ষমতা হারানোর পর অনেকেই মনে করেছিলেন স্থিতিশীলতা আসবে রাজনৈতিক অঙ্গনে। কিন্তু ভিতরে ভিতরে খেলা শেষ হয় নি। অনিষ্পন্ন রয়ে গেছে। মাহাথির মোহাম্মদের পাকাতান হারাপান (পিএইচ) সরকারেরর পতনের পর দেশবাসীর দৃষ্টি পড়েছে করোনা মহামারি মোকাবিলায়। কিন্তু সেখান থেকে নতুন করে আবার শুরু হচ্ছে। সোমবার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দিন ইয়াসিন নেতৃত্বাধীন পেরিকাতান ন্যাশনাল (পিএন) সরকারের অধীনে প্রথম একদিনের পার্লামেন্ট অধিবেশন বসছে। মার্চে অনানুষ্ঠানিকভাবে পিএন জোট ক্ষমতায় আসে।
জবাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ মে মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রথম তুরুপের তাসটি চেলে দেন। তাতে প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দিনের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব করেন তিনি। তার এই আবেদন গ্রহণ করেন পার্লামেন্টের স্পিকার। কিন্তু দৃশ্যত রাজার উদ্বোধনী বক্তব্যের জন্য সীমিত আকারে একদিনের অধিবেশন বসছে সোমবার। তাই মাহাথিরের ওই প্রস্তাব দৃশ্যত আটকে দিয়েছে সরকার। পার্লামেন্ট অধিবেশন সীমিত করা হয়েছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে। এ খবর দিয়েছে চ্যানেল নিউজ এশিয়া।
আবার কানকথা ছড়িয়ে পড়েছে যে, নিজের দল পার্টি প্রিবুমি বারসাতু মালয়েশিয়া (বারসাতু)-এর চেয়ারম্যান ড. মাহাথির মোহাম্মদ এবং দলের ডেপুটি প্রেসিডেন্ট মাহাথির মোহাম্মদের ছেলে মুখরিজ মাহাথিরকে বহিষ্কার করতে পারে দল। তবে এ বিষয়ে নিরপেক্ষ কোনো মাধ্যম থেকে কিছু নিশ্চিত হওয়া যায় নি। নতুন করে ক্ষমতার লড়াই যখন আবার শুরু হয়েছে তখন জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কিছু রাজনৈতিক হেভিওয়েট ব্যক্তি। তারা হলেন, ড. মাহাথির মোহাম্মদ, মুহিদ্দিন ইয়াসিন, পার্টি কেদিলান রাকায়েতের (পিকেআর) আনোয়ার ইব্রাহিম ও ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (ইউএমএনও) আহমদ জাহিদ হামিদি। বলা হচ্ছে তারা ভিন্ন ভিন্ন মাত্রার চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনা ভাইরাস মহামারিতে চমৎকার পারফরমেন্স করেছেন প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দিন ইয়াসিন। তা সত্ত্বেও তাকে প্রমাণ করতে হবে যে, পার্লামেন্টে তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। যদি না পারেন তাহলে নির্বাচন ছাড়া ‘পিছনের দরজা দিয়ে এসে সরকার গঠনের’ জন্য তিনি বড় রকম হোঁচট খেতে পারেন।
অন্যদিকে ড. মাহাথির মোহাম্মদ তার ক্ষমতায় থাকাকালীন সুবিধাগুলো হারিয়েছেন। এর ফলে তিনি পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে। আর এর মধ্য দিয়ে পিএইচের প্রশাসন ভেঙে পড়েছে। বর্তমান যে পরিস্থিতি তা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য অনুজ¦ল। তিনি বার বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কাছাকাছি যেয়েও পারেন নি। এখন দেখার বিষয় বারসাতু দলের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় প্রশাসনে খুব সামান্য ভূমিকা নিয়ে সমর্থন দিতে এগিয়ে আসে কিনা ইউএমএনও। এ অবস্থায় ইউএমএনও দলের পার্লামেন্ট সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী নুর জাজলান মোহাম্মদ বলেছেন, অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে তার উত্তম সমাধান হলো একটি যথাযথ জাতীয় নির্বাচন। ঠিক ্এই মুহূর্তে সোমবার মহামান্য রাজার ভাষণের ওপর যথাযথ বিতর্ক হওয়া উচিত নয়। কারণ, উদ্বেগ রয়েছে যে, ওই ভাষণ পার্লামেন্ট অনুমোদন নাও করতে পারে। ওই ভাষণ হলো ২০২০ সালের জন্য সরকারের মৌলিক এজেন্ডা। সমস্যাটা আরো জটিল হবে আরো পরে, যখন ২০২১ সালের বাজেট আসবে। যদি বাজেট পাস করাতে ব্যর্থ হয় সরকার, তাহলে তার অর্থ হবে তারা আস্থা ভোটে হেরে গেছে। তাই কঠোর লড়াইয়ের মাধ্যমে একটি যথাযথ নির্বাচন হতে পারে উত্তম সমাধান।
ওদিকে ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া সাবাহ-এর ড. লি কুওক তিউং বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ২৫০০০ কোটি রিঙ্গিতের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এ ঘোষণায় ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। এখন পর্যন্ত তার প্রশাসন গ্রহণযোগ্য। তাদের ক্ষমতার মেয়াদ মাত্র অল্প কয়েকদিনের। এ অবস্থায় সোমবারের পার্লামেন্ট অধিবেশনে বিরোধী পক্ষকে আগামী জুলাইয়ের অধিবেশনের ফাঁদে ফেলতে পারেন মুহিদ্দিন ইয়াসিন।
তবে ইউনিভার্সিটি সেইন্স মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রফেসর ড. আহমেদ ফাউজি আবদুল হামিদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন সেই ধারণাটাকে অতিক্রম করতে হবে তাকে। ফেব্রুয়ারিতে পিএইচ সরকার থেকে বারসাতুকে বের করে আনায় নেতৃত্ব দেন মুহিদ্দিন। তিনিই সাবেক ক্ষমতাসীন জোটের সঙ্গে হাত মেলান ক্ষমতা দখলের জন্য। ড. ফাউজি বলেন, একদিক থেকে দেখলে, এই সরকার ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে নি। আইনগতভাবে তার পার্লামেন্টের নি¤œকক্ষে এমপিদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখানো উচিত। তার উচিত পার্লামেন্টের মাধ্যমে ভোটারদের কাছে জবাবদিহি করা। ড. ফাউজি আরো বলেন, মুহিদ্দিন ইয়াসিন নেতৃত্বাধীন সরকার পার্লামেন্ট অধিবেশনের মেয়াদ সীমিত করে একদিনে আনার মধ্য দিয়ে তাদের বৈধতার প্রশ্নকে আরো জটিল করে তুলছে। ড. ফাউজির ভাষায়, আমরা আধুনিক সময়ে এবং বহু গণতন্ত্রের মধ্যে বসবাস করছি। সর্বশেষ বৃটেন যখন অনলাইনে পার্লামেন্ট অধিবেশন করতে পারে তাহলে আমাদের সমস্যা কোথায়? আমাদের এখানে কেন ওই পথে স্বচ্ছতা দেখানো হবে না?
রাজনৈতিক ভাষ্যকার ওহ ই সান বলেন, অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করতে মুহিদ্দিন রাজনীতির অন্য পাশ থেকে এমিপদের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। তাদেরকে দলছুটে প্রলুব্ধ করতে পারেন।
মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বদলীজনিত কারণে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বিদায়ী সচিব মোঃ সেলিম রেজা’র দায়িত্ব অর্পণ এবং নব নিয়োগপ্রাপ্ত সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন এর দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি।
অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি বলেন, সরকার বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মীদের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করেছে। তিনি আরো বলেন, মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মীরা প্রবাসীদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগযোগ রাখছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী কর্মীদের সুরক্ষা ও করোনাত্তোর পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক শ্রমবাজার সুরক্ষায় বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীদের সাথে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। প্রবাসী কর্মীদের সুরক্ষায় সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে উল্লেখ করে নবনিয়োগপ্রাপ্ত সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শণ সোনার বাংলা বিনির্মানে আমাদের আত্মনিয়োগ করতে হবে। নিষ্ঠার সাথে সেবামূলক মনোভাব নিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে দায়িত্ব পালন করে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরো বলেন, করোনাত্তোর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদেরকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
বিদায়ী সচিব মোঃ সেলিম রেজা বলেন, প্রবাসী কর্মীরা যাতে কোনরকম অসুবিধায় না পরে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, করোনাত্তোর পরিস্থিতিতে বর্তমান শ্রমবাজার ধরে রাখতে এবং নতুন শ্রমবাজার সৃষ্টিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মোঃ সামছুল আলম, ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচলক মোঃ হামিদুর রহমান, বোয়েসেল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাইফুল হাসান বাদল, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ নাজিবুল ইসলাম, খাদিজা বেগম, মোঃ শহিদুল ইসলাম এনডিসি, মোঃ মোশাররফ হোসেন, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহতাব জাবিন, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোঃ ফজলুল করিম, ড. মোজাফফর আহমেদ, নাসরীন জাহান, বশীর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
করোনা ভাইরাস থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে আটকে পড়া মালদ্বীপের ৭১ জন নাগরিক বিমান বাহিনীর সহায়তায় দেশে ফিরেছে। একই সঙ্গে মালদ্বীপে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের করোনার চিকিৎসাসেবা দিতে ১০ সদস্যের সশস্ত্র বাহিনীর একটি মেডিক্যাল টিম ঢাকা ছেড়েছে।
সোমবার (২০ এপ্রিল) মালদ্বীপের উদ্দেশে বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০জে প্লেনটি ঢাকা ছাড়ে। এসময় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস মার্শাল মো. আবুল বাশার, বাংলাদেশে নিযুক্ত মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত আইশাত শান শাকিরসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক মো. নূর ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধকল্পে প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ সরকার প্রকাশিত নীতিমালা অনুসরণ করে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারের পক্ষ থেকে বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরূপ বিমান বাহিনীর একটি পরিবহন প্লেনের মাধ্যমে মালদ্বীপের ৭১ জন নাগরিককে মালদ্বীপে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
এসব নাগরিক বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতির কারণে নিজদেশ মালদ্বীপে ফিরতে পারছিল না। দেশে পাঠানোর আগে বিমান বাহিনীর পরিবহন বিমান ও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে চট্টগ্রাম, বরিশাল, কুমিল্লা ও চাঁদপুর থেকে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের ঢাকায় একত্রিত করা হয়।
এছাড়া মালদ্বীপে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের চিকিৎসাসেবা দিতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামসহ ১০ সদস্যের একটি সশস্ত্র বাহিনীর মেডিক্যাল টিম মালদ্বীপে পাঠানো হয় একই ফ্লাইটে। এই মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা সেখানে বাংলাদেশিদের করোনার চিকিৎসাসেবা দেবেন।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১৫ সদস্যের এয়ার ক্রুর সমন্বয়ে গঠিত এই মিশনের নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন এনামুল হক। মিশন সুসম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন।